সারা বিশ্বে ডিম ও দুধের মিশ্রনে যে খাবারটা সবচেয়ে জনপ্রিয় তা হচ্ছে পুডিং (Pudding)। আমি যত দেশে গিয়েছি এই খাবারের দেখা পেয়েছি নানান হোটেলে এবং ঘরে ঘরেই। পুডিং বানানোর প্রসেস গুলো একটু জটিল হলেও আমি মনে করি এটা খুব একটা কঠিন কাজ নয়, এর চেয়ে নানান পদের তরকারী রান্না কঠিন! হা হা হা… কিন্তু কথা থেকে যায় তবুও কেন সবাই পুডিং বানাতে পারে না! এর প্রধান কারন হচ্ছে মিশ্রন। মিশ্রনে সবাই একটু ভুলভাল করে বলেই সঠিক ভাবে পুড়িং বানাতে পারে না। কখনো নরম, কখনো শক্ত ইত্যাদি নানা সমস্যায় পড়ে যান অনেকেই।
আমি নেটে পুডিং বানানোর অনেক রেসিপি দেখেছি, প্রায় সব রেসিপি দেখে একটা বিষয় বুঝতে পেরেছি যে, বলে দিলেই যে কেহ বানাতে পারবে তা নয়, এই পুডিং বানানো একটা অভিজ্ঞতার বিষয়। যিনি জানেন তার কাছ থেকে একবার দেখে নিলেই বানানো সহজ হয়ে উঠবে। তবে আগেই বলে নেই, আপনি যখন প্রথম বানাবেন সেটা খারাপ হতে পারে এবং ২য় বার যখন বানাবেন সেটা অবশ্যই ভাল হবে।
চলুন দেখে নেই, পুরাটাই আমার নিজের হাতে বানানো, শুধু ক্যারামেলের অংশটা আপনাদের ব্যাটারী ভাবী হেল্প করে দিয়েছেন। তিনি ঘরে প্রায়ই পুডিং বানান আমাদের বড় ছেলের জন্য কিন্তু মিষ্টি জাতীয় খাদ্যে আমার আগ্রহ তেমন একটা নেই বলে দেখা হয়ে উঠে নাই। আজ উনাকে হেল্প করতে বললে তিনি কিছুটা অনাগ্রহ দেখান, তাই আমি নিজেই কাজে লেগে যাই। যাবার আগে নেটে কয়েকটা পুডিং রেসিপি দেখে নেই।
এদিকে পুডিং রেসিপি নিয়ে এ যাবত আমি বেশ কয়েক বার আমার রেসিপি প্রিয় বন্ধুদের অনুরোধ পেয়েছি, ইচ্ছা করেই এড়িয়ে গিয়েছি। আজ মেসেজে এক ছোট বোনের রিকেয়েষ্ট পেয়ে আর বসে থাকতে পারলাম না। তিনি লিখেছেন, “ভাইয়া, যদি সম্ভব হয়, একবার পুডিং এর রেসিপি দিন প্লিজ… নেট এ অনেক রেসিপি আছে পুডিং এর। কিন্তু, আপনি করে না দেখালে পারবো না। এটা আমার অনেক পছন্দের খাবার ভাইয়া… কিন্তু, করতে পারি না। সম্ভব হলে দেখাবেন প্লিজ… বার বার বিরক্ত করছি… দুঃখিত ভাইয়া“। আপনারাই বলুন, এর পর কি আর কোন বাঁধা মানতে পারি!
চলুন দেখে নেই। শুধু ধাপ গুলো মনে রাখলেই হল। সহজ কাজ।
উপকরণঃ (হাফ কেজির মত বানাতে যা লাগবে)
– দুধ, ৭৫০ এমএল বা হাফ লিটারের বেশী (যা জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে, পরে ঠান্ডা করে নিতে হবে)
– ডিম, চারটে
– চিনি, ৫/৭ টেবিল চামচ (চিনি বেশী পছন্দ করলে আরো দিতে পারেন)
– হাফ টেবিল চামচ ঘি বা মাখন/বাটার (গলিয়ে)
ধাপ সমূহঃ এই ধাপ গুলো মনে রাখলেই হল।
১। দুধ প্রসেস
২। ডিম চিনি ও ঘি’র মিশ্রন
৩। ক্যারামেল দিয়ে পুডিং রান্না বাটি প্রসেস
৪। দুধ ও ডিম (চিনি+ঘি) মিশ্রন ফাইন্যাল প্রসেস এবং ক্যারামেলের বাটিতে রাখা
৫। রান্না ও টেষ্ট (সঠিক হল কি না)
৬। পরিবেশনা (ঠান্ডা চাইলে ফ্রীজে রাখতে হবে)
প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে)
১। দুধ প্রসেস
হাফ লিটার ফুল ক্রিম দুধ নিন। বাজারে পাওয়া ইউএসটি মিল্ক নিলেই ভাল বা খাঁটি গরুর দুধ নিতে পারেন, পানি মিশানো নয়।
জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে ফেলুন, মোটা মুটি এককাপ গাঢ় দুধ হলে চলবে। দুধ চুলায় দিয়ে কোথায় যাবেন না, মনে রাখবেন দুধ আগুনে উপছে পড়ে কাজেই কাছে থাকুন এবং নাড়াতে থাকুন। দুধ গাঢ় হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। (কিছুতেই গরম নয়!)
২। ডিম, চিনি ও ঘি’র মিশ্রন
ডিম নিন।
ভাল করে ফাটিয়ে নিন, বিটার দিয়ে ফাটালো ভাল। শুধু মনে রাখবেন যেন, ভাল মিশ্রন হয়। এবার চিনি দিন। যারা বেশী মিষ্টি পছন্দ করেন তারা বেশি দিতে পারেন তবে আমি মনে করি চিনি কম খাওয়াই ভাল এবং টেবিল চামচে ৫/৬ চামচ দিলেই হবে। চিনি দিয়েও ভাল করে মিশিয়ে নিন।
এবার হাফ টেবিল চামচ ঘি বা বাটার (গলিয়ে) দিন এবং আবারো ভাল করে মিশিয়ে নিন। (আমি বাটার বা মাখন দিয়েছি)
এই হয়ে গেলো ডিম, চিনি, ঘি এর মিশ্রন।
৩। ক্যারামেল দিয়ে পুডিং রান্না বাটি প্রসেস
পুডিং বাটিতে ক্যারামেল (চিনি) বসানোর প্রসেস দেখে নিন। যে বাটিতে পুডিং বসাবেন সেই বাটি অবশ্যই এলুমিনিয়ামের হতে হবে। (এই ধরনের বাটি যে কোন গ্রোসারীতে পাওয়া যায়, আমরা টিফিনের বাটিতে বসিয়েছিলাম) বাটিতে এক চা চামচ চিনি ছিটিয়ে দিন। বেশী নয়।
দেখুন, এভাবে এবং এবার কয়েক চামচ পানি দিন এবং চুলায় আগুনের (মাধ্যম) উপর দিন।
এই রকম অবস্থায় এসে যাবে, চিনি পানিতে গলে এমন হবে।
এবং সিরা হয়ে লাল হতে থাকবে। আগুন কমিয়ে দিন এবং নাড়িয়ে এই লাল সিরা পুরা বাটিতে বিচিয়ে লাগিয়ে দিন। কাজটা সাবধানে করতে হবে। বাটি গরম সুতারাং লুচনী দিয়ে ধরে নিন।
ব্যস, বাটিতে ক্যারামেল বসে গেল এবং চুলা থেকে সরিয়ে ঠান্ডা বাটি ঠান্ডা করে নিন।
৪। দুধ ও ডিম (চিনি+ঘি) মিশ্রন ফাইন্যাল প্রসেস এবং ক্যারামেলের বাটিতে রাখা
মিশ্রন! ঠান্ডা দুধ, ডিম এবং চিনি ঘি এর মিশ্রনে ঢালুন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন। মনে রাখবেন যদি দুধ সামান্য গরম থাকে তবে ডিমকে জমাট করে ফেলবে। কাজেই দুধ খুব ঠান্ডা করে নিয়েই মিশাতে হবে।
এই সেই ফাইন্যাল মিশ্রন। ভাল করে ফাটিয়ে মিশিয়ে নিন।
এবার এই মিশ্রন ক্যারামেলের বাটিতে ঢালুন এবং এই সাইজেই পুড়িং বের হয়ে আসবে।
ব্যস, পুডিং এর বাটি রেডী!
৫। রান্না ও টেষ্ট (ঠিক হল কি না)
এবার মুল রান্না। একটা বড় খোলা পাত্রে পানি নিন এবং তাতে এমন একটা স্ট্যান্ড বসিয়ে নিন। স্ট্যান্ড না থাকলে পানি কম দিবেন যাতে পুড়িং এর বাটি বসালে নড়বে না।
পাত্রের মাঝামাঝি পুডিং এর বাটি বসিয়ে দিন।
পুডিং এর বাটিতে একটা ঢাকনা দিন।
এবার বড় পাত্রের ঢাকনা দিন।
আগুন মাধ্যম আঁচে চলবে। মিনিট ৩০ লাগতে পারে। এখানে একটু ধৈর্য ধরতে হবে! হা হা হা, আগুন বাড়িয়ে দিলেও হয় কিন্তু তা করা উচিত হবে না। পানি ফুটে বিপদ হতে পারে তাই আস্তে আস্তে হলেই ভাল।
পানি এভাবে ফুটবে, একটু সময় নিয়ে দেখুন, চুলা ছেড়ে যাবেন না।
আগুন কমিয়ে দিলে পানি ফুটা বন্ধ হবে এবং ফুডিং এর বাটির ঢাকনা উলটে একটা টেষ্ট করে দেখুন পুডিং হল কি না। একটা চামচের পিছনের অংশ পুডিং এ প্রবেশ করান যদি দেখেন চামচ সহজেই প্রবেশ করছে এবং পুডিং এর কাই লেগে নাই, তা হলে পুডিং হয়ে গেল। আর যদি লাগে তবে আবারো ঢাকনা দিয়ে আরো কিছুক্ষন পানি গরম করুন।
হয়ে গেলে তুলে রাখুন, ঠান্ডা হতে দিন। একটা পরিবেশনের প্লেট নিন।
একটা ছুরির মাথা দিয়ে পুড়িং এর চার পাশ একটু নাড়িয়ে দিন। এটা এই জন্য করবেন যেন বাটি উলটে দিলে পুরা পুড়িং খুলে যায়।
বাটির উপরে প্লেট ধরে খুব আলতো ভাবে উলটে দিন। জোর জবর দোস্তি করার দএকার নেই। পুরোটাই খুলে পড়বে।
এই দেখুন। (আমি বাটিটা একটা বাকা বসিয়ে ছিলাম বলে মাঝে একটু নিচু হয়ে গেছে, ব্যাপার না)
৬। পরিবেশনা (ঠান্ডা চাইলে ফ্রীজে রাখতে হবে)
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত, চাইলে গরম গরম খেয়েও মজা লুটতে পারেন, ইচ্ছা আপনার।
এই নিন ফাইন্যাল প্রোডাক্ট! ফ্রীজ থেকে বের করার পর।
ইচ্ছানুযায়ী পরিবেশন করুন।
সত্যই দারুন! আমার রান্না টেষ্টার খেয়ে জানালো, “বাবা আশা করি এবার ঈদের দিন আর একটা বানিয়ে দেবে”। আমি বললাম, তোমার মা তো তোমাকে প্রায়ই বানিয়ে খাওয়ায়। সে বলল, “তুমি চিনির পরিমান খুব ভাল দিয়েছ এবং তোমার হাতের বানানো পুড়িং এর রংটাও বেশ সুন্দর হয়েছে”!
আমি নিজেও সত্যই আনন্দিত, আমি নিজেও এই প্রথম পুডিং বানালাম এবং দেখলাম কাজটা তেমন কঠিন নয়। আমি বানানো এবং ছবি তোলার জন্য আমার কিছুটা বেশী কষ্ট হয়েছে কিন্তু ধারাবাহিকভাবে কাজ করে গেলে এটা তেমন কিছুই নয়! আমি আশা করি আমার এই রেসিপি দেখলে, সবাই পুডিং বানাতে পারবেন এবং আজ থেকে প্রতি ঘরে ঘরেই পুডিং হবে!
রেসিপি প্রিয় সবাইকে শুভেচ্ছা।
* বুঝার স্বার্থে ছবি একটু বেশী যোগ করেছি, যাতে কোন কনফিউশান না থাকে।
ছোট বোন ফেবুতে কয়েকটা প্রশ্ন করেছে, আমি তা এখানে এনে রাখছি!
ভাইয়া, আমার প্রশ্নগুলোর উত্তরের কি হবে??
১) জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করার পর দুধ হাফ লিটার হয়েছে নাকি, হাফ লিটার দুধকে জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করেছেন?
২) হাঁসের ডিম না মুরগির ডিম?
৩) ডিমের মিশ্রণটা কতক্ষন ফেটাবো বা কিভাবে বুঝবো ভালো ফেটানো হয়েছে কি না?
৪) বড় সসপ্যানে কতটুকু পানি দেব? যেন পুডিং এর বাটির নিচ পর্যন্ত আসে নাকি পুডিং এর বাটির অর্ধেক পর্যন্ত পানি থাকবে?
৫) ঘি বা মাখন কি দিতেই হবে?
(আমি উত্তর রিপ্লাইতে দিচ্ছি)
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
১) জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করার পর দুধ হাফ লিটার হয়েছে নাকি, হাফ লিটার দুধকে জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করেছেন?
উঃ হাফ লিটার দুধকে অর্ধেক করা হয়েছে যা মোটামুটি এক কাপ!
২) হাঁসের ডিম না মুরগির ডিম?
উঃ যে কোন ডিম ব্যবহার করা যেতে পারে তবে দেশী মুরগীর ডিম হলে স্বাদ ভাল হয়।
৩) ডিমের মিশ্রণটা কতক্ষন ফেটাবো বা কিভাবে বুঝবো ভালো ফেটানো হয়েছে কি না?
উঃ ভাল করে মিশিয়ে ফেলতে হবে যাতে মিশ্রনে কোন আঁশ (!) না থাকে। মিনিট ৫ যথেষ্ট! (বিটার দিয়েই ফেটানো ভাল, আমি হাতের কাছে পাই নাই বলে চামচ দিয়েই কাজ সেরেছি।)
৪) বড় সসপ্যানে কতটুকু পানি দেব? যেন পুডিং এর বাটির নিচ পর্যন্ত আসে নাকি পুডিং এর বাটির অর্ধেক পর্যন্ত পানি থাকবে?
উঃ বড় পাত্রে পানি পুডিং এর বাটির অর্ধেক পর্যন্ত বা কিছুটা কম হলেই ভাল। পাত্রে ঢাকনা থাকায় চার দিক থেকে তাপ লেগে গরম হয়ে উঠবে। স্ট্যান্ড না থাকলে পানি এমন ভাবে দিতে হবে যাতে পুড়িং এর বাটির তলা, বড় পাত্রের তলায় থাকে। আগুনের আঁচ কমে সময় নিয়ে কাজটা করতে হবে।
৫) ঘি বা মাখন কি দিতেই হবে?
উঃ না, এটা জরুরী নয়, এটা ছাড়াও হয় তবে ঘি বা মাখন পুড়িং এ একটা গ্লেসি ভাব ও সুন্দর ঘ্রান এনে দেয়।
বিশেষঃ অনেকে এছাড়াও মিশ্রনে নানান রঙ, সুগন্ধি, সোডা বা ব্রেকিং পাউডার, ময়দা ইত্যাদি দিয়ে থেকে (দোকানে), আমি এই সব দিতে সব সময়ে নিষেধ করি, খাদ্য কেন ভেজাল করবো? এভাবেই তো চমৎকার স্বাদ হয়। ভেজাল ছাড়া খাদ্য চলুক।
শিশুদের কথা সব সময়ে মাথায় রাখতে হবে কারন এই খাবার গুলো শিশুরাই বেশি পছন্দ করে।
LikeLiked by 1 person
অনেক ধন্যবাদ চমৎকার রিপ্লাই এর জন্য। 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। আশা করছি আপনাদের দিন গুলো আনন্দে কাটবে। কোন প্রশ্ন করতে হেজিটেড হবেন না। আমি আছি সব সময়ে আপনাদের জন্যই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
বোন, আপনাকেও ধন্যবাদ এমন রেসিপি দেবার জন্য আমাকে স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য।
আমি বার বার এই রেসিপি দেখে আসলেও কেন এত দেরী হল তা নিয়ে ভাবছি। আপনি না বললে হয়ত ভুলেই থাকতাম। হা হা হা।।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
চমৎকার প্রসেস । আমি চেস্টা করে দেখব । অনেক ধন্যবাদ এতো সহজ করে রেসিপি দেয়ার জন্য
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
আমি চেষ্টা করেছি খুব সহজ করে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য, ছবি একটু বেশি দিয়েছি যাতে করে খুব সহজে চোখের সামনে চলে আসে।
শুভেচ্ছা।
LikeLiked by 1 person
তোমার এই পুডিং রেসিপির জন্য এক সপ্তাহ চেষ্টার পর আজ তোমার ব্লগে ঢুকতে পারলাম। তোমার ভাবী পুডিং বানাতে পারে। তবুও তোমার প্রসেসটা জানার ইচ্ছে হলো। তবে এই পদ্ধতিটাই তুলনামূলক ভাবে সহজ। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ ঈশান, আমি আছি সবার জন্যই।
আমার চেষ্টা চলবে।
LikeLike
আমিও বানাই, ভাল লাগলো।
LikeLike
বোন রেবেকা বিথীর পুডিং, দারুন।
LikeLike
ভাইয়া,আমার শশুরবাড়িতে এত মজার এবং সহজ ভাবে পুডিং বানানো হয় যে রেসিপি শেয়ার না করে পারছি না!
পাত্রে চিনি ছিটিয়ে আগুনের তাপে
ক্যারামেল করে নিতে হবে।এক ক্যান কন্ডেনসড মিল্ক আর ছয়টা ডিম মিক্স করে নিতে হবে।একটু সফট করার জন্য হাফ কাপের কম তরল দুধ দেয়া যায়।
ক্যারামেলের উপর মিশ্রণটি ঢেলে দিন।আরেকটা বড় পাত্রে এমন আন্দাজে পানি দিয়ে পুডিঙ্গের পাত্র বসাতে হবে যাতে পুডিঙ্গের পাত্র ভেসে না ওঠে।
আমরা সাধারণত পুডিঙ্গের পাত্রটা ফয়েল পেপার দিয়ে ঢেকে দেই,তারপর বড় পাত্রে ঢাকনা দিয়ে ম্রিদু আঁচে ৫০ মিনিট রেখে দেই।ব্যস!এইভাবে পুডিং বানালে আমার খুব মজা লাগে।
আপনার ব্লগটা আমার খুব প্রিয়। ভাবিকে সালাম আর ব্যালট- বুলেটকে আদর 🙂
LikeLiked by 1 person
1 can condensed milk=396 g
LikeLike
অসাধারন পোষ্ট, সত্যি প্রশংসা না করলে অন্যায় হবে।
LikeLike
Dhonnobad eto shundor kore bujhanor jonno. Ami apnar vishon fan vaia.
LikeLiked by 1 person
Apnar Ranna etoy sohojboddho r aantorik je money hoy na kono recipe site e eshechi. Recipe te bebohar kora hari-kuri, chobi tolar dhoron & lekha suru korar style sobkisu khub e paribarik. Dada, Thank you very much.
LikeLiked by 1 person
আপনাকেও ধন্যবাদ বোন।
এটা আমাদের চেষ্টা মাত্র, যারা নুতন রান্না শিখতে চান তাদের জন্যই।
আপনারা আমাদের পছন্দ করেন বলেই আমরা এগিয়ে যাই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Vaiya, apnar recipe follow kore jibon e prothom bar pudding baniyechi and ekta paribarik dawat e sathe kore niye giyechilam. Oi Dawat e aro onek dessert ranna hoyechilo. Kintu sedin amar pudding is outstanding. Sobai khub e appreciate koreche. Apnar eirokom ghorowa description dekhe ami jekono kisu ranna korte onek shahos pai. Thanks again. Jodi possible hoy tahole ekbar “Jorda” recipe ta dekhaben ?
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন।
হ্যাঁ, আমি আছি আপনাদের সাথেই। যারা আপনারা রান্না করছেন। এই গল্প ও রান্না’তে আমরা সেই চেষ্টাই করে থাকি। আপনার কমেন্ট পেয়ে অনেক অনেক খুশি হলাম। আমাদের চেষ্টা কাজে লাগলো। রান্নার অপর নাম ভালবাসা!
জর্দার রেসিপি এই লিঙ্কে দেখে যাবার আমন্ত্রন জানিয়ে গেলাম। এটাও সহজ কাজ। তবে রান্না হচ্ছে অভিজ্ঞতার ব্যাপার, যদি কখনো প্রথমবার কিছুটা মনের মত না হয়, তবে ২য় বার অবশ্যই ভাল হবে। চেষ্টা চলুক।
শুভেচ্ছা নিন। আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন।
LikeLike
ভাই, আপনার কাছে আন্তরিক অনুরোধ, মাইক্রোওভেনে পুডিং এর নিয়মাবলি একবার শেয়ার করবেন।দয়াকরবেন আশাকরি।
LikeLiked by 1 person
আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার এই রিকো আমি আমার নোটে তুলে নিলাম। আশা করি কোন এক সময়ে দেখিয়ে দিতে পারবো।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
খুব ভাল লাগলো
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ আপনাকেও। আশা করি একদিন রান্না করবেন। শুভেচ্ছা।
LikeLike
রেসিপি টেষ্ট!
LikeLike
ধন্যবাদ। সুন্দরভাবে রেসিপিটা দেবার জন্য।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ আপনাকেও। আমার এই রেসিপিটা অনলাইনে অনেক জনপ্রিয় হয়েছে। এই রেসিপির পাঠক/পাঠিকা অনেক। অনেকেই এই রেসিপি দেখে পুডিং বানিয়েছেন বলে ফেসবুকে প্রমান পেয়েছি। এটা অত্যন্ত আনন্দদায়ক ব্যাপার।
আপনাকেও শুভেচ্ছা জানাই।
LikeLike
Thank you ভাইয়া
LikeLike
2 টা ডিম কতটুকু দুধ লাগবে ?
LikeLike
এই পর্যন্ত ৪-৫ বার বানাইছি। খেতে ভালো হইছে। কিন্তু ক্যারামেল টা করতেই পারি না 😦
LikeLiked by 1 person
দুধ ও ডিমের সাথে পাউরুটির সাদা অংশ মিশিয়ে নিলে পরিমানে বাড়ে ।
LikeLiked by 1 person
হা হা হা, ভাল বুদ্ধি! ধন্যবাদ।
LikeLike