সামনে কিছু ভাল ভাল রেসিপি পোষ্ট আসছে। পুরানো কিছু পোষ্ট দিয়ে ছবির ডায়রী কমিয়ে ফেলা দরকার। বেশ কিছু দিন আগে গুলশা মাছ (আমি বলি গুল্লা মাছ) রান্না করেছিলাম সামান্য কিছু আলু দিয়ে। মাছ গুলো তাজা থাকলেও আমার ব্যাটারীর কারনে হালকা ভাজি করতে হয়েছিল। কুমিল্লা অঞ্চলে যে কোন মাছ না ভেঁজে খেতে পারেন না অনেকেই। আমি তাজা মাছ কখনোই ভাঁজার পক্ষে নই। তাজা মাছ ভাঁজলে, আমি মনে করি মাছের স্বাদ ও ঘ্রান ভিন্ন হয়ে যায়।
যাক, চলুন, যার যা ইচ্ছা। যে যেমনি খেতে চায়, তিনি তেমনি খেয়ে বেঁচে থাকুন। খাবার দাবার চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়। চাপা চাপি করে কাউকে খাওয়ালে তার খানেওয়ালার কষ্ট হয়। কাউকে কষ্ট দিয়ে কি লাভ! দুই দিনের দুনিয়া!
চলুন মাছ ভেঁজে রান্না দেখে ফেলি! গুলশা ফিস রান্না।
উপকরন ও প্রনালীঃ
মাছ গুলোতে সামান্য হলুদ মেখে তেলে ভেঁজে উঠিয়ে রাখুন।
চান্সে আলু গুলোও হালকা ভেঁজে নিন। (কাজটা আমিই করেছি, বাড়াবাড়ি)
এবার কড়াইতে তেল গরম করে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ ভাঁজুন। এক টেবিল চামচ রসুন বাটা দিয়ে দিন এবং ভাঁজুন। ভাঁজা শেষ হলে এক কাপ পানি দিন।
এবার সামান্য হলুদ এবং মরিচ গুড়া (মরিচের ঝাল বুঝে) দিয়ে কষিয়ে ঝোল বানিয়ে নিন। তেল উঠিয়ে নিন।
প্রথমে সামান্য ভাঁজা আলু গুলো দিয়ে দিন। এক কাপ পানি দিয়ে কষিয়ে নিন।
এবার গুলশা ফিস গুলো দিয়ে দিন। পানি লাগলে আরো কিছু পানি দিতে পারেন।
এবার ঢেকে রাখুন মিনিট ১০/১৫। মাঝে মাঝে খুন্তি দিয়ে নাড়িয়ে দিন।
এমন অবস্থায় এসে গেলে কাঁচা ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে দিন। এবং ফাইন্যাল লবন দেখুন। লাগলে দিন বা লাগলে ওকে বলুন।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
আশা করছি ভাল লাগবে। তবে বেগুন দিয়ে গুলশা মাছ ভাল জমে বলে আমি মনে করি! গুল্লা/গুলশা মাছ আপনারা কে কে পছন্দ করেন?
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আগামী সপ্তাহে আমার এই মাছ কেনার পরিকল্পনা আছে। আপনার রেসিপি দেখে আরো উৎসাহ পেলাম। আমিও মাছ না ভেজে খেতে পারিনা। আমার বাড়ি কিন্তু উত্তরবঙ্গে।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন।
আমিও মাছ ভাজি তবে সব মাছ না, তাজা মাছ আমি কখনোই ভাজি না।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
এই মাছের আরেক নাম টেংরা মাছ বোধহয় ? আমি সিলেট এ থাকি , এখানকার শহরে যারা থাকে তারা মাছ না ভেজে রান্না করেন না , আমি এদের দলে । তবে গ্রামে দেখেছি মাছ রান্না করার আগে ভাজা হয় না । যদি এটা টেংরা মাছ হয়ে থাকে তাহলে বলি , এই মাছ লাউ কিংবা পুইশাক দিয়ে খেতেও মজা । তবে আলু এমন একটা তরকারি যার সাথেই রান্না করা হউক না কেন স্বাদ পাবেন ই পাবেন । ভালো লাগলো আপনার রেসিপি ।
LikeLike
শারমিন, আমিও সিলেট শহরে থাকি। এটা গুলসা ট্যাংরা নয়, শুধুই ট্যাংরা।
আমি মাছ ভেজে রান্না করিনা। কিন্তু আমার মেয়ে সব মাছ ভেজে রান্না করে।
LikeLike
আমার আম্মা মাছ ভেজে রান্না করেন । তাই আমিও সেই পথে আছি ।
LikeLike
হা হা হা… ভেঁজে রান্না করার পক্ষের বেশী সাপোর্ট দেখছি!
LikeLike
হা হা হা… রান্নাতো আপা, এটা কি শুনালেন। আমাদের ভাগিনী সব মাছ ভেঁজে রান্না করে! বলেন কি! এটা কি ওর পছন্দ নাকি ওর বরের! অনেক সময় আমরা কমপ্রমাইজ করে ফেলি। আমাদের ভাগিনীর এমন হল না তো! হা হা হা… যাই হোক, রান্না জানে এটাই আমাদের গর্ব করার বিষয়।
ধন্যবাদ।
LikeLike
ভাইরে এইডা তো টেংরা মাছ তাই না ? দেখতে তো ভালোই লাগছে। বাহ ভালো তো ।
LikeLike
আমি যখন মাছ গুলো কিনি তখন ওরা গুলশাই বলেছিল। টেংরা মাছ আরো ছোট এবং শুকনা হয়। আমার ভুল হতে পারে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
LikeLike
রান্নাতো ভাই গুলসা ট্যাংরা সাদা হয়। দাড়ীগুলোও অনেক বড় বড়। এটা ট্যাংরা।
যাই হোক! কথায় আছে, আপ রুচি সে খানা, প্যার রুচি সে প্যাহনা। মানে নিজের রুচি মত খাও আর অন্যের রুচি মত পড়।( পরিধান করো) আমি অবশ্য মনে করি আমি কি পড়বো সেটাও আমার রুচির উপরই নির্ভর করে।
আমার মেয়ে আজন্ম আমার হাতের রান্না খেয়েও নিজে এখন মাছ না ভেজে রান্না করেনা। ওর কারনে ওর স্বামী/ শাশুড়ীও তাই খায়।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD