আজ আপনাদের একটা আর্দশ গোলা বানানো দেখাবো। আপনারা চাইলে এই গোলা ব্যবহার করে বিকালের নাস্তার জন্য ইচ্ছানুযায়ী অনেক কিছু বানাতে পারেন। বাসায় শিশুরা প্রতিদিন একই নাস্তা খেতে চায় না, কিন্তু আপনি চাইলে একই গোলা ব্যবহার করে এক একদিন একেক প্রকারের নাস্তা বানিয়ে ওদের চমক লাগিয়ে দিতে পারেন। আলু, ফুলকপি, যে কোন পাতা, মাছ, চিকেন, ডিম বা আপনার পছন্দনুয়ায়ী যে কোন কিছু (যা ভাজার যোগ্য) আপনি এই গোলায় চুবিয়ে খুব সহজেই তা ভেজে নিতে পারেন। স্বাদ মনে রাখতেই হবে!
আগেই বলে রাখি, এই ধরনের গোলা আমরা আমরা পূর্বে আমাদের অনেকে ভাজাভূজিতে দেখিয়েছি। কিন্তু এই গোলার আলাদা পোষ্ট এই জন্য যে, সামনে আরো কিছু নাস্তার রেসিপি আসছে যা এই গোলা ব্যবহার করে বানানো হয়েছে। গোলাটার স্বাদ চমৎকার এবং একবার বানিয়ে ফ্রীজে রেখে দেয়া যায় বেশ কয়েক দিন। চলুন রেসিপিটা দেখে নেই।
প্রয়োজনীয় পরিমান ও উপকরনঃ (মোটামুটি এক লিটার বা তার কিছুটা কম)
– ময়দা, এক কাপ
– চালের গুড়া, এক কাপ
– ডিম, একটা
– চিনি, আধা চা চামচ
– মরিচের গুড়া বা গোল মরিচ গুড়া, এক চা চামচ (এটা ঝাল বুঝে দেবেন)
– ইষ্ট, এক চা চামচ
– লবন, পরিমান মত
– পানি, কুসুম গরম পানি, পরিমান মত
(ফরমুলাঃ মানসুরা হোসেন)
প্রনালীঃ
উপরে উল্লেখিত সব কিছু একটা বাটিতে নিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন। কসুম গরম পানি দিয়ে আস্তে আস্তে মিশাতে থাকুন। গোলাটা এমন হবে যে, হাত দিয়ে তুলে নিলে আগুলের ফাক দিয়ে পড়ে যাবে। না বেশী ঘন, না বেশি তরল! গোলা বানিয়ে সামান্য আগুলে নিয়ে জিবে লাগিয়ে ফাইন্যাল লবন দেখুন, লবন সঠিক হল কি না নিশ্চিত করুন। এবার খোলা স্থানে ঘন্টা খানেকের জন্য রেখে দিন। ইষ্ট পরিপূর্ন হয়ে উঠবে। যে কোন কিছু ভাজার সময় আবার ভাল করে মিশিয়ে নিন।
নিন্মে দুটো স্যাম্পল ছবি তুলে দিলাম, যাদের রেসিপি আগামীতে আসছে।
ফিস ফ্রাই। গোলায় চুবিয়ে ডুবো তেলে ভাজুন।
ফিস ফ্রাই ফাইন্যাল। স্বাদ, সেরাম!
আলু ফ্রাই! গোলায় চুবিয়ে ডুবো তেলে ভাজুন।
আলু ফ্রাই ফাইন্যাল। স্বাদ সেরাম!
(রেসিপি গুলো আসছে!)
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
রেসিপি প্রিয় ভাই, বোন, বন্ধুদের শুভেচ্ছা।
pls post your recipe immediately.
LikeLike
সাইফুল ভাই,
সময় পাওয়া এখন কঠিন। সময় পেলেই আসছি।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
LikeLike
vaia aj basaye ai gula ta deye potato fry korese awesome hoyese.sobai kheye bolesen wow
LikeLike
ধন্যবাদ বোন, আমিও আলুর ভেজিস দেখিয়ে দেব। আলুকে সামান্য লবনে সিদ্ধ করে খোসা ছড়িয়ে টুকরা করে নিয়ে এই গোলায় ডুবিয়ে ভাঁজলে মজাই মজা।
শুনে খুব ভাল লাগল। আশা করি রান্না করে পরিবারের সবার ভালবাসা পাবেন। সবাই আপনার প্রশংসা করবেই। আরো অনেক রান্না আছে, দেখে দেখে যেটা ভাল লাগে শুরু করুন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ভাইয়া, সামান্য কিছু বেশন কি ব্যবহার করা যাবে?
LikeLike
ধন্যবাদ বোন,
বেশোন দিয়েও বেশ কিছু গোলা এবং ভুজিয়ার রেসিপি দেয়া আছে। আশা করি দেখে যাবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ভাইয়া “ইষ্ট” টা কি একটু বলবেন দয়া করে ।
LikeLike
ধন্যবাদ ব্রাদার। ইষ্ট হচ্ছে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা খাবারকে ফুলাতে বা ফাফাতে সাহায্য করে কিন্তু দেহের কোন ক্ষতি করে না। কেক পেষ্টি রুটি সহ এই ধরনের সকল খাবারে এই ইষ্ট ব্যবহার করা হয়। বাজারে যে কোন গ্রোসারী দোকানে ইষ্ট পাওয়া যায়।
দাম বেশি না, এক কোটা (শিশি)র দাম ৩০ টাকা, তবে ফয়েল প্যাকে কেজি হিসাবেও কেনা যায়।
ধন্যবাদ।
LikeLike
can i use bason instead of maida? or bason instead of chaler gura
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন। হ্যাঁ, ব্যবহার করতে পারেন। ব্যাপার না।
শুভেচ্ছা।
LikeLike