বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের খাদ্য রুচির বিশেষ পরিবর্তন ঘটে। ছোট বেলায় যা চ্রম অপছন্দ, সেটা বুড়োবেলায় দারুন সুখাদ্য! এটাই দুনিয়ার নিয়ম! আর এই নিয়ম না থাকলে কিংবা উপরওয়ালা এই চ্রম ব্যবস্থা না করলে দুনিয়াতে খাদ্যের সাম্যতা থাকতো না! ধনী, দরিদ্র সবার জন্যি এমন এক নিয়মে বাঁধা এই মায়ার সংসার! সবাই সারা জীবন একই হারে মরার আগ পর্যন্ত খেয়ে গেলে দুনিয়ার কি অবস্থা হত ভেবে দেখুন! আমি আগেও অনেক বার লিখেছি, খাবার দাবারের এই সাম্য না থাকলে ধনীরা কি করত ভেবে দেখুন! একজন ধনীর কাছে টাকা থাকে কিন্তু সে তেমন কিছুই খেতে পারে না, শরীরে সয় না! হা হা হা।
যাই হোক, আজকের আমাদের পরিবেশনা সহজ ও সাধারন একটা রান্না! ছোট বেলায় অনেকে এটা পছন্দ করতেন না, এখন বড় হয়ে করে থাকেন! করলার ঝোল! করলার নানান খাবার পূর্বে আপনাদের দেখিয়েছি, ভাঁজা ভাঁজি অনেক হয়েছে! আজ তাই একটু ভিন্ন তবে বেশ মজাদার, আমি রান্নার পর নিজে খেয়েই এই রেসিপি লিখছি। রেসিপি লিখার আগে বলে নেই, করলা ডায়াবেটিকসে আক্রান্ত মানুষের জন্য বেশ ভাল একটা খাবার।
আপনাদের অনেকের হয়ত আমার এই করলা সুন্দরীর কথা মনে আছে, আমার করলা সুন্দরী এখন অনেক বড় হয়ে গেছে! এখন আর এভাবে ছবি চাইলেও তুলবে না!
চলুন দেখে ফেলি, খুব সাধারন এবং মিনিট ২০/২৫শেই এই রান্না হয়ে যাবে। আপনার ফ্রীজে কুড়িয়ে পাওয়া একটা করলা হলেও চলবে! হা হা হা। তবে তাজা করলায় রান্না করবেন বলে আশা রাখি।
উপকরনঃ
– একটা মাঝারি করলা
– কয়েকটা চিংড়ি (সামান্য বেশি/কমে কি আসে যায়)
– পেঁয়াজ বাটা, দুই টেবিল চামচ
– রসুন বাটা, এক চা চামচ
– জিরা গুড়া বা বাটা, হাফ চা চামচ
– লাল মরিচ গুড়া, হাফ চা চামচ (ঝাল বুঝে কম হতে পারে)
– হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচ
– কয়েকটা কাচা মরিচ ফালি
– লবন, পরিমান মত (প্রথম ধাপে সামান্য, পরে সঠিক করে)
– তেল, যত কমে রান্না করা যায় তবে আমরা ৪/৫ টেবিল চামচ দিয়েছিলাম
– পানি, হাফ কাপ বা পরিমান দেখে, ঝোল চাইলে কিছু বেশী দেয়া যেতে পারে
প্রনালীঃ
করলা এভাবে কেটে ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ, রসুন এবং জিরা দিয়ে ভাজুন। হাফ চামের কম লবন দিতে ভুলবেন না।
মশলা গুলো ভাঁজা হয়ে গেলে মরিচ গুড়া ও হলুদ গুড়া দিন।
চিংড়ি গুলো ও কাঁচা মরিচ ফালি দিন (ঝাল বুঝে) এবং ভাল করে মিশিয়ে আবারো ভাজুন। আগুন মাধ্যম আচে থাকবে।
এই রকম হয়ে যাবে।
এবার করলা দিয়ে দিন।
আগুন মাধ্যম আঁচে থাকবে, ভাল করে মিশিয়ে নিন।
এবার পানি দিন।
ঠিক এমনি দেখাবে।
মিনিট ৮/১০ এর জন্য আগুন কমিয়ে ঢেকে রাখুন। ঝোল কেমন রাখবেন সেটা নিজেই নির্ধারন করতে পারেন।
চুলা বন্ধ করার আগে দুটো বিষয় দেখুন। ১) করলা নরম হল কি না ২) লবন সঠিক হল কি না (লাগলে দিন)।
ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
পুরাই বেহেস্তি খাবার! গরম ভাতের সাথে আমি ও আমার ব্যাটারী পুরা এই বাটি খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছি। দুঃখের বিষয় আমার রান্না টেষ্টার বুলেট খেয়ে দেখে নাই! কারন, সেই ‘ছেলেবেলা’! আমি নিশ্চিত বড় হয়ে সে একদিন আমার মত করলা প্রেমিক বনে যাবে! এবং এই করলা নিজেই রান্না করে খাবে।
করলা লাভার্সদের এভাবে একবার রান্না করে খাবার আমন্ত্রন জানিয়ে গেলাম, করলা ঝোল ফেবু লিঙ্ক।
সবাইকে শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন, আবার দেখা হবে বন্ধু!
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
করলার জন্য এত কিছু করতে হয়না। শুধু স্লাইস করে কেটে তেলের মধ্যে হালকা বাদামি করে ভেজে নিলেই হবে। তারপর টিস্যু পেপারে বাড়তি তেল শুষে নিয়ে করলার সাথে কাচা পিয়াজ, কাচা মরিচ আর ধনিয়ার পাতার কুঁচির সাথে পরিমান মত লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন। আমার বিশ্বাস এখন পর্যন্ত আপনি করলা খেয়ে যত স্বাদ পেয়েছেন তার চেয়ে বেশি স্বাদ পাবেন এই তরিকায় খেলে। ধন্যবাদ।
LikeLiked by 1 person
Lovely item for me.
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Vhaijan, apnar ai siter regular pathok hoye gasi. akadhik receipe try koresi valoi hoyese. khob vlao lage apnar receiper details. apni onek kosto kore receipe golo dicchen. apnake ontor theke onek dhonnobad janacchi.
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ আপনাকেও।
আপনাদের এই রকম উত্তর পেলে মনে হয় আমার চেষ্টা সার্থক।
হ্যাঁ, আমি চেষ্টা করি আমাদের প্রবাসী, ব্যচেলর এবং রান্নায় যারা নুতন আসছেন তাদের হেল্প করতে।
আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
LikeLike
এটা রান্না করতেই হবে। করলার ঝোল ভাবা যাচ্ছে না। 🙂
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই মজাদার রান্না। তবে খাদ্যরসিক হলে এই খাবার আপনার ভাল লাগবেই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Bhaia, ami eta ranna korechilam.. it was finger licking good..thank u so much.
LikeLike