গ্যালারি

রেসিপিঃ মুলা শাক ভাজি (হায় রে মুলা! কে যে তোর এমন নাম রেখেছে!)


দুই দিনের দুনিয়া! চলুন, আজ মুলা শাক ভাজি দেখি। এই রান্না আশা করি আপনাদের সবার ভাল লাগবে। বিশেষ করে যারা মুলার শাক পছন্দ করেন তাদের তো কথাই নেই! আমাদের খাবার দাবার যে কত সস্তা, সুন্দর এবং মজাদার তাই এই রেসিপিতে ফুটে উঠেছে।

তবে মুলা ও তার শাক নিয়ে কিছু কথা না বললে গল্প কি করে হয়। আমাদের বাসায় মুলা বা তার শাক কেহই পছন্দ করে না। বিশেষ করে আমি ছোট বেলা থেকেই খেয়াল করে আসছি, মুলার ভক্ত কিছু ছেলে (পুঃ) পাওয়া গেলেও মুলার কোন মেয়ে (স্ত্রী) ভক্ত নেই! মুলা বাজার থেকে কিনে নিয়ে এলে বাসায় আমার ব্যাটারী মুখ কালো করে ফেলেন আর তার সাথে এখন যোগ হয়েছে আমার বুলেট! সেও এই মুলা বা তার শাক খাবে না! মুলা বা মুলার শাক আমার আম্মাও পছন্দ করতেন না, তবে তিনি আমাদের জন্য রান্না করতেন। আমার মনে হয় সাধারন বাংলাদেশী প্রায় পরিবারের মুলা নিয়ে এই সমস্যা আছে! হায় রে মুলা! কে যে তোর এমন নাম রেখেছে!

ইতি পূর্বে আমি মুলার রান্না কয়েকটা রেসিপি দিয়েছি এবং লক্ষ্য করছি সেই সকল রেসিপিতে যারা কমেন্ট করেছেন তাদের বেশী হচ্ছেন ছেলে (পুঃ)! মুলা এই দুনিয়াতে কি দোষ করল যে, মেয়ে (স্ত্রী) দের ভালবাসা পাবে না! হা হা হা… এটা হয় না, চলে না। মুলার মত এমন স্বাদের তরকারী আর কি আছে! আলাদা ঘ্রান, আলাদা ভালবাসা!

প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
– কচি মুলার শাক
– রসুন কুঁচি
– পেঁয়াজ কুঁচি
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– লবন
– তেল (পরিমান মত, কম তেলেই রান্না উত্তম)
– পানি (সিদ্ব করার পরিমান মত)

প্রনালীঃ 

১৫ টাকার মুলার শাকে আমি দুটো রান্না করেছি! মুলার শাক ভাজি এবং ছোট কচি মুলা গুলো দিয়ে শুঁটকী রান্না (রেসিপি আসছে)! হা হা হা… কেহ না খেলে আমি কি করব! নিজে একা কত খাব! যাই হোক, চলেন আগাই!


মুলার শাক ভাল করে ধুয়ে কেটে নিন এবং সামান্য লবন (কম) যোগে কিছুক্ষন সিদ্ব করে নিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।


এবার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ ও রসুন কুঁচি সামান্য লবন যোগে ভাঁজুন। কয়েকটা কাঁচা মরিচ চিরে দিয়ে দিন।


হালকা আগুনের আঁচে ভাঁজতে থাকুন এবং একটু সময় লাগবে। এক সময় এমন হলদে হয়ে যাবে। লক্ষ রাখবেন, যেন পুড়ে না যায়।


এবার হাফ সিদ্ব মুলার শাক দিয়ে দিন।


ভাল করে মিশিয়ে নিন।


ভাঁজুন।


ভাল করে ভাঁজুন। সামান্য খেয়ে দেখুন, লবন এবং শাক নরম হল কিনা। লবন লাগলে দিন। শাক শক্ত থাকলে আরো ভাঁজুন।


এই তো! পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


গরম গরম পরিবেশন করুন। সাদা ভাতের সাথে এই মুলার কচি শাক ভাজি খাবার আনন্দ আর কোন জাতির আছে? আপনি কখনো এই মুলার শাক ভাজি খেয়েছেন? না খেলে আমাকে বলতেই হচ্ছে, জনাব আর কি খেলেন?

শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ আপনাদের।

(শাক সব্জির ভাজি/রান্না দেখে দেখে যারা একটু হতাশ হয়ে পড়ছেন তাদের বলি, আছে সামনে আপনাদের জন্য অনেক অনেক মাছ, মাংসের রান্না আছে। শুধু সাথে থাকুন।)

17 responses to “রেসিপিঃ মুলা শাক ভাজি (হায় রে মুলা! কে যে তোর এমন নাম রেখেছে!)

  1. দেশে/বিদেশে থাকা ব্যচেলর ভাই/বোনদের আমি বলব, এই ধরনের সাধারন রান্না দিয়েই আপনি আপনার রান্নার জগতে পা দিতে পারেন!

    Like

  2. mula shak bhaloi lage amar..sathe kucho chingri dile aro moja hoy..bhaia, mula rannar kichu recipe diyen..Japane prochur mula pawa jay, kintu ami mula temon radhte pari na.

    Like

  3. All time with you, though some time without comments……….:)

    Like

  4. হায় হায় কি করলেন ? পানির সাথে তো শাকের সব পুষ্টি চলে গেল ।
    মুলার সাথে যে শাক থাকে সেটা দিয়ে আমিও শাক ভাজি করি । শাক ধুয়ে তারপর কেটে , মশলা ( রসুন কুচি ,পেয়াজ কুচি , হলুদের গুড়া, লবন ও আস্ত কাচামরিচ ) ভেজে তারপর শাক দিয়ে অল্প আঁচে রেখে দেই । শাকের সাথে শাক ধুয়ার যে পানি থাকে সেই পানিতেই শাক সিদ্ধ হয়ে যায় । ।

    Like

  5. আমার বড় খালা মুলার একজন মেয়ে ভক্ত 🙂

    Like

  6. Amader bashar shobai mula shak mular torkari Khub pochondo korey…ami o Khub pochondo kori…

    Liked by 1 person

  7. I love moola, but my husband doesn’t.

    Liked by 1 person

  8. জীবনে প্রথম মুলা শাক রান্না করলাম। শাক খাওয়া হয় না। বৌ এলে বা ঘরে গেলে পরে খাওয়া হয়। সব ধরনের শাক। মাংসের থেকে শাক বেশী ভালো বাসি।
    আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি বিনা রসুন পিয়াজ ছাড়া। মোটামুটি রান্না করতে পারি। সাধের হয়। পেঁপে। মুলা। কোযাস। আলু। কাঁচা লঙ্কা। আর খুব তাড়াতাড়ি রান্না করি। প্রসার কণার এতে এক সিটি দিয়ে নামিয়ে রাখুন। সঃতেল দিয়ে রান্না করুন। পরিমাণ মতো তেল। শুকনো লঙ্কা। তেজ পাতা। কাঁচা লঙ্কা।পাঁচ ফোন। হলুদ গুরো। লাল লংকা গুরো। আদা বাটা দিয়ে রান্না করুন। ভালো লাগবে।

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]