অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম ডিমের সেকশনে আরো রান্না দিয়ে ভরিয়ে দেব। কিন্তু ডিমের অনেক রান্না পাই কোথায়? ডিমের ব্যবহার প্রতিদিন আমাদের পরিবারে হলেও ওই একই রান্না চলে প্রতিদিন। বিশেষ করে মাঝারি পরিবার গুলোতে সকালের নাস্তায় ডিমের আমলিট বা মামলেট খুবই জনপ্রিয় একটা খাদ্য।
(হাঁসের ডিম খুব একটা কেনা হয় না, তবে আমি হাঁসের ডিম পছন্দ করি বেশ। বিশেষ করে হাফ বয়েল্ড। লুকিয়ে রাস্তার ধারে পেলে খেয়ে নেই, বাসায় বলি না! ভাবখানা এমন করি যে, বাইরে আমি কিছু চেয়েও দেখি না! বাংলাদেশের সব পুরুষেরই এই একটা দোষ! মিথ্যায় বসবাস!)
যাই হোক আজ সকালে হাতে বেশ সময় ছিল। অফিসে আসতে দেরী হলেও সমস্যা নেই। ব্যাটারীকে জানালাম, আজ হাঁসের ডিমের মামলেট করি চলো। তিনি আমার ছেয়েও আজকাল রেসিপিতে বেশী উৎসাহী। বললেন তুমি শেভ ও গোসল সেরে আস, আমি সব রেডী করে রাখছি। (চাকুরীর খ্যাতা পুড়ি, প্রতিদিন শেভ করা আর ভাল লাগে না!)
উপকরনঃ
– ডিম (দুইটা) (বেশী ডিম খাওয়া ভাল নয়, বাবু! না বাবু না!)
– পেঁয়াজ কুঁচি পরিমান বুঝে
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ/ ঝাল বুঝে
– ধনিয়া পাতা কুঁচি পরিমান বুঝে
– পরিমান মত তেল
– পরিমান মত লবন
প্রনালীঃ
ভাল করে লবন যোগে মাখিয়ে নিন। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ হলে একটু বেশী মলে নিতে হবে। সফট হলে ভাল!
ডিম ভেঙ্গে দিন।
ভাল করে মিশিয়ে নিন। ফেনা তুলে ফেলুন। জিহব্বার আগায় লবন দেখে নিন।
এবার পুরানো তাওয়ায় সামান্য তেল দিয়ে ভাল করে গরম করুন। তেল গরম হলে তাতে মিশ্রণটি ছেড়ে দিন।
পুরো তাওয়াতে বিছিয়ে দিন এবং ঢাকনা দিয়ে মিনিট ১০শেক অপেক্ষা করুন। আগুনের আঁচ অল্প। পুড়ে যে না যায়।
এবার শীতল পাটির মত ভাজ করে ফেলুন। বিশেষ করে তিন ভাজ হলে ভাল।
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
কেটেও পরিবেশন করা যেতে পারে।
দুইজন দুই পাশে বসে পড়ুন। চা বা কফির ব্যবস্থা আগেই করে আসতে পারেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের নাস্তা এর চেয়ে বেশী করা সাজে না। আজ সকালে এই নাস্তা খেতে খেতে আমাদের বিপিএল ক্রিকেট এর নিলাম অনুষ্ঠান দেখছিলাম, লাইভ! আমাদের সাকিব বিক্রি হয়েছেন ৩,৭৫,০০০/= হাজার ডলারে! ভাবছিলাম ‘আমার ও আমাদের ডিম বিক্রেতা’র কথা! আমরা দুইজনেই ফুটপাতেই রয়ে গেলাম! তবে এই ভেবে আনন্দ পাচ্ছিলাম যে, সাকিব যত টাকাই (আল্লাহ তাকে আরো দিন) রুজি করুন না কেন তাকেও আমাদের মতই ডিমের মামলেট খেতে হয়। চাইলেও তিনি সোনার ডিম (স্বর্ন) খেতে পারবেন না!
রামপুরা বাজারের ডিম বিক্রেতা ইব্রাহীম, যার সাথে আমার বেশ সখ্যতা গড়ে উঠেছে। ওর সামনে দিয়ে গেলেই ওর মনে হয়, আমি ডিম কিনবোই! আমি প্রায় বলি, আমাকে ডাকিস না! ও ডাকবেই। কি আজব এই দুনিয়ার মানুষ গুলো!
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
Golpo na bastobota. Bhaiya, apni eamon kore likhen kano?
Aro eamon receipi chai.
LikeLike
ধন্যবাদ সিষ্টার।
আপনি চাইলে অভ্র দিয়ে বাংলা লিখতে পারেন। তবে মোবাইল বা ট্যাব থেকে লিখছেন বলে মনে হয়…।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
এই রান্নাটা বেশ ভালোই পারি। বিপদে আপদে কাজেও লাগে দারুন।
LikeLike
হা হা হা…
সাকিব কে নিয়ে কিছু লিখলেন না!
LikeLike
love ur writing ….
LikeLike
ধন্যবাদ অজ্ঞাত ভাই।
শুভেচ্ছা। আশা করি মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবেন।
LikeLike
Like this
LikeLike
ধন্যবাদ রহমান ভাই। শুভেচ্ছা।
LikeLike
ফটো তো দেখা যায় না। এখানে ( http://www.imagebam.com ) আপলোড করতে পারেন। খারাপ না…
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD