গ্যালারি

রেসিপিঃ ওনিয়ন রিং (বিকালের নাস্তা)


বিকালের হালকা নাস্তা নিয়ে আমাদের মায়েরা/মেয়েরা/বোনেরা বেশ সমস্যায় পড়ে যান। চা বা অন্য কোন পানীয়র সাথে আর কি দেয়া যায়। এদিকে প্রতিদিন এক নাস্তা হলে আবার সবাই খেতে চায় না। বড়রা/ শিশুরা সবাই এক একদিন এক এক খাবার চায়। অন্যদিকে পুষ্টির কথাও মাথায় রাখতে হয়। পরিবারে একজন মায়ের ভূমিকার কথা বিবেচনা করলে আমি খুবই আশ্চর্য্য হই, তিনি কি করে এত কিছু ম্যানেজ করেন। আমাদের ছেলেদের এই বিষয়ে ভাবা উচিত।

কথা কম বলে চলুন আজ একটা সাধারন নাস্তা দেখি। বিকালে এটা বেশ ভাল জমতে পারে কারন বাঙ্গালী ভাজিভুজি খেতে বড়ই ওস্তাদ!

ওনিয়ন রিং ভাজি। তবে এই রিং ভাজতে হলে আপনাকে আগে বাজার থেকে ইন্ডিয়ান বড় বড় পেঁয়াজ  (ইংলিশে যাকে আমরা ওনিওন বলছি!) কিনে নিয়ে আসতে হবে। দেশের পেঁয়াজের বাজার পুরাটাই মনে হয় ইন্ডিয়ার দখলে আছে!

শিশুদের ছোট বেলা থেকেই পেঁয়াজ খাওয়া শিখাতে হবে! হা হা হা…

প্রণালীঃ

বড় পেঁয়াজ নিয়ে রিং আঁকারে কাটুন।


সামান্য লবণ পানিতে পেঁয়াজের রিং গুলো কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন।


সামান্য বেশন নিয়ে তাতে সামান্য হলুদ, এক চিমটি রসুন, লবন যোগে পানি মিশিয়ে একটা কাই বানিয়ে ফেলুন। এবার সেই কাইতে পেঁয়াজের রিং গুলো চুবিয়ে সাবধানে গরম তেলে ভেজে নিন।


গরম তেলে যে কোন কিছু ভাজতে সাবধানতা দরকার। তেলের চিটা যেন গায়ে না পড়ে। হলুদ রং হলে তুলে নিন।


ব্যস হয়ে গেল পেঁয়াজ ভাজি থুকু ওনিয়ন রিং। পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।


বেশ মজাদার। গরম গরম পরিবেশন করলে মচমচে থাকবে। ইন্ডিয়ান এই বড় পেঁয়াজ গুলোতে হালকা মিষ্টি ভাব আছে এবং রসালো, তাই দেরী করে পরিবেশন চলে না।

সবাইকে শুভেচ্ছা। সালাম সেই সব মায়েদের যারা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত আমাদের মুখে নূতন নূতন খাবার তুলে দেন। এই মাকে আমরা কি করে ভুলে যাই!

কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন

28 responses to “রেসিপিঃ ওনিয়ন রিং (বিকালের নাস্তা)

  1. আমিও খাবো এই খাবার, এই তো আসল পিঁয়াজু!

    Like

  2. রোজ বিকেলে আমার মাথা খারাপের জোগার হয়। কিন্তু কেউ কি বুঝতে চায়? কেও বলতে এখন ঘরে একজনই। সেই একজনই একশো জনের সমান। 😛 নুডুলস, সুপ, সিংগাড়া, নাগেট এসবই ঘুরে ফিরে আসে।
    ডায়াবেটিসের কারনে মিষ্টি বাদ।

    এভাবে গোল গোল করে কাঁকরোল, পুই পাতা, যেকোন শাক সবজি ভাজলেও ভালো লাগে।

    Like

    • আপা, আমি আপনাদের কষ্ট বুঝতে পেরেছি। এখন আমি একদম সুবোধ বালক! শুধু আমাদের কুম্ভকর্ন ভাইকে একদিনের পেঁয়াজ ছিলতে দিন, দেখবেন কোথাকার হাওয়া কোথায় যায়! সারেন্ডার করে কেমনে দেখেন!

      গোল গোল করে কাঁকরোল, পুই পাতা, যেকোন শাক সবজি ভাজিও দেখাবো সামনে। দোয়া করবেন।

      শুভেচ্ছা।

      Like

  3. খুব সহজ এবং মজাদার একটা রেসিপি। 🙂

    Like

  4. ইস! বিকেলে বাসায় বেগুনী করেছিলো। এই পোষ্ট আগে পড়লে তো…..

    Like

    • হা হা হা…। এখন কিন্তু অনেক বড় বড় ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। আশা করি একদিন বানিয়ে দেখবেন।

      শুভেচ্ছা সুজন ভাই। এখনই সময় প্রচুর লেখালেখি করে ফেলুন। প্রতিদিন আপনার নূতন লেখা চাই। প্রত্রিকার পাতায় বেশী বেশী লিখুন।

      Like

  5. মজাদার পোস্ট।
    আগে তো অন্যরা বানিয়ে দিতো, এখন থেকে না হয় নিজেই তৈরি করে নেবো।

    ধন্যবাদ সাহাদাত ভাই।

    Like

  6. মন্তব্য করলাম নিজ প্রোফাইল হতে আর ওয়ার্ডপ্রেসে বানিয়ে দিলো “অজ্ঞাত” !!!

    Like

  7. chicken nuggets er ekta easy receipe ki deya jai??

    Like

    • ধন্যবাদ ব্রাদার। হা, এমন রেসিপি আছে। আশা করি আগামীতে দিয়ে দেব। সাথে থাকবেন।
      (আপনার নামটা জানা হল না, কোথা থেকে লিখছেন জানালে খুশি হব)
      শুভেচ্ছা।

      Like

  8. নতুন রেসিপি শিখলাম। বিকেলে চায়ের সাথে মন্দ নয় !

    Like

  9. ওনিয়ন রিংস খেতে ভালো লাগে, খেয়েই বলছি। বেশ মজাদার খাবার। এমনিতেও পিঁয়াজ আমার পছন্দের বস্তু, কাঁচা বা রান্না, খেতে ভালোই লাগে। ভাজি করার পরে তো চমৎকার!

    Like

  10. ভাই আপনার অসাধারণ রেসিপি গুলোর সামনে আমার ডায়েট ডুয়েট ( ওজন বর্তমানে ৯৯KG ২ মাসে আগে ছিল ১১০KG) গুলো সব ভেস্তে যাওয়ার পথে।

    ডায়েটের কারনেই আপনার ব্লগে আসা হয় না, তবুও মাঝে মাঝে আসি নিরামিষ খুঁজতে কিন্তু তার পাশাপাশি বিরিয়ানী আর পোলাওয়ের দর্শনে মাতাল হওয়ার অবস্থা হয়। তারপর মনে পরে সেই দিন গুলো হাজীর বিরিয়ানী, নান্নার মোরগ পোলাও, স্টারের কাচ্চি, মামুনের আর হানিফের বিরিয়ানী আর কত কি?

    কিন্ত কি করবো আমি, ওজন কমাতে হবে যে অনেক খানি।

    যাইহোক এই রেসিপিটা ছাড়ছি না, খাওয়ার পর হাঁটতে যাব।

    ভাই একটা রেকুয়েস্ট সামান্য তেল দিয়ে নিরামিষ অথচ স্বাদ ভালো এমন কনো রেসিপি দিয়েন।

    Like

    • ধন্যবাদ কায়সার ভাই,
      আপনার কমেন্ট পড়ে হাসছিলাম। আপনার আর আমার দশা একী। আমিও মোটা। ডাক্তার গন আমাকেও ১০ কেজি কমাতে বলেছেন কিন্তু আমি দিন দিন বেড়েই চলেছি! আসলে শরীর একবার বেড়ে গেলে আর কমে না! কমানো বেশ কঠিন।

      রাতে রুটি এবং শাকসবজি খেয়ে দেখতে পারেন, আমি রুটি খেলেও বেশী খাই! ডায়েট করার কথা এখনো চিন্তাই করছি না। আপনি ডায়েট করছেন জেনে খুশি হলাম। আগে শরীর ভাল রাখতে হবেই।

      আপনি আমার রেসিপি ব্লগে আসেন জেনে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমার প্রচেষ্টা হচ্ছে, শুধু প্রবাসী, ব্যচেলরদের রান্নার কথা মনে করিয়ে দেয়া।

      শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি সাথে থাকবেন।

      Like

    • কায়সার ভাই, নিরামিষের জন্য আমার এই ক্যাটাগরি দেখতে পারেন। অনেক অনেক নিরামিষ রান্না আছে।
      ক্যাটাগরীঃ শাক/ সবজি/ আলু
      লিঙ্কঃ https://udrajirannaghor.wordpress.com/category/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%81/

      Like

[প্রিয় খাদ্যরসিক পাঠক/পাঠিকা, পোষ্ট দেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। নিম্মে আপনি আপনার মন্তব্য/বক্তব্য কিংবা পরামর্শ দিয়ে যেতে পারেন। আপনার একটি একটি মন্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করে কয়েক কোটি বার। আপনার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। অনলাইনে ফিরলেই আপনার উত্তর দেয়া হবে।]