গ্যালারি

রেসিপিঃ চিকেন উইং ফ্রাই (সোনামনি স্পেশাল)


আজকাল শহরের নানান খাবার দোকানে চিকেনের উইং ফ্রাই পাওয়া যায়। লোকে বেশ মজা করা উইং ফ্রাই খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে কেএফসি (ক্যান্টাকি), বিএফসি(বাংলাদেশ), এফএফসি(ফরিদা), জেএফসি(জাকির), সিএফসি(ছন্দা), এইচএফসি(হাজী), এসএফসি(সুমাইয়া) টাইপ দোকানে এমন উইং ফ্রাই কিনে যুবক ছেলে মেয়েরা খেয়ে অনেক সময় আড্ডা দিয়ে থাকে, এসিতে বসে আড্ডার জুড়ি নেই! এদিকে অবশ্য আজকাল মহল্লা মহল্লায় অনেক ছোট টাইপের চিকেন ফ্রাই টাইপের দোকান গড়ে উঠছে। বিশেষ করে সিপি এখন এক ছাটিয়া চিকেন ফ্রাই, বল এবং উইং ফ্রাইয়ের ব্যবসা করে নিচ্ছে। বেশ মনের আনন্দে ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে এখন সিপির জমজমাট ব্যবসা। সিপির আর একটা বিশেষ দিক হচ্ছে, ছোট পরিসরে ভাল সার্ভিস।

শহরের মদারু লোকের কাছেও ওদের চিকেন উইং কিংবা চিকেন বল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, প্রতি ছিপের সাথে ছোট করে চিকেনে কামড় দেয়া এখন আর এক ধরনের ফ্যাশন! কি আমার কথা বিশ্বাস হয় না! আমি সত্য বলি সব সময়। আশে পাশে পিনেওয়ালা কেহ থাকলে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন! সঠিক উত্তরের নিশ্চয়তা থাকল।

চলুন বাসায় কি করে এমন চিকেন উইং ফ্রাই বানানো যেতে পারে দেখে নেই। আপনার শিশুদের আপনি বিকালের নাস্তা হিসাবে এমন চিকেন উইং ফ্রাই করে দিতে পারেন, আশা করি তারা বেশ পছন্দ করবে। আপনার কষ্টের টাকার সাশ্রয় হবে, শিশুরা পারে পিউর খাবার। আজকাল দোকানে আলাদা করে গ্রোসারি শপে চিকেন উইং পাওয়া যায় (কেজি হিসাবে দাম মন্দ নয়) কিংবা আপনি যখন চিকেন বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসেন, তখন আলাদা করে উইং কেটে জমিয়ে রেখে দিতে পারেন। বেশ কিছু জমে গেলে একদিন তা নিয়ে চিকেন উইং ফ্রাই বানিয়ে ফেলতে পারেন। আপনার বুদ্ধি দেখে পরিবারের সবাই নিশ্চয় খুশি হবেই।

টাকা রুজি দুনিয়ার সব চেয়ে কঠিন কাজ বলে আমার মনে হয়, আর সেই কষ্টের টাকা যদি ফাও কেহ নিয়ে যায় তা হলে কষ্ট আরো বেড়ে যায়। ঠকে যাওয়া মানেই হচ্ছে, কেহ আপনার সাথে প্রতারনা করল।

উপকরনঃ
চিকেন উইং, ৫ পিস
টমেটো সস, কয়েক চামচ
বারবি কিউ সস, দুই চামচ
সয়া সস, সামান্য, এক কর্ক
লাল মরিচের গুড়া, বুঝে
গোল মরিচের গুড়া, এক চিমচি
আদা বাটা, এক চামচ
লবন, সামান্য
ময়দা, পরিমান মত, গায়ে মাখার জন্য
তেল ভাঁজার জন্য (যেহেতু পরিবারের জন্য ভাজবেন, হাতে সময় থাকে তাই কম তেলেই ভাজা ভাল)

প্রনালীঃ

উপরে উল্লেখিত মশলাপাতি দিয়ে চিকেন উইংস গুলো ঘন্টা খানেকের জন্য মরিনেটেড করে রাখুন।


একটি হাফ প্লেটে কিছু ময়দা নিন।


উইংস গুলোকে গড়িয়ে নিন।


তেল গরম হবার আগে সাজিয়ে রাখতে পারেন।


তেল অপচয় রোধে এমনি বা একটা করে ভাঁজতে পারেন।


উলটা পালটা করে ভাঁজুন।


কিছু সময়ের জন্য কড়াইতে ঢাকনা দিয়ে রাখতে পারেন। ডুবো তেলে ভাঁজলে ঢাকনার দরকার পড়ে না।


কেমন ভাজি আপনি চান। পোড়াপোড়া হলেও মন্দ লাগে না!


আশা করছি ছোট সোনামনিরা এমন খাবার পেলে অনেক অনেক খুশি হবে। ঘরের খাবার সেরা খাবার, এটা ছোট বেলা থেকেই বুঝে গেলে সোনামনিরা বড় হয়ে নানা অসুখ বিসুখ থেকে নিজদের বাঁচাতে পারবে (বিশেষ করে মুটিয়ে যাবেই না)।

সবাইকে শুভেচ্ছা।

(Updated From Photobucket to Google)

8 responses to “রেসিপিঃ চিকেন উইং ফ্রাই (সোনামনি স্পেশাল)

  1. Apner hotel e khaber obigota jana galo. Ami o onak gulo FC chini.ha ha

    Liked by 1 person

    • ধন্যবাদ সীদ ভাই। হা, আমি অনেক হোটেলে খেয়েছি কিন্তু তখন রান্নার প্রতি এমন দরদ ছিল না, জানতামও না। এখন সেই খাবার গুলোর কথা মনে পড়ে। তবে রান্না জেনে মনে হচ্ছে, বাসার খাবারই উত্তম, বিশেষ করে আমাদের এই দেশে! (ভেজাল যেখানে উপস্থিত)
      শুভেচ্ছা।

      Like

  2. Kal raatE murgir dana vaja khete khete apnar kotha mone korechhi. Thanku vaia.

    Liked by 1 person

  3. পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ চিকেন ফ্রাই (সহজ কিন্তু মজাদার) | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)

  4. পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]