ডিম নিয়ে আমাদের বাসায় প্রায় হাসাহাসি হয়। ছোট সাইজের ডিম কিনে নিয়ে বাসায় গেলে আমার ব্যাটারী প্রায় বলেন, এত ছোট! এবং এর পরের উত্তর আমার রেডী! আমি বলি এমন একটা ডিম পেড়ে দেখাও দেখি! আর যাই কোথায়, তারপরই মোটামুটি একটা কুরুক্ষেত্র হয়ে যায়! কিন্তু এটা আবার বেশিক্ষন থাকে না! আমি বলি, ডিমওয়ালাকে আমি প্রায় বলি বড় ডিম দে। ফাটা ও ভাঙ্গা ডিম দিস না। কার কথা কে শুনে, বাসায় নিয়ে গেলে ডিম হয়ত ছোট নুতবা বারটা ডিমের একটা ফাটা বা ভাঙ্গা পাবই! আসলে কোপাল, আমার কোপালই এমন! তবুও আমি সবাইকে বিশ্বাস করে যাই, যাচ্ছি।
সে যাই হউক, ডিম মানুষের যেমন প্রিয় খাদ্য তেমনি প্রানী কুলেরও (পশু ও পাখিদের) প্রিয় খাদ্য। ডিম কুমিরের প্রিয় বটেই। আপনারা কি কখনো কুমিরের ডিম খাওয়া দেখেছেন টিভিতে! হা, আমি দেখেছি। তাজ্জব ব্যাপার, একাই ১০০টা ডিম খেয়ে ফেলে! কচ্ছব যে এলাকায় ডিম পাড়ে, সেই এলাকায় কুমির আস্তানা গড়ে তুলে।
ডিম নিয়ে আমার ছেলে বুলেটেরও কম এক্সপেরিমেন্ট নেই! ডিম নাকি দেখতে খুব সুন্দর! কি সব কথা বার্তা!
চলুন ডিমের একটা অমলেট দেখে ফেলি। আমার ডিমের আর একটা রেসিপি বাড়ুক। ঘরে কিছু না থাকলে ডিমই ভরসা! এটা একটা উৎসাহ মুলক রান্না, যারা এখনো রান্নাঘরে যাচ্ছেন না, তাদের লোভ দেখানো। প্লিজ ব্রাদার এন্ড সিষ্টার, রান্নাঘরে চলুন এবং সহজ রান্না দিয়ে চেষ্টা শুরু হউক।
উপকরনঃ
– ডিম (তিনটা)
– পেঁয়াজ কুঁচি পরিমান বুঝে
– টমেটো কুঁচি, পরিমান বুঝে
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ/ ঝাল বুঝে
– ধনিয়া পাতা কুঁচি পরিমান বুঝে
– পরিমান মত লবন
– পরিমান মত তেল (ভাজার সময় লাগবে)
প্রনালীঃ
কড়াইতে তেল গরম করে তাতে উপরের ডিমের মিশ্রন দিয়ে চারদিকে মেলে দিন।
ঢাকনা দেয়া জরুরী।
এবার সাইড থেকে উলটে ব্যাজ করতে থাকুন।
এমন করে ফেলুন।
খুন্তি দিয়ে চাপ দিয়ে ভাজুন। ভাঁজা মন মত হয়ে গেলে খুন্তি দিয়ে টুকরা করে ফেলুন।
ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। সকালের নাস্তায় এমন ডিমের অমলেটের তুলনা হয় না।
ধন্যবাদ সবাইকে।
একটা ব্যাপার কি জানেন ভাইয়া আপনার কিছু কিছু রান্নার সময়টা আমার সাথে মিলে যায়। এই যেমন এটা আজ সকালে পরোটার সাথে বানিয়েছি। আজ সকালে একটু তাড়াতাড়ি উঠে গেছি তাই ভাবলাম যে, ডিম ভাজি করব সাথে পেঁয়াজ কাচামরিচের সাথে একটু টমেটো কুচি দেই। যেহেতু টমেটো কাটাই ছিল। এখন বিকালে দেখছি আপনার এই রেসিপি। আবার আপনার কালকের পোস্ট চিংড়ী ভুনা টমেটো দিয়ে সেটা আমি কাল দেখিনি আজ দেখলাম। প্রায় আপনার মতো করেই এটা কাল রাতে রান্না করছি। এসে দেখি আপনার রেসিপি। আমার এই কাকতালীয় মিল দারুন লেগেছে। এর আগেও এইরকম হয়েছে। তবে বড় কথা হল আপনার রান্না আমাকে অনুপ্রেরণা যোগায়।
LikeLike
হা হা হা…।। ধন্যবাদ বোন।
আসলে এই সবই আমাদের বাঙ্গালীদের খাবার। প্রায় প্রতিটা পরিবারেই এই ধরনের খাবার রান্না হয়। কি ধনী, কি গরীব! কিছু দিন আগে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম, রাস্তার পাশে থাকা (ফুটপাতে) এক মহিলাকে দেখছিলাম কিছু একটা রান্না করছেন, ইট দিয়ে চুলা এবং কাঠ দিয়ে আগুন জালাছিলেন। আমি উৎসাহভরে আরো কাছে গেলাম, দেখলাম তিনি ফুলকপি, আলু ও সীম কেটে চুলার পাশে রেখেছেন। আমি সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আজ কি রান্না করবেন। ভদ্র মহিলা আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। আমি আবারো জিজ্ঞেস করলাম। এবার তিনি আমার দিকে তাকিয়ে হেসে দিলেন এবং জানালেন, ফুলকপি আলু ও সীম এর সাথে কয়েকটা মাছ দিয়ে রান্না করবেন। আমি বেশিক্ষন দাঁড়াতে পারি নাই, না হলে পুরা রান্নাটা দেখে আসতাম।
এই হচ্ছে আমাদের পরিবার গুলো। আবহাওয়া ভেদে খাবার খেতে হয়। এই গুলো এমন করে রান্না করে না খেলে আমরা বাচতে পারবো না।
আপনাদের রান্নার সাথে আমাদের রান্না মিলে যাচ্ছে দেখে আমরাও আনন্দিত। শাক সবজি বেশি করে রান্না করবেন, এতে পরিবারের সদস্যরা নানান প্রকার অসুখ বিসুখ থেকে বেঁচে যাবে।
ভাল থাকুন বোন। আমাদের সাথে থাকুন। নুতন বা পুরানো কোন রেসিপি থাকলে আমাদের জানান। আমরাও রান্না করে দেখি, খেয়ে মজা নেই। আমাদের অনেক রান্না হারিয়ে যাচ্ছে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ট্যোমেটো দিয়ে ডিম ভাজি আমার ছেলে অনেক ছোট থাকতেই ভাজি করতো। সে আবার এটাতে গুড়া মরিচও দিতো। আর ভাজ না করে খুন্তি দিয়ে নেড়ে ঝুরা ঝুরা করে দিতো।
LikeLike
ধন্যবাদ আপা, ভাগিনার কথা শুনে ভাল লাগল। সে রান্না করতে জানে এটা আগেও জেনেছিলাম, আমি আরো খুশি হলাম। আমার ছেলেকেও রান্না শিখিয়ে ফেলবো। ওর মায়ের সাথে থাকবে। হা হা হা…
ছেলেরা রান্না করে জানলে আমি যারপর নাই খুশি হই।
ভাগিনার জন্য আমার স্পেশাল শুভেচ্ছা থাকল।
LikeLike
আপা, গুড়া মরিচ মানে কি গোল মরিচ?
LikeLike
Chorom!
LikeLike
ধন্যবাদ জাভেদ ভাই।
LikeLike
ভাই কি নিজে রান্না করেন নাকি ভাবীর করা রান্নাই নিজে পোস্ট দেন? 😛
আমি খেয়েছি এইটা রান্না করে। 🙂
LikeLike
মীর আরমান ভায়া, সবে তো এলেন! থাকেন আমাদের সাথে তবেই বুঝতে পারবেন। পুরানো কিছু ব্লগের পোষ্ট পড়লে বুঝতে পারবেন। সব রান্না আমি নিজে না করলেও এখন প্রায় করি। নিজে রান্না করে পোষ্ট দেয়ার মজাই আলাদা।
শুভেচ্ছা ও স্বাগতম।
LikeLike
সহজ সরল সুন্দর রেসিপি ।
LikeLike
ধন্যবাদ সবুজ ভাই। অনেকদিন পর এই রেসিপি ব্লগে কমেন্ট করলেন।
শুভেচ্ছা। মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবেন। খুশি হব।
LikeLike
আজকে রাতে আপনার এই রেসিপি রান্না করে খেয়েছি। এটা আমার মতো ব্যাচেলরদের জন্য বেশি প্রযোজ্য।
LikeLike
ধন্যবাদ আরমান ভাই।
আমাদের রান্না গুলো হচ্ছে ব্যচেলর এবং প্রবাসীদের জন্য। দেশে মোটামুটি সবাই কোন না কোনভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে! হা হা হা… বিদেশে রান্না না জানলে কি যে কষ্ট তা আমি জানি, আমি প্রায় সাড়ে নয় বছর প্রবাসে কাটিয়ে এসেছি।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ওহ। আর আমি হলাম ব্যাচেলর !
তাই আপনার অনেক রেসিপি কাজে লাগে।
LikeLike
ধন্যবাদ আরমান ভাই।
আপনি আমাদের টার্গেট গ্রুপে আছেন। আশা করি রান্না কাজে লাগবে।
ভাল থাকুন, ভাল খেয়ে জীবন কাটান।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
এটা আপনি ঠিকি বলেছেন,যারা এখনো রান্নাঘরে যায় নি বা বিশেষ করে যারা আমার মত রান্না পসন্দ করে না তাদের জন্য এটা দারুন!আমি এটা সিদ্দিকা কবীরের বইয়ে দেখেছি,তবে একটু অন্য ভাবে।এটা আরো সহজ।
LikeLike
হা হা হা হা…… ধন্যবাদ বোন। একবার রান্না করে প্রিয়জনের মুখে তুলে দিন, দেখবেন কেমন আনন্দ লাগে। দুনিয়ার সেরা আনন্দ পাবেন। ধরা যাক আপনি রান্না করলেন, এবং আপনার বাবা বা মা সেটা খেয়ে তারিফ করলেন, দেখবেন কেমন লাগে। আর সন্তানের জন্য রান্না করা, সেটার আনন্দ আমি আপনাকে বুঝাতে পারব না! আমার ছেলে বুলেট যখন আমাকে ফোন করে বলে, বাবা আজ তুমি রান্না করবে (কারন সে জানে বিশেষ কিছু হবেই, হা হা হা), তখনকার ভাল লাগা অনুভুতি বলার মত নয়!
রান্না জানা একটা গুন, আপনি সেই গুন থেকে কেন বঞ্চিত হবেন। তবে অনেকের কাছে আপনার মত রান্না পছন্দ হয় না, এটা স্বাভাবিক। আমিও এক সময় রান্না করতে জানতাম না। প্রবাসে থাকাকালীন কর দিন আজে বাজে খেয়ে দিন পার করেছি, এখন হাসি আসে! কি ভুল না করেছি! খেতে হয় যেহেতু নিজকেই তাই নিজের জন্য হলেও রান্না করা দরকার।
আপনি কেমন আছেন? মাঝে মাঝে দেখে যাবেন। রান্না করুন আর নাই করুন, দেখে যেতে অসুবিধা নেই! হা হা হা… লোভ লাগবেই!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
এত গুণ থাকার দরকার টা কি?আমি ত কোন না গুণ থেকে বঞ্চিতই।রান্না জানা থেকে বঞ্চিত হলেও তেমন অসুবিধা নেই!তাছাড়া আমি রান্না পছন্দ করি না ঠিক কিন্তু রান্না জানি,ওই যে বললাম করতে হয়েছে ।রান্নার জন্য প্রসংশা পেয়ে সেরা আনন্দ না,আনন্দ পেয়েছি।
আর সন্তান আগে হোক তারপর দেখা যাবে।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন,
হালকা একটা গল্প বলি। গ্রামে ছেলে বড় হলে কাজ কর্ম করে না। খালি ফিটফাট হয়ে গাছ তলায় বসে থাকে, বাঁশি বাজায়! গ্রামের মুরুব্বীরা তখন তার পিতাকে বলে ছেলেকে বিয়ে দিয়ে দাও। পিতা তাই করেন! এর পর দেখা যায় ছেলে বিবাহের কয়েকদিন পর থেকেই পিতার সাথে নাঙল জুয়াল নিয়ে মাঠে যায়! উপুড় হয়ে ধান চারা লাগায়! চাষাবাদ করে। হা হা হা…
আগে বিয়ে হউক তার পর সন্তান হউক, তার পরই আসলে জীবন দেখা যায়!
শুভেচ্ছা নিন বোন।
LikeLike
আপনাকেও বিরাট বিরাট শুভেচ্ছা।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
LikeLike
এটাও ঠিক যে বাসায় কিছু না থাকলে তারচেয়েও বড় কথা সহজে রান্নার জন্য এটা খুবি উপযোগী।আমি রান্নাঘরে বেশি সময় কাটানো খুব অপসন্দ করি।আমাকে অবশ্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও বা জোর পূর্বক বেশ কবার রান্না করতে হয়েছে।সেজন্যই হয়তবা আরো অপসন্দ,যেহেতু এটা আমার শখ নয়।কিন্তু নানা দেশীয় রেসিপি পড়তে আমার ভাল্লাগে,ছবি দেখতেও।রান্নার ইচ্ছা হয় না অবশ্য,পড়তেই মজা লাগে।সেজন্যই আপনার টা পেয়ে তাড়াতাড়ি নিয়ে নিসি যে, থাকল,মজা করে পড়ব মাঝে মাঝে।আমার কথা হল আমি এরকম হওয়ায় ভালই হইসে আলহামদুলিল্লাহ,নাহলে আপনার মত লকদের গুরুত্ব দিতাম কিভাবে?আমই হলাম আপনাদের রান্না খাবো আর মাঝে মাঝে সহজ রেসিপি ঢুড়ে নিব,মজা না?
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
আপনি সব সময় আমাদের রেসিপি সাইটে ওয়েলকাম। সবাই রান্না করবে, এটা আশা করা ঠিক না। তবে রান্না জানলে জীবনে লাভ আছে! (আগের কমেন্টে বলেছি!)
রান্নায় কি কি কষ্ট আছে, তা জানা প্রতিটা মানুষের দরকার। আমাদের মায়েরা আমাদের জন্য কি কষ্ট করেন তা সবার জানা দরকার। অভিজ্ঞতা এমন একটা ব্যাপার যে, নিজের উপর দিয়ে না গেলে বুঝা যায় না। নারীদের কি কি কারনে আরো আরো বিশেষ সন্মান দিতে হয়, রান্না হচ্ছে তার মধ্যে একটা। একজন মা, বোন, মেয়ে কি করে আমাদের সারা পরিবারের জন্য রান্না করেন, এটা আমি নিজে রান্নাঘরে না খেলে বুঝতে পারতাম না।
বিবাহিত পুরুষদের জন্য রান্না জানা থাকলে স্ত্রীর কাছে বিশেষ সন্মান পাওয়া যায়, রান্নাঘরে আড্ডা দিয়ে সময় পার করার মাঝেও আনন্দ আছে। মনের মিল বেড়ে যায়! হা হা হা… আরো কত কি!
(অনেক কিছু আমি লিখে থাকি। গল্পের আকারে, আমার রেসিপি গুলো পড়ে দেখতে পারেন।)
শুভেচ্ছা। আশা করি সাথে থাকবেন।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD