সোনামনি ও সোনামানিকদের বিকালের নাস্তা একটা কঠিন বিষয়। আপনি প্রান খুলে যাই বানিয়ে নিয়ে আসবেন, তারা জবাব দেবে, প্রতিদিন একই নাস্তা! এক একজন এদিক সেদিক মুখ ঘুরাবে! হা হা হা। এই কথা থেকে বাঁচতে আপনাকে প্রতিদিন নূতন নূতন নাস্তা নিয়ে ওদের সামনে হাজির হতে হবে। উপায় নাই! আজ এমনি একটা সহজ নাস্তা দেখিয়ে দেব। ওরা খেয়ে বলবে, ওয়াও! ভাগ্য ভাল হলে এই নাস্তা ওরা আপনার কাছে বার বার চাইবে! আর ফাঁকে আপনি এই নাস্তার গোলা (একটা তরল মিশ্রন) দিয়ে মন যা চাইবে (মানে যা কিছু ভাঁজার উপযুক্ত) তা নিয়ে ওদের সামনে হাজির হবেন। বাঁধাকপি, ফুল কপি, নূতন ও পুরাতন আলু, মাছ, মুরগীর গোসত আপনার যা ইচ্ছা তা ভেজে নিতে পারবেন। সামান্য কিছু করে আগে শুধু ভাজির জন্য প্রস্তুত করে নিতে হবে।
চলুন আজ একটা ভেজিস দেখিয়ে দেই। এই একই প্রদ্ধতিতে ফুলকপিও ভেজে দিতে পারবেন। খুব সহজ ও সাধারণ, উপকরণ আমাদের হাতের নাগালেই আছে বা থাকে। আসুন।
প্রয়োজনীয় পরিমান ও উপকরনঃ
– এক বাটি গোলা (গোলা বানানো এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে আসতে পারেন)
– পরিমান মত নূতন বা পুরাতন আলু (নূতন আলুতে স্বাদ বেশি হয়)
– সয়াবিন তেল, এক কাপ বা দেড় কাপ (ভাঁজার জন্য)
– সামান্য বিট লবন, পরিবেশনের সময় ছিটিয়ে দেয়ার জন্য
– লবন, আলু সিদ্ধ করার সময় হাফ চা চামচ বা পরিমান মত
– মেয়নেজ (খাবার জন্য, না থাকলে নাই। ঘরে বানাতে চাইলে এই লিঙ্ক দেখতে পারেন)
প্রনালীঃ
গোলা বানিয়ে নিন, গোলা বানাতে এই লিঙ্কটা দেখে আসতে পারেন – রেসিপিঃ গোলা (যে কোন কিছু ভাজার জন্য)
পরিমান মত আলু নিন, ধুয়ে পানিতে সিদ্ধ করুন, পরিমান মত লবন দিতে ভুলবেন না। সামান্য লবন পানিতে আলু সিদ্ধ করলে স্বাদ বেড়ে যায়।
আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে খোসা ছড়িয়ে নিন।
এবার এক একটা আলুকে চার খন্ডে কাটুন।
আলু গুলো গোলায় চুবিয়ে নিন।
মেখে যাক!
এবার কড়াইতে তেল গরম করে নিন এবং গোলাতে রাখা আলু গুলো ভেজে নিন। ডুবো তেলে ভাঁজতে হবে।
আমরা অল্প তেলে কম কম করে ভেজে ছিলাম। আপনারা চাইলে একটু বেশি তেল দিয়ে একবারেই সব ভেজে নিতে পারেন।
কেমন ভাজা হবে তা নিজেই ঠিক করুন।
এবার তুলে নিয়ে জমিয়ে ফেলুন। ব্যস হয়ে গেল ভেজিস!
পরিবেশনের আগে সামান্য বিট লবন ছিটিয়ে দিতে পারেন। কিংবা কোন বোলে নিয়ে বিট লবন ছিটিয়ে ভাল করে নেড়ে নিয়ে প্লেটে ঢেলে নিতে পারেন। আপনার ইচ্ছা। বিট লবন না হলেও নাই, দৌড়াবে!
সাথে যদি সামান্য মেয়নেজ থাকে তবে তো কথাই নেই! সামান্য মেয়নেজে লাগিয়ে মুখে পুরতে বুঝবেন, কি জশিলা! হা হা হা…
কই সহজ ও সুন্দর রান্না দেখুন। আমার ব্যাটারী শুধু গোলাটা বানিয়ে ফ্রীজে রেখেছিলেন আর আমি অফিস থেকে ফিরে বাকী সব কাজ নিজেই করেছি। এই গোলা দিয়ে ফিস ফ্রাই করা হয়েছে, সেই রেসিপিও আসছে!
সবাই কে শুভেচ্ছা। রান্না করুন, ভালবাসার মানুষের কাছে আরো প্রিয় হউন।
দারুন হয়েছে!!
এটাকে পটেটো ওয়েজেস বলা হয় যেটা যেকোনো ভাল ফাস্টফুড এর দোকান এ ভাল দামে বিক্রি হয়
আংকেল, এই পটেটো ওয়েজেস এর বাইরের আবরণ কি মচমচে হয়েছে??
বাসায় ট্রাই করব
(ভালো খবর, আমার মোবাইল থেকে আপনার ব্লগে কমেন্ট যাচ্ছে 😀 ইমেল নিয়ে প্রবলেম হয়েছিল)
LikeLike
ধন্যবাদ আঙ্কেল। পটেটো ওয়েজেস শুনে খুব ভাল লাগলো। আমাকে এই রেসিপিটা মুখে মুখে বলে দেয়া হয়েছিল। বুলেটই আমাকে জানালো, এটাকে নাকি ভেজিস বলে। যাই হোক, আমি ভুল হতেই পারি। আমার ধারনা কম। নামটা পরিবর্তন করে দিচ্ছি। বুলেটকে আবার জিজ্ঞেস করলাম, সে এবার মোটেই নিশ্চিত নয়! হা হা হা।।
হ্যাঁ, খুব ভাল স্বাদের। একটু বেশি ফ্রাই করলেই আবরন মচমচে হয়ে যাবে। একবার ট্রাই করুন, নূতন আলু দিয়েই করবেন এবং জানাবেন।
মোবাইল থেকে ফেবু বা অন্যান্য ব্লগ দেখা আমি সাপোর্ট করি না। চোখের বারটা বাজবে, যত কম দেখা যায়, ততই ভাল।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
nice food, easy.
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
আশা করি এবার নিজে বানিয়ে খেয়ে দেখবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Thankyou for this recipe….i’ll try this for my son….
LikeLike
ধন্যবাদ বোন,
শুনে খুব ভাল লাগলো। আমাদের ভাগিনাকে আদর। শিশুদের জন্য প্রায় প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন খাবার বানাতে হয়। আমাদের আরো সোনামনিদের সেকশনে আরো অনেক খাবার আছে, দেখে নিতে পারেন।
শুভেচ্ছা। আশা করি মাঝে মাঝে আমাদের দেখে যাবেন।
LikeLike