ঈদের দিন আমাদের ‘গল্প ও রান্না’ সাইটে তিন লক্ষ হিট পার হয়ে গেল। তিন লক্ষ হিট এই ধরনের পারসোনাল সাইটে সহজ ব্যাপার নয়। আসলে এটা সম্ভব হয়েছে আপনাদের ভালবাসায়। আপনারা আমাদের গল্প এবং রান্না পছন্দ করেন বলেই এটা প্রমানিত হয়েছে। নেটে আপনারা যারা বাংলায় রেসিপি দেখতে চান, তাদের কাছে আমি উঠে আসি বার বার। আমাদের রেসিপি গুলো সহজ এবং সাধারন মশলায় এবং আমাদের ঘরের রান্নাই। খাবার দাবার আবহাওয়া ভেদে খেতে হয়। আমেরিকান খাবার বাংলাদেশীরা সাময়িক সময়ের জন্য পছন্দ করতে পারেন বটে তবে যুগের পর যুগ নয়! হা হা হা… জন্মের পর আমরা যে খাবার গুলো খেয়ে বড় হই তা ভুলে যাব কি করে! মায়ের হাতের রান্না ভুলে যাওয়া যায় না!
যাই হোক, আজ বাস্তবের গল্প! আজ আমাদের এক বোনের গল্প শুনাবো। শুনাবো মানে আমাদের এই রেসিপি লাভার্স বোনের একটা চিঠি আপনাদের সামনে হাজির করে দেব। ঈদের দিন এই বোন আমাদের এই চিঠি লিখেছেন। তার চিঠি পড়ে আমি ও ব্যাটারী ভাষা হারিয়ে ফেলছিলাম। কত অজানা ভালবাসা আছে এই দুনিয়ায়!
-
আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া, আপনাকে আমি বহুদিন আগে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম। আপনিও accept করে নিয়েছিলেন।
কি লজ্জার ব্যাপার… যেখানে আগে আমার যোগাযোগ করা উচিত ছিল সেখানে আপনি আগে করলেন*। (*হা হা হা, যোগাযোগটা হচ্ছে আমি বোন রেবেকা হোসেনের কোরবানীর গরুতে লাইক এবং কমেন্ট করেছিলাম। তখনো আমি জানতাম না, তিনি আমাদের রেসিপি সাইটের একজন পাঠিকা।)
এবার বলি, কেন এত দেরী। আপনার রেসিপি সাইট আমি প্রায় প্রতিদিনই একবার দেখি। Foodography group এ ও আপনার রেসেপি নোটিফিকেশান আসলেই দেখি।
আপনার লেখার ধরন, সহজ এবং বোধগম্য রেসিপি, ছবি সহযোগে রান্নার বর্ননা, কম মশলাপাতিতে চমৎকার রান্না বিভিন্ন দিকের কারনে আপনার রেসিপিগুলো আমার ভীষন ভাবে প্রিয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আপনার রান্নার ধরন ও স্বাদের সাথে আমাদের বাসার রান্নার ভীষন মিল। আপনার অনেকগুলো রান্নাই(স্ন্যাকস আইটেম দিয়ে শুরু করেছিলাম… এখন তরকারীও রান্না করি আপনার রেসিপি দেখে) আমি করার চেষ্টা করেছি… প্রত্যেকটাই অপূর্ব হয়েছে… এবং স্বাদ যেন একদম আমার মায়ের হাতের রান্না। আপনার রান্নার সাথে আমার মায়ের রান্নার স্বাদের মিলটা হয়তো এই কারনে যে, আপনার দেশের বাড়ি আর আমার দাদাবাড়ি এবং নানাবাড়ি একই জায়গায়। (আপনার গ্রামের বাড়ি ফেনীতে কোন একটা পোস্টে পড়েছিলাম। আমার দাদাবাড়ি ফেনীর সোনাগাজীতে আর নানাবাড়ি ফেনীর শাহপুর গ্রামে।) এজন্য আপনার দেয়া রেসিপিগুলো দেখে রান্না করলে মনে হয় একদম বাসার রান্না আর খেতেও অপূর্ব। অনেকের রেসিপিতে যে সমস্যাটা থাকে তা হলো অনেক বেশী উপকরন লাগে, যেন বাড়ি নয় হোটেলের রান্না, তাছাড়া রান্নার process ও clearly দেয়া থাকে না, যে কারনে রান্না করলে খারাপ হয়ে যায়।
আমার মা আমাকে তেমন রান্না করতে দেন না। হয়তো ভাবেন যে, পড়াশোনার ক্ষতি হবে। তবে, আমি মনে করি, রান্না করলে বরং মন বেশী রিল্যাক্স থাকে। তাছাড়া, একটা বিষয় আমি খুব বিশ্বাস করি তা হলো… যে ভালো রান্না করে এবং ভালোবেসে রান্না করে সে খারাপ মানুষ হতে পারে না। এটা সম্পূর্নই আমার নিজের ধারনা ও বিশ্বাস। তো, আপনার দেয়া রেসিপি দেখে রান্না করেই আমি আমার মাকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলাম। মা বলে, “এত ভালো রান্না শিখলি কিভাবে?” আমি বলি, “তুমি শেখাওনি তো কি হয়েছে, আমি আমার একজন বড় ভাইয়ের কাছে রান্না শিখেছি।” একই সাথে আমি সহজ কিছু রান্না আমার ছোট ভাইকেও শেখানোর চেষ্টা করছি। দুইজন একসাথে বেশ আনন্দ নিয়েই রান্না করি। আপনার কথা আমাদের বাসায় সবাই জানেন এবং আপনার জন্য দোয়া করেন।
এসব বিষয় নিয়ে লম্বা একটা চিঠি দেব এটাই আশা ছিল। সময়-সুযোগ ঠিকভাবে না হওয়াতে লেখা হচ্ছিল না। পারিবারিক কিছু ঝামেলা চলছিল… তাছাড়া semester final নিয়েও খুব ব্যস্ত ছিলাম। লম্বা চিঠি দেয়ার নিয়ত থাকায়… ভাবতাম, দুই-এক লাইন আর কি লিখবো… মজার বিষয় হলো, আজ কুরবানীর ঈদ… অনেক রকম কাজ-কর্ম থাকে, কিছু কিছু মেহমানদারীর কাজও থাকে… অথচ আজই চিঠি লেখা হলো। আসলেই, খুব বেশী পরিকল্পনা করে জীবনে বোধহয় কিছু হয় না। জীবন নিজের গতিতেই নিজের পথ করে নেয়।
ভাইয়া, সবশেষে আপনার নতুন সন্তানের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা আর দোয়া। আমি যদিও কিছু লিখিনি, কিন্তু সবসময়ই ব্যালটের আপডেট পড়তাম। নামাযে এবং নামাযের বাইরে দোয়া করেছি ব্যালটের জন্য। আশা করি, সে এবং ভাবী সুস্থ ও ভালো আছে। আমি জানতাম, ও শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে। আপনি এত সুন্দর ভাবে রেসিপি লিখে ও প্রকাশ করে যত মানুষের আন্তরিক আশীর্বাদ ও দোয়া পেয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি তা কখনোই বৃথা যেতে পারে না।
আজ এই পর্যন্তই রাখি ভাইয়া। আরো অনেক প্রশংসাই আপনার করার ছিল… সব কিছু মাথায় আছে… লেখায় পুরোপুরি আসছে না। আপনার বিফ এর রেসিপিগুলো কাজে লাগানোর সময় এসেছে। যদিও প্রথম রান্নাটা মায়ের হাতেই হবে। তা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করবো না। তবে দিন কয়েক বাদে আমি কিছু আইটেম চেষ্টা করবো নিশ্চয়ই।
আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা… অনেক অনেক ভাল থাকুন।
ধন্যবাদ বোন রেবেকা হোসেন। ঈদের দিনে আমাদের এমন একটা চিঠি লিখে আমাদের জীবনে খুশির বন্যা বয়ে দিলেন। আমরা আমাদের রেসিপি লিখার সার্থকতা পেলাম। আমরা যাদের জন্য রেসিপি লিখে থাকি, যাদের টার্গেট করে আমাদের এই রেসিপি লিখা তাদের কাছে আমরা পৌঁছে যাচ্ছি। হা হা হা…
আজ একটা ছোট রেসিপি দিচ্ছি। এটা আমাদের এই নুতন বোন রেবেকা হোসেনের জন্য (আপনাদের জন্যতো বটেই)। চলুন দেখে ফেলি।
উপকরনঃ
– হাফ কেজি গরুর গোসত
– তিনটে পেঁয়াজ কুঁচি
– গোটা ৭/৮ কোষ রসুন কুঁচি
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ কুঁচি (ঝাল দেখে)
– এক টেবিল চামচ আদা বাটা
– হাফ চামচ গোল মরিচ গুড়া
– হাফ চামচ জিরা গুড়া
– হাফ চা চামচ গুড়া হলুদ
– হাফ চামচ গরম মশলা গুড়া (কিংবা তিন চার টুকরা দারুচিনি, কয়েকটা এলাচি হলেও চলবে)
– লবণ (পরিমাণ মত, শুরুতে সামান্য দিয়ে শুরু করুন)
– গরম পানি (এক কাপ, গোসত নরম না হলে আরো পানি দেয়া যেতে পারে)
– এক কর্ক সিরকা
– তেল (৬ টেবিল চামচ)
– এক চিমটি চিনি (ইচ্ছা হলে দিতে পারেন, স্বাদ বাড়ে)
প্রনালীঃ
গোসত প্রসেস
গোসত ধুয়ে এক চিমটা লবন যোগে মিনিট ১০ এর জন্য সিদ্ব করে নিন।
সিদ্ব করে তুলে নিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন।
এবার চর্বি ফেলে গোসত কুঁচিয়ে নিন এবং তুলে রাখুন।
এবার মুল রান্না চলুনঃ
তেল গরম করে এক চিমটি লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচি এবং রসুন কুঁচি ভাঁজুন।
এবার উল্লেখিত মশলা/ভেজষ গুলো একে একে দিয়ে দিন এবং ভাঁজুন।
এবার কুচানো গোসত দিয়ে দিন।
ভাল করে মিশিয়ে ভাঁজুন।
এবার গরম পানি দিন।
এক কর্ক সিরকা দিন। এক চিমটি চিনিও দিতে পারেন (না হলে নাই)
ব্যস ঢাকনা দিয়ে মাধ্যম আঁচে মিনিট ৩০ রাখুন।
মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না। এবার ফাইন্যাল লবন দেখে নিন, লাগলে দিন, না লাগলে ওকে বলুন। গোসত নরম না হলে আরো পানি দিতে পারেন।
ঝোল শুকিয়ে এমন অবস্থায় এসে যাবে, আরো সামান্য কাঁচা মরিচ কুঁচি দিতে পারেন।
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। কুচানো গোসত। বিশ্বাস করুন, লাল মরিচ গুড়া ছাড়া এমন স্বাদের গোসত রান্না অনেক দিন পরে খেলাম। আজ দুপুরেই এই রান্না হয়েছিল, বুলেট বলতে গেলে একাই বাটি সাফ করে ফেলেছে!
সবাইকে শুভেচ্ছা। সময় একটু বেশী লাগবে বটে তবে খুব সহজ রান্না এবং হাতের কাছেই সব মশলা পাবেন, একদিন রান্না করেই ফেলুন।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
তোমার এখানে গরুর ভুঁড়ির রেসিপি লেইখা সার্চ দিলাম। Nothing Found আসলো। দোস্ত তোমার ভাবী শখ কইরা গরুর ভুঁড়ি সংগ্রহ কইরা এখন বিপদে পড়ছে। তোমার মতো এক্সপার্ট রান্নাতো বন্ধু থাকতে আর গুগলে সার্চ দিলাম না। তোমার ভাবীকে বিপদ থেইকা উদ্ধার কর। আর হাঁ, তিন লক্ষ হিটের জন্য অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা। 🙂
LikeLike
বন্ধু বড়ই ভাবনায় ফেলে দিলে! হ্যাঁ, এত রেসিপি থাকলেও গরুর ভুঁড়ির রেসিপি নাই। গরুর ভুঁড়ি গত পাঁচ সাত বছরে দুই তিন বার দেখেছি, খাওয়া হয় নাই। আখাঊড়া থেকে আমার শশুর কয়েকবার তার মেয়ের জন্য পাঠিয়েছিলেন। যাই হোক, আমার হাতের উপরে এই জিনিষ এসে গেলে আমি অবশ্যই রান্না করে ফেলবো এবং রেসিপি যথারীতি পোষ্ট হয়ে যাবে।
যাই হোক, ভাবীকে নিরাশ করবো না। তোমার ব্যাটারী ভাবীর কাছে জিজ্ঞেস করে যা জানতে পারছি তা তুলে দিলাম। আশা করি হেল্প হবে, কারন ভাবী যেহেতু ভাল রান্না করেন তাতে হিন্স পেলেই তিনি আরো ভাল রান্না করবেন।
১। ভুড়ি ছোট ছোট করে কেটে সামান্য হলুদ দিয়ে হাফ সিদ্ব করে তুলে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে, লবন দেয়া চলবে না।
২। তার পর মাংস রান্নার লবন, তেল, যত মশলা আছে (পেঁয়াজ বাটা বাদ দিয়ে, পরে পেঁয়াজ কুঁচি ব্যবহারের জন্য রাখতে হবে) তা দিয়ে রান্না করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য ভুঁড়ি রান্নাতে নাকি গরম মশলা সহ সব মশলা একটু বেশি লাগে।
৩। ভুঁড়ি নরম এবং রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে রাখতে হবে। এবার একটা কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে কয়েকটা মরিচ কুঁচি এবং পেঁয়াজ কুঁচি গুলো ভেঁজে হলদে করে নিতে হবে। এবং এই কড়াইতেই আগের রান্না করা ভুঁড়ি দিয়ে দিতে হবে। এবং ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে আরো কিছুক্ষন রান্না করে নিতে হবে।
এই তো! এভাবেই! আশা করি ভাবী রান্না করে ফেলবেন এবং তুমিও একটু স্বাদ চেখে দেখবে! কি আছে এই দুনিয়ায়!
গরুর ভুঁড়ি মেয়েদের এত প্রিয় কেন?
শুভেচ্ছা।
LikeLike
গতবার আমাদের খাওয়া হয়নি গরুর ভুড়ি । এবার আশা করি খেতে পারবো । রান্নার প্রসেসিং ভাবীর রান্নার মতই ।
LikeLike
যে রেসিপি সাইটে আমি প্রায় প্রতিদিনই দেখতাম, শিখতাম এবং একই সাথে সাহাদাত ভাইয়ার চমৎকার লেখনী উপভোগ করতাম… সেখানে কখনো যে আমার নামের সাথে কোন রেসিপি প্রকাশ হবে… আমার ভাবনার মধ্যে ছিল না।
আসলে আমি তো রান্নায় একদমই কাঁচা… শিখছি মাত্র। তাই, সাহস করে তেমন কোন কমেন্ট করতাম না। তবে, রান্না আমি ভীষন ভালোবাসি এবং নিঃসংকোচে স্বীকার করবো… আমার রান্না শেখার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালয় ‘গল্প ও রান্না’।
ভাইয়া, আপনি যেমন বলতেন, “রান্না-সাহস করলেই হয়” আসলেই তাই… তবে, সাহসটা কিন্তু আপনার কাছ থেকেই পাওয়া।ছোট ছোট রান্না থেকে শুরু করলে একসময় কঠিন রান্না গুলোও আয়ত্তে এসে যায়… সাহস করে শুরুটা তো আগে করতে হবে…
আজকের রেসিপিটাও চমৎকার। আর যাই রান্না করি বা না করি, এই রান্নাটা না করলে তো চলবে না একেবারেই… প্রতিবারের মত খুব ভালোই হবে ইনশাআল্লাহ…
At last…. I am really honored … ছোট্ট একটা চিঠির এর চেয়ে চমৎকার উত্তর আর হতে পারে না…
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
আশা করছি আগামী দিন গুলোতে আমাদের সাথেই থাকবেন। মাঝে মাঝে পরামর্শ, মতামত, ইচ্ছা, রেসিপি দিয়ে আমাদের সাহায্য করবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Viya Salam neben.eid er din bulet er notun jama pora chobi dekhe onek valo legs he.asol kothai asi thik emon vabe beef vuna dudin age korechi .apnar sathe mile gelo.tobe ami age sidhho na kore 30 min merinate korechilam.baki sob ek.korma khete mon chichilo bt kothau pelamna ti emn vabe korechi r panir bodole sese olpo milk diechilam.goto eid e apnake phn debo kore r deini ki bolbo khuje pina onek kritoggo apnader kache.banglish e liklam dekhe sorry
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
আপনি কমেন্ট করেছেন এটাই আমাদের আনন্দ।
রান্না আসলে এমন একটা বিষয় যে, যার প্রতিটা ক্ষণই নুতন। প্রতিটা রান্নাই ইউনিক, হউক না একই রান্না।
এক রান্না কত ভাবে করা যায়। সামান্য একটু বদলে কতই না মজাদার করা যায়।
আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন। শুভেচ্ছা।
LikeLike
অভিনন্দন!
ব্লগের বয়স তো বোধহয় দুই বছর হলো। তাই না?
LikeLike
ধন্যবাদ নবী ভাই।
হ্যাঁ, বছর দুই হলো। তবে আমাদের এই ব্লগে আমি একটিভ গত এক বছর ধরে। আগে আমার রেসিপি গুলো চতুর্মাত্রিক ব্লগে প্রকাশিত হত, আমি একটা কপি এখানে এনে রাখতাম শুধু ব্যাক আপের জন্য। আমার রেসিপি লিখার হাতে খড়ি হচ্ছে চতুর্মাত্রিক ব্লগ। আমার প্রথম ৭৩ টি রেসিপি চতুর্মাত্রিকে প্রথম প্রকাশিত, এই রেসিপি গুলোর কোন হিট এখানে নেই। নিম্নের লিঙ্কে প্রবেশ করে চতুরের লিঙ্ক দেখে আসতে পারেন।
http://wp.me/P1KRVz-2X
শুভেচ্ছা।
* ওয়ার্ডপ্রেসও হিট কাউন্ট শুরু করেছে পরে, আগের অনেক হিটের হিসাব নাই!
LikeLike
ধন্যবাদ।
আমি ২০১০ থেকে লিখছি। ওয়ার্ডপ্রেস তখন থেকেই হিট কাউন্ট করছে। আমার মনে হয় ওয়ার্ডপ্রেস আরো আগে থেকেই হিট কাউন্ট করে।
LikeLike
ধন্যবাদ নবী ভাই।
তা হলে আমার ভুল হতে পারে। কিংবা আমি যে থিম ব্যবহার করছি তাতে আমি এমন উইজোড দেখি নাই বা চোখে পড়ে নাই। হিট কাউন্ট এবং হিটের নানান স্ট্যাটাস আমার মনে পড়ে ২০১২ ফ্রেবুয়ারী থেকে আমার চোখে পড়েছে।
তবে ওয়ার্ডপ্রেসকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। পারসোন্যাল ব্লগিং করার জন্য একটা জিনিষ বটে! আমার কাছে বেশ লাগে। ব্লগিং এর নানান ফ্লাটফর্ম দেখলাম, ওয়ার্ডপ্রেস সেরা মনে হয় এখনো।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আমি আর কোন প্লাটফর্ম দেখিনি। তবে আমি ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে সন্তুষ্ট। এটা বেশ ইন্টারেস্টিং তথ্য দেয়। যেমন, কোন দেশ থেকে কতোজন দেখল।
ভালো থাকবেন।
LikeLike
i will try
LikeLike
ধন্যবাদ অজ্ঞাত ভাই/বোন। কমেন্ট করার সময় নাম লিখলে আমাদের বুঝতে সুবিধা হয়। হ্যাঁ, এটা একটা সাধারন রান্না, আপনি চাইলেই করতে পারেন। আশা করি রান্না করে দেখবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
কোরবানি ঈদ এর পড়ে প্রায় প্রতিদিন গরুর গোশত রান্না করতে হয় । আপনার এক্সপেরিমেন্ট করার সাহস দেখে এখন আমিও এক্সপেরিমেন্ট করি । গতকাল আর আজ একটু আলাদা ভাবে গরুর গোশত রান্না করেছি । ভালোও হয়েছে । রান্নায় এক্সপেরিমেন্ট করার সাহস আমার বরাবরই কম ছিল । নতুন এই রান্নাটার জন্য ধন্যবাদ ।
আর আপনাদের প্রতি শুভকামনা ।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
রান্নাকে এই জন্যই আর্ট বলে। সবাই রান্না করবে কিন্তু কেহ কেহ রান্না নিয়ে কাজ করবে, এটা চলতেই থাকবে। এক ধরনের রান্না সব সময় ভাল নাও লাগতে পারে, সামান্য পরিবর্তনে যদি ভাল স্বাদ আসে তবে কেন সাহস দেখাবেন না।
মজার কথা বলে নেই, আমি সাহস দেখিয়ে অনেক রান্না করে পরে তা খেয়ে বাদ দিয়েছি এবং রেসিপি আকারে আর প্রকাশ করি নাই। খেতে ভাল না লাগলে আমি রেসিপি হিসাবে প্রকাশ করি না। বিশেষ করে বুলেটের মুখে না লাগলে তো চলেই না।
কিছু কম্বিনেশন অবশ্য চলেই না।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আজকে মগজ ভাজি করে তিন বছর পরে স্বাদ গ্রহণ করলাম। একটু রিস্ক নিতে হয়েছিল, শুধু মগজ না পাওয়ায় আস্ত ভেড়ার মাথা কিনে এনে কোপাতে হয়েছে। কিন্তু পরিশ্রমটা আসলেই উশুল হয়েছে।
এই রেসিপিটা বেশ সহজ লাগলো, ট্রাই করবো আশা রাখি। 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ ইয়াসিন ভাই।
আপনি রান্না করেন যেনে ভাল লাগলো। ছেলেরা রান্না করে, জানতে পারলেই, লাইক দেই। হা হা হা…
অনেকদিন মগজ কিনি নাই, দেখা যাক সামনে কিনে ফেলবো। মগজ আমারো ভাল লাগে।
আপনি মগজ রান্না করেছেন, এই রান্নাতো আপনার কাছে পানির মত মনে হবে। আশা করি স্বাদ হবেই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আমি বেশ ভালো রান্না করি ভাই। আমার ভেড়ার কাচ্চি জার্মানি বিখ্যাত 😛
LikeLike
ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই,
হা হা হা, দাড়ান আপনার ভেড়ার কাচ্ছি খেতে আমি আমাদের এক বন্ধুকে পাঠাই। সেও কিছুদিন আগে পড়াশুনার জন্য জার্মানী গেছে! বলেন, পাঠাবো কি না!
যাই হোক, ভাল লাগলো। রান্নায় থাকুন, ভাল থাকুন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
এই রেসিপিটা আমি করবোই। খুবই ইজি এবং দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে!!!
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
LikeLike
আরে আমাদের শিপু ভাই যে!
আপনি রান্না করার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন তাতেই খুশি হলাম। কিন্তু কথা হচ্ছে রান্না ঘরে প্রবেশের সময় মোবাইল বাইরে রেখে যাবেন। মোবাইলে অনলাইন থাকবেন, রান্না করবেন তা হবে না! রান্না ভাল হবে না আগেই বলে দিলাম। রান্না ঘরে রান্নার প্রতি মনোযোগী হতে হবে! রান্না একটা ভালবাসা, রান্না ভালবেসেই করতে হয়, নাইলে… যাই হোক, আপনি রান্না পারবেন বলে আমি আশাবাদী।
শুভেচ্ছা থাকল।
LikeLike
Obinondon, congts.
LikeLike
ধন্যবাদ রোমিও ভাই।
আপনাকেও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
LikeLike
তুমি ভাবীর কাছ থেকে রেসিপিটা জেনে নিয়ে কষ্ট করে এখানে তুলে দিয়েছ, সে জন্য তোমার ভাবির পক্ষ থেকে তোমাকে ধন্যবাদ। আমি ভুঁড়ির রেসিপিটা আপাতত কপি করে এম এস নোটে তুলে রেখেছি। তোমার ভাবী একটু ফুসরত পেলেই এটা নিয়ে ডেমোনস্ট্রেশন শুরু করবে। হা, আমারও এই একই প্রশ্ন ‘গরুর ভুঁড়ি মেয়েদের এত প্রিয় কেন?’ 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ বন্ধু।
আশা করি ভাবী ভুড়ি রান্না করে তোমাকে দিয়ে স্বাদ চেক করিয়ে নেবেন! উলটা পালটা কিছু ব্লো না! সব সময় যারা রান্না করে তাদের সন্মান করবে! হা হা হা… হালকা, খুশমুডে থাকলে কথাটা উত্তর জিজ্ঞেস করে নিও!
শুভ কামনা।
LikeLike
Salam brother i hope apni amake chinte parchen.onek din holo apnar sate kotha hoy na.ak somoy amader sobar modde je adda ta hoto bises kore Fb te Royel,Namrud soho aro oneke sai din gula k chorom vhabe miss kori.btw onek valo lage apnar recipe gulo bishes kore amar battery oto apnar chorom boktho.next month a Bangladesh a aschi.i hope deka hobe apnar sate…valo thakben..
LikeLike
ধন্যবাদ মাকসুদ ভাই,
আরে বলেন কি? আপনাকে চিনবো না মানে কাকে চিনবো। আমি একবার যার সাথে ফোনে কথা বলি তাকে সারাজীবন মনে রাখতে পারি। হা হা হা।। কয়েকদিন আগেও রয়েল রোকনের সাথে কথা হল এফ বিতে। সে বিবাহ করেছে, কয়েকদিন আগে। তবে নমরুদ ভাইকে হারিয়ে ফেলেছি। আমার আগের FB একাউন্ট ডিজাবেল হয়ে যাওয়াতে আমি অনেক পুরানো বন্ধু হারিয়ে ফেলেছিলাম।
আপনার ব্যাটারী আমাদের রেসিপি দেখেন যেনে খুব খুশি হলাম।
আগামী মাসে বাংলাদেশে এলে একটা পার্টি চাই। ভাল মন্দ অনেক দিন খাই না। খেতে চাই! হা হা হা।।
আসুন, আপনার জন্য একটা আড্ডা বসিয়ে দেবোই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
কনগ্রাচুলেশন্স আংকেল!!!!!!!!!
তিন লাখ হিট আরও তাড়াতাড়ি হয়ে গেল। 🙂
আশা করি এই ব্লগ আরও সমৃদ্ধ হবে!!!!!!
আর রেসিপি টা ভাল লেগেছে, আমার মনে হয় কোন কিছুর স্টাফিং এর জন্য একদম পারফেক্ট
আর আরেকটা কথা!!!!!!! এই ধরনের একটা রান্না পুরান ঢাকার সকালের নাস্তায় খুব ই জনপ্রিয়। বাট সেটা কাঁচা কিমা দিয়ে করা হয়
শুভেচ্ছা আর ভালোলাগা 🙂
কনগ্রাচুলেশন্স এগেইন 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ ভাতিজা।
আজ কাল প্রচুর হিট হচ্ছে। বাংলায় রেসিপি খুঁজে দেখার ইচ্ছা অনেকেই পোষন করছেন বিশেষ করে প্রবাসীরা এখন রান্নায় বেশী আগ্রহ দেখান কারন হোটেল বা বাইরের খাবার খেয়ে কত দিন টিকে থাকা যায়! এখন প্রায় প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৫০০ হিট হচ্ছে। ৩০০ থেকে সাড়ে তিনশত আই পি থেকে এই হিট আসছে, কখনো আরো বেশী। মানে প্রতিদিন কমের পক্ষে ৩০০/৩৫০ মানুষ এক বারের জন্য হলেও রেসিপি সাইট দেখে যাচ্ছেন, এটা কম কিসের।
গুগলে বাংলায় যে কোন খাবার দাবারের নাম লিখলে আমাকে প্রথম পেইজে দেখায়, এটাই সাফল্য এবং এটাতে প্রতিদিন নুতন নুতন হিট আসছে।
সব চেয়ে ভাল দিন হচ্ছে, আজকাল অনেকে মোবাইল বা ট্যাব নিয়ে রান্না ঘরে যাচ্ছেন। আমাদের রেসিপি লিখা এবং ছবি দেখে রান্না করছেন। এটাই বড় হেল্প হচ্ছে। মোশানে রেসিপি খাতায় লিখতে হয় বা বার বার দেখতে হয়, আমাদের রেসিপিতে সেটা নেই। দেখে দেখেই করা যাচ্ছে।
শুভেচ্ছা আপনাকেও, আপনাদের ভালবাসা এবং ভাল্লাগায় আমরা এতদুর আসতে পারছি। আবারো আপনাদের শুভেচ্ছা, আপনারা কষ্ট করে আমাদের কমেন্ট করেন বলেও আমরা ধন্য।
LikeLike
Viya amar iPhones bookmark e apnar recipe site set kora dine mone hoi 7_8 bar check kori notun ki elo
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
রেসিপি আসলেই একটা মজার বিষয়। আমি জানি। আমি নিজেও এখন এমন হয়েছি যে, দিনে একটা নুতন রেসিপি না দিলে আমারো ভাল লাগে না। কিন্তু সময় এবং সুযোগ অনেক সময় থাকে না। তবে আমি চেষ্টা করি, প্রতিদিন একটা রান্না করার জনা এবং সেটা আপনাদের জন্য তুলে দিতে।
যাই হোক, আশা করছি, প্রতিদিন একটা করে রেসিপি দিতে পারবো। দোয়া করবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Ami ata ranna koresi. Chorom test hoyesilo. Thanks a lot.
LikeLike