ফলফলাদি উপরওয়ালার বিশেষ নেয়ামত। ফলফলাদি তিনি গভীর জঙ্গল থেকে বাসা বাড়ির সামনে সব জায়গাতে সব সময় হাজির করে রাখেন। মানুষ সহ জগতের প্রায় সকল প্রানীই ফলফলাদি খেতে ভালবাসেন। ফলের মত রং বা স্বাদ কোন মানুষ আজও বানাতে পারে নাই এবং পারবেও না! ফলের মিষ্টি বা স্বাদ এমনি যে, কেহই খেয়ে ভাল নয় বলতে পারে না!
হাতে সময় নেই চলুন, এই ফলফলাদি দিয়ে একটা কাস্টার্ড বানানো দেখি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। ছেলে বুড়ো সবাই এমন কাষ্টার্ড পেলে বেশ মজা করে খাবে। আসুন দেখে ফেলি। কথা আরো বলা যাবে, সময় আছে!
উপকরনঃ (পরিমান সামান্য এদিক সেদিকে কি আসবে যাবে!)
– আম
– কলা
– আপেল
– পেয়ারা
(আপনি চাইলে আরো অনেক ধরনের ফল যোগ করতে পারেন)
– কাস্টার্ড পাউডার (বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, যাতে সব কিছু দেয়া থাকে, দুই টেবিল চামচ হাফ লিটার দুধের জন্য)
– দুধ (হাফ লিটারকে জ্বাল দিয়ে কমিয়ে নিতে হবে)
– চিনি (ইচ্ছানুসারে দেয়া যেতে পারে তবে ডায়বেটিক্স রোগীদের জন্য মাথায় চিন্তা থাকতে হবে)
প্রনালীঃ
দুধ গরম করার আগে সামান্য দুধ নিয়ে তাতে দুই টেবিল চামচ কাস্টার্ড পাউড়ার মিশিয়ে নিতে হবে। এটা এইজন্য যে, গরম দুধে কাষ্টার্ড পাউডার দিলে বেশি ঘন হয়ে যাবে।
দুধ গরম করে ঠান্ডা করে এবার সেই মিশ্রণটা মিশিয়ে নিন। ব্যস হয়ে গেল কাস্টার্ড মিক্স।
ফলফলাদি যোগাড় করুন।
ব্রীক স্টাইল এ কেটে জমা করে ফেলুন।
এবার প্লেটে প্রথমে কাস্টার্ড মিক্স দিন এক দফা।
এভাবে।
এবার ফলফলাদি (স্তরে স্তরে দিতে পারেন) দিন।
আহ, কি সুন্দর ফলফলাদি।
আহ…
এবার বাকী কাষ্টার্ড মিক্স দিয়ে দিন।
আরো কিছু ফল দিন (এই বিশেষ পেয়ারা গুলো আমরা পেয়েছিলাম ময়মনসিংহ থেকে)
এভাবে নরমাল ফ্রীজে কিছুক্ষনের জন্য রেখে দিন।
পরিবেশনের আগে মিশিয়ে নিন এবং পরিবেশন করুন।
ফ্রুট কাস্টার্ড! আহ…
(বাংলাদেশে প্রায় সব ফলেই ভেজাল মিশানো। কোনটাতে ফরমালিন, কোনটাতে কার্বাইড বা অন্য কোন ক্যামিকেল। ফল দোকানের ধারে কাছেও যেতে ইচ্ছা হয় না! বিষের এই ভেজালে আমরা সবাই অসহায়, খেলেই ক্যান্সার হবে এমনটা মনে জেগেই থাকে। উপরওয়ালার দেয়া এই নেয়ামতে যারা বিষ মিশাচ্ছে আমি সরাসরি তাদের ফাঁসি চাই। খাদ্যে দ্রব্যে ভেজাল মিশায় যারা তাদের কোন কথা ছাড়াই ফাঁসি চাই।)
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
এটা আমার ছেলের খুব প্রিয়। ঐসব বিষের ভয়েই এখন আর বানানো হয়না।
দেশের বাইরে ছোলা, পেয়াজু রোজ না খেলেও প্রান ভরে নির্ভেজাল টাটকা ফল খেতে পারছে এটাই সান্তনা।
LikeLike
ধন্যবাদ আপা,
আমি ফলের দোকানের ধারে কাছেও যেতে চাই না। দেখলেই ভয় লাগে। এর পরও দামের কথা ভেবেছেন? এখন এক কেজি আপেলের দাম ১৮০ টাকা, যা কিছু দিন আগেও ছিল ১২০ টাকা। সাগর কলা যার দাম কিছুদিন আগেও ছিল ৭০-৮০ টাকা ডজন, আজ কিনলাম ১২০ টাকা ডজন। একে তো বিষ তার উপর দাম দেখেন!
হা, আপা, এটা ঠিক। প্রবাসীরা বিষ মুক্ত ফল খায়, আমিও প্রবাসে অনেক ফল খেয়েছি (খাচি ভরে কিনেছি), এখন ছেলের, ব্যাটারীর মুখের দিকে তাকাই! ওদের খাওয়াতে পারছি না। দুঃখজনক ব্যাপার।
এই সব বিষ না দিলে ফলের দাম কম হতে বাধ্য, দোকানীরাও তাড়াতাড়ি বেচতে বাধ্য হত।
খাদ্যে ভেজালকারীদের ফাঁসি ছাড়া গতি নাই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ফল দিয়ে অনেক কিছু করা যায় । আমরা অবশ্য ফালুদা করে খেয়েছি । ক্যাস্টার্ড পাউডার এর আলাদা কোন স্বাদ কি আছে ? আমি জানি না তাই জানতে চাইলাম ।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
ক্যাস্টার্ড পাউডার সাধারণত একটু বড় গ্রোসারীতে পাওয়া যায়। হা, নানান ফ্লেবারের ক্যাস্টার্ড পাউডার আছে। এর মুল কাজ হচ্চে দুধকে ক্রীমে পরিনত করা এবং ঘ্রান তৈরি করা। এ ছাড়া ক্যাস্টার্ড পাউডার এর আরো নানান ব্যবহার আছে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
পেয়ারাগুলা পুরো ডিসটার চেহারাই পালটে দিয়েছে!! আসলেই খেতে ইচ্ছে করছে। 😀
LikeLike
ধন্যবাদ শরীফ ভাই। এই পেয়ারা সাধারণত পাওয়া যায় না, আজ ময়মনসিংহ থেকে মেয়ের জামাই (বৈবাহিক সুত্রে, আমি উকিল বাপ) এনে দিল, ওদের বাড়ির গাছের। দেখে বেশ ভাল লাগল।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
amader basay fol khaoa niye bises apotti ace (amar e besi) tai amma rojay ei rokom kore custerd/salad koren sob fruits diye…..segulo abar thik e khai :p
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
হা হা হা… আসলে ফল দেখলে কার না খেতে ইচ্ছা হয়। কার না লোভ হবে…
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আমার কুম্ভকর্ণ অনেক কিছুই মনে রাখতে ভুলে যায় কিন্তু বাইরে গেলে আম আনতে ভোলেনা। সে নিজে তো খায়না। আমার পছন্দ বলে হাজার নিষেধ সত্ত্বেও সে আম নিয়ে আসে। আর এই নিয়েই আমাদের ঝগড়া বেধে যায়। ( ঝগড়া আমিই বেশী করি) আজও ৪ কেজি ফজলি নিয়ে এসেছে। আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে স্বপ্নতে বলেছে এগুলো ফরমালিন মুক্ত।
সব সময় কুম্ভকর্নের নেগেটিভ দিকগুলোই বলি, আজ দাম্পত্যের এই মধুর দিকটি তুলে ধরলাম। 😛
LikeLike
হা হা হা…।। আপা, এটাই ভালবাসা!
LikeLike
কাস্টার্ড জিনিসটা খেতে দারুণ!!!
কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এখন ও বাসায় বানিয়ে খাওয়া হয় নি।
রোজার মধ্যেই একবার বানাতে বলব আম্মুকে
LikeLike
ধন্যবাদ ভাতিজা।
হা, এটা বেশ মজাদার খাবার। শুধু রোজায় না মাঝে মাঝে খেতে পারেন।
কাস্টার্ড পাউডার কিনে নরমাল ফ্রীজে রাখলে অনেকদিন ভাল থাকে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ভাইয়া, প্রথমে ঠাণ্ডা দুধের সাথে কাস্টার্ড পাউডার মিক্সড্ করে সেটা গরম করা হলে একটা সাদা রঙের মিশ্রণ দাঁড়াচ্ছে, এরপর যে হলুদ তরলটা অ্যাড করা হলো সেটা কিসের মিশ্রণ?
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
“দুধ গরম করার আগে সামান্য দুধ নিয়ে তাতে দুই টেবিল চামচ কাস্টার্ড পাউড়ার মিশিয়ে নিতে হবে। এটা এইজন্য যে, গরম দুধে কাষ্টার্ড পাউডার দিলে বেশি ঘন হয়ে যাবে।”
এটাই হচ্ছে হলদে রং এর সেই মিশ্রন।
মানে পুরা দুধে কাস্টার্ড পাউডার মিক্স না করে একটা বাটিতে আলাদা করে মিশ্রন করা হয়। পরে তা দুধে মিশিয়ে দেয়া হয়।
আশা করি বুঝতে পারছেন। গরম দুধে কাস্টার্ড পাউডার দিলে বেশী গাঢ় হয়ে যাবে। তাই এভাবে করা হয়।
শুভেচ্ছা।
(দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য সরি, দুঃখিত)
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD
আপনি না থাকলে, কত মজার খাবার খাওয়া থেকে বঞ্চিত হতাম উদরাজি ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ।
LikeLiked by 1 person
আপনাকেও ধন্যবাদ বোন। আপনাদের ভালবাসাই কাম্য। আমি আছি আপনাদের সাথে। শুভেচ্ছা।
LikeLike
খুব ভালো লেগেছে
LikeLiked by 1 person