গতকাল রাতে আমি পেঁপে যোগে শোল মাছ রান্না করছিলাম। পেঁপের সাইজ মাঝারি। পুরাটা দিয়ে দিলে আমাদের জন্য বেশি হয়ে যায় আবার সামান্য কিছু রেখে দিলে নষ্ট হবে এমন সময় আমার ব্যাটারী জানালেন, পেঁপে যে টুকু বেঁচে যাচ্ছে, চল তা দিয়ে পেঁপে ভর্তা বানিয়ে ফেলি, তবে বাগার টাইপ। আমি রাজী হয়ে গেলাম। এক চুলায় আমার রান্না চলছে অন্য চুলায় পেঁপে ভর্তা।
খুবই সহজ এবং সাধারন রান্না। কিন্তু এতই মজাদার হয়েছিল যে, আমি আমার রান্নার রেসিপিটা আটকে রেখে এই সকালে আপনাদের পেঁপে ভর্তা দেখিয়ে দিচ্ছি, যাতে আপনারা আজ দুপুরে বা রাতে এই রান্নাটা বানিয়ে নিতে পারেন।
চলুন দেখে ফেলি…
উপকরনঃ
– কয়েক পিস পেঁপে (পরিমান আপনি খাবারের সদস্য দেখে নিন)
– পেঁয়াজ কুঁচি, একটা
– কাঁচা মরিচ কুঁচি (ঝাল বুঝে)
– ধনিয়া পাতার কুঁচি
– সরিষার তেল
– লবন (পরিমান মত)
– সামান্য/ একচিমটি চিনি
প্রনালীঃ
পেঁপে অনেকে খেতে চান না, কিন্তু আমার কাছে পেঁপে ভাল লাগে। মাছ কিংবা গোসত দিয়ে পেঁপে রান্না খুবই মজাদার (আগামীতে পেঁপে যোগে শোল মাছ রান্না দেখাবো আপনাদের)।
লবন পানিতে পেয়ে সিদ্ব করে নিন।
সিদ্ব পেঁপেকে ভাল করে গলিয়ে নিন। মিহীন হলে ভাল।
সামান্য সরিষার তেলে পেঁয়াজ এবং মরিচ কুঁচি ভাজুন, একচিমটি লবন দিতে ভুলবেন না। এটাই হচ্ছে বাগার টাইপ।
পেঁয়াজ কুঁচি হলদে রং হয়ে গেলে এবার পেঁপে দিয়ে দিন।
ভাল করে খুন্তি দিয়ে ভাজুন।
সামান্য একটু চিনি দিয়ে দিন।
ফাইন্যাল লবন দেখুন। এবার ধনিয়া পাতার কুঁচি দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
গরম ভাতের সাথে খেয়ে দেখুন এবং আমি নিশ্চিত আপনাকে বলতেই হবে, বেশ মজার একটা ভর্তা খেলাম। বিশেষ করে যারা পেঁপে পছন্দ করেন না, তাদের আমি খেয়ে দেখতে বলব, পেঁপে ভক্ত হতে সময় লাগবে না।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
ব্যানার নতুন নাকি? সুন্দর হয়েছে!
LikeLike
ধন্যবাদ রনি ভাই।
হা, এই ব্যনারটা আমাদের প্রভাকর ভাই করে দিয়েছেন। প্রভাকর ভাই বিবাহের ছবি তুলে থাকেন। চমৎকার হাত। তিনি রং বেশি পছন্দ করেন। হা হা হা… আমার কাছেও ভাল লেগেছে। অনেকে পছন্দ করেছেন এই ব্যানার। তবে গল্প ও লেখাটা বেশি বড় হয়েছে, এটা বলেছেন জামান ভাই।
শুভেচ্ছা। তবে রনি ভাই, এই পেঁপে ভর্তা অবশ্যই খেয়ে দেখবেন। বেশ মজাদার।
LikeLike
বাহ, বেশ সহজে করা যাবে। থ্যাঙ্কু ভাইয়া।
আমি মাঝে মাঝে পেঁপে বড় বড় টুকরা করে সেদ্ধ করে রাখি। যেদিন সময় কম থাকে কেটে ভেজে ফেলি। পেঁপে-কলা, পেঁপে-আলুর ভর্তাও করি কখনো কখনো।
আমার চাচী পেঁপের বিচি টেলে, শুটকি, কাচামরিচ ভেজে সব বেটে পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভর্তা বানান। মজা হয় খেতে। একটু তেতো হয়, সেটা এভয়েড় করতে চাইলে সামান্য সেদ্ধ আলু মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে আলু খোসা ছাড়িয়ে স্লাইস করে পানি টানিয়ে কিছুটা পোড়া পোড়া করে ফেললে স্বাদ ভালো হয়।
আমার বড় মামী পেঁপের আঙ্গুল গজা বানান। কাচা পেঁপে দিয়ে যে কত কি করা যায়!
LikeLike
পেঁপে আমার কাছেও বেশ ভাল লাগে। কিন্তু আমার ব্যাটারী তেমন একটা পছন্দ করেন না বলে আমি কিনতে চাই না। গরুর গোসতের সাথে আমি একটা রান্না জানি, খেলে প্রান ভরে যাবে (সাধারন রান্না)।
আপনার কমেন্ট পড়ে ভাবছি, পেঁপে নিয়ে কিছুদিন কাজ করব। পেঁপের একদিন কি আমার একদিন!
ধন্যবাদ বোন।
LikeLike
আমার দাদী এটা করতেন । আসলেই বেশ ভাল লাগে খেতে ।
LikeLike
ধন্যবাদ অজ্ঞাত ভাই।
আমি নিজেও জানতাম না যে এই ভর্তা এত মজার।
আসলে কত খাবার আছে এই দুনিয়ায়।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
এই প্রথম পেঁপে ভর্তার কথা শুনলাম। অবশ্য চট্টগ্রামে এই খাবারের সাথে হয়তো মানুষ খুব একটা পরিচিত নয়, তাই।
তবে দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হবে খেতে।
LikeLike
জামি ভায়া, বেশ মজাদার। নিজে না পারলেও কাউকে দিয়ে একবার বানিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। স্বাদের কথা আমি নিশ্চিত অনেকদিন মনে থাকবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
Pay Pay Vorta Onek Testy
LikeLike
ধন্যবাদ রহমান ভাই।
(দেরীতে উত্তরের জন্য ক্ষমা চাইছি)
LikeLike
ফজলে হাসান জামি Vhi You Says Right But I Take this test Several Times its good
LikeLike
আরে একদম নতুন রান্না, আগে খাওয়া তো দূর শুনিনি পর্যন্ত্য, আর কি সোজা!! করতেই হচ্ছে এটা। থ্যাঙ্কু দাদা…
LikeLike
ধন্যবাদ কবি বোন।
আজই, খেয়ে নিশ্চয় বলবেন, ভাল ভাল ভাল।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
আমার আম্মা খুব খেতেন এই পেপে ভর্তা। তবে বাগার ছাড়া। আগামীতে আমাকেও হয়তো এসবই খেতে হবে। পেপে আমি পছন্দ করি। গরু, মুর্গীর মাংস দিয়ে পেপে, বড় মাছে পেপে, পেপে ভাজি ( শুধু কালিজিরা দিয়ে) পেপের হালুয়া, পায়েস কত কিছুই খাওয়া যায়।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। খালাম্মার জন্য দোয়া থাকল।
হা, বাগার ছাড়া শুধু কাঁচা পেঁয়াজ মরিচ দিয়েও এই ভর্তা বানানো যায়। আর একদিন আমি তা দেখিয়ে দেব। পেঁপে আমার কাছে ভাল লাগে, আলুর বদলে পেঁপে চলে আমার।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD
বাজার থেকে পেপে কিনে এনেছি গুগল করলাম। পেপে কেনার সময় ভেবেছি আর অন্য কোন ব্লগ না হোক, আপনারটাতে রেসিপি যাব। অনুমান মত গুগল প্রথমেই আপনার ব্লগ ধরিয়ে দিল 😀
ছবিগুলো কাজ করছে না। আমার মত প্রাক-নবিশ লেভেলের লোকদের জন্য ছবি থাকলে বুঝতে সুবিধা হয়
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ মাহবুব ভাই,
আমার রেসিপি দেখার জন্য শুভেচ্ছা।
ছবি গুলো আমিও ঠিক করতে পারছি না। ফটোব্রাকেট আমাকেও ছবি দেখাচ্ছে না। মাসের শুরুতে ঠিক থাকে, তবে ছবি গুলো আমি গুগলে নিয়ে আসবো।
ধন্যবাদ।
LikeLike