ভেজিটেবল বা শাক সবজি! শাক সব্জির নাম শুনলে আমাদের শিশুরা টেবিলে বসতে চায় না। তাই শাক সব্জির রান্না একটু ভিন্নভাবে করলে তাদের দৃষ্টি আকর্ষন হয় এবং দেখতে ভাল দেখালে তারা খেতে চাইবে। শাক সবজি শিশু বয়স থেকে না খেলে শরীরে না অসুখ বাধবেই। শিশুদের জন্য তাই বড়দের দায়িত্ব নিতে হবে, যে করে হোক শিশুদের শাক সবজি খাওয়াতে হবেই।
আর ছোট বয়স থেকে একবার শাক সবজি খাওয়া শিখিয়ে দিতে পারলে, বড় হয়ে খাবেই, বেঁচে যাবে নানান রোগ বালাই থেকে। দুনিয়াতে আমরা অনেক লোভনীয় মাছ, মাংস জাতীয় খাবার খাই, পরিশেষে আসলে এই সব খাদ্য দেহে নানান সমস্যা করে থাকে। কিন্তু শাক সবজি খেলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে তেমন কোন সমস্যা হয় না।
যাই হোক, আমি ডাক্তার বা পুষ্টি বিষয়ে অভিজ্ঞ নই কিন্তু বাস্তবে যা শুনছি তাই আপনাদের জানালাম। প্রতি বেলা খাবারেই কিছু না কিছু শাক সবজি রাখতে হবেই। বয়স চল্লিশ পার হলে যখন বার বার ডাক্তারদের কাছে দৌড়াবেন, তখন সব কিছু চোখের সামনে পরিস্কার হয়ে যাবে। কিন্তু তখন আর পথ পাওয়া যাবে না! কত কি দেখলাম ও জানলাম এই দুনিয়াতে! বয়স যে দুনিয়ার একটা বিরাট ফ্যাক্টর তাও বুঝলাম, বয়স পার করে দিয়ে।
চলুন, চায়নিজদের মত করে ভেজিটেবল রান্না দেখি, আমি নাম দিয়েছি চায়নিজ ভেজিটেবল রান্না। তবে ওদের মত বেশি সসেস দেই নাই, পরিহার করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
– হাফ কেজি বা তার বেশী নানা প্রকারের কিছু সবজি (আমরা নিয়েছিলাম গাজর, পেঁপে ও চিচিঙ্গা)
– হাফ কাপ মোরগের মাংস (হাড় ছাড়া, ছোট ছোট পিস করে দুই চামচ সয়াসসে ভিজিয়ে রাখুন)
– সয়াসস, দুই চামচ (মোরগের মাংসের জন্য)
– পেঁয়াজ কিউব, হাফ কাপ
– আদা বাটা, এক টেবিল চামচ
– কাঁচা মরিচ কয়েকটা ফালি
– গোল মরিচের গুড়া, এক চা চামচ
– চালের গুড়া, দুই চা চামচ (এক কাপ পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে)
– তেল/পানি (পরিমান মত)
– লবন, পরিমান মত
প্রনালীঃ
সবজি গুলোকে পাতলা করে কেটে ভাল করে ধুয়ে নিন।
এর পর সবজি গুলোকে হালকা ভাপিয়ে (অর্ধ সিদ্ব) নিন এবং পানি ঝরিয়ে রাখুন এবং মুল রান্নায় চলে আসুন।
কড়াইতে তেল গরম করে সয়া সসে ভিজিয়ে রাখা মোরগের মাংস গুলো ভাঁজুন। সামান্য লবন দিতে ভুলবেন না। সামান্য ভাঁজা হয়ে গেলে আদা বাটা দিয়ে আরো সামান্য ভেঁজে এবার একে একে পেঁয়াজ কিউব, কিছু মরিচ চিঁরে দিয়ে দিন এবং ভাল করে ভেঁজে নিন।
মোরগের মাংস গুলো নরম হয়ে গেলে এবার সবজি দিয়ে দিন।
ভাল করে মিশিয়ে কষিয়ে নিতে থাকুন। এই পর্যায়ে এক চা চামচ গোল মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দিয়ে দিন এবং মিশিয়ে নিন।
আগুনের আঁচ মাধ্যম হবে। বেশী আঁচে নয়।
মিনিট দশেকের জন্য ঢাকনা দিয়ে রাখুন। মাঝে একবার নাড়িয়ে দেবেন।
এবার হাফ কাপ পানিতে দুই চা চামচ চালের গুড়া মিশিয়ে ভাল করে গুলিয়ে নিয়ে সব্জিতে দিয়ে দিন। (এটা দেয়া হয় সব্জির ঝোলকে গাঢ় করার জন্য)। আরো কয়েকটা কাঁচা মরিচ চিঁরে দিতে পারেন।
আর ঢাকনা দেবার দরকার নেই। ঢাকনা দিলে সব্জির রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মাধ্যম আঁচে ঢাকনা খুলেই রাখুন। ঝোল কেমন রাখবেন, আপনি ভেবে নিন। তবে এই পর্যায়ে ফাইন্যাল লবন দেখে নিন, লাগলে দিন। স্বাদ কেমন হল তাও দেখে নিতে পারেন!
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। এমন চোখ জুড়ানো সবজি দেখলে কে খাবে না বলুন। শিশুরা তো খাবেই।
আমাদের এই সবজি স্বাদে কেমন হয়েছিল! আমার রান্না টেষ্টার বুলেট শুধু বলছিলো, আগামীতে এভাবেই সবজি রান্না করবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
বেশ ইয়ামি লাগছে… আমাদের বাড়িতে এই রকম সব্জির আনাগোনা বেশ নিয়মিত… কারো কারো কাছে এ ধরনের রান্না ভালো লাগে না, তবে আমাদের মোটামুটি ফেভারেট… 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ শরীফ ভাই।
হা, অনেকে মিক্স সবজি পছন্দ করেন না বলে এমন ভেবে থাকেন। আবার এটাকে বিদেশী রান্না এবং কাঁচা দেখতে বলে মনে করে পছন্দ করেন না। তবে আমি নিশ্চিত ওনাদের বার কয়েক খাইয়ে দিলে, পছন্দ করা শুরু করবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
সেটা ঠিক। তবে অনেকে আবার দেশী খাবারের বাইরে চিন্তাই করতে পারেন না। উনাদের অবশ্য খুশি করা খুব কঠিন।
LikeLike
হা হা হা…। আছে, এমন অনেকে আছে! তবে এরা সংখ্যায় কমে যাচ্ছে!
LikeLike
দারূন হয়েছে । এটা পরোটা দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগবে মনে হচ্ছে ।
LikeLike
হা বোন, রুটি বা পরোটা দিয়ে এই রান্না বেশ ভাল লাগে। পোলাউ দিয়েও চালানো যাবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
খুব সুন্দর রঙ হয়েছে।
আমিও এখন থেকে কর্ণফ্লাওয়ারের পরিবর্তে চালের গুড়ো দিবো।
শেখার কোনো শেষ নেই।
LikeLike
ধন্যবাদ আপা,
আপনি সঠিক জায়গাতে ধরেছেন। আমি এটা দেখতে চাইছিলাম, এই বিষয়ে কেহ কিছু বলে কিনা! আসলে চালের গুড়াই আমার কাছে ভাল লাগে, কর্ণফ্লাওয়ার দিলে ঝোল টা আর একটু বেশি গাঢ় হয় মাত্র। স্বাদে তেমন গরমিল দেখি না। এটা আমার প্রিয় সবজি রান্নার একটা। আমি কয়েকবার রান্না করে দেখেছি। ভাল লাগে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Vai jan, nice and …..lovely!
LikeLike
ধন্যবাদ রেদোয়ান ভাই।
LikeLike
vai, dekhlm ” Moroger mangso ” eta ki “murgir mangso diye banano possible??
LikeLike
ধন্যবাদ ব্রাদার!
হা হা হা…।। মোরগ/মুরগী যে কোন একটা দিয়েই রান্না করুন! রান্নার পর কোনটা মোরগ আর কোনটা মুরগী চিনবেন কি করে!
হা হা হা…
ভাল থাকুন। রেসিপি দেখার জন্য শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD
Nice recipe really so yaamy….
LikeLike
অনেক আশা নিয়ে এসে দেখি সব চিচিংগা রেসিপিতেই প্রাণীজ অংশ ব্যবহারের কথা লেখা আছে। তাই আপাতত মাছ-মাংস-ডিম বাদ দিয়েই আপনার বাকি রেসিপি অনুসারে রেঁধে দেখি কেমন হয় ! 🙂
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ আপনাকে।
রান্নায় কোন অংশটা বাদ দিয়ে রান্না করবেন এটা আপনি নিজেও নির্বাচন করতে পারেন। স্বাদ হবে না এটা বলা যাবে না। তবে মাছ মাংশ বাদ দিয়ে রান্না করা কোন ব্যাপার না। সামান্য মশলা একটু কম দিলেই চলবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Apnader post gulo pori.,onk valo lage
Khub sundor kore guchiye tule dhoren 🙂
LikeLiked by 1 person
আপনাকেও ধন্যবাদ। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, যারা নুতন রান্না করতে আগ্রহী তাদের জন্যই।
শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি টিপস লিখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ এটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ আপনাকে, আনন্দে কাটুক সারা জীবন।
LikeLike