গ্যালারি

রেসিপিঃ পাঙ্গাস মাছ রান্না (কাঁচা মরিচ বাটা দিয়ে)


আমরা সাধারনত বেশীর ভাগ তরকারীতে শুকনা মরিচ গুড়া ব্যবহার করি। এই শুকনা মরিচের জন্য তরকারী ঝাল হয় এবং তরকারীর রং হয় লাল। এই লাল রঙের তরকারী আমাদের চোখে এমনি সয়ে গিয়েছে যে, তরকারী দেখতে লাল না হলে অনেকেই তরকারী দেখে নানান কথা বলেন এবং খেতে চান না! আসলে এই শুকনা মরিচ আমাদের জন্য খুব একটা ভাল তা বলা চলে না! এই মরিচের কারনে শরীরের নানান সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে বয়স বেড়ে গেলে (বুড়া হয়ে গেলে) কিংবা শিশুকালে এই মরিচের কারনে পাকস্থলীতে, বৃহদান্তে, পায়ু পথে নানান সমস্যা দেখা দেয়। আলসার, গ্যাস্টিক, পাইলস, কোষ্টকাঠিন্য সহ নানান রোগ আপনাকে নিমিশেই কাবু করে ফেলতে পারে।

তাই আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, শুকনা লাল মরিচ এড়িয়ে চলবেন (যত কম খেতে পারা যায়) এবং যারা ঝাল পছন্দ করেন তারা কাঁচা মরিচের ঝাল খেতে পারেন (যদিও যে কোন ঝালই পরিত্যাজ্য)। মরিচ ব্যবহার করে কি করে এক জন লোককে ধরাশায়ী করে ফেলা যায়, তা আমি আপনাদের অন্য একদিন, অন্য এক পোষ্টে গল্প শুনাবো।

সে যাই হোক, চলুন আজ কাঁচা মরিচ দিয়ে পাঙ্গাস মাছ রান্না দেখি। চোহারা দেখে হয়ত তেমন মনে হবে না, কিন্তু স্বাদ চমৎকার হয়েছিল। আমাদের রান্না টেষ্টার বুলেট বেশ পছন্দ করেছিল।

অনেক আগের কেনা পাঙ্গাস।

উপকরন ও প্রনালীঃ

মশলা পাতি সাধারন। কড়াইতে তেল গরম করে তাতে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুচি ভেঁজে তাতে রসুন, জিরা, কাঁচা মরিচ বাটা এবং হলুদ গুড়া দিয়ে সামান্য পানি দিন এবং হয়ে গেল ঝোল। এই ঝোল কষিয়ে তেল উঠিয়ে নিন।


এই অবস্থায় নিয়ে আসতে দেরী হবে না।


এবার পাঙ্গাস মাছের পেটি দিয়ে দিন। সামান্য সময় কষিয়ে নিন,  মাছ থেকে এমনি পানি বের হয়।


এবার ঢেকে রাখুন মিনিট ২০ এর জন্য। আগুন মাধ্যম আঁচে, মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না।


এও অবস্থায় এসে যাবে। কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিতে পারেন।


যদি মনে হয় মাছ গুলোতে মশলা ভাল করে প্রবেশ করে নাই এবং একটু ঝোল রাখবেন, তা হলে আরো হাফ কাপ পানি দিতে পারেন এবং মাধ্যম আঁচে আরো কিছুক্ষন চুলায় রাখুন।


ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন। কিছু ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে দিতে পারেন।


ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


লাল মরিচ ছাড়া হয়ত তরকারীর রং ভাল দেখায় না কিন্তু আমি মনে করি আলাদা একটা স্বাদ পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে সেই স্বাদ পেলে জিহব্বা কি আপনাকে মন্দ বলবে? হা হা হা…

সবাইকে শুভেচ্ছা।

(শুকনা লাল মরিচের গুড়া খাইয়ে কি করে একজন মেরিকান মহিলা তার ধনী স্বামীকে হত্যা করেছিল, সেই গল্প আর একদিন, অন্য পোষ্টে করবো।)

10 responses to “রেসিপিঃ পাঙ্গাস মাছ রান্না (কাঁচা মরিচ বাটা দিয়ে)

  1. দেখেই জিভে জল চলে এলো । এটা ঠিক বলেছেন মাঝে মাঝে লাল মরিচের গুড়োর বদলে কাচামরিচ বাটা দিয়েও রান্না করা যেতে পারে এতে স্বাদ বদলও হবে ।

    Like

    • ধন্যবাদ বোন।
      লাল মরিচের গুড়া দিন, তবে সব সময়েই বুঝে শুনে। বেশী ঝাল খাওয়া বাহাদুরী নয়, এটা সবাইকে বলে যাবেন।

      শুভেচ্ছা।

      Like

      • আপনাকেও ধন্যবাদ । কমেন্ট করা তারিখ টা ঠিক নেই । আজ ১০ জুলাই আর কমেন্ট এ দেখাচ্ছে ১০ জুন । Settings থেকে ঠিক করে নিন ।

        Like

        • ধন্যবাদ বোন। এটা আসলে ওয়ার্ডপ্রেস এর সমস্যা। আমরা ওয়ার্ডপ্রেস এর বাংলা ভার্সান ব্যবহার করি, সেখানেই এই ভুল বলে আমার মনে হয়। জুলাই এর স্থলে জুন লিখা হয়েছে।

          গত বছরও এই সমস্যা ছিল। দেখি আমি ওদের লিখবো।

          শুভেচ্ছা।

          Like

        • বোন, দেখুন সেটিং এ ভাষা ইংরেজী করাতে দেখুন মাস ইংরেজীতে ঠিক আসছে। আসলে ওয়ার্ডপ্রেস এ যারা ইংরেজী থেকে বাংলা করছে এটা তাদের টাইপিং মিস্টেক বলে মনে হচ্ছে। ওরা July মাসকে জুন (সংক্ষেপে) লিখে দিয়েছে। এটা ঠিক করার আপাতত আমি কোন উপায় দেখছি না।

          চলুক। কি আর করা।

          Like

  2. আমার মায়ের কথা মনে করিয়ে দিলেন। আম্মা এক মাত্র মাংসে সামান্য শুখনা মরিচ ব্যাবহার করতেন। ছোট, বড় যে কোনো মাছের তরকারীতে নামানোর আগে ৫/৬টা কাঁচামরিচ অল্প চিঁরে দিয়ে ঢেকে দিতেন। কখনো শুখনা মরিচ দিতেন না।

    আপনার কাছ থেকে শিখে আমিও মাঝে মাঝে বাটা কাঁচামরিচ দিয়ে মুর্গী ভুনা করি।

    Like

  3. পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD

  4. জিরা কি আস্ত দিতে হবে নাকি গুড়ো?

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]