ইফতারিতে কেন যে ভাজি ভুজি ভাল লাগে তা আমার জানা নেই। সারাদিন রোজা রেখে ভাজি ভুজি খেতে আমরা বাংলাদেশী মুসলমানেরা খুব পছন্দ করে থাকি! তবে আমি নিজে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এত সব ভাজি ভুজি আর খেতে পারি না! হা হা হা… তবে ইফতারের টেবিলে এই রকম সাধারন কিছু ভাজি ভুজি না থাকলে আবার মন খারাপ হয়ে যায়! চলুন, পুদিনা পাতার এই রকম একটা ভুজিয়া আজ দেখে ফেলি। আইটেমটা গতকাল ইফতারে আমি নিজ হাতে করেছি এবং ফেবুতে ছবি দেয়া হয়েছিল।
ফেবুতে আমার ফিডে এই পুদিনা পাতার ভুজিয়ার ছবি ও কমেন্ট দেখতে পারেন, এখানে ক্লিক করুন। আর আমি একটা খাদ্যরসিক গ্রুপে আছি, সেটায় দেখতে, ইফতারে বেগুনী না হলে চলে এবং দিন যাবেই! সেইম ওয়েতে পুদিনার ভুজিয়া ট্রাই করে দেখতে পারেন। আমি এখনো টেষ্ট দেখি নাই, তবে ঘ্রানেই আমি কাইত! গল্প ও রান্না।
প্রয়োজনীয় পরিমান ও উপকরনঃ (মোটামুটি এক লিটার বা তার কিছুটা কম)
– ময়দা, এক কাপ
– চালের গুড়া, এক কাপ
– ডিম, একটা
– চিনি, আধা চা চামচ
– মরিচের গুড়া বা গোল মরিচ গুড়া, এক চা চামচ (এটা ঝাল বুঝে দেবেন)
– ইষ্ট, এক চা চামচ
– লবন, পরিমান মত
– পানি, কুসুম গরম পানি, পরিমান মত
(ফরমুলাঃ মানসুরা হোসেন)
উপরে উল্লেখিত সব কিছু একটা বাটিতে নিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন। কসুম গরম পানি দিয়ে আস্তে আস্তে মিশাতে থাকুন। গোলাটা এমন হবে যে, হাত দিয়ে তুলে নিলে আগুলের ফাক দিয়ে পড়ে যাবে। না বেশী ঘন, না বেশি তরল! গোলা বানিয়ে সামান্য আগুলে নিয়ে জিবে লাগিয়ে ফাইন্যাল লবন দেখুন, লবন সঠিক হল কি না নিশ্চিত করুন। এবার খোলা স্থানে ঘন্টা খানেকের জন্য রেখে দিন। ইষ্ট পরিপূর্ন হয়ে উঠবে। যে কোন কিছু ভাজার সময় আবার ভাল করে মিশিয়ে নিন।
প্রস্তুত প্রনালীঃ
ছবি ১, পুদিনা পাতা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
ছবি ২, তেল গরম করুন।
ছবি ৩, পুদিনা পাতা চুবিয়ে নিন।
ছবি ৪, ভাজুন। সাবধানে।
ছবি ৫, কেমন ভাঁজবেন সেটা নিজেই নির্ধাবন করুন।
ছবি ৬, এক পিট হয়ে গেলে অন্য পিট উল্টে দিন।
ছবি ৭, চাইলে এমন ছোট ছোট করেও ভাঁজতে পারেন।
ছবি ৮, ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
ছবি ৯, দেখেই প্রান ভরে যায়।
সবাইকে শুভেচ্ছা। আরো আরো রেসিপি নিয়ে আসছি।
http://www.bd-pratidin.com/2014/07/03/15267
অসাধারণ। আমি কালকের ছুটির দিনের ইফতারে এটা ট্রাই করবো। ইনশাল্লাহ।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
কেমন আছেন? অনেক দিন কোন খবর নেই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক কিছুই শিখলাম। মাঝে মাঝে রান্না করার শখ জাগে। আর রান্নাত এখন একটা শিল্প। আমি জানি নিজে রান্না করে অন্যকে খাওয়ানো অনেক আনন্দের ব্যাপার। আর তারা প্রশংসা করলেত কথা নেই। আবারো ধন্যবাদ আপনাদের।
LikeLike
আপনাকেও ধন্যবাদ ইকবাল ভাই।
আমরা আসলে চেষ্টা করে যাচ্ছি মাত্র। সারা দুনিয়ার বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য আমরা এই চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনাদের ভাল লাগে বলেই আমরা এখনো টিকে আছি।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
অনেক কিছুই শিখলাম। আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ মোজাম্মেল ভাই।
শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
খুব ভাল লাগলো ।অনেক কিছু শিখলাম । ধন্রবাদ ।
ইংরেজি গ্রামার বাংলায় শেখার এক মজার ওয়েবসাইট
LikeLiked by 1 person
চপঅপচঅ চপটক টঅপ টচপ টচ অচটচটচটচ
LikeLiked by 1 person