করলা ভাজি আমার একটা প্রিয় ভাজি। ঢেঁড়স ভাজি দিয়েই আমি আমার রেসিপি লেখা শুরু কিন্তু করলা ভাজিতে আমার মনোযোগ বেশী। সেই রেসিপি থেকে প্রায় বছর দেড়েক পার হল। আমি এর মধ্যে রান্না শিখে গেছি। বলা যায়, এখন আমাদের ঘরোয়া প্রায় সব রান্নাই নিজে কারো সাহায্য ছাড়াই করতে পারব (এই কথা শুনলে আমার ব্যাটারী রেগে যাবে বটে! আর আমার বুলেট হাসবেই! তবে ওদের পরীক্ষায় আমি পাশ করেছি অনেক আগে)।
এই রান্না শিখতে গিয়ে আমি আসলে অনেক কিছুই জেনেছি, পেয়েছি অনেক অনেক ভালবাসা। যা লিখলে এখন বিরাট সাহিত্য হয়ে যাবে। আমি সাহিত্যিক নই!
ব্যচেলর ভাই/বোনদের মানে যারা নুতন রান্না করছেন বা করতে চাচ্ছেন তাদের বলি, শুধু আলু ভর্তা না করে মাঝে মাঝে এই টাইপের ভাজি রান্না করুন। হাত এসে অনুমান হয়ে যাবে, আপনিও হয়ে যাবেন রান্নাবিদ।
(আমাদের করলা সুন্দরী এখন বড় হয়ে গেছে)
চলুন সহজ করলা ভাজি দেখি যদিও করলা ভাজি আগে একবার চতুরে দেখিয়ে ছিলাম (করলা সুন্দরীর ছবি সেই পোষ্ট থেকে নেয়া)। তবে আমি মনে করি প্রতি বেলার রান্নাই ‘ইউনিক রান্না’ হউক না এক রকম!
উপকরনঃ
– কয়েকটা করলা
– পেঁয়াজ কাঁটা (পেঁয়াজ ছিলে চার ভাগ করে নিতে পারেন বা কুচি করে)
– লবন (প্রথমে কম দেয়াই ভাল, লাগলে পরে দেয়া যাবে)
– সামান্য হলুদ গুড়া
– কয়েকটা কাঁচা পাকা মরিচ
– তেল (পরিমান মত)
প্রস্তুত প্রণালীঃ
করলা কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কয়েকটা পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ থাকবে, আমাদের কাছে কাঁচা মরিচ না থাকায় পাকা মরিচ নিয়েছিলাম।
কড়াইতে সামান্য লবন যোগে তেল গরম করে তাতে করলা দিয়ে দিন।
সামান্য হলুদ গুড়া দিন।
এবার খুন্তি দিয়ে ভাল করে উলট পালট করে দিন।
কিছু ক্ষনের জন্য ঢাকনাও দিয়ে দিতে পারেন। তবে চুলার কাছে খুন্তি হাতে দাঁড়িয়ে থাকুন।
খুন্তির উলট পালটই বলে দেবে করলা ভাজি হয়েছে কি না। এই সময় শেষ লবন দেখে নিতে পারেন, লাগলে দিন। না লাগলে ওকে!
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
গরম ভাতের সাথে খেয়ে দেখুন। নিজের হাতের রান্না, কেমন লাগে বলুন।
আলু ভাজির চেয়ে সহজ কি না বলুন।
পোষ্ট দিয়ে মনে পড়ল, তথ্যে কিছুটা ভুল আছে! আসলে এই নিয়ে করলা ভাজির ৩য় রেসিপি এটা! হা হা হা, প্রিয় এবং সহজ রান্না বলেই হয়ত!
LikeLike
করলা ভাজি ! ওশাম !!
LikeLike
ধন্যবাদ রাশেল ভাই। আপনিও ক্যামেরা হাতে রান্নাঘরে যাচ্ছেন, দেখতে পেলাম। খুব খুব খুশি হয়েছি। আমাদের সবার উচিত স্ত্রীদের সাহায্য করা। রান্না জানা একটা গর্বের ব্যাপার, যে দিনকাল আসছে সামনে!
শুভেচ্ছা। আশা করি রান্না করে চমক লাগিয়ে দেবেন।
LikeLike
কোন সব্জিই কাটার পরে ধোয়া উচিৎ নয়। এতে এর গুণাগুণ হ্রাস পায়। ভাল করে ধুয়ে কাটা তাই ভাল। করল্লা কাটার পরে ধুলে তিতার পরিমাণ বেড়ে যায়।
করল্লা প্রতিদিন দুপুরের খাবারের প্রথম আইটেম। ইচ্ছা করুক বা না করুক, ভাল লাগুক বা না লাগুক খেয়ে নিই চোখ কান বুঁজে।
LikeLike
সব্জি ধোয়া নিয়ে হুদা ভাইয়ের সাথে একমত।
LikeLike
ধন্যবাদ হুদা ভাই, আমিও প্রতিদিন করলা খাব।
তিতা লাগে নাই! হা হা হা…
একমত।
LikeLike
করলা ভাজি, গরম ভাত আর গরম মসুরের ডাল, তোফা খাবার!!
সাথে একটা কাঁচা মরিচ!!
দারুন এক রেসিপি সাহাদাত ভাই।
আর বাচ্চার ছবিটা অনেক সুন্দর লেগেছে।
LikeLike
ধন্যবাদ দাইফ ভাই।
ওর নাম অনন্যা, আমার পাশের ফ্লাটে থাকে। আমাকে ওর খুব পছন্দ, কবে একবার বলেছিল, আমি যদি ওর বাবা হতাম! হা হা হা… ওর আহ্লাদী কথা আমার ভাল লাগে। সত্যি ও যদি আমার মেয়ে হত।
শুভেচ্ছা।
LikeLike
পিংব্যাকঃ রেসিপিঃ করলা ভাজি (এত সহজ!) | রান্নাঘর (গল্প ও রান্না)
udraji bhai, assalamu alaikum.,
ager recipe gular photo gula jeno dekha jai shey bebosta ektu koren pls.
thank you
LikeLike
ধন্যবাদ বোন,
এই সমস্যা আমাকেও পীড়িত করে। অথচ এত ছবি কোথায় নেই। তবে মাসের শুরুতে সব ঠিক থাকে। এদিকে আমি চেষ্টা করছি সরিয়ে নেয়ার।
https://udrajirannaghor.wordpress.com/%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D/
শুভেচ্ছা।
LikeLike