আমি যে দেশে গিয়েছি সেই দেশ দেখার চেষ্টা করেছি। অবশ্য আমার দেখার চোখ ছোট! হা হা হা। থাইল্যান্ডকে আমার মনে হয় সারা বিশ্ব যেখানে মিলে মিশে এক! দুনিয়ার সব কোনা কোনা থেকে মানুষ থাইল্যান্ডে কেন যায় তা বুঝতে হলে বিজ্ঞানী হবার দরকার পড়ে না! সামান্য চোখ খুল্লেই বুঝা যায়! দুনিয়ার মানুষদের জন্য থাই সরকার ও জনগণ বলতে গেলে পূরাই নিবেদিত! আইনের মধ্যে থেকে আপনি কি চান, যা চান তাই পাবেন! অবশ্য একজন মানুষের কতটুকু চাহিদাই আর থাকতে পারে? তবুও!
রাত যত বাড়ে থাইল্যান্ডের রুপ তত বেড়ে উঠে।
ব্যাংককের সুকুম্ভিত সয়াই থ্রী আমার কাছে একটা ভাল জায়গা মনে হয়। হাতের কাছেই সব কিছু আছে। মার্কেট, হাসপাতাল, ডলার এক্সচেঞ্জ, হোটেল, রেষ্টুরেন্ট সব কিছুই নিকটে। এই সয়াই থ্রীতে একটা বড় রেষ্টুরেন্ট কাম পাব আছে নাম বাম্বু রেষ্টুরেন্ট এন্ড পাব। এই রেষ্টুরেন্টে প্রবেশ করলে মনে হবে সারা দুনিয়ার মানুষ এখানে খেতে এসেছে, লাল, সাদা, কাল সব মানুষের আনাগোনা! অনেক বড় খোলামেলা জায়গা, সব ধরনের খাবারের মিলন মেলা। এখানে বসলে মানুষ দেখেই আমার বেলা কেটে যায়। দুনিয়াতে কত পদের মানুষ যে আছে! (পাশেই পাব আছে, চাইলে লাইভ গান এবং নিজে কিছুক্ষন নেচে আসতে পারেন!)
পুরা রেস্টুরেন্ট জুড়ে ওয়াই ফাই ফ্রি! আড্ডা, খাবার দাবার এবং নেট সার্ফিং, সময় হয়ত একেই বলে!
এই রেষ্টুরেন্টের অনেক বৈশিষ্ট আছে, এই সালাত অন্যতম। টেবিলে বসলেই এই ভাবে সাজানো প্লেট আপনার সামনে হাজির হয়ে যাবে।
অনেক দেশের খাবার পাওয়া গেলেও আমার কাছে মনে হয় এরা আরবীয় খাবারের জন্যই বিখ্যাত। এদের প্রধান শেফ লেবানিজ।
আমরা মুলত সন্ধ্যায় বসেছিলাম। হাল্কা খাবারের পাশাপাশি হুক্কা তথা সীসার প্রতি আমাদের আগ্রহ ছিল।
যতক্ষণ ইচ্ছা ধীরে ধীরে খাবার খান এবং নেট সার্ফ করুন।
এই হচ্ছে আমার প্লেট!
এই রেষ্টুরেন্টের আর একটা বিখ্যাত আইটেম, পুদিনা চা! অসাধারন।
আমাদের মুল আকর্ষন!
এই রেষ্টুরেন্টে আমি অনেক বার নানান খাবার খেয়েছি এবং অনেক সময় কাটিয়েছি (গত ভ্রমন গুলোতেও)। খাবারের গুনগত মান অনেক ভাল এবং দাম তেমন বেশি নয়। এই ধরনের রেস্টুরেন্টে বসে আলাদা একটা আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্যাংকক গেলে আশা করি একটা সন্ধ্যা বা কিছু সময় কাটিয়ে আসতে পারেন, ভাল লাগবে। আমাদের দেশে এমন চমৎকার মিলন মেলা কবে হবে?
পূর্বেও এই রেস্টুরেন্ট নিয়ে কিছু লিখেছিলাম, ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ৫ (একটি আদর্শ রেস্টুরেন্ট, দুনিয়ার সবার জন্য!)
খুব সুন্দর হয়েছে!!!
আসলে খাবারের বৈচিত্র্যই একটা রেস্টুরেন্টকে আলাদা একটা আইডেন্টিটি এনে দেয়!!
মনে কিছু না করলে একটা কথা বলি, আপনার অনেক রেসিপি তে কিন্তু এখন ছবি দেখা যায় না। ছবি গুলো আপডেট করে নতুন করে পোষ্ট করলে আমাদের অনেক সুবিধা হয়। এতে লাভ দুইটা, আমাদের প্রত্যেক দিন রেসিপি দেখার জন্য ইচ্ছা পূরণ হবে, আবার এটা করতে কোনো কস্ট হবে না,শুধু ছবিগুলো নতুন আপলোড করলেই হবে। ওই পোস্টগুলো আপডেট না, নতুন করে পোস্ট দিবেন ।
শুভেচ্ছা ও ভালোলাগা
LikeLike
ধন্যবাদ ভাতিজা।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য। আসলে আমিও চাই। কিন্তু সময় আমাকে সেই সুযোগ দিচ্ছে না। নেট লাইন স্লো সহ নানান অসুবিধায় আছি। চাকুরী, অর্থ যোগাড়, শিশুদের স্কুল, কোচিং সব কিছু মিলিয়ে আমরা ভাল সময় পার করছি না।
ফটোবাকেট আমাকে ভুগিয়েছে অনেক। তবুও ইচ্ছা আছে, ছবি গুলো সরিয়ে গুগলে নিয়ে আসবো। মাসের শুরুতে সব পোষ্টের ছবি দেখায়। ওরা ব্যান্ডউইথ দিয়েই সব জগাখিচুড়ি করে ফেলেছে।
যাই হোক, দেখি কি করা যায়।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ থাইল্যান্ডঃ নাতাশা রেস্টুরেন্ট | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)
রেষ্টুরেন্ট a ac nai??? ato fan lagano kno upore?
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
এখানে এত বেশি সিসা, সিগারেট টানে লোকে যে, এসি কুলায় না! ফলে মনে হয় এই ফ্যান এডজাষ্টার দিয়ে কাম চালায়! হা হা হা… আপনার চোখ আছে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike