ফুলকপি, নুতন আলু এবং রুই মাছের মাথা দিয়ে (যে কোন মাছ) আমাদের দেশের মধ্য বিত্ত পরিবার গুলোতে একটা রান্না হয়ে থাকে। বিশেষ করে শীতকালে যখন অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায়। এটা খাঁটি বাংলাদেশী রান্না এবং সহজ রান্না। এমন রান্না খেয়ে দেখেন নাই এমন বাংলাদেশের বাঙ্গালী পাওয়া কঠিন হবে। বিশেষ করে আমাদের মায়েরা এমন রান্না প্রায় করে থাকেন। পরিবার বা খাওয়ার লোকজন বেশি থাকলে এই ধরনের রান্না না করেও উপায় নাই! ঝটপট রান্না এবং সবার জন্য ঝটপট পুষ্টি!
চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে ফেলি। আগেই আশা করছি আপনাদের এই রান্নাটা ভাল লাগবে এবং যারা রান্না শিখছেন বা করতে চান তারা এমন একটা রান্না করে অন্যদের প্রশংসা কুড়াবেন। আপনিই চাইলে আরো নানান সবজি যোগ করতে পারেন, আপনার স্বাধীনতা আছে। বিশেষ করে এই রান্নায় আরো কয়েকটা টমেটো হলে কথাই ছিল না! চলুন।
উপকরন ও পরিমানঃ
– মাঝারি একটা ফুলকপি
– নুতন আলু, ২৫০ গ্রাম
– একটা রুই মাছের মাথা (মাছ না দিয়েও রান্না চলতে পারে)
– দুইটা/তিনটে মাঝারি পেঁয়াজ কুঁচি
– রসুন বাটা, দুই টেবিল চামচ
– আদা বাটা, এক টেবিল চামচ
– এক চা চামচ হলুদ গুড়া (সামান্য কম হলেও চলবে)
– হাফ চা চামচ বা তার কম লাল মরিচ গুড়া, ঝাল বুঝে
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– কিছু ধনিয়া পাতার কুঁচি
– লবন, পরিমান মত (শুরুতে কম দিয়েই রান্না শুরু করা উচিত, লাগলে পরে দিতে পারবেন)
– পানি, পরিমান মত
– তেল, পরিমান মত
(রান্নাটা তিনটে ধাপে করা হল, বুঝার স্বার্থে)
প্রনালী ও ধাপ সমুহঃ
প্রথম ধাপঃ
মাছের মাথা বা মাছের টুকরা গুলোকে সামান্য হলুদ ও লবন মেখে সামান্য সময়ের জন্য ভেজে তুলে রাখুন নিন। যারা কাঁচা মাছ রান্নায় অসুবিধা নেই তারা আপনারা মাছ না ভেজেও শুরু করতে পারেন।
২য় ধাপঃ
নুতন আলু গুলো ছিলে গা গা পানি দিয়ে হাফ সিদ্ধ করে নিন। এক চিমটি লবন দিতে পারেন। এবং পানি সহ তুলে রাখুন।
৩য় ধাপঃ মুল রান্না
এবার কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি এবং কয়েকটা কাঁচা মরিচ এক চিমটি লবন দিয়ে ভাল করে ভেজে পেঁয়াজ সোনালী করে নিন।
এবার মশলা গুলো দিয়ে দিন।
ভাল করে ভেজে তেল উঠিয়ে নিন (প্রয়োজনে হাফ কাপ পানি দিতে পারেন)। মশলা ও ভেজষের ঘ্রান দেখুন, সব মিলে মিশে একটা আলাদা ঘ্রান বের হবে।
এবার আগে ভেজে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিন। এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন। আগুন মাঝারি আঁচে থাকবে।
মিনিট পাঁচ পরে হাফ সিদ্ধ করা রাখা আলু ও পানি দিয়ে দিন।
এবার ফুলকপিও দিয়ে দিন।
আরো দুই কাপ পানি দিয়ে দিন।
এবার ঢাকনা দিয়ে মিনিট পনর মাধ্যম আঁচে রাখুন। মাঝে এক দুইবার আস্তে নাড়িয়ে দিন।
ঠিক এমন অবস্থায় এসে যাবে।
এবার ধনিয়া পাতার কুঁচি এবং আরো কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিতে পারেন। আগুনের আঁচ মাধ্যম চলবে। এর ফাঁকে ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন না লাগলে ওকে বলুন।
কিসের বাটিতে বাড়াবাড়ি! পাতিল সহ খাবার টেবিলে নিয়ে চলুন। যার যে পরিমান লাগবে নিয়ে খাবে। শীতকালীন সবজি যত পারে তত খেয়ে নিক! চমৎকার খাবার।
সবাইকে শীতের শুভেচ্ছা।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
কত দিন এমন খাবার খাই নাই।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ সাইফুল ভাই।
এটাতো আমাদের দেশের শীত কালের সহজ একটা খাবার। আশা করি এমন খাবার আপনার ভাগ্যে সহজে জুটে যাবে। শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike