গ্যালারি

থাইল্যান্ডঃ ডোনারকিং রেস্টুরেন্ট, পাতাইয়া


থাইল্যান্ডের পাতাইয়া একটা দুনিয়া বিখ্যাত একটা সমুদ্র নিকটবর্তী শহর। দুনিয়ার সমুদ্র প্রেমী হাল্কা পাতলা প্রায় সব ধনী ব্যক্তিরা এই শহর ভ্রমন করে থাকেন। আমি দুনিয়ার যে কয়েকটা শহর দেখেছি এই শহরকে মোটামুটি একটা আলাদা দলে ফেলা যায়। এই শহর নিয়ে আমি আলাদা একটা পর্ব লিখবো। তবে আজকে এই শহরের সাধারন ছোট এক তুর্কী মালিকানাধীন রেষ্টুরেন্টের খাবার নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলব। রেষ্টুরেন্টের নাম ‘ডোনারকিং’। তবে ইংরেজীতে দেখেছি ‘ডি’ এর পর ‘ও’ এর উপর দুটো ফোটা আছে! এত নানান ভাষাভাষী মানুষের এই শহরে ইংরেজীর চর্চা তেমন নেই বললেই চলে, তবে যে টুকু হলে চলে না সেটা আছে! (পুরা থাইল্যান্ডে ইংরেজী তেমন দৃশ্যমানভাবে চোখে পড়ে না, সাধারন থাইরা তেমন ইংরেজী জানে বলে মনেও হয় না, তবে সব কিছু চলছে, কোথায়ো ক্যালকুলেটরে, কোথায়ো ইশারায়!)

যাই হোক, আমরা ব্যাংকক এয়ারপোর্ট নেমেই সিদ্ধান্ত নেই, দুটো দিন পাতাইয়া কাটিয়ে আসবো। সেই মতাবেক আমাদের যাত্রা শুরু হল, আমাদের এক পরিচিত মামীকে দিয়ে ট্যাক্সিতে বসেই আগেই হোটেল ঠিক করে ফেলা হল। বলে রাখা ভাল, পাতাইয়ায় এটা আমার ২য় বারের ভ্রমন। এর আগেও আমি আর একবার পাতাইয়া গিয়েছিলাম। হোটেলে উঠে পাতাইয়ার রাস্তায় নেমেই, আমি অবাক হলাম। আমি ১৯৯৮ সালে এই শহরের সমুদ্র যে রুপে দেখেছিলাম এখনো সে রুপেই আছে! সেই বাঁক, সেই নীল আকাশ, সেই গাংচিল, কোথায়ও যেন থেমে আছে এই সমুদ্র!

এই পোষ্টে সেই সব কথা নয়, চলুন এই শহরে আমাদের খাবারের প্রথম একটা পর্ব হয়ে যাক।


একটু হেঁটে এগুলেই সেই নীল সমুদ্র! (সমুদ্রের ছবি গুলো পাতাইয়া পর্বে দেয়া হবে)! আমাদের হুমায়ুন আহমেদ হেঁটে দারুন আনন্দ পাচ্ছেন।


এই শহরে কি নেই! মরার আগে আমার একটা ইচ্ছা আছে একটা বাঞ্জি জাম্প বা একটা স্কাইড্রাইভ দিবো। এবার হাল্কা কিছু কথা বলে এলাম, আগামীবার সুযোগ পেলেই কাজে লাগিয়ে দেব।


একটু পথ এগিয়েই আমরা ডোনারকিং রেস্টুরেন্টে বসে পড়লাম।


দুপুর পেরিয়েছে তখন, তেমন একটা ভীড় নেই। হোটেল দেখেই বুঝা যায় এটা তুরষ্কের কারো মালিকানাধীন হোটেল, ভিতরে হোটেল মালিকের স্বামী স্ত্রীর ছবিও আছে!


মেনু খুঁজে আমরা দুটো খাবার পছন্দ করে নিলাম। থাইল্যান্ডে রেস্টুরেন্টে খাবারের মেনু গুলোতে খাবারের ছবি থাকায় খাবার বেছে নিতে খুব সুবিধা হয়। ছবি দেখেই খাবারের অর্ডার দেয়া যায়।


কোক, পরিবেশনার নমুনা দেখুন! আমাদের দেশে মাঝারি মানের রেস্টুরেন্ট গুলোও বরফ রাখে না, চাইলে ক্যাঁত করে উঠে! সেবার মানে ওরা অনেক উপরে উঠে গেছে, এক বোতল পানি কিনলেও একটা স্ট্র দিয়ে দেয়, আপনি না চাইলেও! (এখানে একটা ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছে, একই পানীয় আমাদের দেশে স্বাদ পান্সা বা ভিন্ন কেন? এর জবাব দেবার কেহ নেই! দুঃখজনক!)


দেখেই ভাল লাগে, আমাদের সামনে খাবার আসতে ২০ মিনিটের মত সময় লেগেছিল।


তরকারীটা আমাদের দেশী মনে হচ্ছিলো!


এই খাবারটা প্রসঙ্গে আরো জানতে চাইলে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন। রেসিপিঃ লম্বা বেগুন ও গরুর গোসতের কিমা (Eggplant & Beef-Grind), টার্কিস স্টাইল


এই খাবার নিয়েও আমি এক্সপেরিমেন্ট করে ফেলেছি। রেসিপিঃ ক্যাপ্সিকাম, টমেটো ও কিমা (Beef-grind, Green Pepper, Tomato with Yogurt), মরক্কো স্টাইল


দারুন, দেখেই মন ভাল হয়ে যায়।


কি জনাব?


রান্নায় সময় লাগে, খেতে সময় লাগে না!


যথারীতি বিকেলের পড়ন্ত রোদে শরীর ঠিক রাখায় ব্যস্ত এক ভিনদেশী! সমুদ্র শহর গুলো খুবই স্বাস্থ্যকর বলে আমরা ছোট বেলায় বই পড়ে জেনেছি!


সৌন্দর্য্য বর্ধনে থাইরা সামান্য জায়গা ছাড়তেও নারাজ। সামান্য জায়গাতেও কত কিছু লুকিয়ে রাখা যায়, তা না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না! তবে গাছ পালার ক্ষেত্রে আমি দেখেছি, আমাদের দেশের বাগান বাড়িতে যে ধরনের গাছ পালা এখন দেখা যায় তা থাইল্যান্ডেও এক।

কালের আবর্তে সারা বিশ্ব একদিন এক হয়েই যাবে!

শুভেচ্ছা, আগামীতে আরো খাবার দাবারের পরর নিয়ে আসছি। ভাল থাকুন সবাই।

থাইল্যান্ডঃ নাতাশা রেস্টুরেন্ট

9 responses to “থাইল্যান্ডঃ ডোনারকিং রেস্টুরেন্ট, পাতাইয়া

  1. রান্নায় সময় লাগে, খেতে সময় লাগে না!
    yes, u r right.

    Like

  2. সত্যি বলতে ক্যাপ্সিকাম দিয়ে মাংসের কিমা এই রেস্টুরেন্টের থেকে আপনার টা ১০০ টাইম বেটার হইছে!!

    শুভেচ্ছা

    Like

  3. খাওয়া দাওয়া । বেশ তো ।

    Like

    • ফরিদ সাহেব ভাই,
      সালাম জানিবেন। এভাবে অন্য একজনের পারসোনাল সাইটে না বলে বা সামান্য না জানিয়ে বার বার নিজের ব্যবসাহিক লিঙ্ক দেয়াটা কতটা যুক্তি সংগত? আপনি নিজেই বলুন! আমার সাইট পুরাই ফ্রী, এই সাইট নিয়ে আমি এখনো একটাকাও ব্যবসা করি নাই, তাই আমিও এমন কিছ এখনো চাই না!

      শুভেচ্ছা।

      Like

  4. পিংব্যাকঃ থাইল্যান্ডঃ রাজধানী রেস্টুরেন্ট (থাইল্যান্ডে বাংলা খাবারের সব চেয়ে খারাপ হোটেল) | রান্নাঘর (গল্

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]