গ্যালারি

ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ৪ (রাস্তার/ফুটপাতের খাবার)


রাস্তার ধারের খাবারের দোকানের জন্য থাইল্যান্ড বেশ বিখ্যাত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফুটপাতে এই সকল মজাদার খাবার পাওয়া যায়। কত প্রকারের, কত হাজার কোটি খাবার আছে তা বলে শেষ করা যাবে না। এবারের ব্যাংকক আমাদের একবারের জন্যও ফুটপাতের খাবার খেতে হয় নাই (আমি একা হলে হয়ত নানান খাবার খেয়ে দেখতাম)!

চলার পথে ফুটপাতের একটা দোকানে কিছু খাবারের ছবি তুলেছিলাম তা আপনাদের দেখিয়ে দিচ্ছি। ব্যাংককের ফুটপাতের দোকান গুলোর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা দেখার মত। শহরে কোন ধুলাবালি নেই বলে ফুটপাতের দোকান গুলো বেশ ঝকঝকে তার পরেও তাদের খাবার ঢেকে রাখার কৌশল এবং পরিচ্ছনতা দেখে রাখার মত।

আসুন খাবার দাবারের ছবি গুলো দেখে ফেলি।


আনন্দময় ফুটপাত।


চিকেন কাবাব।


এটা কি জিনিষ তা আমার জানা হয় নাই। ফুটপাতের দোকানীরা ইংরেজী তেমন একটা জানেন না বা চেষ্টাও নেই! শুধু ইশারা দিয়েই বিদেশীদের কাছে সব কিছু বিক্রয় করে থাকেন। কিংবা দোকানে রাখেন ক্যালকুলেটর, তাতে দাম লিখে কাষ্টমারদের দেখিয়ে থাকেন।


এটাও কিসের কাবাব, বলতে পারবো না।


এটাও বলতে পারবো না।


এই মাছটা থাইল্যান্ডের বেশ জনপ্রিয় মাছ, থাইরা ভেঁজে কিংবা পুড়ে খেয়ে থাকে। খেতেও সুস্বাদু (এটা আমি আমার বন্ধুর বাসায় খেয়েছিলাম, সেটা পরে দেখাচ্ছি)। কাটা নেই, মাথাটা বাঁকানো। এখন আফসোস হচ্ছে এই মাছ নিয়ে আরো বেশি জানা উচিত ছিলো। কোন পাঠক/পাঠিকা এই মাছের বিশদ জানলে জানালে খুশি হব।


তেলাপিয়া কাবাব।


মাগুর মাছের কাবাব। অদ্ভুত, অদ্ভুত!


এভাবে ওরা কি একটা খাবার রান্না করে। সামান্য সময়ে দেখেছি, অনেক কাঁচা সবজি এবং মশলা মিশিয়ে সালাতের মত করে একটা খাবার তৈরী করে, যা দেখতে বেশ।


নানাবিধ ফলের জুস ও ফলফলাদির জন্য ফুটপাতের জুড়ি নেই। একদম টাটকা, এরা মনে হয় এখনো ভেজাল মিশানো শিখে নাই! হা হা হা…


গাছ পালায় ভরা মায়াবি ফুটপাতে হেঁটে যে মজা তা বলে বুঝানো যাবে না। ওদের ফুটপাতে হাঁটবেন আর আমাদের দেশের ফুটপাতের কথা মনে করবেন! আহ, কোথায় চলছি আমরা!


অনেক বিদেশীকেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে খেতে দেখা যায়।


আমাদের হোটেলের সামনেই ফুটপাতের চা কফির দোকান। মেয়েটা আমি হাটতে বা কাছে গেলেই হাসি মুখে আমাকে চা কফি দিতে চাইত। ইশারা দিয়ে কফি চাইতাম, চিনি ছাড়া! ফুটপাতের দোকান হলেও দোকান এবং মেয়েটার স্টাইল/পরিছন্নতা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।

ফুটপাতের আরো কিছু ছবি আছে, সুযোগ পেলে দেখিয়ে দেবার ইচ্ছা আছে। হাজার হাজার সরকারী কর্মকর্তা, হাজার হাজার রাজনীতিবীদ, ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা বিদেশ যাচ্ছে, তারা কি কিছুই দেখে আসে না, কিছুই শিখে আসে না!

ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ৩ (হোটেলে বাংলাদেশী খাবার)
ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ২ (ডিনার ইন দ্যা ক্রুজ)
ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ১ (ডিনার ইন দ্যা ক্রুজ)

11 responses to “ব্যাংকক আড্ডাঃ পর্ব ৪ (রাস্তার/ফুটপাতের খাবার)

  1. …….রেলের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের যাত্রীদের প্রয়োজন এবং অবকাঠামোর চরিত্র বিচার করেননি। তাঁরা কোম্পানি যেমন বানায়, সে অনুযায়ীই দরপত্র আহ্বান করেছেন এবং তেমন জিনিসই কিনেছেন; কার্যকারিতার দিকটি চিন্তা করেননি। অথচ এই কেনাকাটার নামেই ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা চীন সফর করেছেন। তাঁদের একটা অংশ আবার এই কাজে চার মাস চীনে অবস্থানও করেছে

    Like

    • ধন্যবাদ রেদোয়ান ভাই।
      আপনার কমেন্টের বিপরীতে একটা বড় জবাব লিখেছিলাম। চাপ দিতেই নেটের লাইন কোথায় গেল? এত বড় জবাব আবার টাইপ করা যাচ্ছে না।

      আসলে প্রিয় এই দেশ এখনো একজন ভাল রাষ্ট্র প্রধান পায় নাই। একজন ভাল মানুষ ক্ষমতায় গেলেই আমাদের হয়ে যেত।

      শুভেচ্ছা।

      Like

  2. Amra ki shudu dekhei zabo??!!! Amra ki kisue korte parbo na ………??

    Like

    • কঠিন প্রশ্ন রেদোয়ান ভাই। আসলে আমি মনে করি শুধু একজন মানুষ এসে গেলেই আমাদের আর কে ঠেকাবে? একজন আর্দশ দেশ প্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক। আমাদের বাকী সব কিছুই আছে, শুধু কাজে লাগাবার সময় ও পথ চাই।

      শুভেচ্ছা।

      Like

  3. …..কবে আসবে সেই সুদিন কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ……শুভেচ্ছা সাহাদাত ভাই!

    Like

  4. অসাধারণ ব্যাপার স্যাপার সাহাদাত ভাই। আমার বরাবরই স্ট্রীট ফুড দারুণ লাগে। দেখতেও, খেতেও। অসাধারণ বৈচিত্র্য, স্বাদ, রঙ আর গন্ধ। বেসিং মার্কেটিংয়ের শুরুটা সেখান থেকেই। দেখি..যাওয়ার ইচ্ছা আছে বিলাত। টাকার অভাবে পারছি না। 😦

    Like

    • ধন্যবাদ হাটুরে ভাই।
      নেটে আমরা যারা আছি, তাদের প্রায় সকলে আমরা নানান বিষয়ে ইউনিক! আমাদের সবার পছন্দ প্রায় কাছাকাছি।

      ঘুরে আসুন, বিদেশ ঘুরার চেয়ে আর কোন আনন্দ নাই! ঘুরে ঘুরে নানান দেশের মানুষ দেখার মধ্যেও একটা আলাদা আনন্দ আছে।

      (দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত)

      শুভেচ্ছা।

      Like

  5. পেটে সইলে যে কোন স্থানের খাবার খাওয়া যায়।

    Like

  6. হাজার হাজার সরকারী কর্মকর্তা, হাজার হাজার রাজনীতিবীদ, ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা বিদেশ যাচ্ছে, তারা কি কিছুই দেখে আসে না, কিছুই শিখে আসে না!

    No, they do not. I was having a look at the pictures and cursing us. I tell you what we are way behind to be civilized…….. way way behind……..We do not even know that we are uncivilized……see their food, their presentation, their footpath, their roads, lights, discipline. When we are compared with Europe, US, we say it it only 45 years of our independence, Now look at Thailand and come out with some nice excuses. I am sure we will since in one sector we are the champion of the champions which is ” giving excuses”.

    Liked by 1 person

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]