তবুও আমি বলে যাব, যতদিন বেঁচে আছি, আপনাদের মাঝে! কেহ আমার সাথে থাকুন আর নাই বা থাকুন! আমাদের শাক সবজি বেশি বেশি খাওয়া উচিত। সুযোগ পেলেই শাক সবজি রান্না করুন নিজ হাতে। পেট পুরে চারটে ভাত খান! মাছ মাংশ না পেলে কি! চলুন রেসিপি দেখে ফেলি!
উপকরনঃ (মাঝারি এক বাটি)
– শাক, দুই মুট (কেটে কুটে যা হয়, তবে শাক বাসায় নিয়ে কিছুক্ষন পানিতে ভিজিয়ে রাখা উত্তম, এতে পোকা মাকড় ও ধুলো বালি ঝরে যাবে তার পর পানি ঝরিয়ে বেছে নিন)
– চিংড়ি মাছ, এক মুট বা বেশী, আপনার ইচ্ছা
– পেঁয়াজ কুঁচি, মাঝারি তিন্টে, কম বেশী
– রসুন বাটা, এক চা চামচ
– মরিচ গুড়া, হাফ চা চামচ
– হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচ
– লবন, পরিমান মত
– পানি, সামান্য বা হাফ কাপ
– তেল, ৬/৭ টেবিল চামচ, কম তেলেই রান্না ভাল।
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ।
প্রস্তুত প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)
ছবি ১, শাক পরিষ্কার করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। এই কাজটা রান্নার শুরুতেই করে ফেলুন।
ছবি ২, রান্নার পাত্রে তেল গরম করে তাতে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচি ভাঁজুন। কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিন। পেঁয়াজ হলদে হয়ে এলে রসুন বাটা দিন এবং ভাঁজুন। এর পর সামান্য পানি দিন।
ছবি ৩, পানিতে হলুদ ও মরিচ গুড়া দিন এবং ভাল করে কষিয়ে নিন।
ছবি ৪, এবার চিংড়ি মাছ দিন। (মাছ ছাড়াও রান্না করে দেখতে পারেন, মন্দ হবে না, মাছ না থাকলে রান্না করবেন না, এমন ভাবাই উচিত নয়)
ছবি ৫, মাধ্যম আঁচে রেখে তেল উঠিয়ে নিন।
ছবি ৬, এবার পালং শাল দিন।
ছবি ৭, ভাল করে মিশিয়ে নিন।
ছবি ৮, কম আঁচে মিনিট ১০/১২ রাখুন, শাঁকের রঙই বলে দিবে হল কিনা! এই অবস্থায় ফাইন্যাল লবন স্বাদ দেখুন, লবন লাগলে দিন। শাঁকের ঝোলটা কেমন রাখবেন সেটা আপনি নিজেই নির্ধারন করুন। ঝোল কমাতে চাইলে আগুন বাড়িয়ে দিন। তবে কিছুতেই চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না!
ছবি ৯, ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
ছবি ১০, অসাধারন। গরম ভাতের সাথে দারুণ আরাম লাগবে। যারা রুটি খেয়ে থাকেন, তারা রুটি দিয়েও চালান দিতে পারেন, ব্যাপার না!
সবাইকে শুভেচ্ছা। আমরা আসছি আরো আরো মজাদার এবং সহজ রান্না নিয়ে, আমাদের সাথেই থাকুন।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
yes
LikeLike