জীবন এক এক সময় একেক রকম। আমরা সময়ে পাল্টে যাই, যেতে বাধ্য হই। জীবন তার গতিতেই চলতে থাকে। বেশী ভাগ মানুষই জীবন নিয়ে পরিকল্পনা করে থাকেন তবে সেটা তার খাতাতেই সীমাবদ্ধ থাকে, পরিকল্পনা মাফিক জীবন চালনা সব সময়েই চলে না। এর মুল কারন কাল কি হবে আমরা কেহই জানি না। ঘর থেকে বের হলে কি ঘটবে তা আমরা কেহই জানি না, শুধু ফিরে আসার একটা ইচ্ছা থাকে বলে আমরা ফিরে আসি।
মুল কথায় আসি, বিবাহ নিয়ে আমরা মানুষেরা সবাই একটা পরিকল্পনা করে থাকি। দুনিয়ার সব নারী পুরুষই বিবাহ নিয়ে ভেবে থাকেন বা পরিকল্পনা করে থাকেন বলে আমার মনে হয়। কিন্তু দুনিয়ার বেশীর ভাগ মানুষই বিবাহে ফেল মারেন বলে আমি মনে করি। বিবাহ নারী পুরুষের জীবনে একটা বড় ডাইমেন্সন! এই বিবাহে নারী পুরুষ সবাই একটা বিরাট আশা করে থাকেন কিন্তু এই কাজে দুনিয়ার প্রায় সবাই ফেল মারেন বলেই পৃথিবীর আজ এই করুন দশা। বিবাহ দুনিয়ার কত মানুষের আশা আকংখা গলা চিপে হত্যা করেছে তার হিসাব এতই কঠিন যে, কেহ এই হিসাব রাখার প্রয়োজন মনে করেন না।
ধার্মিক লোকে মনে শান্তনা দেন এই বলে যে, বিবাহ উপরওয়ালার কাজ, তিনি নিজ হাতে বিবাহের জুটি লিখে থাকেন। আমি নিজেও ভেবে কুল পাই না, কেন উপরওয়ালা এই বিবাহের কাজ নিজে হাতে রেখেছেন! প্রায় ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুই মেরুর দুই বাসিন্দাই বিবাহে জুটি গড়ে বসে আছেন। কেহ বলেন, কেহ বলেন না! বিবাহ করে নারী পুরুষ কেহ সুখে আছেন এটা খুব একটা দেখা যায় না! তবুও আমরা আমাদের জীবন চালাই, আমরা সামনের দিকে হেঁটে চলি! হেঁটে চলতে বাধ্য হই। এই হেঁটে চলায় যাদের অভিনয় ভাল হয় তারা টিকে যান, আর যাদের অভিনয় মোটামুটি তারা একটা ভানে চলেন, আর যারা অভিনয় করতে যানেন না তারা ছিটকে পড়েন, এই তো!
কথা বললে অনেক কথা যায়! কিন্তু কথা বলেও বা আবার কি লাভ! আমরা সাধারন মানুষ, আমাদের কথা শুনে কে? কে আমাদের কথা ভাব্ববে! তার ছেয়ে চলুন রান্না দেখি।
প্রয়োজনীয় পরিমান ও উপকরনঃ
– হাফ কাপ চিংড়ি মাছ
– ২০০ বা ২৫০ গ্রাম বাঁধাকপি
– মাঝারি দুইটা পেঁয়াজ (কিউব করে কাটা)
– এক টেবিল চামচ সয়া সস
– এক চা চামচ ফিস সস
– এক চা চামচ ওয়েষ্টার সস
– হাফ চা চামচ চিনি
– এক টেবিল চামচ চালের গুড়া বা হাফ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার (আমরা চালের গুড়াই ব্যবহার করেছি)
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ ফালি (ঝাল বুঝে, দুই দফায়)
– লবন, এক চিমটি বা সামান্য বেশী (লবন কম কারন সয়াসসে, ফিস সসে লবন থাকে)
– তেল (পাঁচ/সাত টেবিল চামচ তেল, কম তেলেই রান্না উত্তম, নন ষ্টিকি রান্নার পাত্র বলেই)
– পানি (পরিমান মত)
প্রনালীঃ
সামান্য তেলে এক চিমটি লবন যোগে চিংড়ি, পেঁয়াজ ভাঁজুন। কয়েকটা কাঁচা মরিচ চিরে বিচি ফেলে দিয়ে দিন, ফালি।
হালকা আঁচে ভাঁজলে এমন হয়ে যাবে। ফাঁকে নিন্মের সস মিক্স বানিয়ে ফেলুন।
ওয়েসষ্টার সস, ফিস সস এবং সয়া সসের মিশ্রন। সাথে কয়েক চামচ পানি ও চিনি দিয়ে ভাল করে নেড়ে এই মিশ্রণটা বানিয়ে ফেলুন।
এবার চিংড়িতে এই সসটা দিয়ে দিন। সস দেয়ার পর বাঁধাকপি দিয়ে দিন।
ভাল করে মিশিয়ে নিন। ঢাকনা দেয়ার দরকার নেই। পানিও দিতে হবে না কারন বাঁধাকপি থেকে যে পানি বের হবে তা দিয়ে আশা করি হয়ে যাবে।
এই রকম অবস্থায় এসে যাবে। একটু খেয়ে লবন দেখুন। লাগলে দিন না লাগলে ওকে বলুন। আরো কয়েকটা কাঁচা মরিচ চিরে বিচি ফেলে দিন। আগুন মাধ্যম আঁচে রাখুন।
এবার হাফ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার বা এক টেবিল চামচ চালের গুড়া মিশিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে নামিয়ে নিন। এই কর্ন ফ্লাওয়ার বা চালের গুড়া শুধু মাত্র ঝোলটা গাঢ় করার জন্য।
আমি একটু বেশি সময় রেখেছিলাম (ছবি তুলতে দেরী হয়েছিল), আপনারা রাখবেন না। সামান্য সময়ের জন্যই বাঁধাকপি একটু বেশি গলে গিয়েছিল। কর্ন ফ্লাওয়ার বা চালের গুড়া দিয়ে মিনিট ২/৩ ই যথেষ্ট।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। স্বাদ অতুলনীয়, বলে বুঝানো যাবে না।
আমাদের চাইনিজ রেস্টুরেন্ট গুলোতে আরো কিছু শক্ত সবজি আগে হাফ সিদ্ধ করে (যেমন গাজর, পেঁপে ইত্যাদি) মিশিয়ে এমনি একটা সবজি করে থাকে যার দাম নুন্যতম ৩০০/৩৩০ টাকা করে বিক্রি করে, অথচ দেখুন কত সহজ এবং কত সস্তা। আপনি চাইলে আজই রান্না করে দেখতে পারেন। সস গুলো আজকাল যে কোন ধরনের গ্রোসারীতেই পাওয়া যাচ্ছে।
*স্বাদ বাড়ানোর জন্য রেস্টুরেন্ট গুলোতে এই জাতীয় রান্নায় টেষ্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। টেষ্টিং সল্ট ছাড়াও যে স্বাদ চমৎকার হয় তা নিজে রান্না করলেই বুঝা যায়।
সবাইকে শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন।
easy cooking.
LikeLike
ধন্যবাদ ব্রাদার।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
দারুন!
LikeLike