গ্যালারি

আড্ডাঃ থার্টি থ্রী, বেইলী রোড


ঢাকায় মানুষ বাড়ছে, বাড়ছে প্রায় সব কিছুই। তবে এখনো আমাদের অনেক রুচির অভাব রয়ে গেছে। আমাদের স্ট্রীট ফুডের এখনো ভাল একটা শক্ত ভীত দাঁড়ায় নাই। তবে রাজধানীর বেশ কয়েকটা রাস্তা খাবার দাবারের দোকানের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠছে, বড় বড় নানান কিসিমের খাবারের দোকান গড়ে উঠে মোটামুটি রাস্তা গুলোকে বেশ পরিচিতি করে দিয়েছে।

বেইলী রোড (এর নাম কয়েকবার পাল্টেও সরকার বাহাদুর তেমন কোন সুবিধা করতে পারে নাই, নাটক স্মরনী নামটা কেহ এখনো চিনে না!) তেমনি একটা রাস্তা বা এলাকা হয়ে উঠছে। আমি মনে করি এই রাস্তায় আমরা স্ট্রীট ফুডের জন্য পুরাই বরাদ্দ দিতে পারি। হউক না আমাদের একটা এমন এলাকা, যেখানে রাস্তার ধারেই ভেজাল মুক্ত মজাদার খাবার গুলো খেতে পারবো।

দীর্ঘ দিন এই বেইলী রোড এলাকাতে সন্ধ্যার পর আড্ডা দেয়ার কারনে, এই রাস্তার প্রায় দুই ধারের দোকান গুলো ভাল করেই দেখে আসছি। অনুমানিক শ দেড় শত খাবারের দোকান হয়ে গেছে, বিখ্যাত বেশ কিছু খাবারের চেইন দোকান (আমি হোটেল রেষ্টুরেন্ট না বলে দোকান বলছি) এখন এখানে এসে গেছে। মোটামুটি সবাই ভাল ব্যবসা করে যাচ্ছেন। আমি ও আমার পরিবার বা আমাদের বন্ধুদের নিয়ে অনেক দোকানের খাবার খেয়েছি, সন্ধ্যার পর সময় কাটানোর জন্য মন্দ নয়!

যাই হোক, আজ এই এলাকার একটা খাবারের দোকানের নাম আপনাদের জানিয়ে দেব, থার্টি থ্রী। এই খাবারের দোকানের বিশেষত্ব হল, সন্ধ্যা হলে এখানে হালকা ব্যান্ড সঙ্গীতের (সঠিক হল কি না কে জানে) আয়োজন করা হয়। আমি খেতে খেতে কয়েকটা লাইভ গান শুনে যেতে পারেন। আমি কয়েকবার গিয়েছি, প্রতি দিন নুতন ব্যান্ড শিল্পী আসেন, বেশ আনন্দ করে গান গেয়ে থাকেন।

খাবার দাবার আপনি যা ইচ্ছা তা খেতে পারেন, এদের মেনু/খাবার গুলো বেশ মজাদার। দামটা আমি মনে করি আছে, তবে আর একটু কম হলে মধ্যবিত্তদের জন্য ভাল হত!


সন্ধ্যা রাতের আলোয় এই এলাকাতে আসলে আপনি আনন্দবোধ করবেন। একটা ঘোরে পড়বেন, তবে এখনো এই এলাকার ফুটপাত তেমন মনে রাখার মত করে গড়ে উঠে নাই (যা গুলশান বনানীতে হয়েছে)! হাঁটতে সাবধানে।


থার্টি থ্রী রেষ্টুরেন্টের ভিতরটা এমনি, খাবার নিয়ে বসে এই চেয়ারে বেশ আনন্দ পাওয়া যায়। তবে হেলান দিয়ে গান শুনতে আপনি কিছু কম আরাম বোধ করবেন! হা হা হা… (ছবি নেট থেকে নেয়া)


এভাবে আলোর ঝলকানিতে গান গুলো আপনাকে আনন্দ দেবে, এমনকি শিশুরাও মজা পাবে।


খাবার কোয়ালিটি ও পরিবেশনার মান ভাল, আমি আমার নিজের মোবাইলে আমাদের খাবারের ছবি তুলতে পারি নাই বলে দুঃখিত, আইটেম ছিল দুইটা, চিকেন বল ও লেমন জুস! (এই ছবিটা থার্টি থ্রীর সাইট থেকে নেয়া হয়েছে)

মাঝে মাঝে পরিবার পরিজন বা নিজদের প্রিয়জনদের নিয়ে এমন রেষ্টুরেন্টে খানা দানা মন্দ নয়, এতে মনের মিল বাড়ে, বাড়ে বন্ধুত্ব।

সবাইকে শুভেচ্ছা।

(যদি আমার এই পোষ্ট খানা কৃর্তপক্ষের চোখে পড়ে তবে রেষ্টুরেন্ট কৃর্তপক্ষকে অনুরোধ থাকবে, সপ্তাহে অন্তত একদিন আপনারা উচ্চাঙ্গ সংগীতের (যন্ত্র বা সাধারন) ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে যুবক, তরুণ, তরুণীদের পাশাপাশি আমাদের মত বুড়ো বুড়ীরাও আরো বেশী আনন্দ পাবে/পেতাম! আমাদের কানে কি আর এমন উচ্চ শব্দ সয়!)

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]