আপনারা ইত্যিমধ্যে সবাই বুলেটকে চিনে গেছেন! গতকাল কম্পিউটার এ ছবি দেখতে গিয়ে ভাবলাম, হয়ে যাক একটা মাৎস্য প্রদর্শনী! তবে মাঝে একবার হার্ড ডিক্স কার্শ করায় অনেক ছবি হারিয়ে গেছে!
এবার কাজের কথায় আসি। বাংলাদেশে যখন মোবাইলে ক্যামেরা পাওয়া যেতে লাগল তখন আমি কিনে ফেলেছিলাম ক্যামেরা যুক্ত সিমেন্সের একটা সেট। তখন অনেকই হাসাহাসি করত, মোবাইলে ক্যামেরা কেন? কথা বলার যন্ত্রে ক্যামেরা দিয়ে কি হবে? আমার এক আত্বীয় (তালাত ভাই) বলেছিল, মোবাইলে ক্যামেরা দিয়ে রাতে ভাবীর ছবি তুলবেন নাকি? ওরে অনেকদিন পাচ্ছি না, পেলে দেখতাম ও এখন কি সেট ব্যবহার করে? ক্যামেরা আছে কি না! মোবাইলে ক্যামেরা থাকার কারনে আমার অনেক অনেক ছবি আছে!
যাই হোক, ১১০ টাকা করে নেগেটিভ কিনে ৩০ টাকায় ডেভালপ করে নেগেটিভ দেখে প্রিন্ট আর চলছিলো না! মোবাইল পেয়ে ছবি তুলে রাখতে চেষ্টা করতে লাগলাম। এদিকে আমার ছেলে বাহাদুর কিছুতেই ছবি তুলে না। ছবি তুলতে গেলে, মুখ বাকা করে রাখে (এজন্য ওর অনেক ছবি নাই)! আমি চিন্তা করলাম, বড় হয়ে ও আমাকে বলতে পারে আমার ছোট বেলার ছবি কোথায়? অন্যদিকে ও মাছ খুব পছন্দ করে, খুব ছোট (এক দেড় বছর হবে) সময়ে একটা বিরাট শোল মাছ (তার নানার কেনা) ঝাপ্টে ধরে মামা/খালাদের কাছে প্রচুর সুনাম কুড়িয়েছিল! ঘটনা আমার জানা ছিল। এর পর আমি আর আমার ব্যাটারী মাছ হাতে ধরিয়ে ওর ছবি তুলতে লাগলাম। মাছ হাতে দিয়ে যেভাবে বলি সেভাবেই ছবি তুলে! কোন কথা নেই!
বলা বাহুল্য, সে যে কোন প্রানী হাত দিয়ে ধরতে পারে এবং ইত্যিমধ্যে সে অজগর সাপও হাত দিয়ে ধরে দেখেছে! যা আমিও এখনো পারি নাই! গরু ছাগল ছাড়া আমি অন্য কোন প্রানী ধরার কথা চিন্তা করি না, সেখানে সে কুকুর (কিবো নামের একটা কুকুর সে অনেকদিন পেলেছিল), বিড়াল (কিছুদিন আগেও বিড়াল ছিল), ইদুর (বাসায় মারা ইদুর সেই ডাস্টবিনে ফেলে)!!
চলুন ছবি দেখি। মাৎস্য প্রদর্শনী বটে!
বড় গলদা চিংড়ী।
এটা একটা বাইম মাছ। লম্বায় ওর চেয়ে বড় ছিল মাছটা। বয়স মনে হয় সাড়ে তিন ছিল।
এই মাঝামাঝি সময়ের অনেক গুলো ছবি আর পাচ্ছি না। একবার হার্ড ডিক্স নষ্ট হওয়াতে অনেক ছবি হারিয়ে গেছে।
সামুদ্রিক টোনা ফিস।
রুই।
ভেটকী নং ১
এই ভেটকী ছিল সাড়ে পাচ কেজি।
বড় রুই।
কাতলা। একা এই মাছ ওর পক্ষে উঠানো সম্ভব হয় নাই!
উপরের সব ছবি মোবাইলে তোলা নয়। রেসিপি লিখতে গিয়ে ডিজিটাল ক্যামেরা পেয়েছিলাম এবং সেই ডিজিটাল ক্যামেরাটা আমার ছোট বোন আমাকে দিয়েছিল। তবে উপরের ছবিটা আমার বর্তমানের মোবাইল Vinus Note V8 এ তোলা! মোবাইলে ছবি তুলতে আমি বেশ আরাম পাই, ভাল লাগে। এই মোবাইল সেট আমার খুব পছন্দ (দাম, কাম, ডুয়েল ও এনরয়েড অপারেটিং), কিন্তু আমার ছেলের পছন্দ নয়। বলে, বাবা তুমি যে হারে ছবি তোল এবং নেট দেখ তাতে Samsung Note II হলে আরো ভাল হত! (মোবাইলে গেইম খেলবে কে?)
যাই হোক, আরো অনেক ছবি আছে। ব্লগ পোষ্ট থেকে খুজে বের করতে হবে। সময় পেলে আরো একদিন সেই সব ছবি আপনাদের দেখিয়ে যাব।
ছেলে বড় হয়ে তার মাছের সাথের ছবি গুলো দেখে খুশি হবে কি না ভাবছি! আমি হয়ত সে দিন এই দুনিয়াতে থাকব না, ছেলে নেটে ছবি দেখবে, হয়ত হাসবে, হয়ত ওর প্রিয়তমাকে বা ওর সন্তানকে দেখিয়ে গর্ব করে বলবে, দেখ, আমার বাবার পাগলাটে কাজকর্ম!
পিতা পুত্রের সম্পর্ক আসলেই বড় কঠিন, বড় হতে হতে তা অনেক দূরের হয়ে যায়!
সাহাদাত ভাই, আপনাদের পিতা পুত্রের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। বুলেট আপনার রান্নার টেষ্টার এটা আগে জেনেছি, এখন দেখছি ও আপনাকেও নিয়ন্ত্রন করে! হা হা…
LikeLike
ধন্যবাদ খোকন ভাই। শুভেচ্ছা ও স্বাগতম।
হা হা হা… বড় হয়ে ও ওর বাবার মত রেসিপি লিখবে কিনা বুঝতে পারছি না। তবে আমি ওকে রান্না খুব ভাল করেই শিখিয়ে যাব।
আবারো শুভেচ্ছা।
LikeLike
ভালো লাগলো বাহাদুরকে দেখে। ওর জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো।
LikeLike
ধন্যবাদ রুমান ভাই, হা পশু, পাখী, প্রানীর প্রতি ওর আদর যত্ন আমার ভাল লাগে। সাহসও আছে। সাপ ধরতে অনেক অনেক সাহসের প্রয়োজন, সেটা তার আছে।
হা, দোয়া করবেন যাতে ভাল মানুষ হয়ে সমাজের কাজে লাগে।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
সাপ ধরতে অনেক সাহসের প্রয়োজন। যা ওর আছে! বাহাদুরের জন্য আন্তরিক দোয়া থাকলো। ও যেন ভালো মানুষ হয়ে সমাজের কাজে লাগে।
LikeLike
ধন্যবাদ।
LikeLike
চমৎকার 🙂
LikeLike
ধন্যবাদ অজ্ঞাত ভাই,
ওয়ার্ড প্রেসে একটা একাঊন্ট খুলে নিয়ে নিজের মনের কথা লিখতে থাকুন এবং আমাদেরকেও সুযোগ দিন।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
হুম! প্রদর্শনীই বটে!
মোবাইলে তোলা শেষ ছবিটা তো দারুন!!
LikeLike
ধন্যবাদ হুদা ভাই। এবার আপনাকে কাছে পেলেও মোবাইলে ছবি তুলব। এই মোবাইলে ছবি ভাল হয়! দেখতে অনেক বড়!
শুভেচ্ছা।
LikeLike
বুড়োদের ছবি তুলে লাভ কী?
LikeLike
হুদা ভাই, সব কিছুতে আমি লাভ খুঁজি না!
LikeLike
তা’হলে যত খুশি তত ছবি তুলে ইচ্ছা পূরণ করে নেবেন!
LikeLike
সাহাদাত ভাই, ভীষণ ভালো লাগল আপনার পিতা-পুত্রর সম্পর্কের ছায়াছবি। বুলেটের জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা আর ব্যাটারীদিকে আমার নমস্কার জানাবেন। আপনি কী ঢাকার বাসিন্দা? ঢাকা শহরের সঙ্গে আমার বহু পুরাতন সম্পর্ক তবে কখন যাওয়া হয়ে ওঠেনি। জানিনা আপনারা যারা আমার ব্লগার-সাথী তাঁদের সঙ্গে কোন দিন দেখা হবে কিনা। তবে নেটে পরিচয় পেয়ে ও গল্প করে খূব আনন্দ পাই। আসা রাখি কোনো এক দিন মুলাকাত হবে। ভালো থাকবেন। গীতশ্রী
LikeLike
ধন্যবাদ বোন, হা হা হা…বলা যায় ঢাকায় থাকি।
আপনার অন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ। চলে আসুন বেড়াতে একবার। আশা করি দেখা হবেই, আড্ডা চলবেই।
আপনি ঢাকা এলে একটা বিশাল আড্ডার ব্যবস্থা করব।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
কোনো একদিন নিশ্চয়ই যাব। ভালো প্রলোভন দেখিয়েছেন। আড্ডা বড়ই লোভনীয় বস্তু। শুভেচ্ছা।
LikeLike
কি ব্যাপার! আমার আগের কমেন্টটা কই? জবাব চাই, জবাব চাই!!
LikeLike
হা হা হা… আমি কেমনে বলব! আমি আপনার আর কোন কমেন্ট দেখছি না! হা হা হা।। নেক নিয়তের কমেন্ট ছিল না! এই কমেন্ট নেক নিয়তে করছেন বলে বুঝতে পারছি! হা হা হা…
আগামীতে আরো নেক নিয়তের কমেন্ট চাই!
LikeLike
হবে না! হবে না! আমার সব কমেন্টই নেক নিয়তের!!!
LikeLike
হা হা হা…।
LikeLike
বেশ সুন্দর লাগল। ছেলে বড় হয়ে দেখে নিশ্চয় আনন্দ পাবে।
LikeLike
ধন্যবাদ খালেদ ভাই। আমিও তা মনে করছি।
LikeLike
অনেক ভাল লাগলো ছবিগুলো দেখে।
পিতা-পুত্রের সম্পর্ক এমন বন্ধুর মতোই হওয়া উচিত।
শেষের দিকে এসে এমন মন খারাপ করা কথা যেন আর না পড়ি। সবাই মিলে সুখে থাকা হোক, যত দিনই থাকা হোক না কেন।
LikeLike
ধন্যবাদ দাইফ ভাই। আমি চেষ্টা করি কিন্তু মাঝে মাঝে ফেল মারি। যেহারে দুষ্টামি করে, মাথা ঠিক রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।
হা হা হা… জন্মিলে মরিতে হইবে।
LikeLike
ভাতিজার সাহসে আমি ভয় পেলাম। ওরে বাপরে! সাপ!
মাছের ছবিগুলো দেখে আনন্দ পেলাম। টোনা ফিস কখনো খাইনি। টেস্টার বাবাকে পেলে জেনে নিতে হবে টোনা খেতে কেমন?
ভাতিজার জন্য ভালোবাসা এবং দোয়া।
LikeLike
ধন্যবাদ বোন। ভাবছি আর একটা এই ধরনের পোষ্ট দিব। অনেক মাছের সাথে আরো অনেক ছবি জমে গেছে। একমাত্র মাছের সাথেই ছবি তুলতে ওর আপত্তি নেই!
সামুদ্রিক টোনা আগোরা কিংবা স্বপ্নতে পাওয়া যায়। তবে সব সময় দেখি না, মাঝে মাঝে দেখি।
আপনিও ভাল থাকুন।
LikeLike
আসসালামূ আলাইকুম স্যার , আশা করি ভালো আছেন। আপনার কথা আমার প্রায়ই মনে পড়ে কেননা রান্নার হাতেখড়ি আপনার এই সাইট দেখেই, মনে হয় সালটা ২০১১-১২ ইং। আমি তখন ব্যবসায়ের কারণে পরিবারের থেকে দুরে ছিলাম। কাজের লোকের রান্না সব সময় ভালো লাগত না তাই ছিল রান্না শেখার অদম্য প্রচেষ্টা। আপনার কথা বা লেখাগুলো ছিল প্রান্বনত এবং রান্নার ছবি আমাকে খুব সাহায্য করেছে । আপনার বুলেটের কথাও আমার মনে পড়ে । কি একটা রেসিপি দেখতে গিয়ে মনে পড়ে গেল আপনাদের কথা। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য, সর্বদা ভালো থাকেন।
LikeLiked by 1 person