আমি আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, আমাদের দেশের মায়েরা, মেয়েরা বরবটি খুব একটা পছন্দ করেন না! হা হা হা! কিন্তু কেন পছন্দ করেন না এটা আমার জানা নেই, আমার বাবা বাজার থেকে বরবটি নিয়ে আসলে আমার আম্মাকে রেগে যেতে দেখতাম, বাজারে কি আর কোন তরকারী নেই! আমার অবস্থাও তেমন, আমি বাজার থেকে বরবটি নিয়ে এলেই, আমার ব্যাটারী বলেন, আধা কেজির বেশি বরবটি কেন কিন, চোখে কি আর কম ধরে না!!
বরবটির আসলেই অনেক দুঃখ! কেন, কিসের জন্য নারীদের কাছে এই অসাধারণ তরকারী সমাদর পাচ্ছে না! স্যড! গবেষনার বিষয়, অথচ এই সকল বিষয়ে গবেষনার লোক আমাদের দেশে নেই! কার এত হিম্মত আমাদের নারীদের জিজ্ঞেস করবে, কেন আপনি বরবটি পছন্দ করেন না!
আমি আমার বাবার মতই বরবটি খুব পছন্দ করি। বরবটি দিয়ে যে কোন রান্নাই আমার ভাল লাগে, বরবটির ভর্তা, ভাজি তো মজাই মজা। বরবটি, আলু আর যে কোন মাছ ভেঙ্গে রান্না আমার বরাবরের মতই ফেবারেট, এই রান্না আমি আপনাদের আগেও দেখিয়েছি। আজ চলুন একটু ভিন্ন করে আবারো দেখা যাক।
আগেই নাম দিয়েছি, বরবটি স্পেশাল! হা হা হা…। সাথে কিন্তু কয়েকটা চিংড়ি মাছের ব্যবস্থাও করেছি, যদিও এই চিংড়ি গুলো না হলেও চলত! সে ক্ষেত্রে স্বাদ হয়ত কিছুটা কম হত! আর আপনারাই বলুন স্বাদ কম কে চায়!
(প্রথমেই বরবটি ধুয়ে এভাবে কেটে নিয়ে একটা পাত্রে সামান্য পানি ও লবন নিয়ে বরবটি গুলো বাপিয়ে নিন এবং পরে ঠান্ডা পানিতে হাল্কা ধুয়ে এভাবে পানি ঝরিয়ে রাখুন।)
উপকরণঃ
– বরবটি (৩০০ গ্রাম হবে হয়ত কারন ১ কেজির কিছু দিয়ে আগেও একটা ভাজি করা হয়েছিল)
– চিংড়ি মাছ (কিছু, আপনি নরম কম কাটার যে কোন মাছ ব্যবহার করতে পারেন)
– পেঁয়াজ কুঁচি (হাফ কাপ কম বেশী)
– আদা বাটা (এক চা চামচ)
– মরিচ গুড়া, সামান্য ঝাল বুঝে
– হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচ
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ (ঝাল বুঝে)
– চিনি (দুই চিমটি)
– লবন (পরিমান মত)
– তেল
– পানি
প্রনালীঃ (ছবি কথা বলে, পুরাই দেশী কায়দা!)
কড়াইতে সামান্য লবন যোগে তেল গরম করে নিন।
এবার পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচা মরিচ, আদা বাটা এবং চিংড়ি মাছ গুলো (আপনি যত বেশি দেবেন ততই দেখতে ও খেতে ভাল লাগবে) দিয়ে ভাঁজতে থাকুন।
ভাজা চলুক। আগুন কম আঁচেই ভাল। রান্না আপনার দৃষ্টি চায়, চায় ভালবাসা। তাড়াহুড়া বা বেখায়ালী রান্না কখনো স্বাদের হয় না!
এবার হলুদ, মরিচ গুড়া দিন (ঝাল সব সময়েই কম ভাল)। এবং ভাল করে মিশিয়ে ভেঁজে তেল উপরে উঠিয়ে নিন।
তেল উঠে এলে আগে ভাপিয়ে নেয়া বরবটি দিয়ে দিন।
দেখেই ভাল লাগবে! মিশিয়ে নিন।
ভাল করে মিশিয়ে, কয়েক টেবিল চামচ পানি দিয়ে দুই চিমটি চিনি ছিটিয়ে, মিনিট ৫ ঢেকে রাখতে পারেন, আগুন মধ্যম আঁচে থাকবে। ঢাকনা না দিলেও চলে! আবারো ভাল করে মিশিয়ে নিন এবং ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন!
ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত!
খেয়ে আপনাকে বলতেই হবে, ওয়াও!
কি জনাব, কি আপা, খাবেন না! গরম ভাত কিংবা রুটি পরোটার সাথে চলবে তো?
সবাইকে শুভেচ্ছা। রেসিপি প্রিয় বন্ধুদের জন্য আমি আছি, সব সময়েই এবং সহজ রান্না নিয়েই!
আসুন, রান্না করি।
Thank u Shahadat Bhai for this nice receipe.
LikeLike
ভাইয়া, এত সহজে সত্য কথা গুলো কি করে বলেন। আমাদের পরিবারের ছবিই ভেসে উঠল।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
আপনাদের ভাল্লাগাই আমাদের পাথেয়।
আমাদের পরিবারের চিরায়ত ঘটনা তো একই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
চমৎকার রেসিপি। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। সত্যিই বলেছেন, মেয়েরা বরবটি পছন্দ করে না। আমার ব্যাটারিও বরবটি দেখলেই মুখ আমশি করে ফেলে। অথচ আমার খুব প্রিয়। গিন্নী শিঘ্রিই বাপের বাড়ি যাচ্ছেন। তখন আপনার এই রেসিপি ধুমায়ে প্রাকটিস করা যাবে।
LikeLike
বরবটি আমার খুব প্রিয় । খেতে চাই কিন্তু পাই না । আপনার রান্না দেখে আর ও বেশি খেতে ইচেছ করে। 🙂
LikeLike
কালারফুল!!!
আমার বাসায় বরবটি ভাজি ছাড়া আমি খাইনা, মাঝে মাঝে রুই মাছ দিয়ে রান্না করা হয়। তবে আম্মু বা আমার বোন কারোরই বরবটি নিয়ে অনাগ্রহ দেখিনি।
যাই হোক, আমার কাছে বরবটি চিংড়ি দিয়ে ভাজি ( আপনি যেটা করলেন) অসাধারণ লাগে। আমি খেয়েছি অনেকবার,তাই আমি জানি 🙂 তাছাড়া নুডলস চাইনিজ রান্নাতেও ব্যবহার করি আমরা
শুভেচ্ছা
LikeLike
আমার প্রিয় রিসিপি । আমিও বরবটি লাভার
LikeLike
লেবু না থাকলে কি ভিনেগার ব্যবহার করা যাবে?
LikeLike