হাঁসের মাংস অনেকের প্রিয়। আমিও পছন্দ করি তবে এমন পছন্দ নয় যে, বার বার খেতেই হবে। পাতের কাছে পেলে খেয়ে দেখি এমন অবস্থা। বছরে দুই তিনবার আমাদের বাসায় রান্না হয়, ব্যস এইতো। তবে হাঁসের মাংস আমার ব্যাটারী সাহেবানীর প্রিয়, তিনি খুব পছন্দ করেন। আখাউড়া থেকে আনিয়ে তিনি অনেক বার হাঁসের মাংস খান। শুনেছি চাইনিজ লোকেরা হাঁসের মাংস খুব পছন্দ করেন। সাংহাইতে শুধু হাঁসের মাংসের নানান প্রকারের খাবারের দোকান আছে। একবার টিভিতে এক রান্নার অনুষ্ঠানে সাংহাই এর এক দোকানের পুরা হাঁসের মাংসের কাবাব দেখেছিলাম, সেই দোকানের হাঁসের কাবাবের কথা এখনো চোখে ভাসে। যদি কোন দিন চায়না যাই তবে সাংহাই যাব এবং সেই রকম হাঁসের মাংসের কাবাব মজা করে খাব! আহ।।
ছবিঃ কিশোরগঞ্জ ডট কম থেকে। হাওর অঞ্চলে হাঁসের আবাদ বেশী। হাঁস এনেছে তাদের হাসি!
হাঁসের মাংসের আমাদের দুটো রেসিপি আমাদের আগে দেয়া আছে। এই হাঁসের মাংসের ভুনা দেখার আগে সেই দুটো দেখে আসতে পারেন কিংবা এই রেসিপি দেখে ওই দুটো দেখে নিতে পারেন।
১। রেসিপিঃ সাধারন হাঁস রান্না (ঝাল)
২। রেসিপিঃ হাঁসের গ্রিল কাবাব (প্রিয় বন্ধু আদনান রনি ভাইকে)
চলুন আজকের হাঁসের মাংস ভুনা দেখে নেই। টমেটো যোগে আরো স্বাদ করা হয়েছিল। হাঁসের মাংস রান্না সময় নিয়ে করতে হয়। হাঁসের মাংস শক্ত বলে সময়ের দরকার হয়।
উপকরন ও পরিমাণঃ
– একটা হাঁস (এবার আর চমড়া ফেলা হয় নাই)
– এক কাপ পেঁয়াজ বাটা
– তিন চা চামচ আদা বাটা
– তিন চা চামচ রসুন বাটা
– ঝাল বুঝে লাল গুড়া মরিচ
– এক চা চামচ হলুদ
– গরম মশলা; চার/পাঁচটে এলাচি, কয়েক টুকরা দারুচিনি
– এক চা চামচ জিরা
– কয়েকটা টমেটো কুচি
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– ১ চা চামচ ভিনেগার
– হাফ চা চামচ চিনি
– পরিমাণ মত লবণ
– পরিমাণ মত তেল/ পানি
– একটা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সামান্য বেরেস্তা বানিয়ে রাখুন রান্না শুরু করার আগেই। অবশ্য এটা না হলেও চলে। স্বাদ কিছুটা কম হতে পারে!
প্রস্তুত প্রণালীঃ
তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি ও লবন দিয়ে ভেঁজে নিয়ে তাতে আদা রসুন এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। সাথে গরম মশলা দিতে ভুলবেন না। ভাল করে ভেঁজে নিন।
এবার গুড়া মরিচ, হলুদ এবং জিরা দিন। হাফ কাপ পানি দিয়ে নিন। ভাল করে কষিয়ে তে উপরে উঠিয়ে নিন। রান্নাঘরে একটা ঘ্রান ভরে যাবে।
এবার টেমেটো কুচি দিয়ে দিন।
এমন একটা অবস্থায় এসে যাবে। মানে, ঝোল রান্না হয়ে গেল।
এবার হাঁসের মাংস দিয়ে দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন।
ঢাকনা দিয়ে রাখুন। এবার সময় লাগবে। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দেবেন। মাংস না নরম হলে আরো পানি দিতে পারেন।
এমন অবস্থায় এসে যাবেই। ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন।
সামান্য কিছু বেরেস্তা দিতে পারেন। স্বাদ আরো অনেক গুন বাড়বে। ঝোল আরো কমিয়ে নিন।
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
এবার গরম ভাত নিয়ে বসে পড়ুন। সাথে থাকবে সামান্য সালাদ এবং বিলম্ভু লেবু দিয়ে ডাল রান্না। চমৎকার।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন।
হাঁস যদিও খাই না, রান্নাটা বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ সুজন ভায়া। একবার খেয়ে দেখতে পারেন, আশা করি ভাল লাগবে। তবে হাসে মাংস কম থাকে বলে শুধু হাড্ডি হাড্ডি মনে হয় তবে মাংস বেশ সুস্বাদু।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আমার বউয়ের প্রিয় হাসের গোস্ত। তার জন্য আপনার এই উদ্ভাবন। ধন্যবাদ রন্ধনকাব্য।
LikeLike
ধন্যবাদ নিজাম ভাই। ভাবীর প্রিয় খাবারের ছবি দেখাতে পেরে আমাদের ভাল লাগছে। হাঁস স্বপ্ন কিংবা আগোরাতে পাওয়া যায়। একদিন নিয়ে বাসায় ভাবীকে চমকে দিন। আশা করি তিনি খুশি হবেন। শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD
হাসের মাঙস খেতে খুবই ভাল লাগে, তবে হাসের লোম পরিস্কার করার সমস্যার জন্য কেনা খুবই কম হয় । সহজভাবে পরিস্কার করার টিপস আশা করছি ।
LikeLike
হাঁস পরিষ্কার করাটাইতো ঝামেলার।
LikeLiked by 1 person