বাজারে শীতের সবজি এখন ভরপুর। যদিও ঢাকায় এখনো তেমন শীত পড়ছে বলে মনে হয় না। কিন্তু দামের ব্যাপারে আমি এখনো অবাক। দাম কিছুতেই আমাদের মত মধ্যবিত্ত চাকুরীজীবিদের কাছে আসছে না! ব্যাপারটা দুঃখজনক বটে। আমি গত রাতে সবজি কিনতে বাজারে প্রবেশ করেছিলাম (অবশ্য এটা আমার দৈনিক অভ্যাস)।
আমি যে দোকান থেকে সবজি ক্রয় করছিলাম, আমার পাশেই একজন তরুণও কি যেন ক্রয় করছিলেন। কথা প্রসঙ্গে বলে ফেললেন, আমরা যারা পিতা মাতা থেকে বাড়ী থেকে টাকা এনে ঢাকা শহরে পড়া লেখা করি তাদের অবস্থা একবার ভেবে দেখেন। আসলেও তাই, আমি বাজারে যে পরিমান হিমশিম খাই তা আপনাদের বলে বুঝাতে পারব না। এমন কোন সবজী নাই যে, ৫০/৬০ টাকার কমে কেজি কেনা যায়। ইনকামের সাথে দ্রব্যমুল্যের মোটেই সামাঞ্জস্য নাই। এই রকম বাড়তি মুল্য আমাদের বিপাকে ফেলে দিচ্ছে প্রতিদিন, আর সেখানে এই রকম ছাত্র/ছাত্রীদের কি অবস্থা তা ভেবে চোখে পানি আসে। (আর কি লিখব, মাত্র তিন চার হাজার টাকা দিয়ে যারা ঢাকায় থাকে তাদের কথা ভাবলেই ভয় লাগে। কি খাবে আর কি পরবে?)
সরকার বাহাদুরের সবাই ভাল আছে এটাই যথেষ্ট! আমাদের আর কি? কিন্তু আন্টি বুঝতে পারছেন না, এই দিন সেই দিন রবে না! কথার দিন ফুরিয়ে গেছে, এখন কাজ করে দেখিয়ে দেয়ার দিন। যতই বলুন, কিছুই কাজে আসছে না, যতক্ষন না মানুষ বুঝে তার জন্য আপনি কাজ করছেন!
যাই হোক, চলুন আর একটা সহজ রেসিপি দেখে ফেলি। ছাত্র/ছাত্রীরা যারা সকালে বা রাতে আলু ভর্তা টাইপ কিছু খেয়ে থাকেন তারা আলুর পাশাপাশি এমন সহজ ভাজি খেতে পারেন, ভাল লাগবে। খুবই সহজ রেসিপি।
উপকরনঃ
– তিনশত গ্রাম সীম (ছোট পরিবারের কথা মাথায় রেখে! হাফ কেজি থেকে কিছু রেখে দিতে পারেন, অন্য তরকারীতে কাজে লাগবে)
– দুইশত গ্রাম আলু
– হাফ চা চামচ গুড়া হলুদ
– কয়েকটা শুকনা মরিচ
– কয়েকটা পেঁয়াজ কুঁচি
– পরিমান মত তেল
– পরিমান মত লবন
– সামান্য কাঁচা ধনিয়া পাতা
(সব উপকরণই হাতের কাছে রান্নাঘরে আছে। প্রায় প্রতিটা রান্নাঘরেই এই সকল মশলাপাতি আছে। কোথায়ও যেতে হবে না। হা হা হা… অফিস ফেরার পথে শুধু সীম আর আলু কিনে বাসায় ফিরুন)
প্রনালীঃ
তেল গরম করে শুকনা মরিচ দিন।
এবার পেঁয়াজ কুঁচি দিন, সাথে সামান্য লবন দিতে ভুলবেন না।
এবার সামান্য হলুদ দিন। ভাঁজতে থাকুন।
এবার সীম এবং আলু কুঁচি দিয়ে দিন।
ভাল করে মিশিয়ে নিন।
মিনিট পনররের জন্য হালকা আঁচে ঢাকনা দিয়ে রাখুন।
লবন চেক করে দেখুন। লাগলে দিন। আলু এবং সীম নরম হয়ে গেল কিনা দেখুন।
কিছু ধনিয়া পাতা দিন, স্বাদ বেড়ে যাবে অনেক গুন।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। সীম ও আলু ভাজি। গরম ভাতের সাথে জুড়ি মেলা ভার।
(সাধারন সব্জির মুল্য সবার হাতের নাগালে থাকা দরকার। বাকী অনেক কিছুতো আমরা ছেড়েই দিয়েছি।)
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
সিম এখন বাজারে অনেক দেখছি। দাম ৬০ টাকা কেজি। আমি ঝোলে সিম রান্না পছন্দ করি। সীম আর আলু দিয়ে। এমন রেসিপি থাকলে দিন। ধন্যবাদ।
LikeLike
ধন্যবাদ খালেদ ভাই।
এমন তরকারী নেই যা ৫০/৬০ টাকার নিচে। কেমনে মধ্যবিত্তরা বেঁচে থাকবে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
কঠিন দিন চলছে -সামনে বুঝি আছে সুকঠিন দিন। খাবার আর খেতে হবে না। আপনার রেসিপি খেয়েই দিন গুজরান করতে হবে তখন।
শিমের সাথে পেঁয়াজের কা’লি মানায় ভাল। দুটোকে একসাথে তেল-মসলাসহ সিদ্ধ করে একেবারে ঝোল শুকিয়ে রান্না করলে অপূর্ব স্বাদের খাদ্য। এর সাথে কুমড়া বড়ি ভেঙে তেলে ভেজে নিয়ে যদি দেওয়া যায় – তা’হলে তো একেবারে অমৃত!
LikeLike
হা হা হা…।
আপনি নুতন নুতন রান্নার কথা বলেন আর আমার জিবে জল আসে!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
কোন একদিন রান্না করে খেয়েই দেখুন না, মিছে বলেছি কিনা!
LikeLike
আমার চেষ্টা চলবেই।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD