গ্যালারি

রেসিপিঃ সাধারন পরোটা (সকালের নাস্তায়)


সকালের নাস্তায় আমাদের দেশের বেশীর ভাগ পরিবারে রুটি বা পরোটা বানানো হয়ে থাকে। রুটি এবং পরোটার সাথে আমাদের পরিচয় সেই ছোট বেলা থেকেই হয়ে যায়। আমাদের মায়েরা রুটি বা পরোটার সাথে যে কোন ভাজি বা ডিমের কোন আইটেম বা কোন তরকারী দিয়ে সকালের নাস্তা চালিয়ে দেন। যে সকল মায়েরা একটু বেশি পরিশ্রম করেন তারা প্রায়ই পরোটা বানিয়ে থাকেন। ঘরে বানানো এই পরোটা আমাদের সকলের কাছে বেশ প্রিয় খাবার। (অবশ্য যারা রাতে ভাত খান না তারা রাতেও এই রুটি বা পরোটা খেয়ে থাকেন)

পরোটার রেসিপির জন্য আমার কাছে বেশ কয়েকজন রেসিপি প্রিয় পাঠক/পাঠিকা বন্ধু জানতে চেয়েছেন। আমিও দিবো দিচ্ছি করে বেশ সময় পার করে ফেলেছি। আজ থাকছে আপনাদের জন্য সেই পরোটা রেসিপি! আশা করি আপনারা যারা জানেন তাদের কাছে ভাল লাগবে এবং যারা জানেন না তাদের পরোটা বানাতে বেশ কাজে লাগবে।

উপকরণঃ
– ময়দা
– সামান্য লবন
– সয়াবিন তেল (কয়েক চামচ)
– সামান্য চিনি
– ঘি (পরোটার ভিতরে দেয়ার জন্য, যারা ঘি খেতে চান না তারা তেল দিতে পারেন)
– গরম পানি
(পরিমান আপনারা নিজেরাই ঠিক করে নেবেন, আপনি যে পরিমান ময়দা নেবেন তা দেখেই ঠিক করতে হবে। আর পরোটার সাইজের উপর নির্ভর করবে, আপনি কতটা বানাতে চান।)

প্রনালীঃ

আমরা অনুমানিক হাফ কেজি থেকে কিছু কম ময়দা নিয়েছিলাম। এক চিমটি লবন মিশিয়ে তাতে এক চা চামচ চিনি মিশিয়ে নিন।


তিন চা চামচ সয়াবিন তেল দিন।


এবার গরম পানি মিশাতে থাকুন।


চামচ ব্যবহার করে গরম পানি মিশান। লক্ষ রাখবেন পানি যাতে বেশি না হয়ে যায়। আস্তে আস্তে কাই করতে থাকুন।


ভাল করে মলে খুব সুন্দর কাই করে ফেলুন। যত বেশি মলে মোলায়েম করে নিবেন, পরোটা তত মজাদার হবে।


প্রতিটা পরোটার জন্য একটা নিদিষ্ট বল বানিয়ে নিন।


বল গোল করে বেলে নিন। প্রয়োজনে ময়দার ছিটা দিয়ে বেলুন।


এবার সামান্য ঘি দিয়ে নিন এবং আঙ্গুল দিয়ে ঘি বিছিয়ে দিন। (ঘি না থাকলে তেল দিতে পারেন)


এভাবে ভাঁজ করুন।


এভাবে শেষ ভাঁজ করে চারকোনার আকৃতি দিয়ে ফেলুন।


একে একে সব এমনি করে রাখুন।


এবার বেলুন দিয়ে আবারো চার কোনা মানে আড়াআড়ি করে বেলে নিন।


চুলায় তাওয়া গরম করুন এবং সেঁকতে দিয়ে দিন।

(এখানে একটা কথা না বললেই নয়, যারা তেলে ভাজা পরোটা খেতে চান তারা এই ধাপেই তেল দিয়ে ভেঁজে নিতে পারেন, আমরা তেলে ভাজা এড়িয়েছি!)


খুন্তি দিয়ে দুই পাশ উলটা পালটা করে ভেঁজে নিন।


পরোটা ফুলিয়ে নিতে এভাবে কাপড়ের পাফ বানিয়ে চাপ দিতে পারেন। (এই কাজে সাবধানতা জরুরী, হাত গরম ভাপ লেগে পুড়ে যেতে পারে)


পরোটা ফুলে উঠবেই! কেমন সেঁকা চান সেটা আপনি নির্ধারন করুন। তাওয়া বেশি গরম হলে পুড়ে যেতে পারে, তাই আগুনের আঁচ মাধ্যম হলেই ভাল।


ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। শিশুদের জন্য ধারালো ছুরি দিয়ে চারভাগ করে কেটে পরিবেশন করা যেতে পারে।


মনে কি পড়ে! আহ, সেই ছোট বেলার কথা, আম্মু আমি পরোটা খাব!

সবাইকে শুভেচ্ছা। রান্না হচ্ছে একটা ভালবাসা, আপনার ইচ্ছা শক্তি আপনাকে একজন ভাল রান্নাবিধ করে তুলবেই। নিজে রান্না করে প্রিয়জনের সামনে হাজির করার মত বাহাদুরি এই দুনিয়াতে আর কি আছে?

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

20 responses to “রেসিপিঃ সাধারন পরোটা (সকালের নাস্তায়)

  1. onek upokar holo amar.ami porota banate jantam na.ami ajke abaro ekta recipir jonno likchi.ar ta hochhe.komrar bori ba daler bori kivabe banate hoie ar tar kichu recipi judi diten tahole khub valo hoto.

    Liked by 1 person

    • ধন্যবাদ বোন, কেমন চলছে শশুর বাড়ী? আজকাল আর কি কি নুতন রান্না করলেন। আপনার রান্নার প্রতি আগ্রহ দেখে আমি বেশ আনন্দ পাচ্ছি। আপনার চেষ্টা আপনাকে একদিন মহৎ করে তুলবে। একটা ব্যাপার বলি, পরিবারে মুরুব্বী যারা আছেন, তাদের সাথে রান্না নিয়ে কথা বলবেন, শরমের কিছু নাই। মুরুব্বীরা আপনাকে এমন করে জানিয়ে দেবে যে, আর ভুল হবেই না। এদিকে আপনি যখন রান্নার ব্যাপারে উনাদের কাছ থেকে জানতে চাইবেন, উনারাও বেশি খুশি হবেন এবং আপনাকেও আরো ভালবাসবেন। সাথে আম্রাতো আছি…।

      কুমড়ার বড়ি বা ডালের বড়ার কথা মনে করিয়ে জিবে জল এনে দিলেন। দেখি চেষ্টা করব, কিছু সময় চাইছি।

      শুভেচ্ছা।

      Like

  2. আমি ও পরোটা বানাতে জানতাম না।এতদিন বাজারের কেনা পরোটা খেতে হত। আজ আপনার পোষ্ট থেকে শেখা হল। প্রিন্ট করে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ও আপাকে এমন একটা রেসিপি পোষ্ট দেওয়ার জন্য। দিন দিন আপনার রেসিপি পোষ্ট দেওয়া কমে যাচ্ছে মনে হচ্ছে। আপনি তেহারির পরিমান সহ আরেকটা রেসিপি পোষ্ট দিয়েন।

    Like

  3. WOW!AMAR JONNO ANAK VALO HOLO..RECIPI-TA ANAK SHOHOJ…..
    THANK YOU………….

    Like

    • ধন্যবাদ কুয়াশা (ভাই না বোন বুঝতে পারছি না)
      আমাদের রেসিপি গুলো আমরা চেষ্টা করি সহজ এবং সুন্দর করে আপনাদের সামনে হাজির করতে যাতে সবাই ছবি দেখেই বুঝে যান। আপনাকে নুতন দেখছি বলে মনে হচ্ছে। আশা করি মাঝে মাঝে আমাদের দেখে যাবেন এবং কোন মতামত থাকলে তা জানাতে পিছপা হবেন না।
      শুভেচ্ছা।

      Like

  4. ভাইয়া রুটির রেসিপি টা দিবেন কবে?

    Like

  5. Dosa Recepi Chai

    Like

  6. Dosa Bana tay chi r khatay o chi , k o parley aktu deay den’

    Like

  7. পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ জিতু পরোটা | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)

  8. পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD

  9. আমি ঈদের জন্যে পরোটা বানাতে চাইছিলাম ফ্রোজেন করে রাখবো। এ রেসিপি পেয়ে অনেক উপকার হল। 🙂 আমি কালই বানাবো।

    Like

  10. ভালো লাগলো

    Like

  11. very bad. রেসিপিটা মোটেও ভালো না।

    Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]