শীতের সময় সব্জি বাজারে গেলে নানান পদের সব্জি পাওয়া যায়। হরেক রকমের সব্জি। আর শাকসব্জি খাওয়া জরুরী ব্যাপার। শরীরের জন্য সব্জি দরকারী। পালং শাক, পুঁই শাক, কলমি শাক, মুলা শাক, রাই শাক, পাট শাক ইত্যাদি শাক না খেলে কি চলে। প্রতিদিন সামান্য হলেও শাক দরকার আছে।
শাকের একটা গুন হচ্ছে যে কোন শাক ভাজি করে রান্না করা যায় যেমন তেমনি মাছ বা মাংস দিয়েও শাক রান্না করা যায়। রান্নার কৌশলগত কারনে স্বাদেরও তারতম্য হয়ে যায়। ইত্যিমধ্যে আমি আপনাদের শাক রান্নার অনেক পোষ্ট দেখিয়েছি। শাক/সব্জি/আলু বিভাগে গেলে দেখতে পাবেন। আজ চলুন পালং শাকের সহজ এই রান্নাটা দেখে নেই। এর চেয়ে সহজ রান্না আর কি হয়, দেখে আপনারাই বলুন।
উপকরনঃ
– পরিমান মত পালং শাক (কেটে ছোট ছোট পিস করে নিন)
– কয়েকটা রসুন
– সামান্য পেঁয়াজ কুঁচি
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– পরিমান মত লবন
– তেল
প্রনালীঃ
কয়েকটা রসুন, কিছু পেঁয়াজ কুঁচি ও কয়েকটা কাঁচা মরিচ সামান্য লবন যোগে হামান দিস্তা দিয়ে ভাল করে চেঁচে নিন। রসুন একটু বেশী হলে ভাল।
এবার কড়াইতে কয়েক চামচ তেল ভাল করে গরম করে তাতে চেঁচা ভেজস গুলো দিয়ে ভাল করে ভাঁজতে থাকুন। হলদে রং হয়ে আসার আগ পর্যন্ত খুন্তি দিয়ে নাড়ুন।
এবার পালং শাক দিয়ে দিন।
ভাল করে মিক্স করে নিন।
পালং শাক থেকে পানি বের হয়ে এমন দাঁড়িয়ে যাবে।
জ্বাল বেশী দিয়ে পানি শুকিয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে কড়াইয়ের মাঝটা ফাঁকা করে দিতে পারেন।
ফাইন্যাল লবণ দেখুন। লাগলে দিন। ঝোল শুকিয়ে এমন অবস্থায় এসে যাবে।
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। পালং শাক এমনিতেই মজার শাক, দেখলে মনে হয় কাঁচা খাই! ঠিক এমন করে একবার রান্না করে দেখুন, আমি নিশ্চিত খেয়ে বলবেনই, থ্যাংকস মিঃ উদরাজী! হা হা হা।। আমার বুলেট এই শাক খেয়ে আমার প্রশংসা করেছে।
এখন আপনিই ভেবে বলেন, এর চেয়ে সহজ রান্না আর কি হতে পারে?
আমার খুব পছন্দের একটা শাক। দারুণ মজা লাগে শীত কালে এ শাক খেতে। এতোদিন তো খালি ভোজন রসিকের মতো খেয়েই যেতাম, আজ সহজ এই রেসিপিটাও জানা হলো। বিয়ের পর যদি বউ বাপের বাড়ি চলে যায় দারুণ কাজে দিবে এই রেসিপি 😀
LikeLike
হা হা হা…।। রান্না শিখে নিন, কত কাজে লাগবে! শুধু বউ বাপের বাড়ী না! হয়ত আপনার রান্না খেতে বউ বাপের বাড়ী যাবেই না!
LikeLike
হা হা হা… ভালোই বলেছেন ভাইয়া। বউ আমার রান্না খেতেই থেকে যাবে। কিন্তু ভাবছি শেষমেশ না গাঢ়ো আদিবাসীদের মতো আমাকেই ঘরের সব কাজ করতে হয়। 😦
রান্না দিয়ে শুরু… শেষকালে বাচ্চা পালন…
LikeLike
হা হা হা…। দুটো কাজই গর্বের ব্যাপার!
– রান্না
– বাচ্চা পালন
আমার চান্স থাকলে আমি এই দুটোই বেঁচে নিতাম কারন টাকা রুজির জ্বালা আর সইতে পারছি না!
(অবশ্য আমি আর মানুষ হয়েই জন্মাতে চাই না!)
LikeLike
হা হা হা হা। আরে সাহাদাত ভাই এই কথাটা আরো আগে বলে কিন্তু বড়সড় একটা ধরা খেতে হতো 😀
আর আপনি দেখি মারাত্মক ফাকিবাজ মানুষ, শেষ সময়ে এসে ব্যাটারী ভাবিরে সান্ত্বনা দেয়ার জন্যে এসব কথা বলেন তাইনা? 😛
অবশ্য আমি এখনো জীবিত (আপনার মতো বিবাহিত নই 😀 ) তাই টাকা রুজিটা এখনো আনন্দের পর্যায়েই আছে।
আপনি মানুষ হতে চান না, আর আমি কখনোই জন্মাতে চাই না ভাই। পৃথিবীর প্রতি কেমন যেন বিতৃষ্ণা জন্মে গেছে।
LikeLike
হা হা হা…
(বিবাহে মজা নাই,
আছে শুধু জ্বালা!
না চাইলেও গলায় ঝুলে থাকে,
কাঁটা তারের মালা!)
মনে হচ্ছে আমি কবি ঈশান মাহমুদ হয়ে যাব!
LikeLike
হা হা হা…
দারুণ বলেছেন ভাইয়া। 😀
LikeLike
জামি ভায়া, এবার কবিতাই লিখে ফেললাম!
বিবাহ
বিবাহে মজা নাই,
আছে শুধু জ্বালা!
না চাইলেও গলায় ঝুলে থাকে,
কাঁটা তারের মালা।
খোলা যায় না, ফেলা যায় না,
করে চলেই রক্তাক্ত
ব্যাথ্যায় যতই কুঁকড়ান,
মুখে হবে না তা প্রত্যক্ষ।
যদি বলি বিবাহ করিস না ভাই,
রেগে যাবেন আপনি।
কষ্টের আগুনে না পুড়ে মরলে,
‘মানুষ’ তাকে বলা যাবে কি!
LikeLike
হা হা…… আরে এযে দেখি কঠিন কবিতা লিখে ফেললেন ভাইয়া।
তা আমাদের ব্যাটারীভাবি কি দেখেছেন এই কবিতা? আরেকটা কথা ভাইয়া, আপনি কি বাসায় না হাসপাতালে? 😛
LikeLike
না, কোন লেখা দেখাই না! হা হা হা।। ভুল বুঝবেই!
আমি অফিসে ছিলাম। তেমন কাজ ছিল না!
LikeLike
এই করেন তাইলে? ভাবীর নামে অপপ্রচার! না এসব আর মেনে নেয়া যায়না। 😛
কবিতা পড়ে মনে হয়েছিলো আপনিও হয়তো এতোক্ষণে হাসপাতালে ভর্তি। হা হা হা…
আপনাদের জন্যে শুভকামনা। দাম্পত্য জীবন হোক সৌন্দর্য্যে ভরা, মায়ায় ঘেরা। 🙂
LikeLike
কখনো মনে হয় দাম্পত্য বেশ, আবার কখনো মনে হয় বিষও ভাল!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
এটা আজ ট্রাই করব ভাবছি। গরম ভাতের সাথে দারুন লাগবে মনে হচ্ছে। 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ শুভ ভাই। আপনাকে এই প্রথম দেখলাম। স্বাগতম ও শুভেচ্ছা।
আমার রান্নার উদ্দেশ্যই ছেলেদের রান্নার আগ্রহী করে তোলা। ছেলেরা এই সকল সহজ রান্না দেখে চেষ্টা করলেই আমি খুশি। আপনি আমাকে খুশি করে দিয়েছেন।
লেগে পড়ুন, রান্না জানা একটা গুন। রান্না করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিন। আমি আপনার সাথে আছি। সমস্যা বা কিছু জানার থাকলে বলতে দ্বিধা করবেন না।
আশা করি সাথে থাকবেন।
LikeLike
হামান দিস্তা তো নাই। এর পরিবর্তে কি ব্যবহার করা যায়?
LikeLike
হা হা হা, ধন্যবাদ মাহবুব ভাই। আসলে এই সব হামান দিস্তা সবই একটা আকর্ষন করার জন্য। হামান দিন্তা আসলে না হলে নাই। তবে পরিবার গুলো চাইলে এমন একটা হামান দিস্তা কিনে রাখতে পারে। ছোট সাইজের দাম ২০০ টাকার মত। মশলা পাতি গুড়া করার জন্য হাতের কাছে থাকলে ভাল। আমিও যখন যা পাই তা কিনি, আমার ব্যাটারীও! এভাবে অনেক জিনিষ জমে গেছে।
হামান দিস্তার বদলে আপনি যে কোন কিছু দিয়ে চেঁচে নিলেই চলবে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনাকে। আশা করি আগামীতেও সাথে থাকবেন।
LikeLike
সহজ অথচ মজার রেসিপি।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। আসলে যারা এখনো রান্না করছেন না তাদের একটু লোভ লাগানো আর কি!
LikeLike
চমৎকার পোস্ট! মন্তব্য পড়েও বেশ মজা পেলাম। জামির সাথে কথোপকথন আর আপনার কবিতা দারুন উপভোগ্য হয়েছে।
পালঙ্গসহ সব শাকই আমার প্রিয়। প্রতি দুপুরে একটা শাক অবশ্যই থাকে আমার পাতে।
LikeLike
ধন্যবাদ হুদা ভাই। আপনার মন্তব্য না হলে চলে না!
শাক আমিও খেতে চাই, কিন্তু পারি না। সময় এবং অভাবে…।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD
ধন্যবাদ উদরাজী ভাই. আপনার পোস্টগুলা অনেক মমতা দিয়ে লেখা 🙂
LikeLiked by 1 person