গ্যালারি

রেসিপিঃ মুগ ডাল রান্না (নিরামিষ, হোটেল স্টাইল)


প্রতিদিন দুপুরে আমাকে হোটেলে খেতে হয়, উপায় নাই! হোটেলে প্রবেশ করলেই হোটেল মালিক সহ সবাই ধরে নেয়, আসছে! দামী খাবার খেয়ে বিরাট বিল দিয়ে যাবে! ওয়েটারগন ভাবেন বেশী খেলে বেশী টিপস পাবে! কিন্তু আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত এবং নিন্মবিত্তদের কি প্রতিদিন হোটেলে দামী খাবার খাবার সাহস আছে? না, নাই! আমারও নেই!

তাই আমি নিদিষ্ট একটা নিম্ম মাঝারি মানের হোটেলে প্রতিদিন প্রবেশ করি এবং এদের মালিক থেকে সবার সাথে একটা খাতির জমিয়ে নিয়েছি। আমি ওদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, আমি বাসায় ভাল ভাল এবং দামী খাবার খাই, দুপুরে হোটেলে আসি বেঁচে থাকার জন্য মাত্র! এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে ওয়েটার বেলাল (আমি তার ব্যবহারে সন্তুষ্ট এবং প্রতিদিন পাঁচ টাকা টিপস দেই, এতে সেও খুশি, আমিও!)  আমাকে ভাল করে চিনতে পেরেছে। আমি গেলেই আমার সামনে আমার প্রিয় খাবার চলে আসে – দুটি নান রুটি, এক পেয়ালা মুগ ডাল এবং লেবু পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ, সাথে থাকে দুই গ্লাস পানি! মাঝে মাঝে নান রুটি একটা বেশী বলি! বিল ৪০ (২০+১৮+২) টাকায় চলে যায় এবং বেলালের জন্য টিপস ৫ টাকা!

প্রতিদিন মুগ ডাল খেতে আমার অরুচি হয় না, তেল ছাড়া এই মুগ ডালেই আমি সন্তুষ্ট। আজ হোটেলের বাবুর্চি আমার টেবিলের সামনে দিয়ে যেতেই তাকে তাদের মুগ ডালের রেসিপি নিয়ে জিজ্ঞেস করি, তিনি তাদের মুগ ডাল রান্নার রেসিপি আমাকে বলে দিলেন এবং গত কয়েকদিন আগে সন্ধ্যায় নিজেই রান্না করলাম। ধারে কাছে যেতে পারছি বলে মনে হচ্ছে না! (অবশ্য আমি জেনে শুনেই তার একটা স্টেপ বাদ দিয়েছি, তেল পরিহারের জন্য!) তবুও যে পরিমান স্বাদ হয়েছে, তা ফেলে দেয়ার মত নয়! আগেই বলে নেই, স্ত্রীর প্রশংসা পেয়েছি! আর বুলেট, সে তো জানাল, বাবা এখন তুমিই রান্নায় সেরা!

চলুন মুগ ডাল রান্না দেখে ফেলি। এটা নিরামিষ রান্না। হোটেলে সাধারণত মুগ ডাল এভাবে রান্না হয়, মুগ ডালে মাছ বা মাংস দেয়া হয় না কারন যাতে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান সবাই খেতে পারে। হোটেলে যারা সবজি খান না তাদের জন্য মুগ ডালই দি বেষ্ট! কম টাকায় ভাল খাবার। নিম্ম মাঝারি হোটেল গুলোতে ১৫ থেকে ২০ টাকায় এক বাটি মুগ ডাল পাওয়া যায়, যা মাঝারি লোকজনদের কেনার আওতায় থাকে!

উপকরন ও পরিমানঃ
– ২৫০ গ্রাম মুগ ডাল
– দুইটা/তিনটে মাঝারি পেঁয়াজ কুঁচি
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– রসুন কুঁচি, ৬/৭ কোষ
– আদা বাটা, এক টেবিল চামচ
– হাফ চা চামচ হলুদ গুড়া
– হাফ চা চামচ বা তার কম লাল মরিচ গুড়া, ঝাল বুঝে
– লবন, পরিমান মত, শুরুতে কম দিয়েই রান্না শুরু করা উচিত, লাগলে পরে দিতে পারবেন
– পানি, পরিমান মত
– তেল, পরিমান মত (আমি কমেই রান্না করেছি)
– ধনিয়া পাতা কুঁচি

– হাফ চামচ চিনি (টুইস্ট)

প্রনালীঃ 
* ডাল প্রিপারেশন

মুগ ডাল প্রথমে ভেঁজে নিতে হবে, কড়া ভাঁজা নয়, মুগ ডাল ভাঁজতে গেলে একটা সুন্দর ঘ্রান বের হয়, ঘ্রান বের হলেই ভাঁজা বন্ধ করতে হবে। *টুইষ্ট, সামান্য লবন পানি দিতে পারেন।


ভাজা শেষে ডাল গুলো পানিতে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে এবং পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।

* মুল রান্না

তেল গরম করে তাতে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি এবং কয়েকটা কাঁচা মরিচ ভাল করে ভেঁজে পেঁয়াজ হলদে করে নিতে হবে।


এবার আদা বাটা দিয়ে আরো কিছুক্ষন ভেঁজে তাতে হাফ কাপ পানি দিতে হবে। পানি দেয়ার পর মিশিয়ে তাতে হলুদ এবং গুড়া মরিচ দিতে হবে।


আরো সামান্য পানি দেয়া যেতে পারে। ব্যস ভাল করে জ্বাল দিয়ে দিলেই ঝোল হয়ে যাবে। *টুইষ্ট, হাফ চামচ চিনি দিতে পারেন (এটা বাবুর্চি ভাইয়ের বিশেষ নির্দেশ, এতে নাকি স্বাদ বাড়ে)


ভাল করে জ্বাল দিয়ে তেল উঠিয়ে নিতে হবে।


এবার মুগ ডাল দিয়ে দিতে হবে।


ঠিক এই রকম দেখাবে। কিছুক্ষন এভাবে জ্বাল দিতে হবে।


এবার তিন কাপ পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে মিনিট ২০ মাঝারি আঁচে রেখে দিতে হবে। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে হবে এবং ডাল নরম হল কিনা তা দেখে নিতে হবে। যদি নিদিষ্ট পানিতে ডাল নরম না হয় তবে আরো পানি দেয়া যেতে পারে।


গায়ে গায়ে ঝোল এলে ফাইন্যাল লবন দেখে নিতে হবে, লাগলে দিতে হবে, না লাগলে নাই! এবার ধনিয়া পাতার কুঁচি দিয়ে দিতে হবে এবং ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। ব্যস!

(এখানে আমি তেল এড়ানোর জন্য একটা স্টেপ করি নাই, তা হচ্ছে বাগার দেয়া। আপনারা চাইলে আরো স্বাদের জন্য বাগার দিতে পারেন।)


ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

অসাধারণ, লাভলী! খুব সহজ রান্না একদিন রান্না করে দেখুন না, খেয়ে হাত চেটে আমাকে নিশ্চয় মনে করবেন! আর যারা আমার মত হোটেলে এই মুগ ডাল খান, বলেন আপনারা, কেমন লাগছে! আমি ঠিক বললাম কি না!

সবাইকে শুভেচ্ছা, ভাল থাকুন, ভাল খাবার সবার রিজিকে লিখা থাকুক!

33 responses to “রেসিপিঃ মুগ ডাল রান্না (নিরামিষ, হোটেল স্টাইল)

  1. মুগ ডাল দিয়ে ভুনা খিচুড়ি আমার পছন্দের । আর গরুর গোশত ভূনাতেও এই ডাল খুবই মজার হয় । শিখে নিলাম , কোনএকদিন চেষ্টা করে দেখবো ।

    Liked by 1 person

    • ধন্যবাদ বোন। মুগ ডালের ঘ্রাণটা খুবই সুন্দর। হ্যাঁ, মুগ ডালের অনেক আইটেম করা যায়। আগামীতে আরো কিছু রান্না দেখিয়ে দেব। গরুর গোসত ছোট করে মুগ ডালের একটা রান্না আগেই দিয়েছিলাম।

      শুভেচ্ছা।

      Like

  2. দারূণ!

    আমার কাছে আদা এবং রসুনের পেস্ট আছে। তাতে হবে? কতটুকু দেয়া লাগবে?

    Like

    • ধন্যবাদ মাহবুব ভাই। কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আপনার কমেন্ট দেখে ভাল লাগছে।

      ২৫০ গ্রাম ডালের জন্য এক টেবিল চামচ (গা গা) আদা এবং এর সামান্য কম রসুন পেষ্ট হলেই হয়ে যাবার কথা। তবে আদা, রসুন সামান্য একটু বেশী কম হলে তেমন কিছু যাবে আসবে না। যখন ভেঁজে নেবেন তখন একটু বেশী ভেঁজে নিলেই চলবে।

      আদা রসুন নিয়ে কিছু কথা থেকে যায়। আমাদের দেশে আদা রসুন নানান দেশের পাওয়া যায়। এক এক দেশের আদা রসুনের ঝাঁজ এক এক রকম। ইন্ডিয়ান হলে একটু বেশী দিতে হয় আর আমাদের দেশী হলে কম দিলেও ভাল রেজাল্ট পাওয়া যায়। মাটি ভেদে এমন হয়ে থাকে। চাইনিজ আদাতো অনেক বেশী দিতেই হয় তবুও ভাল রেজাল্ট পাওয়া যায় না।

      যাই হোক, একবার রান্না করে ফেলুন। শুভেচ্ছা।

      Like

  3. “আর কিছুক্ষণ” গুলোকে মিনিটে বদলে দাও না প্লিজ।

    Liked by 1 person

    • ধন্যবাদ ত্রিশেঙ্কু ভাই, আপনার কমেন্ট পেয়ে ধন্য হলাম। খাদ্য নিয়ে আপনার আগ্রহ আমাকে বরাবর আনন্দ দেয়। আপনি সত্যিকারের একজন ভোজন রসিক।

      যাই হোক, এখনো ফেবু বা অন্য কোথায়ও প্রমান পাই নাই যে, আপনি রান্নাঘরে গিয়ে নিজে রান্না করেছেন। বড় জোরে আমাদের ভাবীকে বলেন এমনে এমনে রান্না হলে ভাল। ভাবী ভাল রান্না করেন, সেটা ছবি দেখেই বুঝতে পারছি।

      যাই হোক, আপনি নিজে রান্না করে ছবি দিলে আরো আনন্দ পাব। এখানে কিছুক্ষন মানে মিনিট পাঁচ হতে পারে। তবে আগুনের আঁচের উপর এটা নির্ভর করবে। মাঝারি আঁচ থাকলে ভাল।

      শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ।

      Like

  4. ইশ!!!!!!!! লাস্টে ধনেপাতাটা দিয়ে কি যে একটা অসাধারন কাজ করলেন!!!!!

    দারুণ!!!!!

    তবে আমার কিন্তু মুগ ডালের পাশাপাশি বুটের ডাল ও দারুণ লাগে!!!

    শুভেচ্ছা ও ভালোলাগা!!

    Like

    • ধন্যবাদ ভাতিজা। আপনার কমেন্ট দেখে খুশি হলাম।
      (আপনার চাওয়া রেসিপিটা আপনার চাচী জানেন বিধায় আমি কিছু করতে পারছি না, এদিকে তিনি আবার ছোট শিশু নিয়ে তেমন সময় দিতে পারছেন না! এই নিয়ে কয়েক দফা ডিম, লেবু কিনে খেয়ে ফেলেছি!)

      শুভেচ্ছা।

      Like

  5. হাজিরা দিতে আসলাম উদরাজী ভাই। 🙂

    Like

  6. ভাইয়া,এটা আমি করেছিলাম,এত মজা হয়েছিল বলার না! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।আজকে আবার করলাম।আমি মুগডাল খুব একটা পছন্দ করতাম না।কিন্তু এটা খেয়ে মুগডাল খেতে এখন খুব ভাল লাগে।

    Like

    • ধন্যবাদ বোন।
      আমি যে রেসিপি গুলো দিয়ে থাকি তা আমি নিজেই স্বাদের টেষ্ট সাক্ষী। হা হা হা… কত রেসিপি দেয়া হয় নাই, স্বাদ ভাল না হবার কারনে।

      হোটেলের আজে বাজে খাবার না খেয়ে আমি মুগডাল পছন্দ করি কারন খেতে স্বাদ বলেই। আমি বাসায় অনেক বার মুগ ডাল রান্না করেছি তবে মাছের মাথা বা গরুর বা ছাগলের গোসত দিয়ে, তবে এই নিরামিষ সব চেয়ে ভাল লেগেছে আমারও।

      শুভেচ্ছা। আশা করি আমাদের সাথে থাকবেন।

      Like

  7. all your recipes are tremendous……. and very useful……. i just love them

    Like

    • ধন্যবাদ বোন।
      আমাদের চেষ্টাই হচ্ছে আমাদের রান্না গুলো সহজ ভাবে চোখের সামনে নিয়ে আসা। যাতে করে নূতন যারা রান্না করতে চান তারা যেন সহজে তা করতে পারেন। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

      আপনাদের ভালবাসাই আমাদের পথ দেখাচ্ছে।
      শুভেচ্ছা। মাঝে মাঝে দেখে যাবেন।

      Like

  8. আপনার রেসিপিগুলা অনেক ভাল লাগে ভিন্ন ভিন্ন সাদের রান্না শিখলাম যদিও বা এখনো সব করে দেখিনাই। দেখেই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।

    Liked by 1 person

  9. অনেক ধন্যবাদ ভাই এমন সুন্দর উদ্যোগ নেবার জন্য। আমি কিছুটা খাদক টাইপের কিনা, নিজে নিজে কয়েক পদ রান্না করেছি এবং আশানুরুপ স্বাদ পেয়েছি। সবচে বড় পাওয়া হলো বউ ও মেয়ের কমপ্লিমেন্টস। আজ যখন লিখছি, মুগ ডালের রেসিপি ফলো করছি, মনে হয় হলুদ টা বেশি হয়ে গেছে। তাতে কি? যে ঘ্রান পাচ্ছি….আমি সাথে অবশ্য দারচিনি ও এলাচ দিয়েছি। সবাইকে ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

    Like

  10. ভালো লাগলো

    Liked by 1 person

  11. আমি এটা মাত্র রান্না করলাম (রেসিপি দেখার আগেই হাহা)। তবে আমি বাচ্চাদের জন্য আরেকটু ঝোল রাখি। আমি আরেক ভাবেও করি মাঝে মাঝে। নামানোর আগে ধনে পাতা না দিয়ে কতগুলা পাট পাতা দিয়ে, একটু নেরে, চুলা বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে রেখে দিবেন, খাওয়ার আগে খুলবেন। সে আরেক মজা ভাই। হেলদি ও।

    Like

  12. দাদা,
    আমি শুভ চ্যাটার্জী From দূর্গাপুর, INDIA ।
    প্রথমেই একটা কথা না বললেই নয়, আমি নানান শহরে ঘুরতে এবং সেখানকার নতুন নতুন খাবার খেতে ভালোবাসি ও নতুন মানুষদের সাথে মিশতে ভালো লাগে, নতুন শহরের বিখ্যাত Street Food, যেমন Pav Bhaji, Vada Pav Etc খেতে ভালোবাসি । খাবার পরিমাণ খুবই অল্প কিন্তু ইচ্ছাটা অনেক ।

    যাই হোক, আগে নিজে রান্না করার প্রতি বিশেষ ঝোঁক না থাকলেও ইদানীং একটু হয়েছে ।
    রেসিপি খুঁজতে Google Sir ভরসা, আর সেখান থেকেই আপনার ব্লগের সন্ধান পাওয়া মাস খানেক আগে ।

    আমি আপনার অনেক রেসিপি পড়েছি এবং বন্ধুদের সাথে Share করেছি, তার মধ্যে কিছু নিজে রান্নাও করেছি, আরও করার ইচ্ছা আছে । বলতে পারেন, আপনার রেসিপি দেখে নিজে রান্না করার সাহস পেয়েছি ।
    আপনার রেসিপির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, ছবি সহ Step By Step বিবরণ আর সাথে আপনার অভিজ্ঞতা জানার সুযোগ ।

    অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, নিজের মূল্যবান সময় দিয়ে মানুষের উপকার করার জন্য । GOD Sir আপনার মঙ্গল করবে।

    একটা আবদার আছে, বিভিন্ন সবজি নিরামিষ (পেয়াজ,রসুন বাদে) অল্প মশলায় রান্না করে কিভাবে সুস্বাদু করা যায় তার কিছু রেসিপি যদি দেন তাহলে উপকৃত হব। আবার ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন ।

    Like

  13. Very helpful for beginners.

    Like

  14. আছছা মসুর ডাল দিয়ে কী মুরিকন্ঠ রান্না করা যায় না?????

    Liked by 1 person

  15. ভালো হবে। বোঝা যাচ্ছে।

    Liked by 1 person

  16. ভালো হবে। বোঝা যাচ্ছে।

    Liked by 1 person

  17. ডা: মাবিয়ার হোসেন

    নানরুটি বা পরটার সাথে গরম গরম মুগডাল….আহহ এখনি খেতে ইচ্ছা করছে।তবে সাথে মুরগীর গিলা বা কলিজার ছোট টুকরা থাকলে আমার কাছে আরও ভাল লাগে।

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]