পালং শাক আমার প্রিয় শাক, এই শাক আমি এই জীবনে অনেকবার কিনেছি এবং আমি নিজে এই শাক বেশ ভাল রান্না করতে পারি। রান্না করতে করতে এখন মনে হয়, শুধু পানি আর লবন দিয়েও রান্না করা যেতে পারে! আমার হাতের রান্না পালং শাক আমার ব্যাটারীর খুবই প্রিয়! তিনি শাক রান্নার জন্য এখন আমার দিকে চেয়ে থাকেন! হা হা হা… চলুন আজ পালং শাকের আর একটা রান্না দেখে ফেলি। পালং শাক নুতন আলু দিয়ে রান্না। নুতন আলুর বিষয়টা আমি আগেও বলেছি, সিজন এখনই, যা পারেন খেয়ে নেন!
তবে যে কোন শাকের ঝোল রান্নায় এক/দুই টুকরা মাছ (যে কোন মাছ) ব্যবহার করতে পারেন, এতে স্বাদ অনেক গুন বেশী বেড়ে যায়। অবশ্য অনেকে শাকে মাছ বা মাংস পছন্দ করেন না! যেমন আখাউড়ার লোকজনও শাক ভাজি খান শুধু, শাকের ঝোল রান্না পছন্দ করেন না! হা হা হা।। তবে সময়ে সব পাল্টে যায়, বয়সে সব কিছুই গিলতে হয়!
চলুন দেখে ফেলি। পালং শাক ও নুতন আলু।
উপকরণঃ
– পালং শাক (তিন মুঠা, এখন বাজারে মুঠার যা অবস্থা! ছোট করতে করতে আর পারছে না!)
– নুতন আলু (তিনটে মাঝারি সাইজ)
– মাছের টুকরা এক বা দুই টুকরা (আমি বোয়াল মাছের ছোট দুই টুকরা দিয়েছিলাম)
– হলুদ গুড়া (হাফ চা চামচ)
– লাল মরিচ গুড়া (ঝাল বুঝে, হাফ কিংবা এক চা চামচ)
– রসুন বাটা বা কুচি (এক চা চামচ)
– দুইটা মাঝারী পেঁয়াজ কুচি
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ (ঝাল বুঝে)
– লবন (পরিমান মত)
– তেল ও পানি
প্রনালীঃ
তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি থেকে সব মশলা, লবন দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন।
এক কাপ পানি দিন। ঝোল হয়ে যাবে। ঝোল ভাল করে কষানোর পর মাছের টুকরা দিয়ে আরো ভাল করে কষিয়ে নিন।
এবার নুতন আলু গুলো সাইজ মত কেটে ধুয়ে দিয়ে দিন।
এক মগ পানি দিন। আলু গুলো ঝোলে মিশিয়ে নিন।
এবার ঢাকনা দিয়ে মিনিট বিশেক অপেক্ষা করুন। আলু মজে নরম হতে দিন।
আলু মোটামুটি নরম হয়ে গেলে তাতে পালং শাক ধুয়ে কেটে দিন।
আবারো কিছু ক্ষনের জন্য ঢাকনা দিন। পানি আর দেবেন না, শাক থেকে পানি বের হয়ে থাকে।
শাকের রং সুন্দর রাখার জন্য বেশী ক্ষন ঢাকনা দেয়া চলে না।
ঝোল কেমন রাখবেন তা আপনি নির্ধারন করবেন। ফাঁকে ফাইন্যাল লবন দেখে নিন। লাগলে দিন।
ব্যস হয়ে গেল পালং শাক ও নুতন আলু রান্না। একবার খেয়ে দেখুন কেমন লাগে। আমি নিশ্চিত, খেয়ে আপনি বলবেনই, “ধন্যবাদ, উদরাজী”!
আমাদের প্রতিদিন কিছু না কিছু শাক সবজি খাওয়া উচিত। এতে শরীর ভাল থাকে এবং নানাবিধ শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আপনার শিশুদের শাক খাওয়ানো শিখিয়ে দিন।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
বোয়াল মাছের মাথা দিয়ে পালং শাক রান্না করে খেয়ে দেখেন। আমি তো পাঙ্গাসের পাথা দিয়ে পালং, পুই শাক রান্না করি খুব স্বাদ হয়। আর পালং শাক ভাপিয়ে নিয়ে পেষ্ট করে খাসীর গোস্ত দিয়ে… আহা! যেন অমৃত!!!
LikeLike
রান্নাতো আপা, বোয়ালের চারটে মাথা কি করি করি করে কয়েকদিন আগে ভুনা টাইপ করে রান্না করে ফেলেছি! আমি যে কোন মাছের মাথা দিয়ে আমার আম্মাকে নানান সবজি রান্না করতে দেখেছি। কিন্তু আমার ব্যাটারী এটা তেমন ভাল পান না। মাছ দিয়ে শাক সবজি রান্না নাকি আখাউড়ায় চলে না!
আমাদের এই ধরনের রান্না দেখে এবং খেয়ে আমার শশুর বাবাজী নাকি খুব হাসতেন! আসলে এক এক জায়গাতে এক এক ধরনের রান্না এবং ছোট বেলা থেকে যে রান্না দেখে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাই, সেটাই বড় বেলায় ভাল লাগে।
পালং শাক ভাপিয়ে নিয়ে পেষ্ট করে খাসীর গোস্ত দিয়ে… জিবে জল এনে দিলেন। ফোন করব যে কোন দিন, এই রেসিপিটা আমাকে বলে দেবেন। কারন ঘরে কিছু খাসির গোসত (যা খুব কম কিনি) আছে, রান্না করা যেতে পারে।
শুভেচ্ছা। কুম্ভকর্ন ভাই কেমন আছেন।
LikeLike
ভাইয়া,ছবি কই গেল?
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। ছবি গুলো দেখতে হলে কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। আমি যে সাইটে ছবি রাখি তারা একটা নিদিষ্ট ব্যান্ডউইথ দিয়ে দিয়েছে, সেটা পার হয়ে গেলেই আর ছবি দেখায় না। আমি ইতিমধ্যে সেই সাইটে আর ছবি দিচ্ছি না, আগামীতে সব গুলো সরিয়ে নিয়ে আসবো। একটু অপেক্ষা করুন। সরি ফর ইঙ্ককভিনিয়েন্স।
আপাতত নুতন রেসিপি গুলো দেখুন। আর লেখা পড়ে রেসিপি গুলো বুঝতে পারলে চেষ্টা চলুক। শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD
পালং শাকের সাথে চিংড়ি আমার প্রিয় সবসময়। আর শাকে লাল মরিচ দিলে স্বাদ ভালো হয় বলে মনে হয় না।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন।
আপনি রান্না করেন বুঝা যায়, আনন্দিত হলাম।
শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
বাহ! নতুন একটা রান্না শিখলাম, মাছ যোগ করে।অনেক ধন্যবাদ ভাই 😊
LikeLiked by 1 person
আপনাকেও ধন্যবাদ বোন।
শাঁক সব্জিতে সামান্য কিছু মাছ দেয়া আমাদের মায়েদের কাছ থেকেই দেখেছি। এতে স্বাদ এবং পুষ্টিমান বেড়ে যায়, শিশু কিশোরদের জন্য আরো ভাল হয়।
শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike