আমার শশুরবাড়ী আখাউড়া, এটা পুরাতন ব্যাপার! তবে ইদানীং এই আখাউড়া নিয়ে আমি একটু বেশী নাড়াছাড়া করছি বটে! অনেকে আপনারা এটা খেয়াল করে থাকবেন। হা, ভাই বোন বন্ধু চাচা চাচী! এর কারন হচ্ছে আমি গত কয়েক মাসে আখাউড়া থেকে আনা বেশ কিছু বিলের তাজা মাছ প্রান ভরে খেয়েছি/খাচ্ছি। বোয়াল ও শোল মাছের পর এখন খাচ্ছি আখাউড়ার পুটিমাছ। আখাউড়াবাসীকে আমার প্রান থেকে ধন্যবাদ দিতেই হয় এজন্য যে, বিবাহের প্রায় ১৫ বছর পার হবার পর এখন তারা আমার জন্য কিছু মাছ পাঠাচ্ছেন! হা হা হা… না, এর জের আবার আমাকেই দিতে হবে! আমি ফ্রী খাবার মানুষ না! আমি কাজের লোক, কাজ করেই খাই! (আমার ব্যাটারী শুনলে মাইন্ড করব কিনা বুঝে উঠতে পারছি না! যাক, আমি আপনাদের কাছেই আশ্রয় চাই!) সুদে আসলে ফিরত দিমুনে!
কথা বেশি বললে ভুল বেশী হবে! কি কইতে কি কইয়া ফেলব, বুঝে উঠতে পারছি না! তাই কথা কম, কাজ বেশী। আখাউড়া থেকে এই পুটিমাছ গুলো আমাদের পাঠানো হয়েছিল, কেটেকুটে সাফ ও ধুয়েই। শুধু ফ্রীজ থেকে বের করেই আমাদের রান্না করতে হয়েছিল। অনেক গুলো পুটি মাছ, আমাদের অনেকদিন চলবে। অল্প অল্প করে বের করে মনের মাধুরী মিশিয়ে রান্না করব! আজ কিছু বের করে ভাজি করে ফেললাম। তবে পুটি মাছ নিয়ে আমার আগেও কয়েকটা রেসিপি আছে, চাইলে দেখে নিতে পারেন।
সাধারন ভাজি তবে বেশি ভাজি নয় কিন্তু মাছ গুলো খেতে বেশ হয়েছিল, সফট এন্ড ডিলিশিয়াস! চলুন দেখে ফেলি।
উপকরনঃ
– কিছু পুটিমাছ
– পরিমান মত লাল মরিচ গুড়া
– পরিমান মত হলুদ গুড়া
– পেঁয়াজ কুঁচি – মাঝারী সাইজের দুটো
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– পরিমান মত লবন
– পরিমান মত তেল
প্রনালীঃ
মরিচ ও হলুদ গুড়া মিশিয়ে পরিমান মত লবন দিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিন।
গা গা তেল খোলা কড়াইতে গরম করে মাছ গুলো দিয়ে দিন এবং পেঁয়াজ কুঁচি বিছিয়ে দিন।
কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিন।
এবার হালকা আঁচে ঢেকে রাখুন মিনিট ২০শেক।
মাঝে দুই একবার বেশ আলতো হাতে নাডিয়ে দিন, উলট পালট।
আপনার ইচ্ছা কেমন মছমছে করবেন। তবে এই পদ্ধতিতে বেশী মছমছে করতে ফেলে পেঁয়াজ কুঁচি পুড়ে যাবে। সুতারাং খেয়াল করে।
এই নিন, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
বিশ্বাস করবেন না জানি, এমন স্বাদের মাছ ভাজি যে আমার মনে হয়েছিল আমি কতদিন খাইনি! আসলে তাজা মাছ এবং তার উপর ভেজাল ও বরফের ছোঁয়া পায় নাই এই পুটি মাছ। অন্যদিকে এটা হতে পারে, আমরা ভেজাল (ফরমালিন) মাছ খেয়ে খেয়ে আমাদের মুখের স্বাদ নষ্ট করে ফেলছিলাম!
* ছোট মাছ ভাজাতে এই পদ্ধতি বেশ কার্যকর।
সবাইকে ধন্যবাদ।
When l was little don’t want to eat this type of fish…….now want to eat but can’t find any where………my abba tall us story about how they catch fish when they stay in village….all fresh fish from pond n river…..(my amma,abba from chandpur)…..now l bye frozen fish block ,six month old… to day l buy hake fish…..hope it’s will be nice as a Bangladesh carry…….anjuman…
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
আমাদের পরিবার গুলোর ইতিহাস মোটামুটি এমনই। আমার আম্মা আমাদের এমন মাছ ধরার কথা গল্প করেন যে, আমরা অবিভুত হয়ে পড়ি। তিনি তার তুলনায় বড় বোয়াল মাছ ধরেছিলেন কোন এক বর্ষা কালে।
এখন আর সেই দিন নেই। খালে বিলে মাছ তেমন একটা নেই। সার এবং অন্যান্য নানান প্রয়োগে সবি গেছে।
আমাদের সন্তানরা মাছ কোথায় জন্মে তা দেখতে হয়ত যাদুঘরে যাবে! হা হা হা।।
আপনিও ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা।
LikeLike
মাছগুলোকে আগে কিছুটা মচমচে করে তারপর পিঁয়াজ কাঁচামরিচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামালে কাঁটার ভয়ও থাকবেনা আর পিঁয়াজ পুড়ে যাওয়ার ভয় ও!
বর্ষার দিনে ছোটবেলায় বড়শী দিয়ে মাছ ধরা আমার নেশা ছিলো। এ জন্য কত মার খেয়েছি মায়ের হাতে। :p
LikeLike
হা হা হা…। আপনার দূরান্তপনার ব্যাপারে আমরা কিছুটা হলেও অবগত আছি। এখন আর সেই দিন নেই, সেই মাছ নেই!
কেমন আছেন আপা? আগে শরীরের প্রতি যত্ন নিন।
LikeLike
আমারো বাড়ী ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া।এবার গিয়ে টাটকা ধরা টেংরা মাছ খাইসি,কি যে মজা…আমার মত মাছ অপছন্দকারীও বলছে।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
অনেকদিন আপনার কমেন্ট দেখছি না। কোথায় আছেন, কেমন আছেন?
শুভেচ্ছা।
LikeLike
কয়েকদিন আগে রান্না করে খেয়েছি পুঁটি মাছ ভাজা সাথে লাল বিরই চাল এর ভাত । এখন তো বাজার থেকেও কেটে পরিস্কার করে দেয় মাছ ।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন।
পুটি মাছ ভাঁজা সত্যই মজাদার। অনেক দিন খাওয়া হয় নাই, দেখি পেলেই কিনবো।
পরিচিত দোকান থেকে মাছ কিনি বলে চাইলেই কেটে দেয় তবে বড় মাছ আমি এবং আমার ব্যাটারী নিজেই কাটি। মডেল দিয়ে ছবি তুলে তবেই। হা হা হা…
শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD
ছবি দেখা যাচ্ছে না।
LikeLike