অনেক দিন মোরগের রান্নার রেসিপি দেয়া হচ্ছে না। আসল সত্য হচ্ছে আমি মোরগ মুরগী এবং মাংশ রান্নায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি! হা হা হা… বর্তমানে নিজে এই সব খাবার কম পছন্দ করছি বলে অন্যদেরও বারন করে চলছি! প্রকৃত সত্য হচ্ছে, মোরগের অনেক রেসিপি আছে, নূতন আর কি রান্না দেখাবো। যদিও দুনিয়ার প্রতিটা রান্নাই ইউনিক! তবুও একই রান্না আর কত দেখানো যেতে পারে। মোরগ বা চিকেনের প্রচুর আইটেম থাকাতে এখন চিকেন রান্না করলেও আর রেসিপি আকারে ছবি তুলি না। নুত্যতম ব্যতিক্রম না হলে রেসিপির প্রয়োজন কি!
যাই হোক, বই পত্র ঘেঁটে ঘুটেও নূতন আর কি রান্না পাওয়া যায়! যদিও কিছু রান্না পাওয়া যায়, তার মশলা পাতি এতই আনকমন বা কষ্টলি যে, আমার পক্ষে সেই সময়েই যোগাড় করা মুস্কিল হয়ে দাঁড়ায়। কাজেই মুরগী বা গোসত রান্নায় অনীহা, সেই একই।
সামান্য ব্যতিক্রম আজকে একটা মুরগীর রান্না আপনাদের জন্য, আমি বলছি এটা হাই ভেল্টেজ রান্না! চলুন দেখে ফেলি।
উপকরনঃ
– দেশী মোরগ, দেড় কেজি *একটা
– পেঁয়াজ কুঁচি, হাফ কাপ
– আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ
– রসুন বাটা, ১ টেবিল চামচ
– বাদাম বাটা, ২ টেবিল চামচ
– ধনিয়া বাটা, ১ চা চামচ
– কাঁচা মরিচ বাটা, ২ চা চামচ
– হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচ
– জয়ফল, এক চিমটি
– জয়ত্রী বাটা, হাফের কম চা চামচ
– দারুচিনি বাটা, হাফ ইঞ্চি ৪/৫টা *
– এলাচি বাটা, ৪/৫ টা *
(পোস্তা, জয়ত্রী, দারুচিনি, এলাচি কে সামান্য ভেঁজে বেঁটে ফেলা যায়, এতে ঘ্রান আরো বেড়ে যাবে। *না ভেজে/বেটেও দেয়া যেতে পারে।)
– টক দই, দেড় কাপ
– কিসমিস, ১০/১২ টা
– কেওড়া জল, এক কর্ক
– টেমেটো সস, চার টেবিল চামচ
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ আস্ত
– লবন (দুই ধাপে, পরিমান মত)
– তেল, সয়াবিন হাফ কাপের কিছু বেশী
– পানি, পরিমান মত
প্রনালীঃ (ছবিতে দেখুন)
রান্নার আগে মশলাপাতি এভাবে যোগাড় করে ফেললে সময় বাঁচে।
ছবি ১
ছবি ২
ছবি ৩
ছবি ৪
ছবি ৫
ছবি ৬
ছবি ৭
ছবি ৮
ছবি ৯
ছবি ১০
ছবি ১১
ছবি ১২
ছবি ১৩
ছবি ১৪
দারুন স্বাদের রান্না। খেলে ভোল্টেজ বাড়বেই! সবাইকে শুভেচ্ছা।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
Bhaiya Hivoltage kemne holo.
LikeLike
হা হা হা, ধন্যবাদ বোন।
এত মশলা পাতি দিয়ে খেলে শরীরে ভোল্টেজ তো বাড়বেই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Valo hoyache Bhaia.
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
LikeLike