গ্যালারি

রেসিপিঃ পুঁইশাক রান্না (সাধারন, মাছের মাথা যোগে)


নিরোগ ভাবে বেঁচে থাকতে চাইলে প্রতিদিন কিছু না কিছু সব্জি খান। বয়স কম কালে হয়ত এটা কানে প্রবেশ করবে না, কিন্তু বয়স বাড়লে বুঝতে পারবেন, কি কি করেলে আর মজা করে নিরোগ দেহে ভাল ভাবে আরো কিছু দিন বেঁচে থাকতে পারতেন! মৃত্যু শয্যায় আপনার মনে পড়বে কি কি ভুল ছিল এই সামান্য সময়ের জীবনে, সে সময়ে হয়ত এটা মনে পড়বে যে, ইস যদি খাবার দাবারে আরো সতর্ক হতে পারতাম! আসলে বয়স ৫০ পার না হলে জীবনের অনেক কিছুই বুঝা যায় না, আর যারা ৩০ বছরে জীবনের নানান দিক বুঝে যান তারা অপেক্ষা কৃত ভাল থাকেন এবং এই দুনিয়া ভাল করে উপভোগ করে যেতে পারেন।

চলুন আজ একটা শাকের রান্না দেখি, এমন রান্না আগেও আরো অনেক বার দেখানো হয়েছে,বিশেষ করে পুঁইশাকের নানান পদের গরু, মাছের সাথে অনেক রান্না দেখিয়েছি  তবুও এই সব রান্না দেখাতে আমার ভাল লাগে এই জন্য যে, আপনার চোখে পড়লে আপনি যদি এই রান্নায় আগ্রহী হন তবেই আমি মনে করবো আমার চেষ্টা সার্থক!

চলুন দেখে ফেলি। যদি না বুঝেন তবে আগের রান্না গুলো রিভিউ করে নিতে পারেন।

পরিমান ও উপকরনঃ (পরিমান আপনিও অনুমান করতে পারেন)
– কেজি খানেক শাক (বেছে কেটে কুটে যা থাকে)
– তেলাপিয়া মাছের মাথা (দুইটা)
– ১/২টা আলু স্লাইস করে কাটা
– পেঁয়াজ কুঁচি, হাফ কাপ
– কাঁচা মরিচ (ঝাল বুজে, গুড়া মরিচ দেয়া হয় নাই, আপনি চাইলে দিতে পারেন), ৪/৬টা
– রসুন বাটা, এক টেবিল চামচ
– হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচ

– লবন, পরিমান মত
– তেল, এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, কম তেলেই রান্না ভাল

প্রস্তুত প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)

ছবি ১, রান্না শুরু করার আগে শাক ভাল করে ধুয়ে নিয়ে কেটে কুটে রাখুন। (ছবিতে অবশ্য বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসার পর)


ছবি ২, কড়াইতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ ও লবন (সামান্য) দিয়ে ভাল করে ভেঁজে রসুন বাটা দিন। আবারো ভাজা হয়ে গেলে এক কাপ পানি দিন এবং জ্বাল দিয়ে এবার হলুদ দিন এবং জ্বাল চলুক। ব্যস ঝোল হয়ে গেল!


ছবি ৩, এবার মাছ দিয়ে দিন।


ছবি ৪, মাছ না দিলেও চলে তবে এই মাছের কারনে শাকের স্বাদ আরো বেড়ে যায়। পুষ্টি গুনো বেড়ে যায়।


ছবি ৫, আগুন মাধ্যমে থাকবে। ঠিক এই অবস্থায় এসে যাবে।


ছবি ৬, এবার শাক এবং আলু দিয়ে দিন, নাড়িয়ে মিশিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢাকনা দিয়ে দিন।


ছবি ৭, কয়েক মিনিটের মধ্যে এমন হয়ে যাবে।


ছবি ৮, আর সামান্য কিছু সময় পরে এমন হয়ে যাবে। তবে চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না। ভুলে গেলে ঝোল শুকিয়ে পুড়েও যেতে পারে, রান্নার প্রতি ভালবাসাটা এখানেই! ফাইন্যাল ঝোলে লবন দেখুন, লাগলে দিন, না লাগলে আগে বাড়ুন।


ছবি ৯, ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

গরম ভাতের সাথে পরিবেশনায় চমৎকার লাগবে। আশা করছি যারা নুতন রান্না করেন বা রান্না শিখতে চান তারা এইভাবে রান্না করবেন। এই ধরনের রান্না যদি স্বাদ না হয় তবুও আপত্তি থাকবে না, আপনি যদি মশলা পাতিতে ভুল করেন বা কম বেশি দেন তাও ব্যাপার না, কারন খরচ কম! হা হা হা। এতে একটাই কাজ হবে আপনার রান্নার অনুমান বেড়ে যাবে এবং আপনি সাম্নের দিকে এগুতে থাকবেন। রান্না পুরাই অভিজ্ঞতার ব্যাপার! অভিজ্ঞ হাত, চোখ রান্না ছুঁয়ে দিলেও রান্নায় মজা হয়ে যায়!

সবাইকে শুভেচ্ছা।

9 responses to “রেসিপিঃ পুঁইশাক রান্না (সাধারন, মাছের মাথা যোগে)

  1. Execellent homely dish, this is one of my favourite dish also.

    Liked by 1 person

  2. কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমাতে হলে সপ্তাহে প্রায় এক কেজি ফুলকপি এবং সমজাতীয় শাকসবজি খেতে হবে.. http://www.prothom-alo.com/technology/article/452116

    Like

  3. আমি আজকে প্রথম আসলাম এই পেইজে এত ভাল লাগল বুজাতে পারবনা অসাম

    Liked by 1 person

  4. সুন্দর, কালকে ট্রাই করব।

    Like

  5. আমি পুঁই শাকের সাথে আলু দিবোনা চিংড়ি মাছ দিবো তাতে হবেনা

    Liked by 1 person

  6. অাপু অাপনার দেওয়া পরামর্শে রান্নাটা বেশ মজা করেই খেলাম । কিন্তু দেখুন নতুন রাধুনী হওয়ায় পরিমানটা একটু বেশি দেওয়ায় খরচটা বেড়ে গেছে!! হা হা হা ধন্যবাদ অাপু।

    Liked by 1 person

Shahadat Udraji (সাহাদাত উদরাজী) এর জন্য একটি উত্তর রাখুন জবাব বাতিল