অফিস বা ব্যবসা কেন্দ্র থেকে আপনি বাসায় ফিরে গেলেন, বাসায় ফিরে দেখলেন আপনার মা, বোন বা স্ত্রী (যিনি আপনার সাথে থাকেন) অসুস্থ্য, রান্না করা হয়ে উঠে নাই। তখন কি করবেন? হ্যাঁ, আমি মনে করি আপনার অবশ্যই রান্না ঘরে যাওয়া উচিত। আপনি নিজের খেতে হবে এবং আপনার পাশে যিনি বা যারা থাকবেন তাদেরও খাবার দরকার। ফলে আপনি যদি রান্না করেন তবে অন্তত একবেলা তাদের জন্য হেল্প হবে। এটাকেই ভালবাসা বলে, মানবিকতা বলে!
যাই হোক, রান্না ঘরে আশা করি সব কিছু হাতের নাগালে পাবেন কারন আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারে মোটামুটি সব কিছু ঘুছানো থাকে। মাসের বাজার করে নিয়ে আমাদের মত পরিবার গুলো সব কিছু একবারেই জমিয়ে রাখে। চলুন এমনি একটা সাধারন রান্না দেখাই। একবার চোখে বুলিয়ে নিয়েই রান্না করতে পারবেন বলে আমি মনে করি। মোরগ রান্না, সাধারন বাটা মশলায়।
চলুন দেখে ফেলি।
পরিমান ও উপকরনঃ
– মোরগের গোশত, একটা ১ কেজি কম বেশী
– এলাচি, ২/৩ টা
– দারুচিনি, ২/৩ পিস (১ ইঞ্চির মত)
– পেঁয়াজ বাটা, দুই টেবিল চামচ
– আদা বাটা, এক চা চামচের কম
– রসুন বাটা, এক চা চামচ
– মরিচ গুড়া, হাফ চা চামচের কম
– হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচ
– কাঁচা মরিচ, কয়েকটা
– লবন, পরিমান মত
– তেল, ৮/১০ টেবিল চামচ (কম তেলে রান্না ভাল, তবে রান্না করার সময়ে খেয়াল বেশী রাখতে হয়!)
প্রস্তুত প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)
ছবি ১, কড়াইতে তেল গরম করে সামান্য লবন যোগে এলাচি, দারুচিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুন বাটা দিয়ে ভাল করে ভাঁজুন।
ছবি ২, মশলা গুলো হলদে হয়ে এলে মরিচ গুড়া ও হলুদ গুড়া দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন। আগুন মাধ্যম আঁচে থাকবে।
ছবি ৩, হাফ কাপ পানি দিয়ে দিন।
ছবি ৪, মশলা কষিয়ে তেল উঠিয়ে নিন।
ছবি ৫, এবার গোশত গুলো দিয়ে দিন। (মোরগ গোশত কাটাকুটা না থাকলে ভয়ের কিছু নেই, আপনি আপনার ইচ্ছা মত কেটে নিয়ে ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন)
ছবি ৬, মিশিয়ে নিন।
ছবি ৭, হাফ কাপের মত পানি দিয়ে ঢাকনা দিন। আগুন কমিয়ে এবার অন্য কাজে লেগে যেতে পারেন। খাবার টেবিলে প্লেট নেয়া, পানি ইত্যাদি। অন্যান্য কোন তরকারী থাকলে তা গরম করে নিতে পারেন। ভাত রান্না না থাকলে, অন্য চুলায় তা বসিয়ে নিতে পারেন। (ভাত রান্না না জানলে এই রেসিপি দেখতে পারেন)
ছবি ৮, মিনিট ২০ পরে এমনি দেখাবে। গোশত সিদ্ধ হল কি না দেখে নিন। মাঝে ঢাকনা খুলে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না।
ছবি ৯, ঝোল কেমন রাখবেন তা আপনি নিজেই ভেবে নিতে পারেন। এই সময়ে ফাইন্যাল লবন দেখে নিন, লাগলে দিন। (লবন দেখার জন্য ছোট একটা চা চামচ ব্যবহার করুন, ঝোল নিয়ে ফু দিয়ে স্বাদ দেখুন, গরম ঝোল জিব্বাইয় লাগলে পুড়ে যেতে পারে! মনে রাখবেন, লবন স্বাদের জন্য খাবারের স্বাদ পাল্টে যায়। সুতারাং লবন স্বাদের দিকে নজর দেয়া জরুরী এবং সঠিক হওয়া দরকার।)
ছবি ১০, ব্যস পরিবেশনের জন্য টেবিলে নিয়ে আসুন। (আমি একটু ঝোল বেশি রেখেছিলাম, কারন পাশাপাশি ভেন্ডি ভাঁজি ছাড়া আর কোন তরকারী ছিল না। আপনি ঝোল পছন্দ না করতে, নামানোর আগে আগুন বাড়িয়ে কিছুক্ষন রাখলেই ঝোল কমে যেত এবং তা করতে পারেন।)
ছবি ১১, অপূর্ব, অসাধারন স্বাদ। গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
সবাইকে শুভেচ্ছা। আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন, আমরা আসছি আরো আরো মজাদার রান্না নিয়ে।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
“কারন আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারে মোটামুটি সব কিছু ঘুছানো থাকে।” ভাইয়া,বানানটা মনে হয় ঘুছানো নয়,’গুছানো’।আমার ফ্রেণ্ড বলেছিলো আমাকে 😊
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন।
বানান ভুল করা একটা স্বভাবে পরিনত হয়েছে। সরি। আশা করি সাম্নের দিন গুলোতে মনে থাকবে। শুভেচ্ছা।
LikeLike