কয়েকদিন বিদেশ থেকে এসে ভাবছিলাম, বিদেশের দিন গুলো নিয়ে লিখবো কিন্তু গতকাল প্রহেলা বৈশাখ থাকায় এই চিন্তা বাদ যাচ্ছিলো। এদিকে গতকাল বৈশাখে তেমন কোথায়ও বের হই নাই। বিকালে সামান্য সময়ের জন্য স্ত্রী পুত্রদের নিয়ে হাতিরঝিলে গিয়েছিলাম, লোকের ভীড় দেখে লজ্জাই পেয়েছি! যাই হোক, স্ত্রী পুত্রদের বাসায় নামিয়ে হালকা আড্ডা দিতে বের হয়েছিলাম। বেইলী রোড়ে আসতেই এক বন্ধু ফোন দিল, অফিসার্স ক্লাবে চলে আয়। বিরাট দাওয়াত আছে, খেয়ে যা! এই ধরনের দাওয়াতের কথা শুনলে না যেয়ে পারি না! হা হা হা, কোন উপহার ছাড়া দাওয়াত খেতে কার না ভাল লাগবে? তার উপর বৈশাখী খাবার দাবার। সময় মত হাজির হয়ে গেলেও অনেক লেট! তবুও খাবার পেয়ে গেলাম। আপনাদের জন্য কিছু ছবি পেশ হচ্ছে, আশা করছি খাদ্য রসিকদের ছবি গুলো ভাল লাগবে যদিও সব ছবি মোবাইলে তোলা!
সেজে গুঁজে বসে থাকা অফিসার্স ক্লাবকে যে কেহই পছন্দ করবে!
খাবার টেবিলে খাবারের প্লেটে রবীন্দ্রনাথ পড়েছি।
আলোর অভিযাত্রী!
সালাত মিক্স।
চিকন চাউলের ভাত।
শুঁটকী ভূনা।
রুইমাছ ভুনা।
মুড়িঘণ্ট।
খাসির রেজালা। আমরা শেষের দিকে বলে পিস গুলো আর আস্ত ছিল না!
রসগোল্লা।
এই হচ্ছে অফিসার্স ক্লাবের ক্যাফেটরীয়া, দারুন ছিমছাম। (তবে খাবার নিয়ে দুই সরকারী কর্মকর্তার স্ত্রীদের ঝাগড়া ভাল লাগে নাই!)
বৈশাখের মুল অনুষ্ঠান দেখতে না পারার একটা দুঃখ থেকে যাবে। রাত সাড়ে নয়টাই অনুষ্ঠান শেষ!
সবাইকে বৈশাখী শুভেচ্ছা।
ভ্রমন ও নানান খাবারের রেসিপি নিয়ে ফিরে আসছি। অনেক রেসিপি হাতে জমা হয়ে আছে। আছে দেশ বিদেশের অনেক ছবি।
কৃতজ্ঞতাঃ কবির
VAI, NEXT TIME UPOHAR CARA DAOAT PELE AMAKEO CALL KORBEN.
LikeLiked by 1 person
হা হা হা, আমাদের কাছে দাওয়াতের কার্ড ছিল চারটে আর আমরা ছিলাম দুজন। দুটো খাবারের লোক আমরা খুঁজে পাই নাই। কয়েক বন্ধুকে বলেছিলাম, সবাই ব্যস্ত ছিল।
ধন্যবাদ রেজোয়ান ভাই। মনে থাকবে। কিন্তু এমন দাওয়াত বছরে ১ বার আসে হয়ত! হা হা হা।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Okay bhai, waiting for next year…JODI ALLAH HAYAT RAKHE… HA..HA.
LikeLike
হা হা হা, বেঁচে থাকলে!
তবে যে বন্ধু দাওয়াতের কার্ড দিয়েছিল তার বিয়ে আগামী ১ তারিখে। আগামীতে সেও আর ফ্রী থাকবে কি না কে জানে?
তবুও আশা থেকে যায়।
LikeLike
দারুণ কনসেপ্ট!!!! প্লেট টা অসাধারণ ছিল!! 🙂
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ ভাতিজা। প্লেটের কনসেপ্ট আমার ভাল লাগে নাই। কারন আমি ভাবছিলাম, তিনি যদি বেঁচে থাকতেন তবে তিনি কি এটা মেনে নিতেন? আমার তো মনে হয় না! তিনি লিখেছেন এই ভেবে যে তার লেখা পাঠক পড়বে কিন্তু খাবার প্লেটে ছাপ হিসাবে পরার জন্য নিশ্চয় নয়! হা হা হা।
যাই হোক, শুভেচ্ছা থাকলো।
LikeLike
কাদের আয়োজনে এই অভূতপূর্ব রাবিন্দ্রিক আয়োজন ? দুই জন লোক কম পড়ছিল। একটা ফোন দিতা। বৈশাখী খাবারের সঙ্গে রবি বাবুর কবিতা ! এতো বিরাট ‘সৌভাগ্য’ ! 😛
LikeLike
হা হা হা। তুমি থাকলে ভাল হত বন্ধু! আমার কি আর কবিতা পড়ার চোখ আছে!
এই প্লেট গুলো ওদের ক্যাফেটরীয়াতে ব্যবহার হয়ে থাকে।
আমার কাছে এটা ছিল দূ-ভাগ্য!
শুভেচ্ছা। নেক্সট টাইম দাওয়াত পেলে হবে! চান্স আছে এখনো।
LikeLike
lekha kom kom laglo ato kosto kore elam 😦
LikeLike
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আসলে বোন, লেখালেখি দুনিয়ার কঠিন কাজের একটা। চাইলেই লেখা যায় না। সময় সুযোগ সব কিছু মিলিয়ে একটা ভাল লেখা বের হয়।
আমি লিখতে চাই, তবে এখন আর তেমন পারি না। সময়, পরিবেশ সব কিছুই এখন বিপক্ষে। দিন দিন মনে হয় হারিয়ে যাচ্ছি।
শুভেচ্ছা।
LikeLike