গ্যালারি

রেসিপিঃ কৈ মাছ ঝোল (গল্প নয় সত্য!)


রান্না নিয়ে এক ছোট বন্ধুর (আমার বন্ধুর ছোট ভাই, এখন বন্ধুর মতই) অফিসে আলোচনা চলছিলো। আমি রান্না করি এবং আমার বাংলা রেসিপি গুলো সারা বিশ্বের বাংলাভাষাভাষীর মানুষ দেখেন, এটা সেও জানে। তবে দেখা হলে মাঝে মাঝে একটা আফসোসের ভাব ফুটে উঠে, আমাদের উদু ভাইয়ের হাতের রান্না এখনো খেতে পারলাম না! আমি নিজেও তার সামনে পড়লে কেমন কেমন হয়ে যাই! যার নেটে সাড়ে চারশত রেসিপি আছে, সে যদি কাউকে রান্না করে না খাওয়ায় চলে কি করে! তবে অভিজ্ঞতায় বুঝি, রান্না করে কাউকে খাওয়ানো আসলে সহজ কাজ নয়! খাবার দাবার সম্পূর্ন ভাগ্যের ব্যাপার! ভাগ্যে থাকলে ঠেকায় কে?

যাই হোক, সেদিন তার অফিসে আলাপ চলছিলো! তার নিজের জীবনের বাস্তব গল্প। আমাদের দেশের এক বিশিষ্ট শেফের হাতের রান্না করা দেশী খাবার খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। সে আয়োজনে সবাই খাবার দাবার খাবে, গল্প করবে ইত্যাদি। শেফ রান্না করে টেবিলে খাবারের সারি সাজিয়েছেন, অনেকটা বুফের মত করে। সবাই খাবার দাবার দেখে যাচ্ছে, মনে অনেক আনন্দ কিন্তু ডাল সহ কয়েকটা খাবারের রং দেখে আমাদের ছোট বন্ধুটা সহ অনেকেই মর্মাহত! এমন বিখ্যাত শেফের খাবারের এই অবস্থা!

যাই হোক, খাবার দাবার শুরু হল। সবাই ধুমাইয়া কোপাইয়া খেয়েই চলছেন। দেখা গেল যে খাবার গুলোর রং তাদের মনের মত হচ্ছিলো না, সে খাবার গুলোর বাটি শেষ! ছোট বন্ধু তার পাতে সেই রং বিহীন ডাল তুলে নিয়ে চুমুক দিতেই তার মনে হচ্ছিলো, এ যে স্বাদে অসাধারণ! মাথা ঘুরে পড়ে যাবার অবস্থা! উপস্থিত যারা খাবারের রং দেখে কথা বলছিলো তারা সবাই এখন রান্নার স্বাদের গুনাগুনে ব্যস্ত! এই না হল শেফ!

শেফের নাম প্রকাশ করে দিলে আপনারা সবাই তাকে চিনবেন বলে আমি মনে করছি। কাজে কাজেই নাম প্রকাশ করা হল না! এদিকে আবার ভাবছি, শেফের নাম প্রকাশ হলে তিনি আবার কি মনে করেন! যাই হোক, আমিও বলি। রান্নার রং দেখে নয়, স্বাদই খাবারের মুল বিচার হতে পারে। আপনি যা চোখে দেখবেন, স্বাদ তার ভিন্ন হতেই পারে। আবার দেখতে ভাল লাগলে স্বাদ যে ভাল হবে তা কিন্তু নয়!

গল্প অনেক হল। চলুন, আজ কৈ মাছের রান্না দেখি। সামান্য একটু ঝোল রাখা হয়েছিল।

প্রনালীঃ (ছবি ও বর্ননা) 

ছবি ১


ছবি ২


ছবি ৩


ছবি ৪


ছবি ৫


ছবি ৬


ছবি ৭


ছবি ৮


ছবি ৯


ছবি ১০


ছবি ১১


ছবি ১২


ছবি ১৩


ছবি ১৪

আজ দুপুরে নয়াপল্টনের জোনাকী সিনেমা হলের পিছনে একটা গলিতে মোটামুটি মানের একটা হোটেলে খেতে বসেছিলাম। এমন একটা কৈ মাছের দাম চাইলো ১২০ টাকা! রান্নাটাও ছিল, কুচকুছে কালো, পাশের টেবিলে একজন ব্রাদারের পাতে দেখলাম। হা হা হা… ঘরের খাবারের দাম নিয়ে কে চিন্তা করে?

শুভেচ্ছা।

9 responses to “রেসিপিঃ কৈ মাছ ঝোল (গল্প নয় সত্য!)

  1. lau sak diye koimacher jhol darun lage. r koi-sing macha na veje ranna korle e valo. 🙂

    Like

    • ধন্যবাদ অজ্ঞাত ভাই কিংবা বোন।
      লাউ শাক দিয়ে কৈ, অনেক আগে খেয়েছিলাম। এখনো মনে আছে।
      যাই হোক, তাজা মাছ কখনো ভেঁজে রান্না করতে হয় না কিন্তু আমাদের দেশের বেশ কয়েকটা জেলায় যে কোন মাছই ভেঁজে রান্না করে। আমার সাথে তেমনি এক জেলার মানুষ আছে! হা হা হা…

      এটা চাষের থাই কৈ। ভাঁজলে ঘ্রাণটা কিছু কম লাগে!

      শুভেচ্ছা।

      Like

  2. বর্ণনা কই বসস,,,,,,,,,,

    Like

  3. একটা প্রবাদ আছে, ” পয়লা দর্শনধারী পরে গুনবিচারী”।
    তাই মানুষ প্রথমেই চেহারা সুরত দেখে। সেটা মানুষ থেকে শুরু করে সব কিছুতেই।
    পাকা মাকাল ফল দেখেছেন? কি সুন্দর টুকটুকে লাল রঙ? কিন্তু পাখীরাও সেটা খায়না।
    কই আর ইলিশ আমার ঘরে মজুদ রাখতেই হয়। কই মাছের ঝোলে নামানোর আগে একটু ভাজা জিরার গুড়ো দিলে অসাধারন লাগে। আমি কই মাছ, পেপে, জালি দিয়েও রান্না করি। আমার কন্যাও বোন মনসুরার মত। সব মাছই ভেজে রান্না করে।

    Like

  4. বর্ণনা না হলেও চলবে। শুধু বাটিতে করে যে মিশ্রনটি ভাজা পেঁয়াজে দিলেন, তাতে কী কী কতটা আছে একটু বলে দিন প্লিজ।

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]