মাছ ভাজি কার না পছন্দ! মাছ ভাজি থাকলে, খেতে বসে কে না মাছ ভাজি খাবেন। চলুন আজ এক এমনি মাছ ভাজি দেখি। এর আগে আমি অনেক মাছ ভাজি দেখিয়েছি। আশা করি দেখেছেন। আজ এই পোষ্ট দিতে গিয়ে একটা অন্য কাজ করে ফেললাম, তা হচ্ছে মাছের ভাজা নিয়ে একটা ক্যাটাগরি খুলে ফেললাম, যাতে করে সহজে নানান পদের মাছ ভাজি দেখা যায়। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে, সব ধরনের মাছের ভাজা এবং নানা পদের মশলা পাতি দিয়ে মাছ ভাজি – জাষ্ট ক্লিক প্লিজ!
[সময় হাতে নেই, অনেক অনেক রেসিপি জমে গেছে। অনেক অনেক মজার রান্না ইতিমধ্যে করে ফেলেছি। সে গুলো না দিয়ে যাব কোথায়! এদিকে সময় মত বা রান্নার পরদিন রেসিপি না লিখলে আমার কাছে রেসিপি গুলো পুরানো মনে হয়।] পুরানো কথা কপি করে নিলাম।
চলুন দেখে ফেলি। খুব সহজ এবং সাধারন।
উপকরনঃ
– একটা তেলাপিয়া মাছ (তাজা হওয়া উত্তম)
– কয়েক পদের সস (এক চা চামচ করে – সয়া, টবাস্কো, টমেটো)
– দুই কোষ রসুন বাটা
– হাফ কাপ ধনিয়া পাতা বাটা (কম বেশী)
– লবন (কম দেয়াই ভাল, সয়া সসে লবন থাকে)
– হাফ চামচ লাল মরিচ গুড়া (বুঝে)
– সরিষার তেল (পরিমান মত)
প্রস্তুত প্রণালীঃ
তেলাপিয়া মাছ কেটে ধুয়ে নিন।
দুই কোষ রসুনের সাথে ধনিয়া পাতা বেটে নিন।
মাছের উপর সস গুলো দিয়ে দিন। মরিচ গুড়া দিন, সামান্য লবন এবং রসুন এবং ধনিয়া বাটা।
ভাল করে মেখে ঘন্টা খানেক নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন (মশলা মাছে লেগে যেতে দিন)। ম্যরিনেটেড।
এবার একটা কড়াইতে তেল গরম করে তাতে ফ্রিজ থেকে আনা মাছ ছেড়ে দিন। হালকা আঁচে একপিট একপিট করে ভাল করে ভেজে ফেলুন। সাবধানতা প্রয়োজন। তেলের ছিটা যেন গায়ে না পড়ে। মাছ নাড়াতে মনোযোগী হতে হবে।
মাঝে তেল উঠিয়ে দিন। বেশী নাড়া ছাড়া করার দরকার নেই। এক পিঠ হয়ে গেলে অন্য পিট ভাজুন। যদি লেগে যায় তবে চুলা বন্ধ করে অপেক্ষা করুন। নিজেই উঠে যাবে।
মাথা অংশটা এভাবে ভাজুন।
লেজের অংশটা এভাবে।
হাল্কা আঁচে কিছুক্ষনের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। মাছের ভিতরটা নরম হয়ে যাবে।
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। সার্ভ করুন, যার যে পছন্দ!
শেষ হতে বেশি দেরী লাগবে না! ডিলিশিয়াস!
সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
ওরে ভাইয়া। থ্যাঙ্কু। থ্যাঙ্কু। আমি সেদিন এক ভদ্রমহিলার দেখাদেখি না বুঝেই ১০ টাকায় হাফ কেজি ধনে পাতা কিনে ফেললাম। হাফ কেজি মানে যে এতো-এতো তখন মাথায় আসেনি। বেশ ভালো পাতা। ৬/৭ দিনেও নষ্ট হয়নি।
তেলাপিয়া আমাদের রেগুলার মাছের একটা।
আচ্ছা ভাইয়া, কাচামরিচ যেমন পেস্ট করে ডিপে রেখে দেই, ধনে পাতা সেভাবে রাখা যায় না? জানাবেন।
এই ধনেপাতাযুক্ত রেসিপিটার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
LikeLike
ধনেপাতা ভালো করে ধুয়ে পছন্দ মত টুকরা বা কুচিয়ে নিয়ে একটি প্লাস্টিকের বক্সে ভরে সামান্য পানি দিয়ে ( ধনেপাতা যাতে ভিজে) ডীপ ফ্রীজে রেখে অসময়ে তরকারী রান্নার সময় ঐ জমাট বাধা বরফ+ধনেপাতার টুকরো থেকে একটু নিয়ে তরকারীর উপর দিলে তাজা ধনেপাতার স্বাদ ও ঘ্রান পাওয়া যায়। আমি এভাবেই রাখি রাশিদা। 😀
LikeLike
রান্নাতো আপা এবং ছোট বোন, গতকাল এই বিষয়ে আমার ব্যাটারীর সাথে কথা চলছিলো। তিনি জানালেন, সামান্য তেল দিয়ে ধনে পাতা বেটে বাটিতে ভরে ড্রীপ ফিজে রেখে দেয়া যেতে পারে। রান্নার সময় নামিয়ে দিয়ে ভেঙ্গে (বা একটু আগে বের করে রেখে দিলে চলবে) তরকারীতে দেয়া যেতে পারে। এভাবে অনেকদিন রেখে দেয়া যেতে পারে।
শুভেচ্ছা আপনাদের দুইজনকেই।
LikeLike
সুরঞ্জনা,
কাল তোমাকে ফোন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রাত ১০টা বেজে গেছে দেখে করিনি। একটা তথ্য দরকার ছিল।
ধনেপাতা এভাবে ডিপে রাখার তো বেশ সুবিধা। অনেক ভালোবাসা দিলাম তোমাকে।
LikeLike
আমার রান্নাতো আপা হচ্ছেন, সেরা। তিনি যে পরামর্শ দেন সেটা চমৎকার। অনেক সময় আমিও তার পরামর্শের জন্য বসে থাকি। তিনি কাউকে আশাহত করেন না।
আপার রান্নার তারিফ পত্রিকায় নিয়ে আসুন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
ধনিয়া পাতা একটা বস জিনিস। যেই কোন কিছুতে দিলেই স্বাদ ও গন্ধ বেড়ে যায়!
LikeLike
চ্রম মন্তব্য। ধনিয়া পাতার প্রশংসা দেখে আমি বুঝতে পারলাম, আপনি রান্না করেন। ধনিয়া পাতা রান্নায় একটা আলাদা ফ্লেভার এনে দেয়। যারা রান্না করেন তাদের প্রিয় এই ধনিয়া পাতা।
ধন্যবাদ হাটুরে ভাই।
LikeLike
🙂 আপ্নের কইছেন আমি রান্না করি! ইয়াাাাাাাাাাাহুুুুুুু…..;) ব্যাপক খুশি খুশি লাগতেছে! আপনের মন্তব্য পেয়ে!
LikeLike
ধনিয়া পাতার এই কারবারের কথা যারা রান্না ঘরে নিয়মিত যান তারাই জানেন, অন্যদের জানার কথা নয়।
LikeLike
😀 কথায় সত্যতা আছে।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD