গ্যালারি

রেসিপিঃ চিচিঙ্গা পটল মিক্স (আমার ফেবারেট)


আমার রেসিপি প্রিয় পাঠক/পাঠিকা বন্ধুরা যারা আমার সাথে আছেন, তারা জানেন চিচিঙ্গা আমার কেমন ফেবারেট। হা হা হা, আমি জানি অনেকে চিচিঙ্গার নাম শুনলেই, কেটে পড়বেন। আর পটল! পটল খেতে চায় অনায়েশে এমন বন্ধু পাওয়াও মুস্কিল। চিচিঙ্গা আর পটল তো শিশুরা খেতেই চায় না! কি বলেন কথা কি ঠিক না বেঠিক!

আজকাল হাতে বেশী সময় পাচ্ছি না। জমে থাকা রেসিপি গুলোও দিতে পারছি না, এদিকে নূতন কোন রান্নাও অনেকদিন রান্না করতে পারছি না। বাসায় নানা পদের মাছ এবং সিলেট থেকে আমার রান্নাতো বোনের সৌজন্যে পাওয়া সাতকরা আছে, সে দিকেও নজর দিতে পারছি না। যাই হোক আজ রাতে একটা নূতন রান্না করবো বলে ভাবছি। তবে ফোনে আমার  ব্যাটারী জানিয়েছেন, আমার রান্নায় বেশী রাত হয়ে যাবে! সকালের রুটিনে সমস্যা হবে। যাই হোক দেখি, কি করা যায়। রাখে মালিক, মারে কে? ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়! গুনি লোকে কত কথা কয়!

চলুন, কয়েক সাপ্তাহ আগের একটা রেসিপি দেখে ফেলি। বাজারে এখনো চিচিঙ্গা পটল পাওয়া যাচ্ছে। আপনিও চাইলে আমার মত এমন একটা মিক্স রান্না করতে পারেন, বিশেষ করে যারা আপনারা চিচিঙ্গা ভক্ত প্রেমিক।

প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
– কয়েকটি ছোট সাইজের চিচিঙ্গা
– কয়েকটা পটল
– পেঁয়াজ কুচি (হাফ কাপ থেকে সামান্য কম)
– এক টেবিল চামচ রসুন বাটা
– পরিমান মত গুড়া মরিচ (ঝাল বেশি না হওয়া ভাল)
– পরিমান মত গুড়া হলুদ (হাফ চামচই এনাফ)
– কয়েকটা চিংড়ী মাছ (অন্য মাছ দিয়েও চলানো যেতে পারে। মাছের রসে স্বাদ বেড়ে যায়)
– পরিমাণ মত লবণ
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– হাফ কাপ তেল
– পানি

প্রণালীঃ

চিচিঙ্গা পটল (সেয়ানে সেয়ান)


ইচ্ছা মত কেটে নিন। তবে সাইজ মনে রেখে! সামান্য লবন দিয়ে সামান্য সিদ্ব করে নিন, পানি ঝরিয়ে রাখুন।


কড়াইতে তেল গরম করে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুচি ভেঁজে তাতে রসুন বাটা, মরিচ গুড়া , হলুদ দিয়ে ভাল করে কষিয়ে তেল উঠিয়ে নিন।


এবার চিংড়ী মাছ গুলো দিয়ে দিন। (এখানে যে কোন মাছের এক টুকরাও ব্যবহার করতে পারেন) ভাল করে আবারো ভেজে নিন এবং এক কাপ পানি দিয়ে ঝোল বানিয়ে নিন। কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন।


ঝোল হয়ে গেল। একটু চেখে দেখুন, কেমন স্বাদ হল। এবার চিচিঙ্গা পটল (সামান্য সিদ্ব করে রাখা) দিয়ে দিন।


আহ কি চমৎকার দেখতে!


ভাল করে মিশিয়ে নিন।


ঢাকনা দিয়ে মিনিট ১০/১৫ ভাল করে জ্বাল দিন। মাঝে মাঝে ঢাকনা উলটে দেখতে পারেন। চিচিঙ্গা পটল বেশী নরম না করাই ভাল। ফাইন্যাল লবণ দেখুন। লাগলে দিন, না হলে ওকে!


পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


গরম ভাত কিংবা রুটি, যার যেটা পছন্দ। আসুন। বন্ধুরা, শিশুদের সবজি খেতে উৎসাহী করে তুলুন।

চিচিঙ্গা/ চিচিংগা  নিয়ে আমার আরো রেসিপি সমূহঃ দেখে আসতে পারেন 
রেসিপিঃ চিচিঙ্গা জিঙ্গা মিক্স (সাথে বর্তমান সব্জি বাজার দর পরিক্রমা)
রেসিপিঃ চিচিঙ্গা ও শুঁটকী (যা রান্না করে আমি বেশ আনন্দ পেয়েছি)
রেসিপিঃ চিচিংগা এন্ড চিংড়ী রান্না (চিচিংগা সম্রাটের দফতর থেকে)
রেসিপিঃ চিচিংগা ভুনা
রেসিপিঃ মিক্সড ভেজিটেবল (চিচিংগা হাইলাইটেড)
রেসিপিঃ প্রায় মশলা বিহীন মিক্স সবজী

9 responses to “রেসিপিঃ চিচিঙ্গা পটল মিক্স (আমার ফেবারেট)

  1. আমারও অনেক ফেভারিট। 😀

    Like

  2. চিচিঙ্গা অপছন্দ হলেও রেসিপিটা বেশ ভালোই মনে হচ্ছে। পটল অপছন্দ নয়, তবে রান্না যদি ভাল হয়, বা ভাজি করা হয়, তবে আগ্রহ করেই খাই। প্রকৃত খাদকদের কাছে সব খাদ্যই পছন্দ! প্রকৃত খাদক হতে আর পারলাম না। প্রকৃত কীইবা হতে পেরেছি?

    Like

  3. আপনি আসলেই চিচিঙ্গা সম্রাট!!
    পটলের তরকারী সেভাবে না খেলেও পটলের দোলমা অনেক পছন্দের।
    চিচিঙ্গা পটল মিক্স তৈরি করতে হবে একদিন।

    শুভেচ্ছা!

    Like

  4. ছবিগুলো দেখা যাচ্ছে না অনেক পোস্টে, এর সমাধান করলে বাধিত হব

    Like

  5. পিংব্যাকঃ এক নজরে সব পোষ্ট (https://udrajirannaghor.wordpress.com) | BD GOOD FOOD

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]