প্রবাসে একা থাকেন। নিজের রান্না নিজে করেন তাদের জন্যই আমার আজকেই এই রেসিপি। তবে মুল রেসিপিটা নেয়া হয়েছে ফক্স ট্যাভেলারের একটা রান্না অনুষ্ঠান থেকে। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো একটা ভিন্ন সসের কথা বলা হয়েছিল যা সম্ভবত আমাদের দেশে আমি দেখি নাই। আমি উক্ত সসের বদলে টবাস্কো চিলি সস ব্যবহার করেছি। খেতে বেশ আরাম পেয়েছিলাম। এদিকে বাসায় আর কেহ না থাকাতে কাউকে কেমন হয়েছে তাও দেখাতে পারি নাই। একদিনের প্রবাসী বলা যেতে পারে! হা হা হা।।
চলুন কথা বাড়িয়ে আর কি হবে। নদীর জল কালি হলেও লেখা শেষ হবে না। গল্প তো গল্পই! যদি আপনারা দুইজন প্রবাসী থাকেন তবে এই রেসিপিতে শুধু দুটি ডিম দিলেই চলবে। মনে করুন ঘরে ব্রেড কিংবা রুটি আছে। এই রেসিপি রুটি (যে কোন প্রকারের) বা ব্রেড দিয়ে খেতে পারেন। আশা করি ভাল লাগবেই।
উপকরনঃ এক কোটা টোনা ফিস, একটা ডিম, তিনটে পেঁয়াজ, কয়েকটা কাঁচা মরিচ, সামান্য বিলাতি বা দেশী ধনিয়া পাতা, কয়েক ফোটা লেবু রস, লবন, তেল এবং টবাস্কো সস।
কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ এবং সামান্য লবন দিয়ে ভেজে নিন। পেঁয়াজ হলুদ হয়ে এলে তাতে টবাস্কো সস দিন (পরিমান বুঝে, ঝাল কম খেতে চাইলে কম দেবেন)
এবার তোনাফিসের কোটা খুলে ঢেলে দিন এবং নাড়াতে থাকুন। কয়েকটা মরিচ দিয়ে দিতে পারেন।
ভাল করে ভাজি হয়ে ঘ্রান বের হয়ে পড়লে কয়েক ফোটা লেবুর রস দিন।
এবার ডিম ভেঙ্গে দিন। চুলা বন্ধ করে দিন, আর নাড়ানোর দরকার নেই।
বিলাতি ধনিয়া পাতা বা দেশী ধনিয়া পাতা ছিটিয়ে দিন।
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
মজা না হয়ে পারে না।
কিছু পরেই। রান্না করতে যত সময় লাগে খেতে তেমন সময় লাগে না!
প্রবাসী রেসিপি প্রিয় পাঠক/পাঠিকা ভাই বোনদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আপনাদের কষ্ট আমরা বুঝি না তা নয়। কিন্তু রান্না শিখে যদি প্রবাসে যেতেন তবে কি আর এত কষ্ট পেতেন!
প্রবাসী যদিও নই তবু পাঠ করে
ছবি দেখে প্রাণ-মন উঠিল ভরে।
বলেছেন অতি উত্তম কথা
রান্না করতে যত সময় লাগে খেতে তেমন সময় লাগে না!
LikeLike
ধন্যবাদ হুদা ভাই। আপনার কমেন্ট না হলে আর জমছে না। প্রবাসীরা মনে হয় নানান ঝামেলায় দিন কাল কাটাচ্ছে! দুনিয়া দিনের পর দিন কঠিন হয়ে উঠছে।
আমরা হচ্ছি এই দুনিয়ার আসল প্রবাসী!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
কেউ না আসুক, আমি তো আছিই। এখন আবার একটা লাইক দিয়ে দিলাম।
ফয়সালের সাথে আড্ডার আয়োজন করেন, আগামী শনিবারে।
LikeLike
ধন্যবাদ হুদা ভাই। শনিবারের আড্ডায় আমি আছি। আড্ডা ছাড়া আর কি আছে এই দুনিয়ায়!
LikeLike
জীবনে মাত্র একবার খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে এই মাছ। অসাধারণ লেগেছিলো সেইবার। আজ এই রেসিপি দেখে আবারো খেতে ইচ্ছে করছে ভীষণ। কিন্তু এ এমন এক জিনিস যা চাইলেই আমাদের দেশে খেতে পাওয়া যায়না। তাই কি আর করা, সাহাদাত ভাইয়ের রেসিপি দেখিয়েই আপাতত নিজের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার যোগানদাতা ‘পেট’ মহাশয়কে খুশি রাখা যায় কিনা দেখি। 😦
LikeLike
ধন্যবাদ জামি। আজকাল গ্রোসারী শপ গুলোতে ইম্পোট করা পাওয়া যায়। আবার গোটা টোনা ফিসও পাওয়া যাচ্ছে। আমি বড় গোটা টোনা ফিস দুইবার কিনেছিলাম। বেশ কিছু রেসিপি আছে। টোনাফিস লিখে সার্চ করলেই পাবেন।
তবে কোটার টোনার স্বাদ ভাল।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD