ইফতারে আমরা বেশী খাবার খাই না বা খেতে চাই না। সারা বছর যেভাবে চলে সেভাবেই। নাস্তার বদলে ইফতার এটাই আমার কাছে চিন্তা হয়। ইফতার এবং সেহরি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা বেশ ভাল চলে না। আমি প্রবাসে এবং ব্যচেলর লাইফে ইফতার এবং সেহরি নিয়ে যে কষ্ট পেয়েছি, তা নিয়ে লিখলে হয়ত একটা ‘কান্নার বই’ হয়ে যাবে। কত দিন ইফতারেও কিছু খাই নাই, আবার সেহরিতেও কিছু খাই নাই। এটা প্রবাস জীবন এবং ব্যচেলর লাইফে (মেসে/হোটেলে) বেশী হয়েছে। কাজে কাজে রোজা আসলেই আমার সেই সব কথা মনে পড়ে যায়। এখনো যে ভাল আছি, সেটাও না। চাকুরীতেও ইফতার নিয়ে অনেক সমস্যা হয়!
অনেকে হয়ত বলতে পারেন, কেন এমন হয়। হা, হাতের কাছে খাবার থাকলেও অনেক সময় খেতে পারা যায় না, হয় টাকার অভাবে নতুবা সন্মানের ভয়ে নতুবা অন্য কিছু। প্রবাসে থাকতে রান্না না জানার কারনে সাধারন খাবার জুটাতেই সব সময় ভয়ে থাকতাম! ইন্ডিয়ান হোটেলে কত খাওয়া যায়। হোটেলে খাবার খেতে টাকাও লাগে বেশী এমন অবস্থায় হোটেলে ইফতার না করে সামান্য কিছু কিনে বাসায় বসে থাকতাম। এদিকে মসজিদে ইফতারের জন্য যেতেও ইচ্ছা হত না, কেহ দেখে ফেলবে? ফ্রী ইফতার খেতে আসছি, এটা অন্যকেহ পারলেও আমি পারি নাই কোন দিন। না খেয়ে থাকা সম্ভব আমার পক্ষে কিন্তু খাবারের জন্য ছোট (কখনো বিবেকের কাছে) হতে পারি নাই কোন দিন।
যাই হোক, ব্যচেলরদের জন্যও এই সমস্যা। আত্মীয় কারো বাসায় ইফতারে যাওয়াও বেশ মুস্কিল, ভাব্বে ফ্রী ইফতার করতে এসেছে। তা ছাড়া আজকাল সবাই কেমন আছে, কি খাচ্ছে কে জানে? অন্যের স্থানে ভাগ বসানো চলে না। তবে ব্যচেলররা মজা পায় কোন পার্টি মার্কা/ সম্মিলনী মার্কা ইফতার অনুষ্ঠান হলে। গর্ব করে যাওয়া যায়, আড্ডা দেয়া যায়। যাই হোক, আজ ফেইসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, রোজায় বেশী কষ্ট পায় প্রবাসী এবং ব্যচেলররা। সবাই আমাকে সাপোর্ট করছেন। আপনারা দেখে আসতে পারেন।
আমি ইফতারে বেশী কিছু একদম পছন্দ করি না। ভাল কিছু এবং পুষ্টিকর কিছু। মোটা রুটি এবং সবজি ইফতারে আমার ফেবারেট! সাথে যদি থাকে এক গ্লাস শরবত এবং কয়েকটা খেজুর। ব্যস। আজ আমাদের বাসায় ইফতারে হচ্ছে লুচি এবং সবজি। আর খুচরা হিসাবে আছে শরবত, খেজুর। চলুন আমাদের আজকের মিক্স সব্জিটা আপনাদের দেখিয়ে দেই। লুচিটাও দেখিয়ে দেয়ার ইচ্ছা আছে।
উপকরনঃ
– মিক্স সবজি কেজি খানেক (পটল, কুমড়া, আলু, বেগুন, বরবটি, পেঁপে, লাউ)
– মুগের ডালঃ হাফ কাপ (ভেঁজে ধুয়ে নিতে হবে)
– আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
– জিরা বাটাঃ এক চা চামচ
– হলুদঃ এক চা চামচ
– পাঁচ ফোড়নঃ আদা চা চামচ
– শুকনা মরিচঃ পাচ/ছয়টা
– চিনিঃ ১ চা চামচ
– লবন
– তেল (হাফ কাপের কম)
– ধনিয়া পাতার কুচি
– কাঁচা মরিচ কয়েকটা
– পানি
প্রনালীঃ
ছবি ১
ছবি ২
ছবি ৩
ছবি ৪
ছবি ৫
ছবি ৬
ছবি ৭
ছবি ৮
ছবি ৯
ছবি ১০
ছবি ১১
ছবি ১২
ছবি ১৩
সবাইকে শুভেচ্ছা।
ভালো লাগলো। সহজ, সাধারন ইফতার আমারও পছন্দ। ইফতারের সময় মনে পড়ে আমাদের প্রিয় নবীজী(সাঃ) ইফতারে কখনো শুধু পানি পান করেছেন, কখনো মাত্র একটি খেজুর।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
আমরা আর সেই চেষ্টা করতে পারলাম কোথায়? অভাবে হয়ত কিছুটা এমন চিন্তা করি। আমাদের ধনীদের দেখছেন?
শুভেচ্ছা।
LikeLike
vaijan, sokalle ase apnar post ta dekhe….ROJA halka hoye gelo( karon jive pani ase gese)… ha ha..!
LikeLike
হা হা হা… রেদোয়ান ভাই, এটাই রোজার ফজিলত। দেখেও না খেয়ে থাকা।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ইফতারীতে আমাদের বাসায় কেউ খাবেন না সবজি আর লুচি । এটা রোজার পরে নাস্তা হিসাবে করা যাবে । বরাবরই নরম খিচুড়ি আর ছোলা / মটর ভুনা / সাথে আলুনি ।
LikeLike
অহো আরেকটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম , সবজি ভাজিতে মুগডালের ব্যবহার নতুন শিখলাম । ধন্যবাদ ।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। একবার রান্না করে দেখুন, আশা করি ভাল লাগবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
হা হা হা ……।। জানি বোন। কিন্তু এভাবে কয়েকটা দিন চালিয়ে দিন দেখুন সবার মত কি করে পালটায়। সামান্য খেজুর, পেঁয়াজু ও শরবত এর পাশাপাশি এমন কোন হেভী খাবার রাখুন। দেখুন কি করে সবাই পাল্টে যায়!
ভাজি বুট আমরাও খাই বা খেতাম, এখন পাল্টে গেছি। হা হা হা…
LikeLike
ভাইয়া, সবার শেষে সব্জি-টা ঘুঁটে দেয়ার আলাদা কোন সুবিধা/ কারন আছে কি?
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
আসলে এই গুটা এই জন্য যে, সব্জিকে মিহীন করে ভাল করে মিশিয়ে দেয়া। এতে স্বাদ বেড়ে যায়, দেখতে ভাল লাগে। তবে বেশি গুটা নয়! হা হা হা।।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ইফতারে বেশী ভাজি ভুজি এড়িয়ে চলাই ভাল। আমিও আপনার মত চিন্তা করছি।
LikeLike
ধন্যবাদ মানিক ভাই।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD