গ্যালারি

রেসিপিঃ ঝাটকা ভাজি


আমি সাধারনত ঝাটকা মাছ কিনতে চাই না, খেতেও চাই না এবং যারা ঝাটকা জাতীয় মাছ বিক্রি করে তাদেরও ভাল পাই না। গত কয়েক দিন আগে সকালে মাছ বাজারে গেলে মাছ বিক্রেতা বিশু প্রায় জোর করেই এক কেজি ঝাটকা মাছ দিয়ে দিল। কয়েক পদের মাছের সাথে প্রায় ঠেলাঠেলি করেই ঝাটকা নিয়ে বাসায় এলাম। এই নিয়ে বহু বছরে দুই তিনবার ঝাটকা মাছ কিনলাম। যাই হোক, ঝাটকা মাছ দিয়ে সাধারণত তেমন আর কি রান্না করা যেতে পারে। কাজে কাজেই এই ঝাটকা মাছ ভাজি করতে হল।

এই তো একটু আগে ভাজি করা মাছ খেয়ে এসে আপনাদের দেখাতে এই রেসিপি লিখতে বসলাম। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি রেসিপি প্রিয় পাঠক পাঠিকা ভাই বোন বন্ধু আপনারা সবাই আনন্দে আছেন এবং ভাল খাবার খেয়েই আপনাদের দিন আনন্দে কাটছে। চলুন ঝাটকা মাছ ভাজি দেখে ফেলি, তবে যারা নূতন মাছ ভাজি করতে চান তাদের জন্যই, খুব সাধারণ এবং সহজে। আগেই বলে রাখি, যে কোন কিছু তেলে ভাজতে সাবধানে থাকবেন, নিরাপদ দুরত্বে থাকবেন এবং মনোযোগ বেশি রাখবেন। কারন গরম তেল বা তেলের ছিটা গায়ে পড়লে সাথে সাথেই চামড়া পুড়ে যাবে।

পরিমান ও উপকরনঃ
– চারটে ঝাটকা
– হাফ চা চামচের কম হলুদ গুড়া
– সামান্য মরিচের গুড়া (এক বা দুই চিমটি, ঝাল বুঝে)
– এক কর্ক হোয়াইট ভিনেগার
– দুই চিমটি লবন
– ভাজার জন্য পরিমান মত তেল

(সাধারণ মাছ ভাজা এভাবেই করতে পারেন। আগেও এমন অনেক ধরনের মাছ ভাজা আপনাদের দেখানো হয়েছে।)

প্রস্তুত প্রনালীঃ

মাছ গুলো পরিস্কার করে ধুয়ে হলুদ, মরিচ গুড়া, ভিনেগার এবং লবন দিয়ে ভাল করে মেখে ঘন্টা খানেক নরমাল ফ্রীজে রেখে দিন। খেতে বসার মিনিট পনর আগে বের করে কিছু সময়ের জন্য রাখুন এবং তেল গরম করে ভাজতে থাকুন।


আপনি চাইলে ডুবো তেলেও ভাজতে পারেন। তবে আমি গা গা তেলে অল্প আছে ভেজেছি। এতে কিছুটা সময় বেশি লেগেছে।


এক পিট হয়ে গেলে অন্য পিট। মাছ উল্টাতে সাবধানতা চাই!


একটু ধৈর্য্য তো দেখাতেই হবে। মচমচে ভাজতে চাইলে আরো কিছু সময় বেশি লাগবে।


ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


যারা নূতন রান্না করছেন বা রান্না করলেও এখনো মাছ ভাজি করেন নাই, আপনারা এভাবে যে কোন মাছ ভেজে দেখতে পারেন।


মাছ ভাজি করা সম্পুর্ন একটা অভিজ্ঞতা। যত বেশি মাছ ভাঁজবেন আপনি দেখেই বুঝে যাবেন, খেতে কেমন হবে। আমি যখন প্রথম প্রথম মাছ ভাজি করতাম, তা সবার কাছে একটু কাঁচা কাঁচা মনে হত, এদিকে আমারও মনে হত, পুড়ে যাচ্ছে যাচ্ছে। এখন কিছুটা হলেও সামান্য বুঝতে পারি! হা হা হা।। রান্নায় শেখার শেষ নেই।

রান্নার করে প্রিয়জনদের মুখে তুলে দেয়ার চেয়ে এই দুনিয়াতে আর কি আনন্দ হতে পারে?

সবাইকে শুভেচ্ছা।

4 responses to “রেসিপিঃ ঝাটকা ভাজি

  1. ঝাটকা মাছ এখন বাজারে বেশ পাওয়া যায়। আপনি ঠিক বলেছেন, এই ঝাটকা মাছ ভাজি ছাড়া আর অন্য কিছু চিন্তা করা যায় না।

    Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]