গ্যালারি

রেসিপিঃ ঢেঁড়স/ বেন্ডি রান্না (কয়েকটা চিংড়ি যোগে)


বাজারে গেলে এখন প্রচুর তরু তরকারী চোখে পড়ে! তবে আমরা সাধারনত আমাদের দাগের বাইরে যেতে চাই না। সেই চির চেনা, চীর পরিচিত শাকশব্জি এবং তরু তরকারী আমরা কিনে নেই। আমাদের চোখে সয়ে যাওয়া জিনিষ পত্র কিনতেই আমরা পছন্দ করি। এ ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায় নেই। আজকাল অবশ্য অনেকে নানান পরিসংখ্যান দেন, বাজারের জিনিষ পত্রের দাম  এবং সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা নিয়ে!

আমি মনে মনে হাসি, গত প্রায় ৩০ বছর বাজার করেই চলছি (না কিনলেও বাজারের উপর দিয়েই হেঁটে বেড়াই)! নানান দোকানদার আমাকে দেখেই চিনে ফেলে, নানান কথা বলি। কিছু দোকানদার আমাকে পেলে কথার ফুলঝুড়ি শুরু করে দেয়।  আমার মনে হয় বর্তমানেই মানুষের ত্রুয় ক্ষমতা যে কোন সময়ের তুলনায় কম। সাধারন মানুষ এখন বাজার তথা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা মিটাতে পারছে না। সবাই সয়েই যাচ্ছে, আসলে এমন এক সময়, না পারছে কইতে!  আমি প্রায় দেখি যারা এক কেজি করে নানান তরু তরকারী কিনে ফিরতেন (আমি সহ), এখন হাফ কেজি কিনতেও নানান কথা বলে কিনেন। বর্তমানে প্রায় সব তরকারীর মুল্য কেজি ৪০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। সাধারন চাহিদার তরকারীর মুল্য ৬০ টাকা কেজি!

চরম সত্য হচ্ছে দেশের বেশীর ভাগ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে নাই। কিন্তু মুল্য বৃদ্বি ঘটেছে দফায় দফায়!

দুনিয়াতে জানার আছে অনেক কিছু। ঢেঁড়স আগে ধুয়ে নিয়ে কাটতে হয়। যদি কেটে নিয়ে ধুতে যান তবে খবর আছে!

উপকরন ও প্রনালীঃ

কড়াইতে তেল গরম করে সামান্য লবন যোগে কিছু পেঁয়াজ কুচি এবং কিছু চিংড়ি মাছ ভাঁজুন। তার পর একে একে এক চামচ রসুন বাটা, কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে আবারো ভাঁজুন। এক কাপ পানি দিয়ে তাতে সামান্য হলুদ গুড়া এবং মরিচ গুড়া দিয়ে কষিয়ে ঝোল বানিয়ে নিন। ঝোলের তেল উঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।


এবার ঢেঁড়স দিয়ে দিন। হাফ কেজি ঢেঁড়স।


ভাল করে নাড়িয়ে মাখিয়ে নিন। মিনিট পাঁচেক ঢেকে রাখুন।


এবার পরিমান মত পানি (হাফ থেকে এক কাপ লাগতে পারে) দিন। ঢেঁড়স তাজা হলে পানি কম লাগে।


আবারো মিনিট ১৫ এর জন্য ডেকে দিন। আগুনের আঁচ মাঝারি থাকবে।


মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না। ফাইন্যাল লবন দেখুন। লাগলে দিন। আর ঢাকনা দেবার দরকার নেই, ঢাকনা দিলে ঢেঁড়স এর রং কালো হয়ে যাবে।


ব্যস পরিবেশনের জন্য রেডী।


মনে রাখবেন ঢেঁড়স গর্ভবতী মায়েদের জন্য চরম উপকারী একটা তরকারী এবং শিশুদের জন্যতো বটেই। যারা ঢেঁড়স খেতে চান না, তারা ভুল করে যাচ্ছেন।

সময় থাকতে সাবধান হউন। সময় গেলে সাধন মিলে না!

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

7 responses to “রেসিপিঃ ঢেঁড়স/ বেন্ডি রান্না (কয়েকটা চিংড়ি যোগে)

  1. emon korey amrao dheros ( ladys finger 😛 ) vaji kori udar vai ..ekdom same same 🙂

    Like

  2. বুঝতে পারছি রান্নাটা কেমন মজা হয়েছে । আমরা সাধারণত ( কুমড়া দিয়ে চিংড়ী / চিচিঙ্গা দিয়ে চিংড়ী / লতা দিয়ে চিংড়ী ভাজি খাই ) কখনো ঢেঁড়স দিয়ে খাই নি । আজ একটা নতুন আইডিয়া পেলাম আপনার কাছে । ধন্যবাদ ।

    Like

    • ধন্যবাদ বোন। আপনার আন্তরিকতায় আমরা খুশী। আসলে আমরা একটু এদিক ওদিক করে রান্নার চেষ্টা করি। বিশেষ করে আমি ‘নেই বা হবে না’ এটার সাথে এটা না হলে হবে না এমন ভাবতেই চাই না। আমি রান্না শিখে যাবার পর (মধ্যবিত্ত পরিবারের যা অবস্থা আর কি) কিছুই আর ফেলছি না! হা হা হা… এদিকে ১০০০ রেসিপির টার্গেট আছে আমাদের। তবে রান্না করে নিলেও স্বাদ না হলে সেই রেসিপি পোষ্ট আকারে আসে না। আমি তা কখনোই দেই না। কত রান্না এভাবে শেষ হয়েছে, হা হা হা।।

      যাই হোক আশা করি চেষ্টা করবেন। আবারো ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

      Like

  3. পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]