গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েক কেজি মটরশুঁটি খেয়ে ফেললাম! মানে খোসা সহ কিনে এনে নিজেরা মটরশুঁটি বের করে নিয়ে প্রায় এই কয়েকদিনে সব তরকারীতে দিয়ে দিয়ে শেষ করলাম। আর কিছু মটরশুটি সামান্য সিদ্ধ করে ফ্রীজে রেখে দিয়েছি, প্রয়োজনে সামনে নানান তরকারীতে ব্যবহার করা যাবে। মটরশুঁটি কাঁচা কিছু দিন ফ্রীজে রেখে দিলে চারা এসে যায়! তাই সামান্য সিদ্ধ করেই রাখা উত্তম! হা হা হা…
যাই হোক, গত কয়েকদিন আগে আমার ব্যাটারী আমাকে জানালেন, মটরশুঁটি দিয়ে ভর্তা বানানো যায়। আমি পূর্বে আর মটরশুঁটি দিয়ে কোন ভর্তা খেয়েছি বলে মনে পড়ে না মানে নিশ্চিত কখনো খাই নাই! তাই বললাম, চল করে ফেলি। আগেই বলে নেই, আপনারা বানাতে একটু ঝাল বেশি দিয়ে নেবেন। ভর্তায় ঝাল না থাকলে মুখে লাগে না। আমরা ইচ্ছা করেই ঝাল কম দিয়েছি, কারন আমাদের রান্না টেষ্টার বুলেটও ভর্তা পছন্দ করে। (আর আমরা এটা নিরামিষ বানিয়েছি, আপনারা চাইলে আরো স্বাদ বাড়াতে কিছু মাছ পোড়া যোগ করে দিতে পারেন, মানে সামান্য টাকি মাছ বা রুই মাছের এক টুকরা ইত্যাদি।) চলুন দেখে ফেলি।
প্রস্তুত প্রনালী ও পরিমানঃ
একটা কড়াইতে এক/দেড় মুষ্টি মটরশুঁটি নিন।
মাঝারি সাইজের একটা পেঁয়াজ কুঁচি, তিনটে কাঁচা মরিচ (আপনারা চাইলে ঝাল বেশি দিতে পারেন), সামান্য লবন এবং সামান্য পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
এবার মাধ্যম আঁচে আগুন জ্বেলে দিন। এক চামচ সরিষার তেল দিতে পারেন, সরিষার তেল না থাকলে সয়াবিন তেল হলেও চলবে।
একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। মাঝে মাঝে উলটে দেখুন।
মাঝে মাঝে উলটে দেখুন। এবং খুন্তি দিয়ে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না। পানি কমে শেষ হয়ে যাবে এবং মটরশুঁটি নরম/সিদ্ধ হয়ে যাবে।
এবার দুই চা চামচ কাঁচা (অনুমান) ধনিয়া পাতার কুঁচি দিন। কুঁচি দিয়ে মিনিট খানেকের মাথায় নাড়িয়ে নামিয়ে ফেলুন।
এবার পাটাপুতায় পিষে ফেলুন।
বেশি মিহীন করার দরকার নাই। ভাল করে মিশিয়ে ফাইন্যাল স্বাদ দেখুন, লবন লাগলে লবন দিন।
ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। দারুন স্বাদ। মটরশুঁটির একটা আলাদা ঘ্রান আছে, সেই ঘ্রানে ভর্তার মজাই আলাদা হয়ে উঠে।
১) চাইলে বেশি কাঁচা মরিচ দিয়ে ঝাল বাড়িয়ে নিতে পারেন। ভর্তায় ঝাল ভাল লাগে।
২) এক টুকরা টাকি মাছ বা শোল মাছ বা রুই মাছের এক টুকরা তাওয়ায় পুড়িয়ে ভর্তা বাটার সময় বেঁটে মিশিয়ে নিলে এটা একটা আমিষ ভর্তা হয়ে যাবে, স্বাদও বেড়ে যাবে।
আপনারা কি পূর্বে কখনো এই ভর্তা খেয়েছেন? না খেলে খেয়ে দেখতে পারেন! আশা করি নূতন স্বাদ পাবেন।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
Olpo vorta…arektu beshi banale ami eshe khete partam.
LikeLike
ধন্যবাদ রেদোয়ান ভাই।
হা হা হা…
LikeLike
সাহাদাত ভাই,
না, কখনো খাই নাই। শুনিও নাই।
LikeLike
ধন্যবাদ সাইফুল ভাই।
যুযোগ থাকলে একবার খেয়ে দেখতে পারেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
খুব ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে… একবার ট্রাই করে দেখা যেতেই পারে!
পোস্ট করা জন্য অনেক ধন্যবাদ, উদ্রাজী ভাই! 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ শরীফ ভাই।
LikeLike