আহ…। কত দিন শুঁটকী খাই না। শুঁটকী ও রসুনের কম্বিনেশনের রান্না আমার প্রিয় রান্নার একটা (আমার আম্মা এই রান্না অন্তত মাসে একবার রান্না করতেন, উনার কাছ থেকে দেখেই এই রান্না)। এই ধরনের রান্না পেলে আর কি লাগে? প্লেটের ভাত সাবাড় করতে লাগে কতক্ষন?
উপকরনঃ
– লুইট্ট্যা শুঁটকীঃ ২০০ গ্রাম (টুকরা ছোট বা আপনার ইচ্ছা মত করে নিতে পারেন)
– রসূনঃ গোটা হাফ কাপ
– পেঁয়াজ কুঁচিঃ হাফ কাপের চেয়ে কম
– আদা বাটাঃ ১ চা চামচ
– হলুদ গুড়া বা বাটাঃ ১ চা চামচের কম
– মরিচ গুড়া বা বাটাঃ ১ চা চামচ (বুঝে শুনে, ঝাল পরিমিত হওয়া জরুরী)
– কাঁচা মরিচঃ ৫/৬ টা (ঝাল বুঝে)
– ধনিয়া পাতাঃ পরিমান মত
– লবনঃ পরিমান মত
– তেলঃ সয়াবিন তেল হাফ কাপের চেয়ে কম (শুঁটকীতে একটু তেল বেশি হলে ভাল হয়)
– পানিঃ পরিমান মত
প্রনালীঃ
কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি সামান্য লবন যোগে ভাজুন।
আদা, রসুন গুলোও দিয়ে দিন এবং ভেজে হলদে ভাব নিয়ে আসুন।
এর পর শুঁটকী মাছ গুলো দিয়ে দিন এবং আরো একটু ভাজুন।
মরিচ ও হলুদ দিয়ে দিন।
কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন এবং ভাল করে নাড়ুন।
এক কাপ গরম পানি দিয়ে দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন।
এবার ঢাকনা দিয়ে মিনিট ৩০ মাঝারি আগুনের আঁচে রেখে দিন। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে আবার পানি কমে কড়াইয়ের তলায় না লেগে যায় (প্রয়োজনে আরো পানি দিতে পারেন)।
ঝোল তেমন না রাখাই উত্তম। শুঁটকী মাছ ভেঙ্গে মিশে যাবে (ইচ্ছা হলে পিসও রেখে দিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে নাড়াতে হবে বুঝে শুনে)। এবার ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন না লাগলে ওকে!
ব্যস, পরিবেশনের জন্য রেডী।
আহ, জিবে জল এল।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন, কনসেপ্টঃ ফিরোজা বেগম (আমার আম্মা, তিনি অবশ্য বড় বড় কোষের রসুন ব্যবহার করতেন, খেতে বসে রসুন ডলা দিলেই মোমের মত মিশে যেত, কি ঘ্রাণ ছিল)।
আহা! ছবি দেখেই জ্বরতপ্ত মুখ পানিতে ভরে গেলো।
বোঝাই যাচ্ছে খুবই মজাদার হয়েছিলো।
আমিও গোটা রসুনের কোয়া দিয়ে শুটকি ভুনা করে থাকি।
LikeLike
ধন্যবাদ আপা। এখন কেমন আছেন? শরীরের অবস্থা কি?
বয়স বাড়ার সাথে সাথে যে কত প্রকারের রোগ শোক এসে ভীড় করছে তা এখনি বুঝতে পারছি।
হা, আপা। বেশ মজার শুঁটকী রান্না হয়েছিল। আমি এখন আর বেশী ঝাল খেতে পারি না বলে অনেক কিছুই এড়িয়ে যাচ্ছি।
ভাল থাকুন।
LikeLike
alo to dhen nai. upokoron e dhilen rannai nai. naki ami miss korlam. btw apnar blog amar besh pochondho. keep it up
LikeLike
সরি অজ্ঞাত ভাই বা বোন।
উপকরনে কপি (অন্য কোন পোষ্ট থেকে কপি করে এডিট করি) করে দেখে দেখে ঠিক করতে যেয়ে এই ভুল হয়ে গেছে। আলুটা ছিল না। সরি, সরি, সরি।
আমার চেষ্টা চলবেই। আশা করি সাথে থাকবেন। এই রকম ভুল দেখলে সাথে সাথেই জানাবেন। খুশি হব।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
রেসিপিঃ লইট্ট্যা শুঁটকী ও আলু
অজ্ঞাত ভাই, উপরের লিঙ্কে শুঁটকী ও আলুর রান্না আছে, দেখে নিতে পারেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
love it …love it ….love it……….100% ……love it…….anjuman
LikeLike
Thank you very much sister….
LikeLike
ওয়াও!
আহা শুটকি। প্রাণের শুটকি।
এই রান্না অনেক খেয়েছি। খেয়ে যাবো।
LikeLike
হা হা হা…।।
প্রানের ……
LikeLike
শুটকি দেখতে খুব চমৎকার হয়েছে, এত সুন্দর লাল এর রহস্য কী? মাত্রই ২ খান ফ্রোজেন বারিটো দিয়ে লাঞ্চ সারলাম, এইসব দেখলে মনটা উদাস হয়ে যায়। শীঘ্রই শুটকী বানাতে হবে মনে হয়।
LikeLike
ধন্যবাদ রনি ভাই, আপনাকে না দেখলে আমার ভাল লাগে না! হা হা হা… আমার রেসিপি পোষ্ট গুলো অনেকে নিরবে দেখে যান, তাদের মধ্যে আপনি অন্যতম। আমার মনে হয় আপনি আমার সব রেসিপিই দেখেছেন। কথা সত্য বললাম কিনা জানাবেন? হা হা হা।।
মাত্র দুইটা বারিটো! কি বলেন! মাঝারি সাইজের দুটো বারিটো খেলে আমার তো মনে হয় ১২ ঘন্টা আর কিছু খেতে হয় না! হা হা হা…
শুঁটকী লাল হবার কারন মরিচ গুড়া। আমাদের দেশে একেক বার এক এক চালান হয়! কখনো লাল, কখনো কম লাল। আপনি যে কোন তরকারী লাল করতে চাইলে ‘পাপড়িকা’ দিয়ে দেখতে পারেন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আপনার রেসিপি বেশীরভাগই যে দেখেছি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই 🙂 বারিটো নিজেই বানিয়েছি, তাই সাইজে একটু ছোট। একবারে ২০টা তৈরী করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছি, খিদা লাগলে বের করে মাইক্রোওভেনে গরম করে খাই। তাড়াহুড়া থাকলে খুব কাজে দেয়। তবে এটার সাথে কি আর শুটকি আর গরম ভাতের কোনো তুলনা হয়!
পাপরিকা ঘরে আছে মনে হয়, একবার ট্রাই করে দেখতে হবে, ধন্যবাদ!
LikeLike
রনি ভাই, আমি আপনার রান্নার ভক্ত। আপনি রান্না করেন এটাই আমার আনন্দ। হা, আমি জানি।
ভাল থাকুন।
LikeLike
অসাধারণ রেসিপি। আর ছবি দেখে মনে হচ্ছে ঘ্রাণে নয়, চোখে দেখেই অর্ধ ভোজন!
LikeLike
ধন্যবাদ বোন, ওয়ার্ড প্রেস একাউন্ট থেকে লগ ইন করে কমেন্ট করুন। তাতে আমিও আপনার ব্লগের ট্যাগে থাকব।
শুঁটকী পেলে অনেকেরই আর কিছু লাগে না! আপনিও দেখছি সেরাম!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
শুটকি যেভাবেই রান্না হোক সবই আমার খুব প্রিয়
LikeLike
ধন্যবাদ মানিক ভাই।
(উত্তর দিতে দেরী হল, আগে চোখে পড়ে নাই।)
LikeLike
আপনার ব্লগে যখন আসি তখন বিশেষ করে বৃস্পতিবারে আমি বেচে বেচে কয়েকটা রেসিপি প্রিন্ট করে নেই শুক্রবার রান্না করব বলে। আজ এটা ও প্রিন্ট করব সাথে আরো ৩টা রেসিপি নিয়ে কালকে ট্রাই করব।
LikeLike
ওয়াও, হোয়াট এ প্লেজার ফর আস। আমরা আপনার বিশেষ কাজে লাগছি বলে আনন্দিত। এই ধরনের রান্না খেয়ে আপনার পরিবারের কর্তাবাবু সহ অন্যানরা কি বলছেন? জানালে খুশি হব।
আমরা আরো কিছু বেশ মজার রান্না নিয়ে আসছি। শুধু মাছ আর গোসতের রান্না আমরা এড়িয়ে যেতে চাই। আমরা সেইসব রান্না করতে চাই যা হারিয়ে যাচ্ছে কিংবা এখন রান্না হয় না।
শুভেচ্ছা এবং আমরা আপনার কাছ থেকে আরো জানতে চাই। আপনার কোন রেসিপি থাকলেও আমাদের জানাতে পারেন। আমরা রান্না করে খেয়ে দেখি।
LikeLike
এইটা আমার খুব প্রিয় খাবার। আমি অবশ্য শাশুড়ির কাছ থেকে শিখেছিলাম। অনেকে লইট্যা ঠিক মত পরিস্কার করতে পারেনা। এই রান্নার জন্য মাছ টা আগে তাওয়ায় শেকে তারপর গরম পানিতে ভিজিয়ে রাহতেন মা। ঘন্টা খানেক পর মাছ এর কাটা বেছে শুধু মাছ টা দিয়ে এই রান্না করতেন। কিমার মত হয়ে যেত, আর কোনো গন্ধ থাক্তনা।
LikeLike
নমস্কার দাদা। আমি কোনো দিন শুঁটকী মাছ খাইনি। রান্নাও করিনি। আপনার রেসিপি চেষ্টা করবো। আমি শুনেছি শুঁটকী মাছ ফুটিয়া নিয়ে জল টা ফেলে দিতে হয়। এই মাছ পরিষ্কার করে কি করে ? শুঁটকী কি বাজার থেকে কিনে এনেই রান্না করা যায় ?
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। আপনার জন্যও শুভেচ্ছা।
আপনি কখনো শুঁটকী খান নাই জেনে আমরা আপনার জন্য দোয়া করলাম, যাতে আপনি একবার খেয়ে এর প্রেমে পড়ে যান! হা হা হা… শুঁটকী মাছ মেয়েদের বেশ প্রিয় খাবার, একবার খেলে বুঝতে পারবেন। প্রথম একদিন বড় যে কোন মাছের শুঁটকী কিনে রান্না করে দেখতে পারেন।
শুঁটকী মাছ ফুটানো গরম পানিতে চুবিয়ে ধুয়ে নিতে হয়, এতে বালু ও ময়লা থাকলে তা পরিস্কার হয়ে যাবে। এর পর কয়েকবার ঠান্ডা পানিতেও ধুয়ে নিতে পারেন। এর পর টুকরা টুকরা করে বা ও গুলোকে চেঁছে নিয়ে রান্না করবেন।
চিংড়ি, লইট্যা, ছুরি ও সামুদ্রিক মলা বা অন্যান্ন সামুদ্রিক শুঁটকী খেতে সাধারণত মজার হয়ে থাকে। নোনা ইলিশও বেশ মজাদার (সামনে আমরা এই রেসিপি দেবো)।
শুভেচ্ছা। কোন কিছু জানতে ইচ্ছা হলে, হেজিটেড হবেন না, আমাদের লিখতে ভুলবেন না। আমরা আছি।
আপনার পরিবারের সবার জন্য আশা করি একদিন রান্না করে দেখবেন।
LikeLike
আপনার রান্না বাড়িতে করবো
LikeLike
ধন্যবাদ ব্রাদার।
আশা করি রান্না করে পরিবারের সবাইকে চমকে দেবেন। ছেলেদের রান্নায় একটা আলাদা জোস থাকে, তা আশা করি আপনিও প্রমান করবেন।
আপনি রান্না করেন জেনে খুশি হলাম।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আজকে রান্না করছি লইট্ট্যা শুঁটকী। আশা করি খেতে বেশ হবে। আজকে প্রায় ৭-৮ মাস পর শুঁটকী খাবো।
LikeLike
ধন্যবাদ জামি ভাই।
জিবে জল এনে দিলেন।
আশা করছি ভাল হয়েছে এবং খেয়ে আপনারা আনন্দ পেয়েছেন।
শুটকী আমিও পছন্দ করি কিন্তু কিনতে ভয় পাই। ঢাকায় শুটকীতে ভেজাল, রাসায়নিক কি কি দেয়, ভয়ে মন চাইলেও কিনতে পারি না। কি দুঃখের দেশে আছি, খাবারেও ভেজাল।
ভাল থাকুন।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD