বলা যায় অনেক দিন পর বিয়ের দাওয়াতে গেলাম। আমার বন্ধু কাজী ওয়াহিদুল ইসলাম, তার মেয়ের বিয়ে। না যেয়ে উপায় নেই! বাসায় এসে দাওয়াত দিয়ে গেছে, রাস্তায় দেখা হবার পর, বললাম, দে বিয়ের কার্ড এখানে দে, ওহি বলল, না বাসায় যেয়ে দাওয়াত দিবো। এমন বন্ধুর মেয়ের বিয়ের দাওয়াত কি করে উপেক্ষা করি। বন্ধুর বিয়ে খেয়েছি এবং যদি তার মেয়ের বিয়ে না খাই তা হলে চলে কি করে? হা হা হা… চলুন বিয়ের খাবার দাবারের ছবি দেখি! তবে এই বিয়ের মুল আকর্ষন আগেই বলে দেই, হাসবেন না। আমাদের মেয়ের জামাইর মোবাইলটা সেন্টারে প্রবেশের সময়ে পিক পকেট হয়ে গেছে!
বিয়েতে উপহার কেনায় আমি সাধারণত সময় নষ্ট করি না তবে হাউজ হোল্ড ইনেক্ট্রনিক্স আমার পছন্দ, আমি এই জিনিষ গুলোর গুরুত্ব বুঝি, রান্না করি বলেই। রান্না শেখার আগে প্রায় বিয়েতে আমি উপহার দিতাম, ফুলদানী! এখন আর ফুলদানী দেই না! বাস্তবতার কাছে ফুল চলে না!
আজকাল প্রায় বিয়েতেই যেয়ে প্রায় জ্ঞান হারাচ্ছিলাম! এত দাওয়াতি দেখে ভয় পেয়ে যাই। আজকাল ছেলে মেয়ের বিয়েতে এত দাওয়াতি হন যে, কয়েক ব্যাচ পরে খাওয়া মিলে! হা হা হা, আসলে আমার বন্ধু পুরাই ঢাকাইয়া, তার পরিচিতি আমাদের তুলনায় বেশী থাকবেই তো! তা ছাড়া আজকাল ছেলে মেয়ে সংখ্যায় কম, এক বিয়েতেই সবাই সব মজা করতে চায়।
আম্মু, চাচ্চুদের দিকে এভাবে তাকিও না! সেই দিনের ছোট চাচ্চু তুমি এখন অনেক বড়, আজ তোমার বিয়ে!
ফটো সেশনে সবাই ব্যস্ত।
অনেক অনেক সুন্দর (ছবিঃ বুলেট)
পর পর চার ব্যাচ শেষেও খাবারের টেবিল পাচ্ছিলাম না! হা হা হা, কি আর করা, তাই ছবি তুলেই সময় পার করছি।
অবশেষে খাবার টেবিলে!
আহ, দেখেই শান্তি।
মিক্স সবজি।
চিকেন রোষ্ট।
পোলাউ।
বোরহানী, মাই লাভ!
এই হচ্ছে আমার প্লেট! যাই হোক, আরো গরুর রেজালা ও টিকিয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছবি তুলতে পারি নাই! পরে জেনেছি টিকিয়া শেষ! আর রেজালার বাটি আমাদের টেবিলে নিষেধ ছিল!
হাসাহাসি! (মনে হয় আমাদের মেয়ে শুনতে পারছে, আমাদের জামাই বাবাজী তার মোবাইল হারিয়েছে!)
মোবাইল হারিয়েও আমাদের জামাই বাবাজীর এমন হাসি মুখ ধরে রাখা, আমার কাছে বেশ ভাল লাগছিলো। বাবা, সারা জীবন এই চেষ্টা করে যেও! আমরা তোমাদের জন্য দোয়া করি।
এই হচ্ছে আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের যাত্রা! বাসা থেকে বের হয়েই ছবি না তুললে কি চলে?
যাই হোক, বিয়ের খাবার দাবারের অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়। দেশ ও জাতি যত সচেতন হবে আশা করি আগামীতে এই সেন্টার গুলো এই সকল ব্যবস্থা করবেই। ১) বিয়ের এই সব কমিউনিটি সেন্টার বা রেষ্টুরেন্ট গুলোতে শিশুদের জন্য অন্তত বেষ্ট ফিডিং এর জন্য একটা রুম রাখা দরকার, এই ভাবনাটাও মনে হয় এখনো জাগেই নাই। আমি অনেক শিশুকে কষ্ট পেতে দেখেছি। ২) বসার জন্য আরো আরো ব্যবস্থা থাকা দরকার, শুধু খেয়েই কাট এটা উচিত নয়! ৩) বৃদ্ধ বা বয়স্করা কি এই খাবার খেতে পারেন, এই বিষয়ে কারো নজর নেই।
আপনি তো দেখি বিয়ে সাধী নিয়ে খুব ভালো আছেন। আপনার প্রতিটি লিখাই খুব সুন্দর হয়। বরাবারের মতো এটাও সুন্দর হয়েছে 🙂
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ পলাশ ভাই।
আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, আপনাদের ভাল লাগে বলে আনন্দিত হলাম। শুভেচ্ছা।
LikeLiked by 1 person