গল্প ও রান্না! গল্পের ছলে আপনাদের কাছে একটা রান্না হাজির করাই আমার কাজ। আমাদের জীবনের প্রতিদিনের গল্প তুলেই রান্নার কথা আলোচনা করাই আমার মুল উদ্দেশ্য। অনেক সময় গল্প করা হয়ে উঠে না! কয়েকটা রেসিপিতে খুব সামান্যই গল্প হয়েছে! এই রেসিপিতেও খুব কম গল্প করা হবে! কারন গল্প করতে গেলে যে সময় এবং সাধনার দরকার হয়, তা অনেক সময়েই পাই না! (আমি শুধু ভাবি, একজন লেখক কি করে স্ত্রী পুত্র মেয়ে নিয়ে লেখালেখি চালিয়ে যায়! লেখালেখি কি এতই সহজ কাজ! বসলেই কি লিখে ফেলা যায়!)
যাক, কথা এদিক সেদিক না বাড়াই, যত কথাই বলি না কেন সব দোষ এসে এই খালুর উপরেই পড়বে! কেহ বলবে প্রতিভা নেই, কেহ বলবে আপনি পারেন না, কেহ বলবে এই সব লেখার কি দরকার ইত্যাদি ইত্যাদি! আসলে দুনিয়াতে কোন কিছুর দরকার নেই, আমি না লিখলেও দুনিয়া চলবে, না থাকলেও দুনিয়া চলবে! তবুও নিজের মনের আনন্দ বলে কথা থেকে যায়! তাই তো, এই চেষ্টা! যদি কখনো কোন চাঁদনী রাতে পড়ি কারো মনে! কিংবা খেতে বসে কথা উঠে!
আজকাল আর তেমন আড্ডাও দিচ্ছি না, পুরাই গৃহপালিত হয়ে উঠছি দিনের পর দিন! কোন স্থানে যাবার কথাও আজকাল আর চিন্তা করছি না! লেখার উপাধান পাব কোথায়? নিজ অভিজ্ঞতা ছাড়া লেখা যায় না কিংবা কারো থেকে শুনেও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়, কোন কিছুর যোগান দিতে পারছি না!
যাই হোক, কয়েকদিন আগে একটা টিভি চ্যানেলে বিখ্যাত সেফ সঞ্জীব কাপুরের বিরিয়ানীর রেসিপি দেখছিলাম। বিরিয়ানি রেসিপিতে তার পুদিনা পাতার ব্যবহার দেখে বেশ ভাল লেগেছিল। রেসিপিটা নোটে টুকে রেখেছিলাম, মোটামুটি প্রায় সব কিছু উপাদান ঠিক রেখে আমাদের মত করেই রেসিপিটা আপনাদের জন্য তুলে দিলাম। দুটি মেজর চেঞ্জ! সেফ সঞ্জীব কাপুর ছাগলের গোস্ত ব্যবহার করেছেন, আমি করেছি গরুর গোস্ত আর তিনি বাসমতী চাউল ব্যবহার করেছেন আমি করেছি আমাদের দেশী পোলাউ চাউল। শেষ দিকে তিনি তার ষ্টাইলে দম দিয়েছেন আমি আমার ষ্টাইল ‘তাওয়া’ দিয়ে দম দিয়েছি!
চলুন দেখে ফেলি!
উপকরন ও পরিমানঃ
– গরুর গোসতঃ এক কেজি কম বেশী, হাড্ডি ছাড়া,
– পোলাউ চালঃ ৭৫০ গ্রাম
– লবঙ্গঃ ৫/৬ টা
– দারুচিনিঃ ৩/৪ টা (এক ইঞ্চি)
– জয়ত্রীঃ সামান্য
– জয়ফলঃ সামান্য
– গোল মরিচঃ এক চিমটি
– টক দইঃ এক কাপ
– পেঁয়াজ কুচিঃ হাফ কাপ
– টমেটো কুচি বা কাটঃ ৩০০ গ্রাম বা বেশি
– রসুন বাটাঃ ২ টেবিল চামচ
– আদা বাটাঃ দেড় টেবিল চামচ
– বাদাম বাটাঃ দুই টেবিল চামচ
– মরিচ গুড়াঃ ১ টেবিল চামচের কম, ঝাল বুঝে
– জিরাঃ এক চা চামচ
– কেওড়া জলঃ ২ টেবিল চামচ
– লেবুর রসঃ দুই চা চামচ
– হলুদ গুড়াঃ এক চা চামচ (এই ধরনের রান্নায় সাধারন্ত হলুদ দেয়া হয় না কিন্তু সঞ্জীব কাপুর দিয়েছেন বলে আমিও দিয়েছি)
– লবনঃ পরিমান মত
– তেলঃ পনে এক কাপ (গরুর গোস্তে চর্বি না নেয়াই ভাল, এই ধরনের রান্নায় তেল একটু বেশি হলে স্বাদের রিক্স কমে যায়)
– পানিঃ পরিমান মত (যদি লাগে)
এবং
– ধনিয়া পাতার কুচিঃ ৪/৫ টেবিল চামচ (রান্নার পর মনে হয়েছে সেফ সঞ্জীব কাপুর এটা না দিলেও পারতেন, হয়ত ঘ্রানের কোন তারতম্যের জন্য দিয়েছেন, তবে তিনি সেরা এবং আমি মনে করি তিনি যা করেন সেটাই সঠিক)
– পুদিনা পাতার কুচিঃ ৪/৫ টেবিল চামচ (দুই দফায়)
প্রনালীঃ
ছবি ১
ছবি ২
ছবি ৩
ছবি ৪
ছবি ৫
ছবি ৬
ছবি ৭
ছবি ৮
ছবি ৯
ছবি ১০
ছবি ১১
ছবি ১২
ছবি ১৩
ছবি ১৪
ছবি ১৫
ছবি ১৬
ছবি ১৭
ছবি ১৮
ছবি ১৯
ছবি ২০
ছবি ২১
দারুন, যারা রান্নায় নুতন ফ্লেভার বা নূতনত্ব খুঁজেন তাদের জন্য এটা একটা অসাধারন রান্না হবে। আর যারা বিশেষ করে মাঝ বয়সে পড়ে গেছেন, তাদের জন্য তো কথাই নেই! খাদ্যরসিক বলে কথা!
সবাইকে শুভেচ্ছা।
বি দ্রঃ বিরিয়ানির আরো রেসিপি দেখুন
Ami noton nuton ranna shikhte chai
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন, আমাদের রেসিপিতে অনেক অনেক রান্না আছে। এযাবৎ প্রায় ৭০০ রান্না হয়েছে। নিশ্চয় আপনি খুঁজে আপনার পছন্দের রান্না পেয়ে যাবেন। আমাদের দেশী রান্না গুলো আপনাদের চোখের সামনে তুলে ধরাই আমাদের মুল উদ্দেশ্য।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ইয়াম্মী ইয়াম্মী লাগতাছে, একদিন ট্রাই দিয়ে বউকে তাক লাগিয়ে দিব।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ মনে নাই ভাই, আসলে যারা মিন্ট ফ্লেভার পছন্দ করেন তাদের জন্য এটা একটা চরম জিনিষ! তেমন কঠিন কিছু নয়, একদিন বানিয়ে ফেলুন। যদি পুদিনা বেশি পছন্দ করেন তবে আরো বেশি দিতে পারেন, ব্যাপার না।
শুভেচ্ছা।
LikeLike