বেশী ভাল খাবারের (দামী এবং বেশী খরচের) রেসিপি আমি দিতে চাই না। নেট ঘেঁটে এই ধরনের আমাদের প্রায় সকল ভাল খাবারের রেসিপি পাওয়া যেতে পারে। আমার রেসিপির টার্গেট হচ্ছে, নুতন রান্না শেখার বন্ধুরা এবং যারা প্রবাসে বা দেশে রান্না না জানার জন্য দেশি বা আমাদের খাবার খাচ্ছেন না তাদের জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা। আমি সেজন্য সব সময় চাই সহজ ও সাধারন খাবারের রেসিপি দিতে। সাধারন ও সহজ রান্না দেখে যদি আপনি রান্নায় আগ্রহ করেন তবেই আমরা আমাদের প্রচেষ্টা সার্থক মনে করব।
এদিকে আবার মাঝে মাঝে আমাদের কাছে রিকোয়েষ্ট আসে, বিশেষ কিছু খাবারের রেসিপির জন্য (যা আমরা এপ্রিসিয়েট করি, এতে আমাদেরও ভাল মন্দ খাবার জুটে!)। গত কয়েকদিন আগে বাহারাইন থেকে এক বন্ধু ফোন করেছিলেন (নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নন), মুরগীর মাংসের রোষ্টের রেসিপি দেবার জন্য। তিনি আমার রেসিপি পোষ্ট দেখেন প্রায়ই। আমাদের আনন্দ দেখে কে? বাসায় আমার ব্যাটারীকে ফোনে জিজ্ঞেস করলাম, সব কিছু আছে কি না! তিনি জানালেন, মুরগী ছাড়া বাকী সব আছে!! যাই হোক অফিস ফেরার পথে ছোট একটা ইলিশ মাছ, চারটা দেশি মুরগী, চারটে কলা, হাফ কেজি ছড়া ও কাঁচা ধনিয়া পাতা সহ বেশ কিছু নিয়ে বাসায় প্রবেশ করলাম। সেদিন রাতে চারটে আইটেম রান্না হয়েছিল – পোলাউ, মুরগীর রোষ্ট, কাঁচা কলা ইলিশ, ছড়া ইলিশ। আমি খেয়েছি পোলাউ আর ছড়া, অসাধারণ। তবে শেষে এক পিস রোষ্ট কুপিয়েছি! হা হা হা…
যাই হোক, চলুন দেখে নেই – শাহী চিকেন রোষ্ট, দেশী মুরগী দিয়ে। দেশী মুরগীর কথা শুনে কেহ হাসবেন না! দেশী মুরগী আসলেই দুস্পাপ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে দিনের পর দিন! শাহী কথাটা বলার মানে হচ্ছে মশলা বেশী ব্যবহার করা হয়েছে। এর চেয়েও কম মশলায় রোষ্ট করা যেতে পারে।
উপকরনঃ
– মুরগীর মাংস ১ কেজি (কিংবা ৬/৭টা লেগ পিস নিতে পারেন)
– জয়ফল (১টা ফল ১০ কেজির জন্য ব্যবহার হয়) সামান্য
– জয়ত্রী ১/২ চা চামচ
– চিনা বাদাম ৪ চা চামচ (বাটা বা গ্রাইন্ড করা)
– দারুচিনি – ৪ টুকরা (হাফ ইঞ্চি)
– এলাচি – ৩/৪ টা
– কিসমিস ১০/১২ টা
– অলু বোখারা ৩/৪ টা
– আদা ১ টেবিল চামচ
– রসুন দেড় টেবিল চামচ
– ধনিয়া ১ চা চামচ
– জিরা ১ চা চামচ
– কাঁচা মরিচ পেষ্ট/ বাটা/ গ্রাইন্ড (ঝাল বুঝে) ৩ টেবিল চামচ
– টমেটো সস ২ টেবিল চামচ
– টক দই এক কাপের অর্ধেকের কম
– চিনি ১ চা চামচ
– পরিমান মত লবন
– তেল পনে এক কাপ
– পেঁয়াজ কুঁচি এক কাপ (বেরেস্তার জন্য, সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ ভেজে তুলে রাখলেই বেরেস্তা হয়ে যায়)
প্রনালীঃ
দই এবং পেঁয়াজ কুঁচি ছাড়া বাকী সব কিছু পাত্রে নিয়ে ভাল করে চিকেনের সাথে মিশিয়ে ফেলুন এবং মিনিট বিশেকের জন্য রেখে দিন।
কড়াইতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি সামান্য লবন দিয়ে ভেজে বেরেস্তা বানিয়ে তুলে রাখুন।
বেরেস্তা তুলে সেই তেলে মশলা মেশানো চিকেন দিয়ে দিন, তেল লাগলে আরো দিয়ে দিতে পারেন। পাত্র ধুয়ে এক কাপ পানিও দিন, দই দিয়ে দিন।
ব্যস। মিনিট তিরিশেকের জন্য হালকা আগুনের আঁচে ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন।
যদি মুরগীর মাংস না নরম হয় তবে আরো পানি (গরম হলে ভাল) দিতে পারেন। মাংস নরম ও মোলায়েম হয়ে পড়বে।
এমন একটা পর্যায় এসে পড়বে।
বেরেস্তা দিয়ে দিন এবং হালকা আঁচে ভাল করে নেড়ে নিন।
ঝোল কেমন রাখবেন তা আপনি ভেবে নিন।
ব্যস হয়ে গেল শাহী চিকেন রোষ্ট।
শিশুরা নিশ্চয় এই রোষ্ট পছন্দ করবেই। সাথে পোলাউ রান্না করতে ভুলবেন না।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
(Photobucket to Google)
ওয়াও!!!!
LikeLiked by 1 person
হা হা হা…।
ধন্যবাদ সুজন ভায়া।
LikeLike
আপনারে সবসময় স্যালুট জানাইয়া থাকি। আরেকটা ভুল যে করতেছি আজ ইয়াদ হলো।
সুতরাং, ভাবীকেও স্যালুট জানাইয়া দিয়েন।
LikeLiked by 1 person
আবার হাসলাম, হা হা হা…
আজকাল রেসিপির রান্না আমি নিজেই করি (আশে পাশে কেহ নাই!) তবে আমার প্রায় প্রতিটা রান্নায় তিনি থাকেন। বাজার সদাই, কি রান্না হবে তার পুরা ব্যাপারটা আমি করে যাই তবে আমার ভুল হলে তিনি তা ঠিক করে দেন। নানান মশলা পাতিতে আমি আটকে গেলে তিনি বলে যান।
ভাবীকে আমিও স্যালুট করি। কারন তিনি আমাকে রান্নাঘরে চরম সহ্য করে থাকেন এবং এটা আপনাদের কারনেই হচ্ছে। আমি আপনাদের কমেন্ট তাকে পড়ে শুনাই এবং তিনি এতেই খুশি হন। আমি সাইটের হাল ছেড়ে দিলে তিনিই সাইটের হাল ধরতে পারেন(রাজনীতিকের স্ত্রী যেমন রাজনীতিবিদ হয়ে যান)!
তবে সত্যি একজন পুরুষের রান্নাঘরে স্ত্রীর সাথে টিকে থাকা কঠিন কাজ, আমি সেই কাজে জয়ী হয়েছি বলে মনে করি। আমার স্ত্রী এখন আমাকে রান্নাঘরে পেলে খুশি হন, কারন রান্নার সাথে সাথে নানান গল্পগুজব এবং আড্ডা চলে, এক সাথে সময় কাটানো যায় (আমরা সেই সময় কোথায় পাই!)।
এবং বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের বিবাহের এখন প্রায় ১৫ বছর চলছে। আমি রান্না শেখার চেষ্টায় আছি প্রায় বছর দেড়েক, এই দেড় বছরে বলা যায় আমাদের প্রায় ঝগড়া হয় নাই, অথচ আগে …। এটার কারন হচ্ছে, আমার এই আগ্রহের কারনে আমাদের বোঝাপড়া ভাল হয়েছে।
অন্যদিকে সেও এখন আমাকে বুঝতে পারে, আমি কি চাই! আমাকে একা ফেলে বাপের বাড়ী যেতে তিনি এখন আর টেনশন করেন না! হা হা হা… আগে নাকি এটা তার একটা বিরাট টেনশনের কারন ছিল, আমি একা ঘরে কি খাই না খাই! এখন আমি রান্না করে অনেকবার প্রমান করে দিয়েছি। এমন কি, তিনি ও আমার ছেলে এসে, ভাল খাবার পেয়েছেন।
আমার ছেলের কথাই বলি, আমি রান্না করলে যে ধরে নেয় সামথিং স্পেশাল হবেই। এবং আমার রান্নার স্বাদ ভাল হয় বলে সে জানায়। কিছুদিন আগেও সে আমাকে ‘নেট শেফ’ বলে ডাকত। এখন আর ডাকে না, এখন বলে, ‘ড্যাড, ইউ আর এ রিয়েল শেফ!’
বলেন এই আনন্দ কোথায় রাখি!
সর্বপরি, দেশ বিদেশের অনেক অনেক ভাই বোনরা আমার রেসিপি দেখে উপকার বা জানছে, এটাই সেরা আনন্দ। আমার ধারাবাহিক দেখিয়ে দেয়া, উনাদের জন্য কাজের হয়। মোশান কিংবা কয়েক লাইনের রেসিপির চেয়ে আমার পুর্নাংগ দেখিয়ে দেয়া অনেক অনেক বেশী কাজে লাগে এবং সহজ হয়।
আজকাল অনেকে নোটপ্যাড, নোটবুক কিংবা ল্যাবটব নিয়ে রান্না ঘরে যাচ্ছে! আগামীতে এটা আরো অনেক বেড়ে যাবে। আমি সবার রান্নাঘরে প্রবেশ করতে চাই।
ধন্যবাদ আবারো, অনেক অনেক লিখে ফেললাম।
LikeLiked by 1 person
আপনি কি জানেন? আপনার গদ্য ভয়ংকর রকম প্রাঞ্জল। খুব চমৎকার গদ্যে নিজের পরিবারের কথা লিখছেন।
থুবই ভালো লাগল।
চিরকালই এমনি থাকুন।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ সুজন। রান্নার পাশাপাশি গল্প (!) করার জন্য আমার ব্লগে বেশ কিছু পাঠক আসেন! হা হা হা… তবুও অনেক সত্য বলা যায় না! আমি বলতে চাই, না বলা কথা গুলো।
শুভেচ্ছা থাকল।
LikeLike
কোনদিন দেখা হলে সাহাদাত ভাইয়ের হাতের শাহী চিকেনটা অবশ্যই খেতে হবে। রান্নাকে আপনি এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেন যে আপনার ব্লগ পড়ে রান্না করতে ইচ্ছে করে।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ বোন, অনেকদিন পর আপনাকে এবং দাইফ ভাইকে দেখে অনেক অনেক খুশি হলাম। আমি প্রতিদিনই আপনাদের খুঁজে বেড়িয়েছি। এতদিন কোথায় ছিলেন?
হা হা হা।। ব্যাপার না।
LikeLike
নেটে একটু কম আসা হয়েছিল। ওয়ার্ডপ্রেসে আসলেই আপনার ব্লগে একবার উকি দিয়ে দেখে যাই।
সত্যিই দেখা হলে শাহী চিকেন রান্না করতে হবে। হাহাহাহাহা
LikeLiked by 1 person
হা হা হা, আমি হেসে গেলাম। দেখা হলে আরো ভাল কিছু করতে চেষ্টা করব।
আপনাদের কমেন্ট গুলো আমার ব্যাটারী বেশ উপভোগ করেন। আপনাদের জন্য শুভেচ্ছা সব সময়। হারিয়ে না গিয়ে মাঝে মাঝে আসলেই আমরা খুশি থাকব…
LikeLike
স্বাদে সমৃদ্ধ হলেও দেশী মুরগী সিদ্ধ করতে জান শেষ। স্বাদ কম তবে ব্রয়লার দ্রুত সিদ্ধ হয়। রোস্টের চেয়ে দেশী মুরগীর ঝালেঝোলে আকর্ষণ করে আমাকে বেশী।
LikeLiked by 1 person
হা, হুদা ভাই, আমিও দেশির চেয়ে বিদেশী পছন্দ করি! হা হা হা…
LikeLike
first time l m here..love ur cooking,so easy to follow it . ur way of writing is so funny. wish u best of luck ,regards to ur wife………
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ অজ্ঞাত ভাই।
আপনাকেও শুভেচ্ছা জানাই এবং আশা করি আমাদের সাথে থাকবেন। মাঝে মাঝে দেখে যাবেন আমাদের। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে, পুরুষদের রান্নায় আগ্রহী করে তোলা এবং রান্না যে একটা ভাল ব্যাপার তা তুলে ধরা।
আশা করছি, আমাদের অন্য রান্না এবং গল্প গুলো পড়ে দেখবেন।
ভাল থাকুন।
LikeLike
l love cooking,after work very small time to do posh cooking.something easy n quick .off day some fancy cooking for friend n my husband(,i live in ireland,)my friend’s love my bangladeshi food….by the way …thanks ,u popular in lady’s too…
LikeLiked by 1 person
Dear Sister,
Thank you very much for your comment. It is nice appreciation and make us happy. The best line you wrote that “u popular in lady’s too…”. Ha ha ha…. looks it is not correct!
You are welcome and look forward to see you in my up coming recipes.
Best wishes always.
LikeLike
আমি এতই খুশী হয়েছি যে যা ভাষায় বোজানো যাবে না ।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ জামান ভাই, আপনার কমেন্ট পেয়ে আমরাও চরম খুশি হয়েছি। আপনাদের এক একটা কমেন্ট আমাদের চলার পথে আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। আমরা আপনাদের কমেন্টের অপেক্ষায় থাকি।
আমাদের রান্না দেখে কেহ উপকৃত হলেই আমাদের চেষ্টা সার্থক বলে আমরা মনে করি।
আশা করি আমাদের সাথে থাকবেন এবং মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবেন। শুভেচ্ছা।
LikeLike
উদরাজী ভাই, অনেকদিন এখানে মন্তব্য করিনা, আশা করি ভালো আছেন।
এইটা রান্না করার আগ্রহ ছিল অনেকদিন ধরেই, কিন্তু সব মশলাপাতি না থাকায় করা হয়নি আগে। আজকে হঠাৎ খেয়াল করলাম, ঘরে জায়ফল ,জৈত্রী, বাদাম, তাজা মুরগী, আর হাতে কিছুটা সময়—- সবই আছে!
একটু আগে খেয়ে উঠলাম, এতো মজার আর এতো সুস্বাদু হয়েছে যে আর কী বলবো—-মনে হচ্ছিলো ঢাকায় বসে কোনো নামকরা কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের খাবার খাচ্ছি! এই রেসিপি পাকাপাকিভাবে আমার প্রিয় রেসিপির তালিকায় চলে গেল।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ রনি ভাই। গতকাল রাতে আপনার কথা ভাবছিলাম। আপনার পোষ্ট (যেটা আমিও আমার কাছে এনে রেখেছি) এ একটা কমেন্টের উত্তর দিতে গিয়ে আপনাকে মিস করছিলাম। ভাবছিলাম রনি ভাই অনেকদিন রেসিপি পোষ্ট দেখছেন না। যাক, আগে কাজ। অবসরেই রেসিপি দেখা যেতে পারে।
রোষ্ট আমাদের দেশের একটা প্রিয় খাবার। যে কোন বড় অনুষ্ঠানে রোষ্ট রান্না হয়ে থাকে। আমিও মাঝে মাঝে দুই মাসে একবার রান্না করতে চেষ্টা করি। বুলেট ফার্মের ছোট মুরগী দিয়ে রোষ্ট বেশী পছন্দ করে। দেশী মুরগী হলে খেতে বসে গ্যান গ্যান করে, মাংস নাই! হা হা হা…
সে যাই হোক, ভাল আছেন জেনে ভাল লাগল। ভাল থাকুন। আর মজার মজার রান্না খান।
LikeLike
রোষ্ট বিষয়ক আরো দুটো রেসিপি আছে। ইচ্ছা হলে দেখে নিতে পারেন।
রেসিপিঃ দেশী মুরগীর রোষ্ট (ঝালে)
http://wp.me/p1KRVz-RK
রেসিপিঃ ফুল মুরগী রোষ্ট
http://wp.me/p1KRVz-lx
LikeLiked by 1 person
আমার ফার্মের মুরগী প্রিয়। দেশি ভাল লাগে না। 😦
LikeLiked by 1 person
সাহাদাত ভাই তুসসি গ্রেট হু!!
LikeLiked by 1 person
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD
ভাই জুকিনি নামে একটা সবজি বের হইছে ! দেখতে অনেকটা শষার মতো ! এটার বিষয় জানেন কিছু ?
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ পাইলট ভাই।
হ্যাঁ, এটা একটা মজাদার সবজি। আমি অনেক বার কিনেছি, রান্না করেছি, সালাদ বানিয়েছি। তবে দাম বেশি বলে এটা এখন আর কেনা হয় না।
জুকিনি এখন বাংলাদেশেও চাষ হচ্ছে, ব্র্যাক চাষ করছে বলে জানি। ক্যাপ্সিকামের রান্নার সাথে জুকিনি ভাল চলে।
শুভেচ্ছা নিন।
LikeLiked by 1 person
শাহাদাত ভাই, আমাদের বাড়িতে প্রতি উৎসবে মা রোস্ট করতেন। এখন বয়স হয়েছে, রান্না ঘরের হাল ধরেছেন ভাবিরা। পারিবারিক উৎসবে এখন বাবুর্চি ডাকা হয়। রোস্ট ও হয় প্রতিবার। কিন্তু মায়ের হাতের স্বাদ পাই না। আপনার রেসিপি পড়ে নিজে চেষ্টা করলাম। প্রায় মায়ের মত। 😀 মায়ের ভালবাসাটুকু খালি মিসিং।
LikeLiked by 1 person
ধন্যবাদ আপনাকেও।
আমাদের এই সব রান্না আসলে আমাদের মায়ের হাত থেকেই আসা, আমিও চেষ্টা করি, রান্না সেভাবে করার জন্য। মশলা পাতি তাদের মত দেয়ার চেষ্টা করি।
বড় রান্নায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই, সাহস করে চেষ্টা করলেই পারবেন। মশলার প্রমান, লবন স্বাদ খেয়াল রাখলেই হল।
শুভেচ্ছা নিন।
LikeLike
Reblogged this on suhridkhan.
LikeLiked by 1 person
মাত্রই রান্না করলাম, ভাই। যথারীতি অসাধারণ!
কৃতিত্ব আমার নাকি আপনার সেটা অবশ্য গবেষণার বিষয়। 🙂
বিদেশে একা একা থাকি এক বছরের বেশি হলো। আগে রান্নার কিছুই জানতাম না। বলতে গেলে আপনার কাছ থেকেই রান্না শিখলাম! আজকাল খারাপ হয় না আলহামদুলিল্লাহ।
নতুন কিছু রান্না করতে গেলে আপনার ওয়েবসাইটই প্রথম পছন্দ। ইউটিউবে ভিডিও রেসিপি দেখাটা আমার একেবারেই পছন্দ না, আপারা বেশি কথা বলে আর ন্যাকামি করে, অসহ্য লাগে।
আপনার রেসিপিগুলাতে উপকরণগুলা সুন্দর করে সাজিয়ে লিখা থাকে। আর সবচেয়ে যেটা ভালো লাগে সেটা হচ্ছে মসলার পরিমাণ গুলা আমার ঠিক মনের মত। বেশি তেল মসলার খাবার পছন্দ করি না, আপনার রেসিপিগুলা স্বাস্থ্যসম্মত মনে হয়। হয়ত লক্ষ্য করেছেন অনেক দিন ধরেই ওয়েবসাইট টা ফলো করে আসছি, তবে কখনো কিছু লিখা হয় নাই। আজ ভাবলাম, অন্তত একটা ধন্যবাদ আপনার পাওনা।
জাজাকাল্লাহু খাইরান। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
LikeLiked by 1 person
আপনাকেও শুভেচ্ছা জানাই, আমি আছি আপনাদের সাথেই। আপনার মত আমিও মনে করি। ভিডিও দেখে নুতন যারা রান্না শিখতে চান তাদের জন্য সঠিক নয়, এর ব্যাখ্যা অবশ্য আমি দিয়েছি। প্রবাসী ও ব্যচেলরদের জন্য এভাবেই সঠিক, রান্না ভুল হবার সম্ভবনা থাকে না। আবারো শুভেচ্ছা।
LikeLiked by 1 person