ছোট সোনামণিরা খাবারে পরিবর্তন চায়। আপনি চাইলেই তাদের সব সময় একই খাবার খেতে দিতে পারেন না। শিশুরা কিছুতেই তা গ্রহন করবে না। তবে কিছু কিছু খাবার শিশুরা প্রায় সব সময় পছন্দ করে থাকে, সেই রকম একটা খাবারের নাম হচ্ছে ‘কেক’। দুনিয়াতে নানান প্রকারের কেক আছে।
আজ শিশুদের (বুড়ো শিশুরাও খাবে) জন্য একটা ঘরে বানানো একটা সাধারন কেক দেখাবো। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। আপনারা যারা একটি অভিজ্ঞ রান্নাবিদ আছেন তারা সহজে এই রান্না করে ফেলতে পারবেন! রান্নায় লাগে সাহস, লাগে ধৈর্য। ব্যস! আর কি চাই।
চলুন দেখে ফেলি। ছবি বেশী দেখানো হল বুঝানোর জন্য। তাই বেশী গল্প নয়!
উপকরনঃ
– ময়দাঃ ১ কাপ
– ডিমঃ ৩টা
– চিনিঃ ১ কাপ (মিষ্টি কম চাইলে কম হবে)
– সয়াবন তেলঃ ১ কাপ
– গুড়া দুধঃ ২ টেবিল চামচ
– বেকিং পাউডারঃ ২ চা চামচ
– ভেনিলা এসেন্সঃ ২ ফোটা
– লেবুর রসঃ ২ চা চামচ
– কিসমিসঃ কয়েকটা
প্রনালীঃ
এক কাপ ময়দা।
ময়দা, বেকিং পাউডার ও গুড়া দুধ এক সাথে মিশিয়ে চেলে নিতে হবে। এটা মিশানোর জন্য করা হয়, এতে সব কিছু ভাল মিশে যায়। উপরন্তু কোন ময়লা থাকলে তা বের হয়ে যায়।
এগ বিটারে তিনটে ডিম ফাটিয়ে নিতে হবে। ভাল করে বিট করে নিতে হবে।
লেবুর রস, ভেনিলা এসেন্স, তেল ও চিনি দিয়ে একদম মিশে যাবার জন্য বিট করতে হবে। চিনি অবশ্যই গলে যেতে হবে তা না হলে কেক শক্ত হয়ে যাবে।
বিটের পর এই অবস্থায় চলে আসবে।
এইবার ময়দার মিশ্রনটি দুইবারের মিশাতে হবে। অর্ধেক দিয়ে বিট এবং অন্য অর্ধেক দিয়ে আবারো বিট করতে হবে।
এই ধরনের খাবারে ভাল মানের বেকিং সামগ্রী ব্যবহার করা উত্তম। সাধারন মানের খাবারের দোকান গুলোতে নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়, যা খেলে শরীরে পরে সমস্যা দেখা দেয়।
এই পর্যায়ে চলে আসবে।
এবার হাড়ি প্রস্তুত। তিন পার্টের হাড়ি (নিচের একটা, মাধ্যম মুল হাড়ি এবং ঢাকনা) গুলো কিনতে পাওয়া যায়, ২০০ থেকে ২৫০ টাকা মধ্যে। হাড়িতে (মধ্যম পার্টে) দুই চা চামচ তেল হাড়ির ভিতরের গায়ে মাখিয়ে নিতে হবে।
এবার মিশ্রণটি/কাইটি হাড়িতে ঢেলে নিতে হবে এবং ঢাকনা দিয়ে দিন।
এটি হাড়ির নীচের একটা অংশ। যা তাওয়ার উপর বসবে। আগুন সব সময় মাধ্যম আঁচে রাখাই ভাল। সময় একটু বেশী লাগলেও কেক ভাল হবে।
এবার তাওয়ার উপর (নিচের অংশটার উপর) হাড়ি বসিয়ে দিন। চুলা এই সময় মিডিয়াম আগুন আঁচে থাকবে।
১০/১৫ মিনিট পর ঢাকনা উলটে কিছু কিসমিস এভাবে বসিয়ে দিন। এই সময় কিসমিস দেয়া হয় যাতে কিসমিস গুলো হাড়ির নিচে না চলে যায়। কারন নিচের দিকের কাই কিছুটা শক্ত হয়ে যায়।
২৫ থেকে ৩০ মিনিটে এমন হয়ে যাবে। তারপরেও খেয়াল রাখতে হবে। মাঝে মাঝে উলটে দেখতে হবে। সামান্য ভুলে পুড়ে যেতে পারে।
ব্যস হয়ে গেল প্লেন হাড়ি কেক। ঠান্ডা করে একটা ছুরি দিয়ে চারপাশ ঘুরিয়ে হাড়ি থেকে কেক আলাদা করতে হবে। হাড়ি উলটে আস্তে আস্তে কেক বের করে আনুন। কেক ভেঙ্গে ফেলবেন না!
ইচ্ছা মত কেটে পরিবেশন করুন।
মজাই মজা! আমি নিশ্চিত, শিশুরা এই কেক বিকালের নাস্তায় কিংবা স্কুলের টিফিনে বেশ পছন্দ করবে। বুড়ো বাবুরাও চা খেতে খেতে এই কেক পেলে নিশ্চয় জিজ্ঞেস করবে, কে বানিয়েছে? আপনি তখন গর্ব করে বলতে পারবেন, আমি!
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
🙂
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ।
LikeLike
আমি তাওয়ার উপর টিফিনের বাটি রেখে কেক তৈরি করি । আগে এটা খুব ভালো পারতাম এখন একটা সমস্যা প্রায় হয় , তাহলো কেকের উপর দিক কাচা থাকে । আপনার রেসিপি গুলো আমি প্রায় পড়ি তবে মন্তব্য করি না । অনেক রান্না নতুন শিখতে পারছি আপনার ব্লগের মাধম্যে । আপনি এবং আপনার ব্যাটারী ২ জনেই অনেক ভালো কাজ করছেন । এটা অনেক পরিশ্রম এর কাজ আমি তা বুঝতে পারি । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ ভাই না বোন (নামটা দিলে খুশি হতাম)।
আপনার প্রথম কমেন্টের জন্য অভিনন্দন। আমাদের রেসিপির টার্গেট গ্রুপ হচ্ছেন, যারা রান্না শিখতে চান এবং যারা জানেন তাদের আরো এলাট করে দেয়া। আমরা আমাদের সীমিত চেষ্টায় তা করে যাচ্ছি।
আপনি ঠিক বলেছেন, বিষয়টা এত সোজা ছিল না। সারা বিশ্বে হয়ত আমরাই প্রথম যে এইভাবে প্রতিটা রান্নার রেসিপি দিয়ে থাকি। রান্না করা এবং ছবি তোলা একটা কঠিন কাজ। কতবার যে হাত ধুয়ে মুছতে হয় তা হয়ত অনেকে বিশ্বাস করবেন না! আমি রান্নার সময় কোমরে গামছা বেঁধেই নামি! হা হা হা।।
ব্যাটারীও আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এবং আবারো শুভেচ্ছা। আশা করি মাঝে মাঝে এসে কমেন্ট করে যাবেন। আমরা খুশি হব।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আমি নাম সহ মন্তব্য করার উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না তাই অজ্ঞাত পরিচয়ে মন্তব্য করতে হয়েছে। এখন পেয়েছি । ধন্যবাদ আপনাদের দুজনকেই এবং শুভেচ্ছা জানাই ।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন
হা, আপনার নামটা জেনে ভাল লাগল। আশা করছি মাঝে মাঝে এসে আমাদের দেখে যাবেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
hari ta ki cake bananor jonne e? ami taoar upor bati diye kori.
bitter diye moyda bit korle naki cake hard hoye jay tai haat diye mesano valo (amar rannar madam bolecilen eta)
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন।
হা, এই ধরনের হাড়িতে কেক বানানো হয়। মার্কেটে পাওয়া যায়। হাত দিয়ে বিট করলে এত মিহীন এবং সফট হয় না। সারা দুনিয়াতে মেশিন দিয়েই বিট করা হয় বলে জানি।
আপনার রান্না ম্যাডামকে আমাদের শুভেচ্ছা দিন। রান্না একটা ভালবাসা। একই রান্না নানা ভাবে করা যায়, অঙ্কের মত।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ওফ!!!!!!!!!!!!জটিলস!!!!!!
মোরব্বা দেয়া যেত মনে হয়
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ ভাতিজা।
হা, যে সময় আমরা কিসমিস দিয়েছিলাম, সেই সময় মোবব্বার টুকরা দেয়া যেত। বেশ ভাল হবে। আমাদের ছিল না এবং আমার বুলেট পছন্দ করে না বলে সেই চেষ্টা করি নাই।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আমি কয়েকদিন থেকে প্লেন কেক তৈরি করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু আমার কেক ঠিক সেফ এবং ফর্মে আসছেনা। আমার গ্যাস ওভেন আছে, তাতে চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমার কেক গুলো ফুলে উঠছেনা, উপর নিচ ঠিক মত হলেও মধ্যে কাচা থেকে যাচ্ছে। আমি ৯X৪ ইঞ্চি কেকের ডিশ ব্যবহার করি। আমার প্রশ্ন ২টি।
১। বাজারে যে কেক ৬০ টাকাতে পাওয়া যায় সে কেক ঘরে তৈরি করতে শুধু উপকরণে দাম পড়ে ১১০ টাকার মত ! সে কেক বাজারে ৬০টাকাতে কেমন করে বিক্রি করতে পারে? যেহেতু তারা ৬০ টাকা বিক্রি করছে তাই তাদের প্রডাকশন কষ্ট আরো কম হবে।
২। কেককে কি ভাবে চিপসে যাওয়া থেকে রক্ষা করা যায়?
ধন্যবাদ।
LikeLiked by 1 person
এটার একটা বিরাট উত্তর লিখলাম, সেটা গেল কোথায়? বুঝতে পারছি না।
LikeLike
ধন্যবাদ মুনিম ভাই, দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত। কারন ব্যস্ততা। আপনার উত্তর গুলো দেয়ার চেষ্টা করছি।
১। আমরা ঘরে যে কেক বানাই ঠিক সেই রকম একটা কেক আপনি ল্যাভেন্ডার, কুপার্স, মিঃ বেকারস, হটকেক, ইউসুফ সহ নানান মাঝারি দোকানে দেখতে পারেন, ১১০ থেকে ১২০ টাকা হবেই। যারা ৬০ টাকায় দিচ্ছে তারা নানা ভাবে ফাঁকি দিচ্ছে। মানে তেলের বদলে ডালডা বা পাম ওয়েল, চিনির বদলে সেকারিন, বাজারের ভাঙ্গা ডিম, কম দামের খোলা ময়দা, ভাল মানের বেকিং পাউডারের বদলে খাবার সোডা দিচ্ছে। সাথে আছে অনেক প্রোডাকশন সুতারাং ওরা দিতেই পারে। তবে নিশ্চিত এই ধরনের কেক কয়েক দিন খেয়ে গেলে শরীরে সমস্যা হবেই।
২। এই কারন গুলো দেখতে পারেন। ক) ডিমের পরিমান যথাযত হতে হবে। খ) সঠিকভাবে বিট করতে হবে মানে ভাল করে মিশিয়ে মিহীন করে নিতে হবে এবং সাথে সাথেই তা প্যানে তুলে দিতে হবে। গ) ভাল মানের সঠিক মাত্রায় বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে। আমরা ফষ্টার ক্লার্ক দিয়ে ভাল রেজাল্ট পাই। ঘ) ওভেনে এমন ভাবে রাখুন যাতে চারিদিকে সঠিক মাত্রায় তাপ লাগে।
শুভেচ্ছা। আশা করি আপনার সমস্যা সমাধান হবে।
LikeLike
রাইচ কুকারে কি বানানো সম্ভব?
LikeLike
Never try this in rice cooker
LikeLike
micro oven এ বানানো যাবে ভাইয়া?
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন।
এটা আমি চেষ্টা কর নাই, তবে হয়ত হতে পারে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
J
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD
vanela ajance coco powder baking powder agulo kothai pabo r dame koto porbea
LikeLike
so beautiful
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
LikeLike
so beautiful
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
LikeLike